শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪


আরেক পরিমল যা করতো 27 Apr, 2014 চট্টগ্রামের রাউজানে এবার ধরা পড়েছে আরেক পরিমল। অসংখ্য ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে সেদৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন রাসেল কবির (৪০) নামের এক শিক্ষক। স্থানীয়রা শনিবার বিকেলে তার ল্যাপটপ জব্দ করার পর এ ঘটনার প্রমাণ পেলে জুতার মালা পরিয়ে মাথা ন্যাড়া করে শিক্ষক নামের কলঙ্ক রাসেল কবিরকে এলাকায় প্রদক্ষিণ করানোর পর থানায় সোপর্দ করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল কবির বরিশাল জেলার ঝালিকাঠি এলাকার বৈশাখীয়া গ্রামের হদুয়ার আবদুর রবের ছেলে। তার বাবা আবদুর রব তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সুবাধে রাসেল ২০০৯ সালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাসেল তিন বছর ধরে বিদ্যালয়ে বাণিজ্য শাখার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই একটি কোয়ার্টারে থাকতেন। এতে ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর নামে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে তা ল্যাপটপের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে রাখতেন। ধারণকৃত এসব ভিডিও চিত্র এলাকার বিভিন্ন জনের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ছাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়রা শনিবার তার ল্যাপটপটি জব্দ করার পর প্রমাণ পেলে তাকে আটক করে। এ সময় রাসেল জনগণের কাছে তিন ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। তার ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে আরো অসংখ্য ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে প্রথমে গণধোলাই দেয়। এরপর তাকে বিদ্যালয় এলাকায় জুতার মালা পরিয়ে ও মাথা ন্যাড়া করে রাউজান থানায় সোপর্দ করা হয়। রাউজান থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, স্থানীয় জনতা শিক্ষক রাসেলকে থানায় সোপর্দ করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পরপরই রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী স্বপন কান্তি চক্রবর্তী রাসেলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। এছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) রুহুল আমিন বাদি হয়ে রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তিন বছর ধরে এখানে কমর্রত আছেন। তবে আমি নতুন আসায় আগে কি করেছে তা জানি না। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, রাজধানীর ভিকারুন নিসা স্কুলের শিক্ষক পরিমল প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়। শীর্ষ নিউজ Share on facebook Share on email Share on print 7

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন