শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪


হোটেলে পরকীয়া জুটিকেও আটক 27 Apr, 2014 শহরের ২নং রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় মেহেরান নামে একটি আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হোটেল কর্মচারী, তিন খদ্দের ও ১১ যৌনকর্মীকে জরিমানা করা হয়। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। জানা গেছে, অভিযানে হোটেল কর্মচারী শিখুকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। শিখু চাঁদপুরের মতলবের মৃত মতিনের ছেলে। এছাড়াও খদ্দের বাবু ও জহিরকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং হযরত আলীকে ২ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যৌনকর্মী আসমা ও সাথীকে আড়াই হাজার এবং আরো ৯ যৌনকর্মীকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। হোটেল থেকে একটি পরকীয়া জুটিকেও আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজম বাংলামেইলকে জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময়ে পুলিশের হাত ফসকে এক হোটেল কর্মচারী পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া হোটেলটির মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনীম এ হোটেলে অভিযান চালান। কিন্তু তারপরও হোটেল মালিক অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না করায় হোটেলটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই হোটেল থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা নিজেদের মামাতো ফুফাতো ভাই বোন বলে পরিচয় দেয়। তারা বিবাহিত বলেও জানায়। তাই উভয়ের স্বামী-স্ত্রীকে খবর দেয়া হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের ইতি ও সোনারগাঁওয়ের মোস্তফা। অশ্লীলতার বিরুদ্ধে তার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজম। বাংলামেইল Share on facebook Share on email Share on print 3

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন