শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৪


প্রথম আলো নিষিদ্ধের দাবি কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠনের
19 Apr, 2014 ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে আবারো ‘দৈনিক প্রথম আলো’কে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগসহ কয়েকটি ধর্মীয় সংগঠন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এসব দাবি জানায়। মানববন্ধনে অংশ নেওয়া সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে, জাতীয় কুরান শিক্ষা মিশন, বাংলাদেশ ফিৎনা প্রতিরোধ কমিটি, জাতীয় ওলামা পরিষদ, কেন্দ্রীয় আহলে সুন্নত ওয়াল জামাত, হাক্কানী আলেম সমাজ, ইমাম মোয়াজ্জিন কল্যাণ পরিষদ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ এবং বাংলাদেশ এতিমখানা কল্যাণ পরিষদ। মানববন্ধনে গত ১০ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলোতে প্রকাশিত শিক্ষা বিষয়ক একটি প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বলা হয়, সাধারণ শিক্ষার পাঠ্যবইকে মাদ্রাসা শিক্ষার উপযোগী করার উদ্যোগকে ‘অদ্ভূত, হাস্যকর, সাম্প্রদায়িক উল্লেখ করে সংবাদ পরিবেশন করায় প্রথম আলো ইসলামের অবমাননা করেছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে। বক্তারা বলেন, এই প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্যদিয়ে প্রথম আলো নিজেদের ইসলাম বিদ্বেষী, নাস্তিক্যবাদী বলে আবারো প্রমাণ করেছে। তারা প্রথম আলোকে ইসলাম বিদ্বেষী, নাস্তিক্যবাদী এজেন্ট উল্লেখ করে অবিলম্বে প্রথম আলো নিষিদ্ধ করে পত্রিকার সম্পাদকসহ সংশ্লিষ্টদের শাস্তির দাবি জানান। গত ২৬ মার্চ সরকার এবং সেনাবাহিনীর যৌথ আয়োজনে ‘লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত’ অনুষ্ঠানের সমালোচনা করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গিনেস বুকে রেকর্ড গড়তে গিয়ে ৯০ কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। অথচ কথিত এই রেকর্ড করতে গিয়ে পদদলিত করে জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করা হয়েছে। আয়োজনকারীরা কোনোভাবেই এর দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। বক্তারা মানববন্ধন থেকে সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন ও আমদানি নীতিরও সমালোচনা করেন। তারা বলেন, সরকার বিদ্যুৎ খাতে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। গত ২৭ মার্চ দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ৭হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। অথচ সরকার ভারতকে করিডোর সুবিধা দিয়ে দিয়ে মাত্র একশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। মানববন্ধনে এসব ধর্মীয় সংগঠনের নেতারা বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের চেয়ে ভারতের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথকে এদেশে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন। মানববন্ধন থেকে গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, ওলামা লীগের সভাপতি মাওলানা আখতার হুসাইন বোখারী, মাওলানা মুহাম্মদ সাত্তার, কাজী মাওলানা মুহাম্মদ আবুল হাসান শেখ, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক প্রমুখ। উৎসঃ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর Share on facebook Share on email Share on print

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন