বাবরী মসজিদ ধ্বংসকান্ডের তদন্ত রিপোর্ট পেশ
ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় হিন্দুত্ববাদীদের হাতে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ১৭ বছর পর লিবারহান তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর হাতে তুলে দিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লিবারহান স্বয়ং৷
রিপোর্টের সারমর্ম এই মুহূর্তে জানা যায়নি৷ তবে রিপোর্ট পেশ করতে এত বিলম্ব হওয়ার সমালোচনা করেছে রাজনৈতিক দলগুলি৷
চার ভলিউমের ঐ রিপোর্ট এখন খতিয়ে দেখবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ বিচারপতি লিবারহান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রিপোর্ট সংসদে পেশ না হলে অথবা সরকার নিজে তা প্রকাশ না করলে এবিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেন না৷ তবে কী পরিস্হিতিতে ঐ ধ্বংসকান্ড সংঘটিত হয়েছিল, কার প্ররোচনা ছিল, অযোধ্যায় করসেবকদের উদ্দেশে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের ভাষণে কী ছিল, করসেবকদের সভা করার জন্য সুপ্রীম কোর্ট যে জায়গা নির্দিষ্ট করেছিলেন তা কীভাবে লংঘিত হয়েছিল সবই বলা আছে ঐ রিপোর্টে৷ সাক্ষীদের অসহযোগিতাই রিপোর্ট পেশে বিলম্বের মূল কারণ৷
তদন্ত কমিশনের শুনানি হয় ৪০০ বার৷জবানবন্দি নেওয়া হয় শতাধিক সাক্ষীর৷ তারমধ্যে আছেন বিজেপির শীর্ষ নেতা এলকে আডবানি, মুরলী মনোহর যোশি, কল্যাণ সিং, প্রাক্তন বিজেপি নেত্রি উমা ভারতী প্রমুখ৷ বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, বিষয়টি যেহেতু সংবেদনশীল, তাই রিপোর্ট আরও আগে পেশ করলেই ভাল হতো৷ বিজেপি তদন্ত কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে৷ প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীর সাফ জবাব, ঐ ঘটনার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী নই৷
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রিপোর্ট প্রকাশের পর রাজনৈতিক হাওয়া আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে৷
১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদকে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে বাঁচাতে না পারার ব্যর্থতা আড়াল করতে কেন্দ্রের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও-এর কংগ্রেস সরকার লিবারহান তদন্ত কমিশন বসান৷ বাবরি মসজিদ ধংসকান্ডের পর শুরু হয় সাম্প্রদায়িক দাংগা৷ হতাহত হয় বহু লোক৷
প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লী
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক
তারিখ 30.06.2009
সম্পাদনা Al-Farooq, Abdullah
শেয়ার পাঠান ফেসবুক টুইটার গুগল+ আরো...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন