নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
সমকাল প্রতিবেদক | প্রকাশ : ২২ এপ্রিল, ২০১৪ ২২:২০:৫৯
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় নিরাপত্তা সংলাপে পররাষ্ট্র সচিব মুস্তাফা কামাল এ সহায়তা চেয়েছেন।
সমকাল প্রতিবেদক
সমুদ্র নিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতার সমন্বিত উদ্যোগে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ দমন, সমুদ্র নিরাপত্তা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই বলে মনে করে তারা।নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চায় বাংলাদেশ
মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস্) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় নিরাপত্তা সংলাপে দু'দেশের প্রতিনিধি দল এ অভিমত ব্যক্ত করে।
দু'দেশের এ সংলাপে বাংলাদেশ ৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মুস্তাফা কামাল। যুক্তরাষ্ট্রের ২৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের পররাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর মুখ্য উপ-সহকারী মন্ত্রী টম ক্যালি।
সংলাপ শেষে বিকেলে বিস্ মিলনায়তনে তারা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক) অতুল কেশাপ, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান ও সাইদা মুনা তাসনিম।
ব্রিফিংয়ে মুস্তাফা কামাল নিরাপত্তা সংলাপকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ দাবি করে বলেন, "আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এ সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারের সংলাপে সুনির্দিষ্ট কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কৌশলগত অগ্রাধিকার, সামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও নিরস্ত্রীকরণ এবং শান্তি মিশন ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস দমন ও দুর্যোগ মোকাবেলা- এই চারটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা সহযোগিতা দু'দেশের সম্পর্ককে উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাবে।"
তিনি বলেন, "বঙ্গোপসাগরসহ এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্বেগ নেই। সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে চায়।"
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, "পরমাণু নিরাপত্তা ইস্যুতে সংলাপে আলোচনা হলেও রূপপুর বা অন্য কোনো বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কথা হয়নি। এ ইস্যুতে মার্কিন উদ্বেগ থাকায় আমরা যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি তা অবশ্য তাদের জানানো হয়েছে।"
মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতা টম ক্যালি বলেন, "বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে সমন্বিত কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা। এ কার্যক্রমে বাংলাদেশকে পাশে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।"
এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপদ নৌ-চলাচল ও অবাধ বাণিজ্যিক পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন