মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৪


সংবাদ >> জাতীয় তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন ‘মডারেট ইসলামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট’ 29 Apr, 2014 তাজউদ্দীন আহমদের বড় মেয়ে ৫৪ বছর বয়সী শারমিন আহমদ রিপি আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে একজন মডারেট-ইসলামপন্থী অ্যাক্টিভিস্ট হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। তাজউদ্দীন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পবিত্র কোরআনের হাফেজ হলেও তিনি ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদের কট্টর সমর্থক ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টির গোপন সদস্য হিসেবে তিনি আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করে সমাজতান্ত্রিক মতাদর্শ কায়েমে সক্রিয় ছিলেন বলে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা রয়েছে। স্বাধীনতার পর সমাজতান্ত্রিক আদর্শ কায়েমের প্রশ্নে স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে দেশের প্রথম মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন তাজউদ্দীন। বাবা তাজউদ্দীন ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রের সমর্থক হলেও মেয়ে শারমিন আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামী থিঙ্ক ট্যাংক প্রতিষ্ঠা, আমেরিকান মুসলমানদের নেটওয়ার্কিং, ইসলামী নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে জড়িত।
তার সাথে মিশর ভিত্তিক ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্নার নাতি ও বুদ্ধিজীবী তারিক রামাদানের যোগাযোগ রয়েছে। শারমিন ব্রাদারহুডের ‘বুদ্ধিবৃত্তিক নেতা’ ইউসুফ আল কারযাভির ইমামতিতে ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মিশরের তাহরির স্কয়ারে জুমার নামাজ পড়তে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। শারমিনের মতে, কারযাভি ‘প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ, পণ্ডিত ও লেখক’। ‘ইসলামকে আধুনিক যুগের আলোকে ব্যাখ্যা, মধ্যপ্রাচ্যে গণতন্ত্র ও অবাধ মুক্ত নির্বাচনের পক্ষে বলিষ্ঠ লেখনী ও কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি স্বদেশ ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শ্রদ্ধা অর্জন করেছেন’। সম্প্রতি আমেরিকান নাগরিক শারমিনের ‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। এ বইয়ে তিনি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বেশ কিছু বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। গত ১৮ এপ্রিল ঢাকায় শারমিনের বইটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম রূপকার তাজউদ্দীনের বড় মেয়ের নতুন ভূমিকা দেখে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডেও বিস্ময় তৈরি হয়েছে।
‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ বইকে কেন্দ্র করে শারমিনকে নিয়ে সারা দেশে যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে সে পরিপ্রেক্ষিতে শারমিনের ব্যাপারে তথ্যানুসন্ধান করে অনলাইন বাংলা। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ১৯৫৯ সালের ২৬ এপ্রিল তাজউদ্দীন ও সৈয়দা জোহরা খাতুন লিলির বিয়ে হয়। ১৯৬০ সালে এ দম্পতির প্রথম সন্তান শারমিনের জন্ম হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় শারমিনের বয়স ছিল ১১ বছর। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ৩ নভেম্বর তাজউদ্দীনসহ জাতীয় চার নেতাকে হত্যার সময় তার বয়স হয়েছিল ১৫ বছর। বাবার মৃত্যুর প্রায় ৯ বছর পর শারমিন আমেরিকায় পাড়ি জমান। এরপর তিনি জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ‘উইমেন স্টাডিজ’-এ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এখান থেকে তিনি উইমেন স্টাডিজ স্কলার অ্যাওয়ার্ড ও ফেলোশিপও অর্জন করেন। আমেরিকায় শারমিনের ভূমিকা সম্পর্কে জানা যায়, তিনি ‘মিনারেট অব ফ্রিডম ইনস্টিটিউট’, ‘দ্য আমেরিকান মুসলিম’ ‘উন্নয়নে নারী’ ও ‘সংহতি’ নামক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য মিনারেট অব ফ্রিডম ইনস্টিটিউট’ ইসলামী নীতি গবেষণা বিষয়ক থিংক ট্যাঙ্ক। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ইমাদ আদ দীন আহমদ ও সহকারি প্রতিষ্ঠাতা শারমিন। আমেরিকার মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের বেথেসডার রোজডেল অ্যাভিনিউ’র ৪৩২৩ নম্বর বাড়িতে অবস্থিত দ্য মিনারেট অব ফ্রিডম ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে দীর্ঘ দিন দায়িত্ব পালন করেন শারমিন।
বর্তমানে তিনি প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জাতিসংঘ ও এর বেসরকারি সংস্থা কমিটিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলা হয়েছে, শারমিন একজন বাংলাদেশি লেখক, যিনি সামাজিক-রাজনৈতিক ও ইসলামী ইস্যুতে লেখালেখি করেন। এতে তাকে মানবাধিকার অ্যাক্টিভিস্ট তুলে ধরে বলা হয়েছে, তিনি বিশেষত নারী অধিকার নিয়ে কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটি শারমিনকে ‘হৃদয়ের রংধনু’ বইয়ের লেখক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। এটি একটি গল্প যা ১৯৯৫ সালে সাপ্তাহিক রোববার পত্রিকায় প্রথম প্রকাশিত হয়। পরে এটি ২০০৩ সালে বই হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। যা তিনি উৎসর্গ করেছিলেন মা সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দীনকে। ‘হৃদয়ের রংধনু’ বইটি যুক্তরাষ্ট্রের মন্টগোমেরি কাউন্টির সরকারি বিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যসূচিতে স্থান করে নিয়েছে। বইটিকে প্রাথমিক ও মধ্যম স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনন্য বলে মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাবিদরা। প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, মিশর ভিত্তিক আরব ইসলামপন্থী সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ হাসানুল বান্নার নাতি বুদ্ধিজীবী তারিক রামাদান নিজের একটি বই তার স্বাক্ষরসহ শারমিনকে উপহার দিচ্ছেন। মিনারাটে তারিক ‘স্বাধীনতা ও ইসলামী মূল্যবোধ’ বিষয়ক লেকচার দিতে আসেন। অনুষ্ঠান শেষে তিনি শারমিনকে বইটি উপহার দেন।
শারমিন ‘দ্য আমেরিকান মুসলিম ডট ওআরজি’ বা ‘ট্যাম’ নামক একটি নেটওয়ার্কের সেক্রেটারি ও পরিচালক। এটি মূলত একটি জার্নাল হিসেবে ১৯৮৯-৯৫ সাল পর্যন্ত প্রকাশিত হয়। পরে এটি ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত ইমেইল নিউজলেটার হিসেবে প্রকাশিত হয়ে পরে ওয়েবসাইটে রূপান্তরিত হয়। ট্যাম থেকে প্রথম আমেরিকার ইসলামী রিসোর্স ডিরেক্টরি প্রকাশিত হয়। এতে আমেরিকার মসজিদ, মুসলিম স্কুল, সংগঠন ও আমেরিকা প্রথম মুসলমানদের তালিকা তুলে ধরা হয়। ট্যাম এর ওয়েবসাইটটি হাজারেরও বেশি ওয়েবসাইটের সাথে লিঙ্ক করা। ওয়েবসাইটটি বর্তমানে প্রতিদিন ৪০ হাজারেরও বেশি ভিজিটর দেখে থাকেন। শারমিন ‘উন্নয়নে নারী’ ও ‘সংহতি’ নামক দুটো প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির সদস্য। অসহায় নারীদের সহযোগিতায় কাজ করে ওই দুটি সংগঠন। এছাড়া শারমীন নারী ও শিশুর ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহয়তা বিষয়ে কাজ করেন। তিনি বেইজিংয়ের চতুর্থ বিশ্ব নারী সম্মেলন ও তেহরানের প্রথম আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সম্মেলনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পেশাজীবী নারীর অধিকার উন্নয়নে পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান সোরোপটিমিস্ট ইন্টারন্যাশনাল ‘বিশিষ্ট নারী অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন তিনি। ‘বিশ্বব্যাপী সদিচ্ছা ও প্রতীতি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান’ রাখায় তাকে ওই পুরস্কার দেয়া হয়। তিনি আমেরিকার স্বাস্থ্য বিভাগের একজন পরামর্শক হিসেবে তৃণমূল পর্যায়ে নারীর প্রজনন অঙ্গহানির বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করেন। তিনি টেলিভিশন ও রেডিওতে টক শো করেন। আমেরিকার প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পোস্টে তিনি নিয়মিত লেখালেখি করেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক জার্নালে তার সম্পাদকীয় কলাম প্রকাশিত হয়েছে। মিশরীয় স্বামী শারমিন মিশরীয়-আমেরিকান আমর খাইরি আবদুল্লাহকে বিয়ে করেন। বার্তা সংস্থা এনা’ পরিবেশিত এক লেখায় তিনি তার স্বামী আমরের সাথে বিয়ে ও তার পরিচয় দেন। শারমিন লেখেন, ‘আমার স্বামী জীবনসাথী আমর খাইরি আবদাল্লার সাথে প্রথম পরিচয় ১৯৯৮ সালে বসন্তের এক মনোরম সন্ধ্যায়। ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের এক মানবাধিকার অ্যাওয়ার্ড প্রদান সম্মেলনে আম্মা (জোহরা তাজউদ্দীন) ও আমার পাশেই আমর বসেছিল।’ ‘আমরের সাথে আলাপচারিতায় আম্মা মুগ্ধ। এ ব্যক্তি আমার যথার্থ জীবন সাথী হবে এ চিন্তা আম্মার মনে উদয় হয়। মায়ের মন যাকে বলে! পরবর্তীতে আমর প্রস্তাব দেয়ার পর আম্মার আশীর্বাদ নিয়ে আমরের সাথে আমার নতুন জীবন শুরু হয়।’ আমরের পরিচয় দিয়ে তিনি লেখেন, ‘আমরের জন্মভূমি মিশর। সেখানেই সে বড় হয়েছে। ল’ পাস করার পর কর্মজীবন শুরু করে কায়রোতে, পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে। পরে পেশা পরিবর্তন করে কনফ্লিক্ট রেজ্যুলেশন ও পিস স্টাডিতে পিএইচডি. করে ভার্জিনিয়ার জর্জ মেইসন ইউনিভার্সিটি থেকে।’ ‘জর্জ মেইসন ইউনিভার্সিটিতে বহু বছর কাজ করার পর বর্তমানে আমর কোস্তারিকায় অবস্থিত জাতিসংঘ ম্যান্ডেটেড ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এর ভাইস রেক্টর এবং পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট রেজ্যুলেশন বিষয়ের প্রফেসর।’ শারমিন ও তার স্বামী আমর ইহুদি ও খৃস্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে মুসলমানদের হয়ে আন্তঃধর্মীয় সংলাপ করে থাকেন। শারমিন এ সংক্রান্ত অসংখ্য কর্মশালার সংগঠক ও পরিচালক। বিয়ের এক বছর পর ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তারা ইসলামিক শিক্ষা বিষয়ে ইহুদীদের রোশ হোশোনা উৎসব চলাকালীন পুনর্গঠিত ইহুদি ধর্মসভায় তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন। হুয়েটন হাই স্কুলে আয়োজিত এ ধর্মসভায় চারশ’ এর অধিক লোকের সমাগম হয়েছিল। এ সভায় তারা মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা, দয়া ও সহানুভূতি সম্পর্কে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন। এখানে তারা কোরআনের আয়াত তেলাওয়াত করে শোনান। সভায় উপস্থিত ব্যক্তিরা উভয়কে দাঁড়িয়ে তুমুল করতালি ও সাদর সম্ভাষণ জানান। হাত মিলিয়ে এবং চুমু দেয়ার মাধ্যমে তাদের উপস্থাপনাকে গ্রহণ করেন। ২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারির গণঅভ্যুত্থানে মোবারকের পতন ঘটলে স্ত্রী শারমিনকে সাথে নিয়ে আমর ১৮ তাহরির স্কয়ারে উড়ে গিয়েছিলেন। এ অভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতায় মিশরের চার হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন ব্রাদারহুড নেতা মোহাম্মদ মুরসি। তাহরির স্কয়ারে উপস্থিত থাকার ঘটনায় শারমিন নিজেকে ‘পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবানদের একজন’ হিসেবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। এ সফরের অভিজ্ঞতা নিয়ে শারমিন ‘ডটার অব বাংলাদেশ লিবারেশন উইটনেস তাহরির ইমান্সিপেশন ইন ইজিপ্ট: আ কান্ট্রি দ্যাট ওয়াজ রক্ড বাই আ রেভ্যুলুশন’ শীর্ষক ৪০ পৃষ্ঠার একটি বই লেখেন। এনা পরিবেশিত এ সংক্রান্ত লেখায় শারমিন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসান আল বান্নার প্রশংসা করেন। তিনি লেখেন, ‘স্কুল শিক্ষক হাসান আল বান্না ইসলামের আদর্শকে জনহিতকর ও সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রতিষ্ঠা করেন ১৯২৮ সালে।’ ‘খুব শিগগিরই তৃণমূলে এ সংগঠন জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে সহিংসতার পথ বেছে নেয়ায় ব্রাদারহুড বিতর্কিত হয়।...’ ‘১৯৭১-এর গণহত্যার দোসর বাংলাদেশের জামায়াত-ই-ইসলামীসহ বহু ইসলামী সংগঠন প্রভাবিত হয় ব্রাদারহুডের নেতা সাঈয়েদ কুতুবের চরমপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শে।’ ‘১৯৭০ সালে ব্রাদারহুড সহিংসতার পথ বিসর্জনের ঘোষণা দেয়। বহু চড়াই-উতরাই পার হয়ে মুসলিম ব্রাদারহুড বর্তমানে ফিরে এসেছে হাসান আল বান্না প্রবর্তিত সংগঠনের মূল লক্ষ্যে।’ অনলাইন বাংলা

সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৪


ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত ছাত্রী ধর্ষিতা হচ্ছে নয়া দিগন্ত অনলাইন ২৯ এপ্রিল ২০১৪, মঙ্গলবার, ৮:০৫ ব্রিটেনের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত ছাত্রী ধর্ষিতা হলেও পুলিশকে জানানো হচ্ছে না। ফলে প্রতিকার পাওয়া তো দূরের কথা কেউ জানতেও পারছে না। বহুল প্রচারিত ডেইলি মেইল পত্রিকায় সোমবার একটি জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতি ১৩ ছাত্রীর অন্তত একজন যৌন নিপীড়নের শিকার হন। এতে বলা হয়, মর্যাদাসম্পন্ন এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে মেয়েরা নিয়মিত যৌন হয়রানি, ধর্ষণ এবং নানাভাবে অপদস্থ হয়ে থাকে। জরিপে অংশ নেয়া দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির ঐতিহাসিক কলেজগুলোর অভ্যন্তরেই আক্রান্ত হন। উত্তরদাতারা জানিয়েছেন, প্রতিকার পাওয়ার আশা নেই দেখেই তারা পুলিশকে ঘটনা জানান না। পরিচয় প্রকাশ না করে এক ছাত্রী বলেন, পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এমন বিশ্বাস না থাকায় তিনি তাদের ঘটনা জানাননি। বিশ্ববিদ্যালয়টির ১২,২০০ আন্ডারগ্রাজুয়েটের মধ্যে ছাত্রী ৪৩ শতাংশ। ২০১০ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শতাংশ ছাত্রী হয়রানির শিকার হন। http://dailynayadiganta.com/details.php?nayadiganta=MzQ5MzQ%3D&s=MjM%3D

শনিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৪


তাজউদ্দীনের ভাষণ ও মেয়ের লেখায় বৈপরিত্য 27 Apr, 2014 বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ ও তার মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী শারমিন আহমদ রিপির বক্তব্যে বৈপরিত্য পাওয়া গেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ‘তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা’ বইয়ে রিপি দাবি করেন, ২৫ মার্চ রাতে তাজউদ্দীন আহমদ বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বললেও তিনি অস্বীকার করেন। বঙ্গবন্ধু এ ঘোষণা না দেয়ার যুক্তি হিসেবে বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।’ কিন্তু মুক্তিযুদ্ধকালীন প্রবাসী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির উদ্দেশে ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল দেয়া প্রথম বেতার ভাষণে তাজউদ্দীন বলেন, ‘২৫শে মার্চ মাঝরাতে ইয়াহিয়া খান তার রক্তলোলুপ সাঁজোয়া বাহিনীকে বাংলাদেশের নিরস্ত্র মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়ে যে নরহত্যাযজ্ঞের শুরু করেন তা প্রতিরোধ করবার আহ্বান জানিয়ে আমাদের প্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।’ এই ভাষণে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ভূমিকার কথা জানাতে গিয়ে জিয়াউর রহমান সম্পর্কে বলেন, ‘চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের সমর পরিচালনার ভার পড়েছে মেজর জিয়াউর রহমানের ওপর। নৌ, স্থল ও বিমান বাহিনীর আক্রমণের মুখে চট্টগ্রাম শহরে যে প্রতিরোধব্যূহ গড়ে উঠেছে এবং আমাদের মুক্তিবাহিনী ও বীর চট্টলের ভাই-বোনেরা যে সাহসিকতার সাথে শত্রুর মোকাবেলা করেছেন, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই প্রতিরোধ স্ট্যালিনগ্রাডের পাশে স্থান পাবে।’ উল্লেখ্য, তাজউদ্দীন ও জোহরা দম্পতির বিয়ে হয় ১৯৫৯ সালে। এই দম্পতির প্রথম সন্তান রিপির জন্ম হয় ১৯৬০ সালে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বয়স ছিল ১১ বছর। রিপি তার বইয়ে তার ১১ বছর বয়সের স্মৃতি কথা বর্ণনা করেছেন নিজের ভাষায়। এতে দেখা যায় তিনি যেভাবে প্রেক্ষাপট ও সংলাপ ব্যবহার করছেন তা তাজউদ্দীনের ভাষ্যের সাথে সাংঘর্ষিক। রিপি তার বইয়ে ২৫ মার্চ রাতে বঙ্গবন্ধু ও তাজউদ্দীনের সাক্ষাত ও আলাপচারিতায় তার বাবার অসন্তুষ্ট হওয়ার যে বর্ননা দিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি যে বক্তব্য দিয়েছন তাতে তার কোনো ছাপই নেই। বরং তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতি তার অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের কথাই বলেছেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রেক্ষাপট প্রসঙ্গে রিপি লিখেছেন, ‘পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫শে মার্চের ভয়াল কালোরাতে আব্বু গেলেন মুজিব কাকুকে নিতে। মুজিব কাকু আব্বুর সঙ্গে আন্ডারগ্রাউন্ডে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করবেন সেই ব্যাপারে আব্বু মুজিব কাকুর সাথে আলোচনা করেছিলেন। মুজিব কাকু সে ব্যাপারে সম্মতিও দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী আত্মগোপনের জন্য পুরান ঢাকায় একটি বাসাও ঠিক করে রাখা হয়েছিল। বড় কোনো সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আব্বুর উপদেশ গ্রহণে মুজিব কাকু এর আগে দ্বিধা করেননি। আব্বুর সে কারণে বিশ্বাস ছিল যে, ইতিহাসের এই যুগসন্ধিক্ষণে মুজিব কাকু কথা রাখবেন। মুজিব কাকু, আব্বুর সাথেই যাবেন। অথচ শেষ মুহূর্তে মুজিব কাকু অনড় রয়ে গেলেন।’ ‘তিনি আব্বুকে বললেন, বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো, পরশু দিন (২৭শে মার্চ) হরতাল ডেকেছি। পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী আব্বু স্বাধীনতার ঘোষণা লিখে নিয়ে এসেছিলেন এবং টেপ রেকর্ডারও নিয়ে এসেছিলেন। টেপে বিবৃতি দিতে বা স্বাধীনতার ঘোষণায় স্বাক্ষর প্রদানে মুজিব কাকু অস্বীকৃতি জানান।’ স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে বঙ্গবন্ধুর অস্বীকৃতির ব্যাপারে তাজউদ্দীনের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে রিপি লেখেন, ‘মুজিব কাকুর তাৎক্ষণিক এই উক্তিতে (বাড়ি গিয়ে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়ে থাকো প্রসঙ্গে) আব্বু বিস্ময় ও বেদনায় বিমূঢ় হয়ে পড়লেন।’ তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা প্রসঙ্গে লেখেন, ‘কথা ছিল যে, মুজিব কাকুর স্বাক্ষরকৃত স্বাধীনতার ঘোষণা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে (বর্তমানে শেরাটন) অবস্থিত বিদেশি সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে এবং তাঁরা গিয়ে স্বাধীনতাযুদ্ধ পরিচালনা করবেন।’ ২৫ মার্চ রাতে তাজউদ্দীনের সাথে শেখ মুজিবের কথা হচ্ছিল তার শোবার ঘরে। এখানকার পরিস্থিতি বর্ণনায় রিপি লেখেন, ‘এদিকে বেগম মুজিব ওই শোবার ঘরেই সুটকেসে মুজিব কাকুর জামাকাপড় ভাঁজ করে রাখতে শুরু করলেন। ঢোলা পায়জামায় ফিতা ভরলেন।’ তিনি আরো লেখেন, ‘পাকিস্তানি সেনার হাতে মুজিব কাকুর স্বেচ্ছাবন্দি হওয়ার এই সব প্রস্তুতি দেখার পরও আব্বু হাল না ছেড়ে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বিভিন্ন ঐতিহাসিক উদাহরণ টেনে মুজিব কাকুকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন। তিনি কিংবদন্তি সমতুল্য বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উদাহরণ তুলে ধরলেন, যাঁরা আত্মগোপন করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। কিন্তু মুজিব কাকু তাঁর এই সিদ্ধান্তে অনড় হয়ে রইলেন। ’ আব্বু বললেন যে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মূল লক্ষ্য হলো- পূর্ব বাংলাকে সম্পূর্ণ রূপেই নেতৃত্ব্বশূন্য করে দেয়া। এই অবস্থায় মুজিব কাকুর ধরা দেয়ার অর্থ হলো আত্মহত্যার শামিল। তিনি বললেন, মুজিব ভাই, বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা হলেন আপনি। আপনার নেতৃত্বের ওপরই তারা সম্পূর্ণ ভরসা করে রয়েছে। মুজিব কাকু বললেন, ‘তোমরা যা করবার কর। আমি কোথাও যাব না।’ স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে তাজউদ্দীন বঙ্গবন্ধুকে অনেকক্ষণ বুঝিয়েছেন জানিয়ে রিপি লেখেন, ‘মুজিব কাকু তখন উত্তর দিয়েছিলেন-‘এটা আমার বিরুদ্ধে দলিল হয়ে থাকবে। এর জন্য পাকিস্তানিরা আমাকে দেশদ্রোহের জন্য বিচার করতে পারবে।’ ২৬ মার্চ তাজউদ্দীনের লেখা স্বাধীনতার ঘোষণা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয় জানিয়ে রিপি লেখন, ‘ধারণা করা যায়, ২৫শে মার্চের কয়দিন আগে রচিত এই ঘোষণাটি আব্বু তার আস্থাভাজন কোন ছাত্রকে দেখিয়ে থাকতে পারেন। স্বাধীনতার সমর্থক সেই ছাত্র হয়তো স্বউদ্যোগে বা আব্বুর নির্দেশেই স্বাধীনতার ঘোষণাটিকে বহির্বিশ্বের মিডিয়ায় পৌঁছে দেন। মুজিব কাকুকে স্বাধীনতার ঘোষণায় রাজি করাতে না পেরে রাত ৯টার দিকে আব্বু ঘরে ফিরলেন বিক্ষুব্ধ চিত্তে। আম্মাকে সব ঘটনা জানালেন।’ রিপি তার বইয়ে স্বাধীনতার ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তাজউদ্দীনের যেই বিক্ষুব্ধ চিত্ততার কথা বলেন শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে দেয়া ভাষণে তার এই ক্ষোভের ছাপ পাওয়া যায় না। বরং ১৯৭১ সালের ৭ জুন অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে বাংলাদেশের জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদ এবং স্বশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তাজউদ্দীন বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রশ্নাতীত শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আনুগত্যের কথা জানান। ভাষণে তাজউদ্দীন বলেন, ‘আমরা স্বাধীনতা চাই। স্বাধীনতা পেলেই বঙ্গবন্ধুকে আমাদের মাঝে পাব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যদি খোদা না করুন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুহয় পাকিস্তানি হানাদারদের হাতে, তাইলে বঙ্গবন্ধু শহীদ হয়েও স্বাধীন বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে অমর ও চিরঞ্জীব হয়ে থাকবেন। তিনি একটি নতুন জাতির জনক হিসেবে ইতিহাসে স্বীকৃত হবেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মুজিবের ছায়া হয়ে তার পাশে আজীবন রাজনীতি করেছি, জেলে থেকেছি। তিনি আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন দেশের জন্য জীবন দিতে। তিনি নিজেও বারবার বাংলার পথে প্রান্তরে বলেছেন, বাংলার মানুষের মুক্তির জন্য জীবন দিতে তিনি কুন্ঠিত নন। আজ যদি বঙ্গবন্ধুমুজিবের জীবনের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পাই, তাহলে সেই স্বাধীন বাংলাদেশের মধ্যেই আমরা পাব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে। আমি নিশ্চিত, বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিব কিছুতেই পাকিস্তানিদের কাছে তার নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে আপোষ করবেন না, আত্মসমর্পণ করবেন না এবং করতে পারেন না। এটাই আমার প্রথম ও শেষ বিশ্বাস।’ পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট হওয়ার সুযোগ পেলেও স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষ করবেন তা জানিয়ে তাজউদ্দীন বলেন, ‘আমার স্থির বিশ্বাস বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবর পাকিস্তানীদের কাছে নতি স্বীকার করবেন না। বাঙ্গালী জাতির গলায় গোলামীর জিঞ্জির পরিয়ে দেবার পরিবর্তে তিনি নিজে বরং ফাঁসির রজ্জু গলায় তুলে নেবেন হাসিমুখে। এটাই আমার বিশ্বাস। বঙ্গবন্ধুসম্পর্কে এটাই আমার ঈমান।’ ভাষণের শেষের দিকে এসে তাজউদ্দীন বলেন, ‘আমার শেষকথা, যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমরা বাংলার মাটিকে দখলদার মুক্ত করব। বাংলার মুক্ত মাটিতে মুক্ত মানুষ হিসেবে বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবকে আমারা ফিরিয়ে আনব। মুজিব স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসবেন এবং তাকে আমরা জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুশেখ মুজিবর রহমানের প্রাণ রক্ষার জন্য বিশ্ব মানবতার কাছে আমরা আকুল আবেদন জানাচ্ছি’। গত মার্চে স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে দুই দফায় বিতর্ক উস্কে দেন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি তারেক রহমান। তিনি দাবি করেন প্রথম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা চাননি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে তারেকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিপর্যয় হয়েছে। জাতীয় সংসদে তুই তোকারি উচ্চারিত হয়েছে। ছাত্রলীগ থেকে শুরু করে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতারা অনেকটা দল বেধেই তারেককে গালমন্দ করেন। এই ঘটনার মাঝেই গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে রাজধানীর এশিয়াটিক সোসাইটি মিলনায়তনে শারমিন আহমদ রিপির লেখা ‘তাজউদ্দীন আহমদ: নেতা ও পিতা’ বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক, মঈদুল হাসান, তাজউদ্দীন আহমদের বন্ধু এম এ করিম, বঙ্গবন্ধুর একসময়কার ব্যক্তিগত সহকারী গোলাম মুরশেদ, বইটির প্রকাশক আরিফুর রহমান প্রমুখ। এতে দর্শক হিসেবে তাজউদ্দীনের আরেক মেয়ে ও এমপি সিমিন হোসেন রিমি, ভাই অ্যাডভোকেট আফছার উদ্দিন আহমদ খান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি উপস্থিত ছিলেন। উৎসঃ অনলাইন বাংলা Share on facebook Share on email Share on print 6

‘মুজিব কাকু সরে গিয়েছিলেন অনেক দূরে’ 27 Apr, 2014 তাজউদ্দীন আহমদ প্রসঙ্গে একটি কথা খুবই প্রচলিত। ১৯৭১ সালে মুজিব-ইয়াহিয়া বৈঠক চলছে ঢাকায়। পাকিস্তান পিপলস পার্টি প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো ঢাকায় এসেছেন। আছেন ইন্টারকন্টিনেন্টালে কড়া মিলিটারি পাহারায়। কজন বাঙালি সাংবাদিক সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছে। আলাপকালে ভুট্টো এ সময় বলে বসলেন, আলোচনা বৈঠকে মুজিবকে আমি ভয় পাই না। ইমোশনাল এপ্রোচে মুজিবকে কাবু করা যায়, কিন্তু তার পেছনে ফাইল বগলে চুপচাপ যে নটোরিয়াস লোকটি বসে থাকে তাঁকে কাবু করা শক্ত। দিস তাজউদ্দীন, আই টেল ইউ, উইল বি ইউর মেইন প্রবলেম। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তাজউদ্দীন কন্যা শারমীন আহমদের ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে সদ্য প্রকাশিত ‘তাজউদ্দীন আহমদ, নেতা ও পিতা’ বইতে মুজিব-তাজউদ্দীন সম্পর্ক নিয়ে লিখেছেন, ষাটের দশকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের এক স্বর্ণালি লগ্নে মুজিব-তাজউদ্দীন এই নবীন জুটির আবির্ভাব বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে। তারা আওয়ামী লীগে প্রগতিশীল নতুন ধারার সূচনা করেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্তগুলো নিতেন একত্রে। বাস্তবায়ন করতেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। তাদের কাজ দেখে মনে হতো তারা এক অভিন্ন সত্তা। তাদের টিমওয়ার্কের সবল ভিত্তির ওপর ১৯৭০ সালে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন ও জনগণের আস্থা অর্জন সম্ভবপর হয়েছিল। তারা ছিলেন একে অন্যের পরিপূরক। মুজিব বাদে তাজউদ্দীনের ইতিহাস যেমন অসম্পূর্ণ তেমনি তাজউদ্দীন বাদে মুজিবের। বাংলাদেশকে তার অভীষ্ট সুশাসন ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় কাঠামোয় দাঁড় করানোর জন্য বড় প্রয়োজন ছিল তাদের। সে কারণেই স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি ছিল আব্বু ও মুজিব কাকুর বিচ্ছেদ। জাতির দুর্ভাগ্য যে, স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ঘটে তাদের আদর্শিক ও নীতিগত বিচ্ছেদ। আব্বু ও মুজিব কাকু সারা জীবন যে নীতি ও আদর্শকে লালন করেছিলেন তারই সার্থক প্রতিফলন ঘটানোর সুযোগ এসেছিল স্বাধীন বাংলাদেশে। আব্বু তার নীতি থেকে দূরে সরে যাননি। কিন্তু মুজিব কাকু ষড়যন্ত্রকারীদের প্ররোচনায় সরে গিয়েছিলেন বহু দূরে। সে কারণেই ওই বিচ্ছেদ ঘটে। আব্বুর পদত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৯৭১-এর স্বাধীনতাবিরোধী ও মুজিবনগর সরকারবিরোধী এই দুই দলের বিজয় সূচিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে আপসহীন আব্বু স্বাধীনতাবিরোধী যে দলটির ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে তাদের নিষ্ক্রিয় করে দেন, তারাই মুজিব কাকুর প্রত্যাবর্তনের পর তার কাছে চলে আসে- যেহেতু মুজিব কাকু কখনওই আব্বুর কাছে জানতে চাননি নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের কথা, কে ছিল শত্রু কে মিত্র এবং কার কি ভূমিকা। সেহেতু তাজউদ্দীন বিরোধী ওই দুই দলের পক্ষে সম্ভব হয় মুজিব কাকুকে বিপথে পরিচালিত করা। শেখ মনির দাবি অনুযায়ী মুজিব কাকু গোপনে ও দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে শেখ মনিকে যদি তার প্রতিনিধি করে ভারতে পাঠিয়েও থাকেন ও তার অনুগত সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার নির্দেশ দিয়েও থাকেন, তিনি কি জানতেন না যে, যারাই স্বাধীনতায় বিশ্বাসী তারাই তার অনুগত? অপরদিকে মুজিব বাহিনী গঠিত হয়েছিল জাতীয় ঐক্যের বাইরে কিছু ব্যক্তির কর্তৃত্ব ও ক্ষুদ্র গোষ্ঠীস্বার্থ প্রতিষ্ঠার জন্য। মুজিব কাকু কি জানতেন না যে জাতীয়ভাবে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ও সুদক্ষ নেতৃত্ব ব্যতীত পাকিস্তানকে ঠেকিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাধীনতা অর্জন অসম্ভব? শেখ মনি ও তার দলটির কি সেই যোগ্যতা ছিল? এই প্রশ্নগুলো স্বাভাবিকভাবেই চলে আসে। তাজউদ্দীনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে এই সত্যটিকে যেন তিনি কখনওই মেনে নিতে পারেননি। অথচ আব্বু নিজেকে আড়াল করে রেখে সব কৃতিত্বই দিয়েছেন তার প্রিয় ‘মুজিব ভাইকে’। মুজিব কাকুর নামেই স্বাধীনতা যুদ্ধকে তিনি পরিচালনা করেছেন। মুজিব কাকুর ভাবমূর্তিকে স্বাধীনতা প্রেরণারূপে মুক্তি পাগল মানুষের কাছে আব্বু উপস্থাপন করেছেন কি নিঃস্বার্থভাবে! দুর্ভাগ্য যে, মুজিব কাকু তা যেন বুঝেও বুঝতে চাননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উপস্থিত থাকলেও তিনি শারীরিকভাবে অনুপস্থিত ছিলেন এই ব্যাপারটাও তাকে খুব সম্ভব মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রভাবিত করেছিল। স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ বাহিনীর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা এ সম্পর্কে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি মুজিবুর রহমানকে ছোট করার জন্য বলছি না, তাকে অশ্রদ্ধা করছি না। কিন্তু শেখ মুজিব যখন পশ্চিম পাকিস্তানের জেলে ছিলেন তখন অস্থায়ী সরকার ভারতের সহায়তায় বাংলাদেশকে স্বাধীন করে ফেলেছে; এবং যখন তিনি ফিরে আসেন তখন তিনি আবিষ্কার করেন যে স্বাধীনতার বড় অংশটি তাকে বাদ দিয়ে অর্জন করা হয়ে গেছে।’ ওই সাক্ষাৎকারে লে. জে অরোরা মুক্তকণ্ঠে আব্বুর ‘সুনির্মল হৃদয়’ ও ‘দক্ষ প্রশাসক’ গুণাবলীর প্রশংসা করেন।’ তিনি অকপটে বলেন, মুজিব বাহিনীর, মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে অসহযোগিতা করার কথা এবং বাংলাদেশ সরকারের অগোচরে সৃষ্ট মুজিব বাহিনী সম্পর্কে তিনি যখন জানতে পারেন ‘এটা করা ঠিক হচ্ছে না’ বলে চিফ অব স্টাফকে জানানোর বিষয়টি। মুক্ত বাংলাদেশে মুজিব বাহিনীর অস্তিত্ব যে শুভ হয়নি, সে সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের পর আমরা মুজিব বাহিনী ভেঙে দিতে চেয়েছিলাম যেন এ বাহিনীর সবাই আবার তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যেতে পারে। এর জন্য পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছিল। কিন্তু যখন শেখ মুজিবুর রহমান ফিরে এলেন তখন তিনি মুজিব বাহিনী না ভেঙে একে গড়ে তুলতে চাইলেন। এর জন্য আমার কাছে যন্ত্রপাতি, গাড়ি ইত্যাদি ভারতীয় সহায়তা চাইলেন। ব্যক্তিগতভাবে এতে আমি অসন্তুষ্টই হই। এর ফল হলো যে মুজিব বাহিনী দিয়ে তেমন কোনও কাজই হয়নি; বরং মুজিব বাহিনীর কারণে বাংলাদেশ আর্মিই খোদ শেখ মুজিবের ওপর ক্ষেপেছিল। মুজিব কাকুর সঙ্গে প্রশাসনিক বিষয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে অরোরা বলেন, পরবর্তীতে আমি যখন তার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে মেলামেশার সুযোগ পেলাম, তখন আমি উপলব্ধি করলাম যে, তিনি প্রশাসনিক বিষয়ে যত না দক্ষ, জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে, তাদের ক্ষেপিয়ে তুলতে তার চেয়ে অনেক বেশি দক্ষ ছিলেন। তিনি কথা বলে লোকজনকে নাচাতে পারতেন। কিন্তু প্রশাসন চালানোর ব্যাপারে তিনি তেমন দক্ষ ছিলেন না। প্রশাসনিক বিষয়ে মুজিব কাকুর অদক্ষতা এবং নতুন দেশ গড়ার জন্য যে দূরদর্শিতা, মানসিকতা ও নেতৃত্বের প্রয়োজন ছিল তার ব্যাপক অভাবের ফলে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে বিতর্কিত যে রক্ষী বাহিনী গড়ে ওঠে তা ছিল মুজিব বাহিনীরই নব সংস্করণ। এর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় মিলিশিয়া গঠনের পরিকল্পনা, যা মুজিব কাকু বাতিল করে দেন, তার সঙ্গে ছিল আকাশ-পাতাল তফাৎ। সংক্ষেপে দেশ পুনর্গঠন, নিরাপত্তা রক্ষা ও সবল অর্থনৈতিক কাঠামো গড়ে তোলার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের উপযুক্ত ট্রেনিং ও শিক্ষা দেয়ার যে পরিকল্পনা আব্বু নিয়েছিলেন তার বিপরীতে ক্ষুদ্র ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থ রক্ষাকারী মুজিব বাহিনীর নতুন রূপ রক্ষীবাহিনী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরায়। ওদিকে স্বাধীন দেশের মাটিতে, মুজিব বাহিনীর ছাত্রনেতাদের মধ্যেও শুরু হয় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার রক্তক্ষয়ী লড়াই। সংঘর্ষের জের ধরে ’৭২ সালের অক্টোবর মাসে গঠিত হয় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল। ’৭৪-এ নিজ নিজ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিপক্ষের হাতে সাতজন ছাত্র প্রাণ হারায়। এদিকে স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তান ও সিআইএ’র প্রতিনিধি মোশ্‌তাক ও তার অনুচরদের লক্ষ্য ছিল ত্রিমাত্রিক। এক, আব্বু ও মুজিব কাকুর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি করা; দুই, মুজিব কাকুর ভুল প্ল্যান পলিসিকে সমর্থন করা; তিন, মুজিব কাকুসহ স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা। আব্বুর সঙ্গে মুজিব কাকুর ভাঙন ধরানোটি ছিল খুব সম্ভবত মোশ্‌তাকের প্রথম লক্ষ্য। কারণ, মোশ্‌তাক জানতেন যে, আব্বু ছিলেন মুজিব কাকুর বর্মস্বরূপ। তারা এক থাকলে বাকি দুই লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভবপর নয়। মুজিব কাকুকে আব্বুর থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার কাজে তিনি ব্যবহার করেছিলেন শেখ মনিসহ মুজিব কাকুর কিছু নিকট আত্মীয়কে। এই আত্মীয়দের ধারণাও ছিল না যে মুজিব-তাজউদ্দীন জুটির ভাঙন শুধু মাত্র দু’টি ব্যক্তির সম্পর্কের ভাঙন নয়; ওই ভাঙনের ফলে একদিকে দেশের যেমন ব্যাপক ক্ষতি হবে তেমন তারা নিজেরাও হয়তো বেঁচে থাকবেন না। আব্বুর স্পষ্টবাদিতা ও অপ্রিয় সত্যকে তুলে ধরার সৎ সাহসকে তারা অন্তরায় গণ্য করেছিলেন। যদিও ওই গুণাবলী ছিল দেশরক্ষার বর্মস্বরূপ। এ প্রসঙ্গে মনে পড়ছে গোলক মজুমদারের কথা। ১৯৭১ সালে বিএসএফ-এর পূর্বাঞ্চলীয় ইন্সপেক্টর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) এই পরম শ্রদ্ধাভাজন মানুষটি তার কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের বাইরেও বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকে সমর্থন করেছিলেন নিঃস্বার্থভাবে। সুশাসনভিত্তিক, গণতান্ত্রিক ও সবল কাঠামোর ওপর স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ গড়ে উঠুক এই ছিল তার একান্ত কামনা। কথা প্রসঙ্গে ’৮৭-এর এক সাক্ষাতে তিনি আমাকে বলেছিলেন, তাজউদ্দীন সাহেব ছিলেন শেখ সাহেবের মহৎ ও বিশ্বস্ত বন্ধু, কিন্তু কঠোর সমালোচক। তিনি শেখ সাহেবকে সঙ্গে নিয়েই বাংলাদেশের জন্য পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলেন। উৎসঃ মানবজমিন Share on facebook Share on email Share on print

শতভাগ পিওর ‘ফ্রুটিকা’ ম্যাংগো জুসের ভেতর কেঁচো
26 Apr, 2014 শতভাগ পিওর বলে প্রচারিত ‘ফ্রুটিকা’ ম্যাংগো জুসের প্যাকে’র ভেতর একটি কেঁচো-জাতীয় পতঙ্গ পাওয়া গেছে। জুস পানের সময় কেঁচোটি স্ট্র’র সঙ্গে বেরিয়ে আসে। জুস খাওয়ার পর কেঁচোটি বের হয়ে শিশুটির বমি করার উপক্রম হয়। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজার জেলা সদরের কোর্ট রোডের একটি রেঁস্তোরায়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সংগঠক অপূর্ব সোহাগ জুসপ্যাক ও কেঁচোর ছবিটি শুক্রবারই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশ করেন। এরপর ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সহস্রাধিকবার শেয়ার হয়েছে এবং অনেকেই ‘পিওর’ বলে প্রচার করা ‘ফ্রুটিকা’র মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অপূর্ব সোহাগ প্রিয়.কম-কে জানান, শুক্রবার সন্ধার পর রেঁস্তোরায় কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় একটি ওষধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ তার পরিবারসহ রেঁস্তোরায় আসেন। এসময় তার ছেলে ফ্রুটিকা ম্যাংগো জুস পান করছিল। জুস পানের একপর্যায়ে ‘ট্র’ এর সঙ্গে প্যাকের ভেতর থেকে কেঁচোটি বের হয়ে আসে। এসময় রেঁস্তোরায় থাকা সবাই এটি দেখেছে। অপূর্ব সোহাগ বলেন, এই সব আমরা কী খাচ্ছি? এটা দেখে আমার বমি বের হওয়ার অবস্থা হয়েছিল। পিওর ভেবে আমরা এসবই খাচ্ছি প্রতিদিন। প্যাকেটের ভেতরে কিছু থাকলে তো খাওয়ার আগে বোঝার কোনো উপায়ও নেই। আমাদের শিশুরা এসব খাচ্ছে। এ বিষয়ে রেঁস্তোরার ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, তারা ফ্রুটিকার জুস বিক্রি করে থাকেন। ভেতরে কী রয়েছে তাদের জানার কথা নয়। ফেসবুক থেকে: বিষয়টি নিয়ে অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট সিডাটিভ হিপনোটিক্স তাঁর বন্ধু অপূর্ব সোহাগের পোস্টটুকু দিয়ে কিছু বিষয় পরিষ্কার করেছেন। তা নিম্নরূপ- পুনশ্চ: একটা অভিজাত রেস্তারার মেঝে তে কোন ফুটা থাকে না, যেখান দিয়ে জোক বের হবে। আর উপরোক্ত ভদ্রলোক ও জোকের ব্যবসা করেন না, যে পকেটে জোক নিয়ে ঘুরবে। সো, দুইটা সন্দেহ দূর করলাম। তাই এখানে কিছু্ প্রশ্ন করেছেন কেউ কেউ। ১টা প্রশ্ন- ফুটিকা এর লেখা নীল হয় না এবং এই সাইজের হয়না। আমি একটু আগে একটি দোকনে গিয়ে দেখলাম ফুটিকা এই সাইজেরও হয় আর লেখাটাও নীল হয়। নীচে ছবি দিচ্ছি। ২য় প্রশ্ন। একজন জানতে চেয়েছেন, কেউ কি সামনে দেখেছে এই ঘটনাটি। উনি মনে হয় আমার লেখাটি পড়েন নি। আমার লেখায় আছে আমি নিজে সেখানে ছিলাম এবং সাথে যারা ছিলো তারা এই শহরের উল্লেখযোগ্য মানুষ তাদের পরিচয়ও দেয়া আছে সেখানে। এবং সেই মুহূর্তেই রেস্টুরেন্টের বাকিরাও চলে আসে। ৩য় প্রশ্ন ছিলো জোঁক বা যেটি ছিলো (সিলেটি ভাষায় বলে জির) সেটা কিভাবে বের হলো। সেটা তো পেটে চলে যাবার কথা। সেটা পাইপ দিয়েই বের হয়েছে এবং মুখের মধ্যে আটকা পড়েছে। নিশ্চয় আমরা যখন পানীয় কিছু খাবো তখন সেটার মধ্যে অন্যরকম কিছু মুখ বাধা পড়লে দেখতে চাইবো সেটা কি? এইটুকু বোঝা যায়। Share on facebook Share on email Share on print 49

হোটেলে পরকীয়া জুটিকেও আটক 27 Apr, 2014 শহরের ২নং রেলগেট সংলগ্ন এলাকায় মেহেরান নামে একটি আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে সিলগালা করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় হোটেল কর্মচারী, তিন খদ্দের ও ১১ যৌনকর্মীকে জরিমানা করা হয়। শনিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। জানা গেছে, অভিযানে হোটেল কর্মচারী শিখুকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। শিখু চাঁদপুরের মতলবের মৃত মতিনের ছেলে। এছাড়াও খদ্দের বাবু ও জহিরকে নগদ ১০ হাজার টাকা এবং হযরত আলীকে ২ হাজার ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। যৌনকর্মী আসমা ও সাথীকে আড়াই হাজার এবং আরো ৯ যৌনকর্মীকে ৩ হাজার ৯০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। হোটেল থেকে একটি পরকীয়া জুটিকেও আটক করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজম বাংলামেইলকে জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময়ে পুলিশের হাত ফসকে এক হোটেল কর্মচারী পালিয়ে গেছে। তাকে আটকের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া হোটেলটির মালিকের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসনীম এ হোটেলে অভিযান চালান। কিন্তু তারপরও হোটেল মালিক অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ না করায় হোটেলটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওই হোটেল থেকে প্রেমিক-প্রেমিকাকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা নিজেদের মামাতো ফুফাতো ভাই বোন বলে পরিচয় দেয়। তারা বিবাহিত বলেও জানায়। তাই উভয়ের স্বামী-স্ত্রীকে খবর দেয়া হয়েছে। আটককৃতরা হলেন- সিদ্ধিরগঞ্জের ইতি ও সোনারগাঁওয়ের মোস্তফা। অশ্লীলতার বিরুদ্ধে তার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গাউসুল আজম। বাংলামেইল Share on facebook Share on email Share on print 3

বাবার শাসনের বিরুদ্ধে গণবিদ্রোহের ডাক সৌদি রাজকন্যা 27 Apr, 2014 সৌদি রাজা আবদুল্লাহর এক গৃহবন্দী কন্যা দেশটির ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে গণ-বিদ্রোহ বা গণ-জাগরণ শুরু করতে সেখানকার জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।‘সাহার’ নামের এই সৌদি রাজকন্যা এক ভিডিও বার্তায় ওই আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, বিপ্লবী জনগণের বিজয় অবশ্যম্ভাবী। ৪২ বছর বয়স্ক সাহার ও তার অন্য তিন বোন জেদ্দাহ’র একটি শহরে গৃহবন্দী রয়েছেন। এক যুগেরও বেশী বছর বা প্রায় ১৩ বছর ধরে গৃহবন্দী রাজকন্যা সাহার বলেছেন, শহীদদের প্রতি সালাম ও কারাবন্দীদের প্রতি সালাম। “ হে বিপ্লবী জনগণ! আপনাদের কাছ থেকে স্বাধীনতা, অধিকার ও মর্যাদার অর্থ শিখতে পারার জন্য আমি গর্বিত। আমরা আপনাদের পদচিহ্ন অনুসরণের অঙ্গীকার করছি এবং আপনাদের হাত (সমর্থন দেয়া) ছাড়বো না। আল্লাহর হাত রয়েছে আমাদের হাতের ওপর। আমরা দৃঢ় অঙ্গীকার শিখেছি ‘আয়াতুল্লাহ নিমর আন নিমর’-এর কাছ থেকে যিনি মুক্তিকামী ব্যক্তিদের নেতা। তাই আমরা নিজেই এই পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জোর দিচ্ছি। আল্লাহর ওপর ভরসার কারণে আমরাই বিজয়ী হব। আমি তাদের সবার মঙ্গল কামনা করছি যারা স্বাধীনতার পতাকা তুলে আমাকে সম্মানিত করেছেন। আপনাদের বোন সাহার ও জাওয়াহির। ” প্রখ্যাত সৌদি আধ্যাত্মিক নেতা ‘আয়াতুল্লাহ নিমর আন নিমর’ তার দেশের রাজবন্দীদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানানোয় ২০১২ সাল থেকে বন্দী হয়ে আছেন সৌদি কারাগারে। দেশটির পূর্বাঞ্চলে শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত কাতিফ শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় ২০১২ সালের ৮ ই জুলাই। সৌদি নিরাপত্তা বাহিনী তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে আহত ও গ্রেফতার করে। সৌদি রাজা আবদুল্লাহর চার বন্দী মেয়ের মধ্যে সাহারই সবচেয়ে বড়। তাদের অন্য তিন বোন মাহা, হালা ও জাওয়াহিরকেও প্রায় ১৩ বছর ধরে বন্দী রাখা হয়েছে বলে এর আগে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম থেকে জানা গেছে। তাদেরকে বন্দী অবস্থায় নির্যাতন চালানো হয় বলেও রাজকন্যা সাহার গত ২০ শে এপ্রিল নিউইয়র্ক পোস্টকে জানিয়েছিলেন। Share on facebook Share on email Share on print 6

হিন্দু মালির ইসলাম গ্রহণের খবর প্রকাশ করায় জাবির দুঃখ প্রকাশ
26 Apr, 2014 এক হিন্দু কর্মচারীর ইসলাম ধর্ম গ্রহণের সংবাদ পাঠানোর পর ক্ষমা চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জনসংযোগ বিভাগ থেকে এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কিভাবে গেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এক মালীর ইসলাম গ্রহণের খবর প্রকাশ করা হয়। এনিয়ে ফেইসবুকসহ ইন্টারনেটে সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ব্যাপক সমালোচনা হলে শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিষয়টি তাদের অজ্ঞাতসারে ঘটেছে। নিবন্ধক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, “এই বিষয়ে জনসংযোগ বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের কাছে কৈফিয়ৎ চাওয়া হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। “অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার জন্য জাবি প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করছে।” তবে শুধু দুঃখ প্রকাশে এই ঘটনার শেষ হওয়া উচিত নয় বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষকদের নেতা অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন। তিনি এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধকের শাস্তিও চেয়েছেন। অধ্যাপক নাসিম আখতার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিবন্ধককেই দায় নিতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কঠিন পদসোপান মেনে চলা হয়, এখন বললে হবে না যে ঊর্ধ্বতন প্রশাসন জানত না।” এ বিষয়ে জাবির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক মীর আবুল কাসেম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার কার্যালয় থেকে গেলেও এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানতেন না। “আমাকে একেবারে না জানিয়ে অফিসের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক মালির ইসলাম ধর্ম গ্রহণের এই সংক্রান্ত সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে।” তবে তিনি বলেন, “প্রশাসনকে বিব্রত করতে এমনটি করা হয়েছে, এ ধরনের অভিযোগ সত্য না।” উপ-পরিচালক সালাম সাকলাইন ওই সংবাদ পাঠানোর দায় স্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মেইলটি আমরাই পাঠিয়েছিলাম, তবে সেটি ওই কর্মচারীর অনুরোধে, এর সঙ্গে কোনো সাম্প্রদায়িক উস্কানি এবং দুরভিসন্ধি নেই। “তবুও যেহেতু জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি এবং জাতির কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।” এই বিষয়ে সহকারী পরিচালক আহমেদ সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। উৎসঃ বিডিনিউজ২৪ Share on facebook Share on email Share on print 3

আরেক পরিমল যা করতো 27 Apr, 2014 চট্টগ্রামের রাউজানে এবার ধরা পড়েছে আরেক পরিমল। অসংখ্য ছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে সেদৃশ্য ভিডিও ধারণ করেন রাসেল কবির (৪০) নামের এক শিক্ষক। স্থানীয়রা শনিবার বিকেলে তার ল্যাপটপ জব্দ করার পর এ ঘটনার প্রমাণ পেলে জুতার মালা পরিয়ে মাথা ন্যাড়া করে শিক্ষক নামের কলঙ্ক রাসেল কবিরকে এলাকায় প্রদক্ষিণ করানোর পর থানায় সোপর্দ করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল কবির বরিশাল জেলার ঝালিকাঠি এলাকার বৈশাখীয়া গ্রামের হদুয়ার আবদুর রবের ছেলে। তার বাবা আবদুর রব তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ সুবাধে রাসেল ২০০৯ সালে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রাউজান তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবস্থিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাসেল তিন বছর ধরে বিদ্যালয়ে বাণিজ্য শাখার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকার সুবাদে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশেই একটি কোয়ার্টারে থাকতেন। এতে ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর নামে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করে তা ল্যাপটপের মাধ্যমে ভিডিও ধারণ করে রাখতেন। ধারণকৃত এসব ভিডিও চিত্র এলাকার বিভিন্ন জনের মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ছাত্রীর কাছ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়রা শনিবার তার ল্যাপটপটি জব্দ করার পর প্রমাণ পেলে তাকে আটক করে। এ সময় রাসেল জনগণের কাছে তিন ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। তার ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে আরো অসংখ্য ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে প্রথমে গণধোলাই দেয়। এরপর তাকে বিদ্যালয় এলাকায় জুতার মালা পরিয়ে ও মাথা ন্যাড়া করে রাউজান থানায় সোপর্দ করা হয়। রাউজান থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, স্থানীয় জনতা শিক্ষক রাসেলকে থানায় সোপর্দ করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এদিকে, ঘটনার পরপরই রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী স্বপন কান্তি চক্রবর্তী রাসেলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন। এছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপ-সহকারী পরিচালক (নিরাপত্তা) রুহুল আমিন বাদি হয়ে রাউজান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তিন বছর ধরে এখানে কমর্রত আছেন। তবে আমি নতুন আসায় আগে কি করেছে তা জানি না। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, রাজধানীর ভিকারুন নিসা স্কুলের শিক্ষক পরিমল প্রাইভেট পড়ানোর নাম করে কয়েকজন ছাত্রীর সঙ্গে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়। শীর্ষ নিউজ Share on facebook Share on email Share on print 7

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৪


জাবিতে সপরিবারে ইসলাম গ্রহণ April 26, 2014 by নিউজ ডেস্ক/এমএ in জীবনধারা with 0 Comments জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মালি শ্রী পরেশ চন্দ্র গোয়ালা, পিতা : মৃত হিরালাল গোয়ালা, গ্রাম : গাছা, থানা : জয়দেবপুর, জেলা : গাজীপুর সপরিবারে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। গত ৩ এপ্রিল নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামায় পরেশ চন্দ্র ও তার পরিবারের অপর সদস্যরা ইসলাম গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। পরেশ এখন থেকে মো: মাসুম নামে পরিচিত হবেন বলে হলফনামায় ঘোষণা করেন। বিজ্ঞপ্তি। আরো খবর: ঢাবিতে এক কর্মচারীর ইসলাম গ্রহণ দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় চারজনের আপিল গ্রহণ গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত এবার আব্দুর রহমান হলের ইজারা পেলো জবি জুবায়ের হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ১৫ এপ্রিল - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/04/26/%e0%a6%9c%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%b8%e0%a6%aa%e0%a6%b0%e0%a6%bf%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%87-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be%e0%a6%ae-%e0%a6%97%e0%a7%8d/#sthash.PLlFuRRU.dpuf

ঢাবিতে এক কর্মচারীর ইসলাম গ্রহণ April 5, 2014 by নিউজ ডেস্ক/এসই in শিক্ষাঙ্গন with 0 Comments du_dhaka_universityমোহাম্মদ হাসান ঢাবি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের রাহাত হোসেন নামে এক কর্মচারী হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। শনিবার দুপুর দুইটায় এস এম হলের কর্মচারী কোয়ার্টারের সামনে এক আনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলাম গ্রহণের পূর্বে তার নাম ছিলো রাজুলাল। ইসলাম গ্রহণের পরে তার নাম রাখা হয়েছে রাহাত হোসেন। তার গ্রামের বাড়ী ঢাকা জেলার শিববাড়ী উপজেলায়। তাছাড়া ২০১০ সালে তার স্ত্রী তাসলিমা তাবাস্সুমও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এ বিষয়ে রাহাত হোসেন বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম । এ ধর্ম মানুষকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। ইসলাম ধর্ম আমার খুব ভালো লাগে। এ ধর্মের সকল ধর্মীয় উৎসব ছোট কাল থেকে আমার কাছ খুব ভালো লাগতো। তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিলো ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে যাবো । তাই আজ আমার সে ইচ্ছা আমি পূরণ করতে পেরেছি। তবে এ ধর্ম গ্রহণ করার জন্য আমার উপর কেউ কোনো চাপ সৃষ্টি করেননি। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/০৫ এপ্রিল, ২০১৪/১৮:৪৫/সাই আরো খবর: জাবিতে সপরিবারে ইসলাম গ্রহণ ‘খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাই আল-সামস বাহিনীর চেয়ারম্যান ছিলেন’ দশ ট্রাক অস্ত্র মামলায় চারজনের আপিল গ্রহণ প্রতারণার অভিযোগে ২০৮ হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা পরিমলের বিরুদ্ধে ৪ জনের সাক্ষী গ্রহণ - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/04/05/%e0%a6%a2%e0%a6%be%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a7%87-%e0%a6%8f%e0%a6%95-%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae%e0%a6%9a%e0%a6%be%e0%a6%b0%e0%a7%80%e0%a6%b0-%e0%a6%87%e0%a6%b8%e0%a6%b2%e0%a6%be/#sthash.E3iH5jdA.dpuf

ইসলাম-বিদ্বেষী দোর্ন ও তার ছেলে মুসলমান হলেন
April 22, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in ধর্ম ও দর্শন, রকমারি with 0 Comments von_dornরকমারি ডেস্ক নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম রাসুল মুহাম্মাদ সা: সম্পর্কে অবমাননাকর চলচ্চিত্রের নির্মাতা ও হল্যান্ডের সংসদের উগ্র ডানপন্থী সদস্য আর্নোড ভন দোর্নের ছেলেও এবার মুসলমান হলেন। দুবাইয়ে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন ২০১৪ চলাকালে দোর্নের ছেলে কলেমা শাহাদাতাইন পাঠ করেন এবং নিজের নতুন নাম রেখেছেন আলী। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এই ঘটনা ঘটেছে। আলী মহান আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করেছেন যে তার মাও যেন সুপথ বা হেদায়াত পান। তিনি শিগগিরই ওমরাহ হজ পালন করবেন বলেও আশা প্রকাশ করেছেন। তার বাবা আর্নোড ভন দোর্ন ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী ছায়াছবি নির্মাণ করেছিলেন। ওই ছায়াছবিতে বিশ্বনবী (সা.)-কেও অবমাননা করা হয়েছিল। বিশ্বব্যাপী মুসলমানরা এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান। অবশ্য ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে মিথ্যাচারের পর দোর্ন নিজেই মুসলমান হয়েছেন বলে ঘোষণা করেছেন। আইআরআইবি নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/২২ এপ্রিল, ২০১৪/১৩.৪৫/মেহেদী হাসান আরো খবর: ঢাবিতে এক কর্মচারীর ইসলাম গ্রহণ এবার বাংলাদেশী সিনেমায় পাওলি দাম! নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাস দমনের নামে চলছে মুসলিম নিধন রফিকুল ইসলাম খানের মামা খুন, জামায়াতের প্রতিবাদ খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত ভূখণ্ড দাবি বিজেপির! - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/04/22/%E0%A6%87%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A7%80-%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%93-%E0%A6%A4%E0%A6%BE/#sthash.vFwcu93Q.dpuf

রামেকের শিক্ষানবিশদের সনদ স্থগিতের চিন্তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published: 2014-04-22 13:19:59.0 BdST Updated: 2014-04-22 14:59:39.0 BdST Previous Next সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সনদ দেয়া স্থগিত রাখার চিন্তা করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। Print Friendly and PDF 0 1 1235 Related Stories দেড়শ ইন্টার্ন চিকিৎসককে আসামি করে মামলা 2014-04-22 00:38:29.0 ধর্মঘটী চিকিৎসকদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি 2014-04-21 17:25:20.0 রামেকে তদন্ত কমিটি; সাংবাদিকরা বিক্ষোভে, চিকিৎসকরা ধর্মঘটে 2014-04-21 16:54:32.0 সাংবাদিকদের সঙ্গে সংঘাতের পর রাজশাহী ও ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে কর্মবিরতিতে যাওয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলার একদিন পরই এ কথা জানালেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দিন। মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ফেডারেশন ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এ দাবি ওঠার পর উপাচার্য মিজান উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা অনুষদভুক্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ডিগ্রি দিই আমরা। একটি ছাত্র সংগঠন ও সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এই সনদপত্র স্থগিত করার দাবি এসেছে।” গত রোববার রাতে এক রোগীর স্বজনের সঙ্গে চিকিৎসকের হাতাহাতির খবর পেয়ে হাসপাতালে গেলে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হামলায় ১০ সাংবাদিক আহত হন। ভেঙে ফেলা হয় বেসরকারি কয়েকটি টেলিভিশনের ক্যামেরা। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের বিক্ষোভের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনে কর্মবিরতি শুরু করেন হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। রাজশাহী বিশইবদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মিজান উদ্দিন বলেন, “চিকিৎসকরা যদি জনস্বার্থ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ে তাহলে তাদের সনদ দেয়া থেকে বিরত থাকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।” এদিকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি মঙ্গলবারও অব্যাহত থাকায় রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি ও চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসকের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার মোস্তাকিন বিল্লা জানান, তার অসুস্থ ভাইতে সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর বেলা ১২টা পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকের দেখা পাননি। চিকিৎসকদের চেম্বারে গিয়েও তাদের পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে নাটোরের বশির আহমেদের চোখের অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল সোমবার। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো চিকিৎসকেরই খোঁজ নেই, বলেন তিনি। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগীকে ফিরে যেতে দেখা গেছে। কর্মবিরতিতে যাওয়া চিকিৎসকদের সমন্বয়ক শেখ সাদি সাংবাদিকদের সঙ্গে সংঘাতের সময় তিন জন চিকিৎসক আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদরা করতে হবে।” এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলবে বলে জানান তিনি। হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক আ.স.ম বরকতুল্লাহ জানান, শিক্ষানিবশ চিকিৎসকদের মঙ্গলবার সকালে কাজে দিতে বললেও তারা যোগ দেয়নি। নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সেটা পরিচালক মহোদয় বলতে পারবেন।” ইতোমধ্যে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করেছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাতে ওই ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় মোট দেড়শ’ শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে আসামি করে দুটি মামলা হয়েছে।

যেমন আছে রেশমার পরিবার!
22 Apr, 2014 ইট ভাঙছেন জোবেদা খাতুন। স্বপ্ন নিজের একটা ভালো বাড়ি গড়ার। তাই নিজের ঘর তৈরির ইট নিজেই ভাঙছেন জোবেদা। এতে একদিকে অলস সময় কাটছে। অন্যদিকে খরচ কমছে জোবেদার স্বপ্নের বাড়ি তোলার। এই জোবেদা খাতুন আর অন্য কেউ নয়, এক সময়ের আলোচিত সাভারের রানা প্লাজা ট্রাজেডির মৃত্যুঞ্জয়ী রেশমার মা। সাভারের রানা প্লাজার ধ্বংস স্তুপ থেকে ১৭ দিন পর উদ্ধারের পর যে রেশমা আলোচিত হয়েছেন বিশ্বজুড়ে। এই রেশমার গ্রামের বাড়ী দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটের কোশিগাড়ীতে এখন বাড়ি তৈরিতে ব্যস্ত রেশমার মা। ইতোমধ্যে দু’টো পাকা ঘর তুলেছেন। আরো তিনটি পাকা ঘর তৈরির প্রস্তুতি চলছে। এ কারণেই বাড়িতে বসে ইট ভাঙছেন রেশমার মা। পহেলা বৈশাখের দিনে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এসেছিলেন রেশমা। ছিলেন দুদিন, দুই রাত্রী। তার খালুর দাফন ও দোয়া মাহফিলে শরিক হতে এসেছিলেন। প্রায় ৪ মাস পর গ্রামের বাড়িতে এসেছিলো রেশমা। রেশমা ঢাকায় যাওয়ার সময় ৩ হাজার টাকা দিয়ে যান মায়ের কাছে। মা জোবেদা জানান, নতুন ঘর তোলার জন্য ফাঁকা জায়গায় মাটি ভরাট এবং বালু কেনার জন্য ওই টাকা দিয়েছে রেশমা। এছাড়া প্রতিমাসে ২ থেকে ৪ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে মায়ের কাছে পাঠায় রেশমা। সরকারিভাবে প্রাপ্ত ৫০ হাজার, রানা প্লাজার ৫০ হাজার এবং বাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধের সমঝোতায় এক ব্যক্তির কাছে প্রাপ্ত ৫০ হাজার এই মোট দেড় লাখ টাকায় ২টি পাকা ঘর তুলেছেন রেশমার মা। আরো ৩টি ঘর তোলার প্রস্তুতি চলছে। এদিকে রেশমার বাড়ির সামনের মহাসড়কের ধারে স্থান পেয়েছে মৃতুঞ্জয়ী রেশমার ছবি সম্মিলিত বিশাল সাইন বোর্ড। ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নং সিংড়া ইউনিয়নের কোশিগাড়ী গ্রামের কৃষক মৃত আনসার আলী ও গৃহিনী জোবেদা খাতুনের ২ ছেলে ৩ মেয়ের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রেশমা (২০)। বিয়ের পর স্বামী আব্দুর রাজ্জাক, মা জোবেদা, ভাই জয়েদুল, সাদেক ও মোঝো বোন আসমাসহ ৪ বছর ধরে রেশমা অবস্থান করছে ঢাকায়। রেশমার মা জোবেদা তার সম্পর্কের এক নাতি আরজন আলীকে বিয়ে করেন। রেশমা স্বামীর সাথে পৃথক হওয়ার পর ৪ মাস আগ থেকে সাভারের রানা প্লাজার একটি গার্মেন্টেসে কাজ শুরু করে। ২০১৩ সালের এপ্রিলে সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন রেশমা। তাকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিয়েছিল তার পরিবারের লোকজন। পরে প্রায় ১৭ দিন পর রেশমাকে ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার করা হয়। এদিকে স্থানীয় সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম আকাশ বলেন, "রেশমা সারা বিশ্বে স্থান করে নিয়েছে। কিন্তু রেশমার জন্মস্থান দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে এখনো তেমন কোনো স্মৃতি স্থাপনা নির্মাণ হয়নি। যা দেখে আমরা গর্ব করবো। রেশমার উন্নয়ন হলেও তার পরিবার এখনো বেহাল দশায় জীবনযাপন করছে।" তিনি আরো বলেন, "আমরা চাই রেশমার পরিবারেরও উন্নয়ন হোক। রেশমার বড় ভাই জাহিদুল এখন ফেরি করে বারো ভাজা বিক্রি করছে। ছোট ভাই সাদেক ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছে। রেশমার পালিত বাবা আরজন আলী খাবার হোটেলে শ্রমিকের কাজ করছে। তাদের অবস্থার উন্নতি হলে আমরা স্বার্থক হতাম।" এদিকে রেশমার পালিত বাবা আরজন আলী জানায়, তাদের বাড়ির সামনে এক ব্যক্তি একটি ক্লিনিক তৈরি করছে। ক্লিনিকের প্রাচীর তাদের জায়গায় ঢুকে যাওয়ায় স্থানীয় সমঝোতা বৈঠকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছে তাদের। ওই টাকা দিয়েই তারা আরো পাকা ঘর তৈরির প্রস্তুতি নিয়েছে। উৎসঃ পরিবর্তন Share on facebook Share on email Share on print 2

আলোকিত তারকাদের অন্ধকার জীবন কালের কণ্ঠ অনলাইন
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল, ২০১৪ ১৪:০১:৩৫ ঝলমলে তারকাদের অনেকের জীবনেই রয়েছে অন্ধকার অংশ। এমন অনেক ঘটনা কখনো ব্যাপক প্রচার পেয়েছে। আবার এমনো আছে, যা অনেকেই জানেন না। বলিউডের জনপ্রিয় তারকাদের জীবনের কিছু অন্ধকার অংশ এখানে দেওয়া হলো। মনিকা বেদি : ২০০২ সালে আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন আবু সালেমের সঙ্গে লিসবনে গ্রেপ্তার হন বলিউড তারকা মনিকা বেদি। তিন বছর শাস্তি শেষে তাদের ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়। আবার ২০১০ সালে আবার তিনি গ্রেপ্তার হন পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে। সাজা ভোগ করেছেন, তবে মেয়াদ কমিয়ে দেওয়া হয় তাকে। সঞ্জয় দত্ত : বলিউডের ইতিহাসে এই জনপ্রিয় অভিনেতাই বোধহয় সবচেয়ে আলোচিত নানা অবরাধে অভিযুক্ত। কলেজে থাকতেই মাদকে আসক্ত থাকার অভিযোগ ছিলো। এ ছাড়া অবৈধ অস্ত্র রাখার কারণেও জেল খাটতে হয়েছে তাকে। আর এসব ঘটনা চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতিকে আরো জনপ্রিয় করে তোলে। সালমান খান : ২০০২ এর ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে এই মহাতারকার গাড়ি রাস্তার পাশে তুলে দেওয়ায় একজনের মৃত্যুর পর থেকে তার ওপর চোখ রাখতে হয় আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর। এ বিচারের রায় এখনো দেওয়া হয়নি। নভজত সিং সিধু : এই ভারতীয় ক্রিকেট তারকা ১৯৮৮ সালে পাতিয়ালার এক বাসিন্দাকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত। সিধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। ফারদিন খান : ২০০১ সালে ফারদিনকে গ্রেপ্তার করা হয় অবৈধ মাদক কেনা ও গ্রহণের অভিযোগে। তারও আগে ৯ গ্রাম কোকেন রাখার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। মারিয়া সুসাইরাজ : মারিয়া তার প্রেমিক ২০০৮ সালে গ্রেপ্তার হন টিভি এক্সিকিউটিভ নিরাজ গ্রোভারকে হত্যার অভিযোগে। আলোকিত তারকাদের অন্ধকার জীবন
হত্যার প্রমাণ ধ্বংস করার অপরাধে মারিয়াকে ৩ বছরের জেল দেওয়া হয়। সারিকা রামসাই : এই অভিনেত্রী মাত্র ৪ বছর বয়স থেকে অভিনয় জীবনে প্রবেশ করেন। আলোকিত তারকাদের অন্ধকার জীবন বাবা পরিবারকে ত্যাগ করার পর তাকেই উপার্জনের মাধ্যম বানিয়ে ফেলেন তার মা। তাকে স্কুলে না ভর্তি করিয়ে জোর করে শুটিংয়ে পাঠানো হতো। ক্যারিয়ারের ছোটকাল থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত তাকে নানা অপকর্মে বাধ্য করেন তার মা। সূত্র : ইন্ডিয়া টাইমস

পুলিশ সদস্যের অনৈতিক সম্পর্ক..অবশেষে বিয়ে..অতঃপর.. 21 Apr, 2014 রাজধানীর আশুলিয়ায় যৌতুক আদায়ের জন্য স্ত্রীর উপর নির্যাতনের অভিযোগ এসেছে এক পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম মহিউদ্দিন সে বাংলাদেশ পুলিশ এ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। গত রোববার রাতে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে রাতেই সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। নির্যাতিতার নাম শিল্পী বেগম (৩৫) বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার বাসিন্দা। তার স্বামী মহিউদ্দিন ঢাকার ধামরাই থানার বাথুলী এলাকার তারু মিয়ার ছেলে। শিল্পী বেগম জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ান মহিউদ্দিন। এর মধ্যে পুলিশের চাকরিতে যোগ দেওয়ার কথা বলে তার কাছ থেকে কৌশলে চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। পনেরো দিন আগে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকেই নতুন ঘর তোলার কথা বলে আরো চার লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন মহিউদ্দিন। নতুন করে যৌতুকের টাকা দেওয়ায় অস্বীকৃতি জানালে রোববার রাতে স্বামী তাকে বেদম প্রহার করলে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার মাথার চুল কেটে দেন পাষাণ্ড স্বামী মহিউদ্দিন। পরে প্রতিবেশীরা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন। Share on facebook Share on email Share on print 3

লন্ডনে পোশাক উল্টে পরার কর্মসূচি কামাল আহমেদ, লন্ডন | আপডেট: ২২:০৯, এপ্রিল ২৩, ২০১৪ ৩ Like ২৯ রানা প্লাজা ধসের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার দিনটি পালনের উদ্দেশ্যে লন্ডনসহ বিশ্বের নানা শহরে আগামীকাল বৃহস্পতিবার এক ব্যতিক্রমী স্মারক কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । ‘কে বানিয়েছে আপনার কাপড়?’—এই প্রশ্নের জবাব জেনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ক্রেতা ও ভোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে এই দিনটিকে ফ্যাশন বিপ্লব দিবস বা ফ্যাশন রেভল্যুশন ডে হিসেবে তাঁরা পালন করবেন। এতে নিজেদের পোশাক উল্টো করে পরে লেবেলের দিকে ভোক্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। দিবসটির উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, রানা প্লাজার নিহত শ্রমিকদের স্মরণের পাশাপাশি পোশাকশিল্পে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে যেসব পরিবর্তন প্রয়োজন, তা তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই এসব প্রচারণামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পোশাকটি কোথায় তৈরি হয়েছে এবং কীভাবে তৈরি হয়েছে, ভোক্তাদের সেসব প্রশ্ন উত্থাপনে উত্সাহিত করার লক্ষ্যে ‘ইনসাইড আউট’ কর্মসূচিতে ফ্যাশন জগতের শীর্ষস্থানীয় তারকারা অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি এতে শরিক হয়েছেন পাশ্চাত্যের বিভিন্ন পোশাক বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ও ট্রেড ইউনিয়ন সংগঠকেরা। এ দিন সকালে লন্ডনের প্রধান শপিং এলাকা অক্সফোর্ড স্ট্রিটে লন্ডন ফ্যাশন কলেজের শিক্ষার্থী এবং ফ্যাশন তারকারা ফ্লাশমব হিসেবে আবির্ভূত হবেন বলে কথা রয়েছে। তাঁরা অবশ্য একে বলছেন ‘ফ্যাশমব’। বিকেলে বাংলা টাউনের ব্রিকলেনে সংগঠিত হবে আরেকটি ফ্লাশমব। সন্ধ্যায় ইস্ট লন্ডনের র্যাগ ফ্যাক্টরিতে এক পিপল ট্রি ফাউন্ডেশনের আয়োজনে বাংলাদেশের ন্যায্য ফ্যাশন (ফেয়ার ফ্যাশন ইন বাংলাদেশ) শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ওপর আগে প্রদর্শিত হয়নি এ রকম ভিডিও ফুটেজ দেখানো হবে। তারপর সেখানে আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল ইসলাম আমিনের অংশ নেওয়ার কথা আছে। এ ছাড়াও ব্রিটেনের অক্সফোর্ড, ম্যানচেস্টার, ব্রাইটন এবং গ্লাসগোতে একই ধরনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে ব্রিটেনের সময় বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হবে ইন্ডাস্ট্রিয়ল বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান।

ডোবায় মুঠো-মুঠো মুঠোফোনের সিম!
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি | আপডেট: ১২:২২, এপ্রিল ২২, ২০১৪ ০ Like ৪৭ পুকুরে মুঠোফোনের সিম খুঁজছে গ্রামবাসী। ছবি: রবিউল ইসলামছোট্ট একটি ডোবার কাদাপানিতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে গ্রামের নারী-পুরুষ আর শিশুরা। না, মাছের জন্য নয়। তাদের এ হুড়োহুড়ি মুঠোফোনের সিমকার্ডের জন্য। ওই ডোবায় পাওয়া যাচ্ছে মুঠো-মুঠো মুঠোফোনের সিম। জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দক্ষিণ জিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। গ্রামের ওই ডোবা থেকে বিভিন্ন মুঠোফোন কোম্পানির কয়েক শ সিম তুলেছে গ্রামবাসী। গ্রামবাসী জানায়, ডোবায় প্রথম সিম খুঁজে পায় সাত বছরের শিশু রিজভী। সকালে ডোবার পাশে শাক তুলতে যায় সে। সেখানে কিছু সিম পড়ে থাকতে দেখে। সিমগুলো কুড়িয়ে নিয়ে গ্রামে ফিরে যায় রিজভী। বন্ধুদের জানায় এ খবর। সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা ছুটে যায় ডোবায়। হুড়মুড়িয়ে নেমে সিম খুঁজতে থাকে তারা। মুঠো-মুঠো সিম তুলে আনে শিশুরা। এবার বড়রাও সিমের সন্ধানে ডোবায় নামে।সাত বছরের শিশু রিজভী পেয়েছে এসব মুঠোফোনের সিম। ছবি: রবিউল ইসলাম সাত বছরের শিশু এমরান বলেছে, ‘প্রায় ৩৫টি সিম পেয়েছি।’ গৃহবধূ নাজমা এমরানের চেয়ে আরও বেশি খুশি। তিনি পেয়েছেন ৩০০ সিম। নাজমার মতো যাঁরা অনেক বেশি সিম তুলতে পেরেছেন, ডোবার পাশে বসে তাঁরা সিমগুলো বিক্রিও করছেন। প্রতিটি সিম পাঁচ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২০ বছরের যুবক সবুজ কাদাপানিতে নামেননি। তিনি ১৫ টাকা দিয়ে তিনটি সিম কিনে নিয়েছেন। এর মধ্যে দুটি চালু। একটি বন্ধ। এতেই দারুণ খুশি সবুজ। জানালেন, ১৫ টাকায় দুটি সিম। কম কী। গ্রামবাসীর ভাষ্য, সিমগুলো সবই ব্যবহূত। গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক সব ধরনের মুঠোফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সিমই খুঁজে পাচ্ছেন তাঁরা। গ্রামবাসী বলছে, কোনো অপরাধী চক্র ব্যবহারের পরে সিমগুলো ফেলে দিয়ে যেতে পারে। এ ব্যাপারে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার হামিদুল আলম বলেন, কেউ হয়তো সিম নষ্ট করার জন্য ডোবায় ফেলে দিয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নগ্ন হয়ে চলাফেরার বৈধতা দিলো জার্মানি! April 15, 2014 by নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/এআই in বিদেশ with 0 Comments jarmanyনিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম আন্তর্জাতিক ডেস্ক আমি পোশাক পরব কি পরব না সেটা আমার ব্যাপার। সত্যি বলতে নগ্ন থাকতেই আমি বেশি স্বচ্ছন্দবোধ করি। কিন্তু নগ্ন হয়তো আর ঘরের বাইরে প্রকাশ্যে বের হওয়া যায় না। শরীর অনাবৃত রেখে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এতদিন এমনটাই আফসোস ছিল ইউরোপের বেশ কিছু সংগঠনের সঙ্গে জড়িতদের। এবার শরীর অনাবৃত রেখে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো যাবে না সেই নিয়মটাই তুলে দিল জার্মান সরকার। জার্মানির মিউনিখ ছটি অঞ্চলে নগ্ন হয়ে ঘোরার ছাড়পত্র দেওয়া হল। জার্মানির অন্যতম বড় শহরে মিউনিখে এই ৬টি অঞ্চলের নাম দেওয়া হল “আরবান ন্যাকেড জোনস” (urban naked zones)। এই ছটি জোনে যে কেউ যে কোনও পোশাকে এমনকী নগ্ন হয়েও চলাফেরা করতে পারবে। একটি নির্দেশিকা জারি করে মিউনিখ শহরের ওই ৬টি অঞ্চলের নাম উল্লেখ করে লেখা হল, যে কেউ যে কোনও ভাবে এখানে ঘুরতে পারবে। নগ্ন হয়ে ঘুরলেও এখানে গ্রেফতার হওয়ার ভয় নেই। নগ্ন হলে নিরাপত্তারও অভাব হবে না বলে জানানো হয়েছে। নগ্ন অঞ্চল ঘোষিত হয়েছে তার মধ্যে একটি হল মিউনিখ শহর থেকে মিনিট দশেক দূরে একটি পার্ক। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/১৫ এপ্রিল, ২০১৪/১৭.১০/আরিফুল ইসলাম আরো খবর: ভারতীয় ক্রিকেট টিমের জন্য পুনমের উপহার নগ্ন ভিডিও! ‘নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করতে পারব না’ ফেসবুকে নগ্নছবি আপলোড, অত:পর তরুণী খুন টাইটানিকের নগ্নতায় এখনো অস্বস্তিতে কেট! ৫ জানুয়ারির নির্বাচন একদিন গ্রিনেস বুকে স্থান পাবে : কাজী জাফর - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/04/15/%E0%A6%A8%E0%A6%97%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%B9%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%B2%E0%A6%BE%E0%A6%AB%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A7%88%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BE-%E0%A6%A6/#sthash.DYOhtQxa.dpuf

অনাবৃত বক্ষে লিঙ্গ বৈষম্যের প্রতিবাদ!
April 22, 2014 by নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/এআই in বিদেশ with 0 Comments chinaনিউজ ইভেন্ট ২৪ডটকম আন্তর্জাতিক ডেস্ক সমাজব্যাবস্থা, চাকরিসহ সকল ক্ষেত্রে লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে চীনের গুয়াংঝৌ এলাকায় গুয়াংঝৌ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা এক অদ্ভুত কায়দায় প্রতিবাদ জানিয়েছে। দেশটির অনলাইন পোর্টাল সাংহাইআইএসটি.কম এক খবরে জানায়, ছাত্রীরা অনাবৃত বক্ষে ব্যানার ফেস্টুন হাতে স্কুল ক্যামপাসে দাঁড়িয়ে এই প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদের সময় তাদের দেহের উপরের অংশ বিভিন্ন ট্যাটু এবং বডি পেইন্ট দিয়ে ঢাকা ছিল। এই নীরব প্রতিবাদের সময় ছাত্রীদের মুখে সাদা মাস্ক, চোখে কালো চশমা এবং মাথায় ক্যাপ পরাও ছিল। ঘটনাটা তখনই ঘটল, যখন দেশটিতে অর্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় প্রতিবাদ বেশ আলোচনার বিষয়। সাম্প্রতিক এ ঘটনাটি দেশটিতে এধরণের প্রতিবাদের বিষয়ে আরো আলোচনা-সমালোচনার ঝড় তুলেছে। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/২২ এপ্রিল, ২০১৪/১১.৫৪/আরিফুল ইসলাম আরো খবর: হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিল ভারত ঢাবিতে ফলাফল বৈষম্য: মার্কসিট পুড়িয়ে প্রতিবাদ পাকিস্তানে তালেবানের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ৩০ নগ্ন হয়ে চলাফেরার বৈধতা দিলো জার্মানি! নিখোঁজ বিমানের চীনা যাত্রীদের স্বজনেরা কুয়ালালামপুরে গেছেন

মুজিব কাকু বললেন ‘তাজউদ্দীন, আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হব’ 26 Apr, 2014 নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ১৯৭১-এর ১৬ই ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখনও পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি। মুক্ত হয়ে তিনি দেশে ফিরেন ১০ই জানুয়ারি। অবিসংবাদিত নেতার প্রত্যাবর্তনে বিমানবন্দরে লাখো মানুষের ঢল। রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) সংবর্ধনার আয়োজন। একটি খোলা ট্রাকে চড়ে বঙ্গবন্ধু চার নেতাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে নিয়ে রওনা হলেন জনসভাস্থলে। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অংশে শারমিন আহমদ লিখেছেন, মুজিব কাকুর পাশেই আনন্দে উদ্বেলিত আব্বু দাঁড়িয়ে আছেন। হঠাৎ মুজিব কাকু আব্বুর কানের কাছে মুখ নামিয়ে বললেন, ‘তাজউদ্দীন, আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হব’। ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে সদ্য প্রকাশিত তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদের ‘তাজউদ্দীন আহমদ, নেতা ও পিতা’ বইতে পঞ্চম পর্বে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও সরকার গঠনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি আরও লিখেন, মুজিব কাকুর উদাসীনতায় আব্বু (তাজউদ্দীন আহমদ) আহত হয়ে ছিলেন। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু কেন জানতে চাননি কারা ছিলেন স্বাধীনতার শত্রু আর কারা ছিলেন স্বাধীনতার মিত্র। গোলাম আযমসহ সকল যুদ্ধাপরাধীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের পক্ষেও অবস্থান নিয়েছিলেন তাজউদ্দীন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী তাজউদ্দীন কন্যা শারমিন আহমদ বিস্তারিত বর্ণনায় আরও লিখেছেন, ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি জনগণ-মন-নন্দিত বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করলেন। আনন্দে আত্মহারা লাখ লাখ মানুষের ঢল চারদিকে। তাঁদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে একনজর দেখার জন্য তাঁরা ব্যাকুল। নেতাকর্মী পরিবৃত বঙ্গবন্ধু উঠলেন খোলা ট্রাকে। লাখ লাখ জনতার প্রাণঢালা অভিনন্দনের মাঝ দিয়ে ট্রাকটি ধীর গতিতে চলল রেসকোর্স ময়দানের (বর্তমানে যার নাম সোহরাওয়ার্দী
উদ্যান) ভবিষ্যতে এর সঙ্গে হয়তো স্বাধীনতা পার্ক নামকরণ যুক্ত হবে) উদ্দেশে। সেখানে তিনি ভাষণ দেবেন। মুজিব কাকুর পাশেই আনন্দে উদ্বেলিত আব্বু দাঁড়িয়ে রয়েছেন। হঠাৎ মুজিব কাকু আব্বুর কানের কাছে মুখ নামিয়ে বললেন, ‘তাজউদ্দীন, আমি কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হব!’ ১২ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় আম্মাসহ আমরা বঙ্গভবনে গেলাম। নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আব্বু মুজিব কাকুর কাছে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার সমর্পণ করলেন। উদ্দীপ্ত ঝলমলে হাসিভরা মুখে আব্বু বললেন, ‘আজ আমার জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন। নেতার অনুপস্থিতিতে মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত থেকে দেশকে স্বাধীন করেছি। আবার নেতাকে মুক্ত করে তারই হাতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার তুলে দিয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। অন্তত ইতিহাসের পাতার এক কোনায় আমার নামটা লেখা থাকবে।‘ আম্মার পাশে বসে আব্বুর হাসিভরা গৌরবদীপ্ত মুখ, মুজিব কাকুর আত্মপ্রত্যয়ী অভিব্যক্তি ও চারদিকের আনন্দঘন পরিবেশ দেখে সেদিন মনে হয়েছিল আর শঙ্কা নেই। বাংলাদেশের সুদিন বুঝি ফিরে এলো। বইয়ের অপর এক অংশে শারমিন আহমদ পিতা তাজউদ্দীন আহমেদের হতাশার কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, আমার নবীন কৈশোরে যখন উম্মিলিত হচ্ছে নতুন স্বপ্ন, নতুন জগৎ ও জিজ্ঞাসা, আব্বু তখন মহাব্যস্ত স্বাধীনতার জ্যোতির্ময় স্বপ্ন, সাম্যবাদী ন্যায়বিচার-ভিত্তিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার সংগ্রামে। ওই সংগ্রামে আব্বু ক্রমশই একা হয়ে পড়েছিলেন। স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর মুজিব কাকু কখনোই আব্বুর কাছে জানতে চাননি মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের ঘটনাবলি। কখনোই জানতে চাননি যে তার অবর্তমানে আব্বু কিভাবে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন; তাঁকে কি ধরনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল; কারা ছিল স্বাধীনতার শত্রু, কারা মিত্র। রহস্যজনকভাবেই বিষয়টি জানতে চাওয়া সম্পর্কে তিনি নীরবতা পালন করেছেন। মুজিব কাকুর উদাসীনতায় আবু হয়েছেন আহত, মর্মাহত তবু হাল ছাড়েননি। অবিরাম চেষ্টা করেছেন মুজিব কাকুকে সামনে রেখেই নবজাত বাংলাদেশকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়েও মুজিবনগর সরকারের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীনের অবস্থান ছিল স্পষ্ট। এ বিষয়ে এ নিয়ে একাধিকবার মুজিব কাকুর সঙ্গে কথাও বলেছেন। ব্যক্তি স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে তাজউদ্দীন আহমদ দেশ পরিচালনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে যে ন্যায়বিচার ও ত্যাগের পরিচয় দিয়েছেন তা উল্লেখ করে শারমিন লিখেছেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসের মতোই হানাদারমুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশেও আব্বু সৃষ্টি করেছেন ন্যায়বিচার, ত্যাগ, সততা, সংযম ও সুদক্ষ নেতৃত্বের অপূর্ব দৃষ্টান্ত। দেশ ও জাতির কল্যাণে তিনি বিলীন করেছেন ব্যক্তিস্বার্থ বা অন্ধ ক্ষোভ। ’৭১-এর মার্চ মাসের এক কালরাতে আশ্রয়প্রার্থী আম্মাকে, তাঁর শিশুপুত্র ও কন্যাসহ কারফিউয়ের মধ্যে ঘর থেকে বিতাড়িত করেছিলেন যে আয়কর কর্মকর্তা তার পদোন্নতির অনুমোদন আব্বু করেছেন হাসিমুখে। আম্মাকেও বিষয়টি অবহিত করেছেন নির্দ্বিধায়। যোগ্য জীবনসঙ্গীর মতোই আম্মাও সেই সিদ্ধান্তে সহমত জ্ঞাপন করেছেন। অনুমোদনের ফাইলে আব্বু তাঁর শিশিরবিন্দুর মতো হস্তাক্ষরে লিখেছেন, ‘আমি তাঁর এসিআর-গুলো দেখলাম। চাকরিজীবনের রেকর্ড অনুযায়ী তাঁর পদোন্নতি পাওয়া উচিত। আর মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর বিতর্কিত ভূমিকা ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে কিন্তু বিষয়টি সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি। কারও প্রতি সন্দেহবশত কোন সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া ঠিক হবে বলে আমি মনে করি না। যদি তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ থাকে তবে তা আলাদাভাবে উপস্থাপন করা যেতে পারে। যেহেতু নির্দিষ্ট কোন অভিযোগ এখানে দেখানো হয়নি বা কোন প্রমাণও নেই, তাই আমি বিষয়টিকে বিবেচনার মধ্যে না এনে তাঁর এই পদোন্নতি অনুমোদন করলাম।’২৮ আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আব্বু চেয়েছিলেন যে যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তান সেনাদের বিচার হোক আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে। যুদ্ধাপরাধী যদি বাঙালি হয়ে থাকে তাহলে তাকে নাগরিকত্ব থেকে বিচ্যুত না করে তার বিচার যেন হয় দেশের মাটিতে ও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী। পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বনকারী এজেডএম শামসুল আলম- যিনি ছয় দফা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রচুর লেখালেখি করেছিলেন- ওয়াশিংটনে ট্রেনিংয়ে থাকার সময় তাঁর নাগরিকত্ব বাতিল হয়ে যায়। অনুতপ্ত ওই ব্যক্তি দেশে তাঁর পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যেতে ইচ্ছুক ছিলেন এবং বিচারের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত এই মর্মে আবেদন করেছিলেন। শামসুল আলমের বাংলাদেশ-বিরোধী কার্যকলাপে প্রচ- ক্ষোভ থাকা সত্ত্বেও আব্বু তাঁর নাগরিকত্ব বহাল রেখে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেন। তারপর রাষ্ট্র যদি মনে করে তার বিচার করা উচিত তাহলে তাঁর বিচার হবে এই মত প্রকাশ করেন। বিষয়টিকে তিনি সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মান্নানের বরাত দিয়ে মুজিব কাকুর কাছে উত্থাপন করেন। ক’দিন পর মুজিব কাকু আব্বুকে তাঁর অফিসে ফোন করেন- বিষয়, শামসুল আলমের নাগরিকত্ব বাতিল সম্পর্কে আব্বুর মতামত। আব্বু মুজিব কাকুকে বলেন, ‘মুজিব ভাই, এই বিষয়ে আপনার সঙ্গে আমার কিছু কথা বলার ছিল। আজকে শামসুল আলমের দরখাস্তের কারণে বলার সুযোগ হলো। প্রথম কথা, আমাদের কোনো অধিকার নেই যে মানুষটা বাংলাদেশে জন্মেছে তাকে দেশের নাগরিকত্ব থেকে বহিষ্কার করার। এটা অন্যায়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই অন্যায় সিদ্ধান্তকে পরিবর্তন করা উচিত। দ্বিতীয় কথা, আমি শামসুল আলমের দরখাস্ত পাঠিয়েছি যেটা এখন আপনার কাছে আছে। সেটা দেখেন এবং সে যে অন্যায় করেছে এই কারণে তাকে বাংলাদেশে নিয়ে এসে দেশের আইন অনুযায়ী বিচার করার ব্যবস্থা করেন।’ আব্বুর যুক্তি ছিল যে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়নি। জার্মান নাগরিক হিসেবেই তাদের সমুচিত বিচার হয়েছে। মুজিব কাকুকে তিনি বললেন, ‘গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এইসব লোক বিদেশে থাকলে তাদের শাস্তি তো হলো না, এই দেশের মানুষ তো জানতেই পারল না যে, তারা কি জঘন্য অপরাধ করেছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়। সুতরাং দেশে তাদের আসতে হবে। দেশে ফিরে আসার পর তাদের বিচার করতে হবে এবং বিচারে যে শাস্তি হবে সেই শাস্তি তাদের দেয়া হবে। যদি কেউ বেকসুর খালাস পায় সেটা সে পাবে।’ ব্যক্তিগত ক্ষোভ, ঘৃণা ও বিদ্বেষের ঊর্ধ্বে আইনের শাসনের প্রতি আব্বুর গভীর শ্রদ্ধা এবং নিজ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রয়োগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে আব্বুকে এক অনন্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল। ওই একই কারণে তাকে পদে পদে প্রচ- বাধার সম্মুখীনও হতে হয়েছিল। বাধা এসেছিল মূলত তাঁর নিজ দলের উচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতাধর ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকেই। তাঁদের সামন্ততান্ত্রিক চিন্তাধারা ও স্বৈরাচারী কার্যকলাপ নবজাত বাংলাদেশের প্রগতির পথে হয়ে দাঁড়িয়েছিল পর্বতসমান অন্তরায়। উৎসঃ মানবজমিন Share on facebook Share on email Share on print

বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিভ টুগেদার March 29, 2014 by নিউজ ডেস্ক/এমএ in চলতি খবর with 0 Comments lifeআমি আমার বাবা-মাকে ছেড়ে এসেছি, সবকিছু ভুলে তোমাকে নিয়ে বাঁচতে চাই, আমার বাবা-মাও এখন আমাকে নিতে চাইবে না, এখন তুমি যদি আমাকে বউ হিসেবে স্বীকৃতি না দাও তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না- গত বুধবার রাতে এ কথাগুলোই ছিল রানার সঙ্গে বর্ণির শেষ কথা। বিয়ে করার প্রতিশ্রুতিতে রানার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল বর্ণি। তার সবকিছু উজাড় করে দিয়েছিল রানাকে। সম্পর্কের গভীরতা যখন বাড়তে শুরু করে তখন বর্ণি রানাকে বিয়ে করার কথা বলে, তখন সে ‘না’ বলে দেয়। এই প্রতারণা সইতে না পেরে শেষ পর্যন্ত আত্মহননের পথ বেছে নেয় বর্ণি। রাজধানীর বনানী এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ইসরাত জাহান বর্ণির (২৪) সঙ্গে লিভ টুগেদার করছিল আবদুর রহমান রানা। ১৫ দিন একসঙ্গে এক ছাদের নিচে ছিল তারা। রানার ইচ্ছা ছিল এভাবেই তাদের সম্পর্ক যাতে চলে যায়। কিন্তু এই বিষয়টি মানতে পারেনি বর্ণি। বারবার রানাকে বিয়ে করার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু রানা তার সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। বর্ণিকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না রানা। বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত জানতে পেরে বর্ণি বৃহস্পতিবার সকালে বিষ পান করে আত্মহত্যা করে। বর্ণির মা সুফিয়া বেগম জানান, বর্ণি এই ছেলের সঙ্গে থাকতো তা আমাদের জানা ছিল না। সে আমার সঙ্গে রাগ করে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আমি ভাবলাম রাগ কমে গেলে সে আবার আমার কাছে ফিরে যাবে। কিন্তু তা সে করলো না। তার বাবাকে জানিয়েছিল সে মহিলা হোস্টেলে থাকে। আমি আর তেমন কোন খোঁজখবর নেইনি। আমার মেয়ে এভাবে আত্মহত্যা করবে তা আমি বুঝিনি। বর্ণির প্রেমিক আবদুর রহমান রানা বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, আমার সঙ্গে বর্ণির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমরা ১৫ দিন একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করেছি। কিন্তু কয়েক দিন যাবত বর্ণি আমাকে বিয়ে করার জন্য চাপ দিচ্ছিল। আমার পক্ষে তা সম্ভব ছিল না। কারণ, এখন আমি কিছু করি না। সেও কিছু করে না। আমি চেয়েছিলাম তাকে তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে। কিন্তু আমার কথাগুলো সে বুঝতে চায়নি। আমাদের এই সম্পর্কের কথা বর্ণির মা জানতেন। তিনি কয়েকবার আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। এমনকি আমি উনাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতেও গিয়েছি। তিনি তার মেয়েকে নিতে চাননি। রানা ফ্রিল্যান্স ফিল্মমেকার নামে একটি নাটক তৈরির প্রতিষ্ঠানে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। মহাখালীর চ-১৪৪/৬ নম্বর বাড়ির পঞ্চম তলায় একটি রুমে থাকতেন। গত এক বছর আগে ইসরাত জাহান বর্ণির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। বর্ণির বাবা আহসান উল্লাহ জানান, বর্ণি তার মায়ের সঙ্গে মুগদার মদিনাবাগের ১৩১/৩/এ নম্বর বাড়িতে বসবাস করতো। সে মহাখালী আয়শা মেমোরিয়ালে চাকরি নেয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়। এই পর্যন্ত সে তার মায়ের ব্যাংক একাউন্ট থেকে এটিএম কার্ড দিয়ে ২ লাখ টাকা উঠিয়ে নিয়েছে। তবে সে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা আমি সঠিকভাবে বলতে পারবো না। লাশ ময়নাতদন্তের পর গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে নিয়ে গেছে তার স্বজনরা। বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুর রহমান জানান, বুধবার রাতে বর্ণি প্রথম দফা আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। বর্ণি চায়ের সঙ্গে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য পটাশিয়াম মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করলে রানা তাতে বাধা দেয়। কিন্তু বর্ণি রাগে ক্ষোভে রানার অজান্তে বৃহস্পতিবার সকালে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রানা তা বুঝতে পেরে তরিঘড়ি করে বর্ণির বাবা আহসান উল্লাহকে মোবাইলে সংবাদ দেয়। পরে রানা বর্ণিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেলা পৌনে ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষপানে বর্ণি আত্মহত্যা করতে পারে প্রাথমিক আলামতে এমনটাই ধারণা করা হচ্ছে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে বর্ণি ছিল সবার ছোট। বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ণির আত্মহত্যার পরপরই পুলিশ প্রেমিক আবদুর রহমান রানাকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত রানা রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার দুর্গাপুর গ্রামের আবদুল মজিদের ছেলে। আরো খবর: বন্ধুত্ব থেকে প্রেম অতঃপর মৃত্যু মেডিকেল শিক্ষার্থীর লিভ টুগেদার অতঃপর… পৃথক ঘটনায় চট্টগ্রামে দুই যুবকের আত্মহত্যা মিথি-আরিফের বাসা ছিল বন্ধুদের ডেটিং স্পট ভয়ঙ্কর প্রেমিকা - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/03/29/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%AD%E0%A6%A8-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AD/#sthash.duSLvooF.dpuf

নায়কের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠতি অভিনেত্রীর অনলাইন ডেস্ক: রকাশ : ২৫ এপ্রিল, ২০১৪ ১৭:৫২:৩৫আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০১৪ ১৮:০৭:১৭ ২৩ বছর বয়সি এক স্ট্রাগলিং অভিনেত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন বলিউড অভিনেতা ইন্দর কুমার৷ বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ভরসোভা এলাকার থানায় এসে অভিনেত্রী নিজে এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগকারিনির মেডিকেল টেষ্টে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ মিললেই ইন্দর কুমারকে গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অন্যদিকে ইন্দর জানিয়েছেন, ‘এই অভিযোগ একেবারেই মিথ্যে৷ মেয়েটি একজন উঠতি অভিনেত্রী৷ আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে৷ মেয়েটির সঙ্গে আমার কোনও ধরনের বন্ধুত্ব পর্যন্ত নেই৷’ বলিউডে ইন্দরের যাত্রা শুরু নব্বই দশকে৷ ১৯৯৬ সালে আয়েষা জুলকার সঙ্গে জুটি বেঁধে ‘মাসুম’ ছবিতে বলি পর্দায় আত্মপ্রকাশ ঘটে ইন্দরের৷ কলকাতর সল্টলেক অঞ্বলে বাসিন্দা ছিলেন ইন্দর৷ টলিউডে বহুদিন চেষ্টা করার পর বলিউডের উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনি৷ ঝুলিতে তাঁর বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ছবি৷ অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’, সলমনের সঙ্গে ‘তুমকো না ভুল পায়েঙ্গে’, ও ‘ওয়ান্টেড’৷ ২০১১ সালে বলিউডের ‘ইয়ে দুরিয়া’ ছবিতে শেষ দেখা যায় ইন্দরকে৷

লিভ-টুগেদারের সন্তান বৈধ! April 24, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in প্রতিবেশী with 0 Comments babyপ্রতিবেশী ডেস্ক নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম বিয়ের বন্ধন নেই, তবু এক ছাদের নিচে স্বামী-স্ত্রীর মতো একসঙ্গে অনেক দিন ধরে বসবাস। এমন সম্পর্কের বেলায় সন্তান হলে তা বৈধ। একই সঙ্গে ওই জুটি পাবে স্বামী-স্ত্রীর মর্যাদা। ভারতের সুপ্রিম কোর্ট লিভ-টুগেদার সম্পর্কের বিষয়ে গত সোমবার এ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাদ্রাজের উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবী উদয় গুপ্তের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক বি এস চৌহান এবং জে চেলামেশ্বরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন। বৃহস্পতিবার টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের খবরে জানানো হয়, আদালত জানিয়েছেন, নারী ও পুরুষ দীর্ঘদিন একসঙ্গে বাস (লিভ-টুগেদার) করার পর যে সন্তান জন্মায়, তাকে অবৈধ বলা যায় না। আইনজীবী গুপ্ত বলেন, বিয়ে মানেই এই নয় যে স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের সব অধিকার রক্ষা করে চলেন। তাই দীর্ঘদিন ধরে যেসব নারী ও পুরুষ স্বামী-স্ত্রীর মতো জীবন যাপন করছেন, তাঁদের বিবাহিত হিসেবে গণ্য করা উচিত। তবে গুপ্তর বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এম আর কালা বলেন, এসব মন্তব্য বিয়ের মতো সামাজিক প্রথার জন্য ক্ষতিকর। যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক চৌহান ও চেলামেশ্বর বলেন, আদালত যা বলতে চান, তা হলো যদি একজন নারী ও পুরুষ স্বামী-স্ত্রীর মতো দীর্ঘদিন ধরে জীবন যাপন করেন, তাহলে তাঁরা বিবাহিত বলেই গণ্য হবেন। তাঁদের সন্তানেরাও অবৈধ থাকবে না। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/২৪ এপ্রিল, ২০১৪/১৬.১৬/মেহেদী হাসান আরো খবর: গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে করায় স্বামীকে গুলি অবশেষে ‘কুমারত্ব’ ঘুচল নরেন্দ্র মোদীর! ‘পুরুষ ডাক্তার যেন হাত না দেন’ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিভ টুগেদার যৌতুকের জন্য স্ত্রী নির্যাতন করলেন পুলিশ!

মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৪


নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চায় বাংলাদেশ সমকাল প্রতিবেদক | প্রকাশ : ২২ এপ্রিল, ২০১৪ ২২:২০:৫৯ বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় নিরাপত্তা সংলাপে পররাষ্ট্র সচিব মুস্তাফা কামাল এ সহায়তা চেয়েছেন। সমকাল প্রতিবেদক সমুদ্র নিরাপত্তাসহ সার্বিক নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতার সমন্বিত উদ্যোগে বাংলাদেশের সম্পৃক্ততা দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ দমন, সমুদ্র নিরাপত্তা ও সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই বলে মনে করে তারা।নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা চায় বাংলাদেশ মঙ্গলবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস্) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় নিরাপত্তা সংলাপে দু'দেশের প্রতিনিধি দল এ অভিমত ব্যক্ত করে। দু'দেশের এ সংলাপে বাংলাদেশ ৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মুস্তাফা কামাল। যুক্তরাষ্ট্রের ২৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের পররাষ্ট্র দফতরের রাজনৈতিক ও সামরিক বিষয়ক ব্যুরোর মুখ্য উপ-সহকারী মন্ত্রী টম ক্যালি। সংলাপ শেষে বিকেলে বিস্ মিলনায়তনে তারা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন উপ-সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক) অতুল কেশাপ, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান ও সাইদা মুনা তাসনিম। ব্রিফিংয়ে মুস্তাফা কামাল নিরাপত্তা সংলাপকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ দাবি করে বলেন, "আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এ সংলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবারের সংলাপে সুনির্দিষ্ট কিছু অগ্রগতিও হয়েছে। আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কৌশলগত অগ্রাধিকার, সামরিক নিরাপত্তা সহযোগিতা, বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও নিরস্ত্রীকরণ এবং শান্তি মিশন ব্যবস্থাপনা, সন্ত্রাস দমন ও দুর্যোগ মোকাবেলা- এই চারটি ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এসব নিরাপত্তা সহযোগিতা দু'দেশের সম্পর্ককে উচ্চতর মাত্রায় নিয়ে যাবে।" তিনি বলেন, "বঙ্গোপসাগরসহ এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ইস্যুতে সুনির্দিষ্ট কোনো উদ্বেগ নেই। সার্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করতে চায়।" এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, "পরমাণু নিরাপত্তা ইস্যুতে সংলাপে আলোচনা হলেও রূপপুর বা অন্য কোনো বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে কথা হয়নি। এ ইস্যুতে মার্কিন উদ্বেগ থাকায় আমরা যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি তা অবশ্য তাদের জানানো হয়েছে।" মার্কিন প্রতিনিধি দলের নেতা টম ক্যালি বলেন, "বৃহত্তর প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য হচ্ছে এ অঞ্চলের নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়াতে সমন্বিত কার্যক্রম প্রতিষ্ঠা। এ কার্যক্রমে বাংলাদেশকে পাশে দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।" এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নিরাপদ নৌ-চলাচল ও অবাধ বাণিজ্যিক পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন তিনি।

Bangladesh acheives top position on yellow journalism
By bangladeshe | Posted November 15, 2013 | Dhaka, Bangladesh 1K Share Today media is the important factor for media terrorism. But in Bangladesh everything is happening in the direction of some special government official. First let me introduce you the situation. Almost 90% of the channel of Bangladesh is run by ruling party. Minister to top level parliamentarian have 2 to 3 tv channel. These channels are expert to furnish, fabricate, falsified the whole picture. I have not believe until yesterday what i have seen. I lives in Bnanani and i am out of my house for local bazaar. Suddenly a channel named Ekattor a very popular tv channel in Bangladesh reporting a news. They are asking the strike condition to the local street walker. The people on the street waiting for 2 hour for any bus, rickshaw, taxi etc. But in strike of Bangladesh Nationalist Party there is nothing seen. But Ekattor tv camera person tv asked "There are lots of vehicle on the street? Do you think this strike is success?" The people replied yes we have less problem strike. Another incident happened that whenever some buses or rickshaw was seen in street the rush to show that there is no strike going on. Second point is all the Bangladeshi local tv channel now arranger talk show for recent political condition. These political talk shows are extremely fabricated in favor of government leaders. Suppose if you have called a opposition party leader then the presenter in rush of harassing the opposition party by personal attack. One day I was watching talk show on Ekattor tv channel where the guests are opposition part chiefs adviser and on parliament are present. The presenter from Ekattor tv was nobonita chowdhury. She asked the opposition party chief adviser “How much bloodshed will Khaleda do to come to power?” I was thunder by the question by this presenter. A journalist can’t be politically corrupted and she cannot be motivated by any political standard. The question she asked about is three time priminister Begum Khaleda Zia. She is also the chief opposition leader. She is actually doing personal attack. There are 50 above Bangladeshi news channel and almost 90% is corrupted by government. Report have been found that these channel is run by Indian secret killing agency RAW. They want to insult the opposition party at any cost. Other thing makes me astonished recently. An tv channel talk show one poet said “Today hartal happening and journalist are publishing falsified news they should be punished.” This made some news channel like Ekattor become very angry. I saw suddenly their presenter Samia Rhaman in talk show asked informational minister Hasanul Haq Inu to arrest the Poet Farhad Mazhar and the police arrested him. Now let me introduce you some of the corrupted news channel in Bangladesh: Ekattor.tv: Ekattor tv is the most corrupted news media in country. Public are so bored against this channel that they protested against this channel in front of press club. This channel is owned by Mozammel Babu, who is a journalist and influential trade unionist. Babu is known in the society as pro-Awami League journalist, who managed to get the broadcast license for launching this television channel, when Awami League came to power Babu is awarded with crown of best journalist. These ekattor tv presenter are total mischief creator. Sometimes peoples say ekattor tv is taking government decision against opposition party whom to arres or whom to leave etc. Ekattor tv presenter are so politicized that if I don’t tell about the this report will not be completed. Tv presenter nononita chowdhury is so politically motivated by awami league that whatever she says it insult the opposition party. She is so biased to Awamileague why doesn’t she join and take nomination of awami league? Her insult is so dangerous that Oppositions party chairpersons Begum Khaleda Zia face its brutality. Another name in Ekattor tv is Samia Rahman. She is the presente of banned tv channel in 2002 by government. She is taking personal revenge against the opposition party. Now come to another news channel; Somoy tv: Somoy tv is run by a minister of Sheikh Hasina cabinet. These tv channels all the program is politicized and corrupted. The fabricated the whole news and edited the video to show against the opposition party. Deshtv: Desh tv is the most corrupted tv channel in Bangladesh. It is the channel of destiny group. This destiny group is the bank loan defaulters of 4000 crore taka. They are now with government mission to insult the opposition party. At last I can say there are hardly any channels that are not corrupted. The government banned two independent news channels on 5th May. They were broadcasting live of hefajat Islam killing on Dhaka motijheel Shapla Chattor. The name of the channel was Diganta and Islamic tv. Information minister Hasanul Haq Inu was the criminal mastermind behind the scene. The total channels of Bangladesh are totally corrupted and they are creating falsified news to international media. The international media at least should boycott these channel which are fully fabricated by Bangladeshi government. The government fabricated channel name is BTV, BTV world and Songsod Bangladesh. http://ireport.cnn.com/docs/DOC-1061247

সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৪


পরিকল্পনা করেই বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল মৌলবাদী হিন্দু সংগঠন৷ ‘কোবরাপোস্ট’ এর স্টিং অপারেশনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে
ভোটের আগে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের কবর খোঁড়া কেন? আজ থেকে ২৩ বছর আগে পরিকল্পনা করেই ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল মৌলবাদী হিন্দু সংগঠন৷ কোবরাপোস্ট নামে এক বেসরকারি সংস্থার স্টিং অপারেশনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে৷ [বাবরি মসজিদে হামলার ছবি] বাবরি মসজিদে হামলার ছবি ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর অযোধ্যার রামজন্মভূমি আন্দোলনের নামে ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল মৌলবাদী হিন্দু সংগঠন বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কিছু ধর্মান্ধ সদস্য৷ এতদিন পর্যন্ত দাবি করা হতো, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া উন্মত্ত জনতা নাকি ধ্বংসের জন্য দায়ী৷ কিন্তু কোবরাপোস্ট নামে এক বেসরকারি সংস্থার স্টিং অপারেশনে বদলে গেল ধ্বংসের নেপথ্য কাহিনিটা৷ বিস্ফোরক এই নেপথ্য কাহিনিটা কী? http://www.cobrapost.com/index.php/news-detail?nid=5785&cid=70 রামজন্মভূমি আন্দোলনের গবেষণাধর্মী ইতিহাস রচনার নামে কোবরাপোস্টের অ্যাসোশিয়েটেড এডিটর অযোধ্যা, ফয়জাবাদ, মথুরা, লক্ষ্ণৌ, মোরাদাবাদ, মুম্বই, গোয়ালিয়র-সহ ১১টি জায়গা সফর করে আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ২৩জন শীর্ষ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলেন৷ তাঁদের কথোপকথনের গোপন রেকর্ডিং-এর ভিত্তিতে দাবি করা হয় যে, ‘অপারেশন জন্মভূমি' নামে বাবরি মসজিদ ভাঙার ছক কষা হয়েছিল অনেক আগে থেকে পরিকল্পনা করে৷ ধ্বংসকাণ্ড যাতে নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা হয়, তার জন্য সংঘ পরিবারের বিভিন্ন শাখার ৩৮ জন স্বেচ্ছাসেবককে বেছে নিয়ে তাঁদের ঐ কাজের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছিল লোকচক্ষুর আড়ালে৷ ‘লক্ষণ সেনা' নামে ঐ ৩৮ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কিছু কর্মী৷ প্রথম চেষ্টায় যদি বাবরি মসজিদ ভাঙা না যায়, তাহলে দ্বিতীয় বিকল্প হবে ডিনামাইট ব্যবহার করা৷ কথিত এই চক্রান্তের কথা জানতেন লালকৃষ্ণ আদবানি, উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং-সহ বিজেপির কিছু শীর্ষ নেতা৷ শুধু তাই নয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী নরসিমা রাও নাকি পরিকল্পনার কথা টের পেয়েছিলেন. কিন্তু ঠেকাবার কোনো কড়া পদক্ষেপ নেননি – এমনও অভিযোগ করা হয়৷ [বামপন্থি চারটি দল এবং সাতটি আঞ্চলিক দল মিলে থার্ড ফ্রন্ট গঠন করেছে, যা বিজেপি এবং কংগ্রেসের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ৷ লোকসভায় এখনই তাদের আধিপত্য আছে৷ ঝুলন্ত পার্লামেন্টের সম্ভাবনা থাকলে তারা হয়ে উঠতে পারে ‘কিং মেকার’৷ অর্থাৎ তারা যে দল সমর্থন করবে তারাই গঠন করবে সরকার৷] ভারতের নির্বাচন ২০১৪ ‘কিং মেকার’ দল বামপন্থি চারটি দল এবং সাতটি আঞ্চলিক দল মিলে থার্ড ফ্রন্ট গঠন করেছে, যা বিজেপি এবং কংগ্রেসের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ৷ লোকসভায় এখনই তাদের আধিপত্য আছে৷ ঝুলন্ত পার্লামেন্টের সম্ভাবনা থাকলে তারা হয়ে উঠতে পারে ‘কিং মেকার’৷ অর্থাৎ তারা যে দল সমর্থন করবে তারাই গঠন করবে সরকার৷ 123456789 এই প্রসঙ্গে এক উর্দু সংবাদপত্রের সম্পাদক মনে করেন, বাবরি মসজিদ এমন প্রযুক্তিতে তৈরি, যা ধ্বংস করা সাধারণ লোহার রড, শাবল, কোদাল, গাঁইতির দ্বারা সম্ভব নয়৷ ব্যবহার করা হয়েছিল কম শক্তির বিস্ফোরক, যার জন্য দরকার হয়েছিল বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং বিশেষজ্ঞের৷ http://www.dw.de/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A6%E0%A7%80%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%9A%E0%A7%8B%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%96%E0%A7%87-%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%B8%E0%A6%B2%E0%A6%BF%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BE/a-17488336 বিতর্ক শুরু হয়েছে এই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশের সময় নিয়ে৷ আর দিন কয়েক পরেই ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচন৷ ঠিক তার আগের সময়টাকেই বেছে নেয়া হলো কেন? সাম্প্রদায়িকতা উসকে দিয়ে বিজেপি দুর্গে তোপ দাগায় স্বভাবতই বিচলিত বিজেপি শিবির৷ বিজেপির দাবি, এটা একটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ‘স্পনসর্ড' অপারেশন৷ ধর্মীয় মেরুকরণের লক্ষ্যে বিজেপি-র বিরুদ্ধে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে, এমনও অভিযোগ তুলেছে বিজেপি৷ বিজেপির পালের হাওয়া কেড়ে নিতে চাইছে তারা, যারা হালে পানি পাচ্ছে না৷ নির্বাচন কমিশনকে দেয়া এক চিঠিতে বিজেপি বলেছে, নির্বাচনি প্রচার যখন নির্বিঘ্নে এবং শান্তিপূর্ণভাবে চলেছে, তখন এই সব তথ্য আবহাওয়া বিষিয়ে তুলবে৷ অবিলম্বে এর প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করা জরুরি৷ আম জনতার কাছে সাম্প্রদায়িকতা এখন আর বিজেপির নির্বাচনি ইস্যু নয়৷ নির্বাচনি ইস্যু হলো কংগ্রেসের অপশাসন৷ নাগরিক সমাজ ক্ষুব্ধ এই কারণে যে, ২৩ বছর আগে বাবরি মসজিদ ধ্বংসকাণ্ডের কঙ্কাল তুলে আনা অহেতুক৷ Video > https://www.youtube.com/watch?v=dQ2Vj8_awwM https://www.youtube.com/watch?v=eydAAmXPglo&feature=youtu.be https://www.youtube.com/watch?v=RXtTBhmIjTU&feature=youtu.be

বাবরী মসজিদ ধ্বংসকান্ডের তদন্ত রিপোর্ট পেশ ভারতের উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় হিন্দুত্ববাদীদের হাতে বাবরী মসজিদ ধ্বংসের প্রায় ১৭ বছর পর লিবারহান তদন্ত কমিশনের রিপোর্ট মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-এর হাতে তুলে দিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি লিবারহান স্বয়ং৷ রিপোর্টের সারমর্ম এই মুহূর্তে জানা যায়নি৷ তবে রিপোর্ট পেশ করতে এত বিলম্ব হওয়ার সমালোচনা করেছে রাজনৈতিক দলগুলি৷ চার ভলিউমের ঐ রিপোর্ট এখন খতিয়ে দেখবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷ বিচারপতি লিবারহান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, রিপোর্ট সংসদে পেশ না হলে অথবা সরকার নিজে তা প্রকাশ না করলে এবিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেন না৷ তবে কী পরিস্হিতিতে ঐ ধ্বংসকান্ড সংঘটিত হয়েছিল, কার প্ররোচনা ছিল, অযোধ্যায় করসেবকদের উদ্দেশে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের ভাষণে কী ছিল, করসেবকদের সভা করার জন্য সুপ্রীম কোর্ট যে জায়গা নির্দিষ্ট করেছিলেন তা কীভাবে লংঘিত হয়েছিল সবই বলা আছে ঐ রিপোর্টে৷ সাক্ষীদের অসহযোগিতাই রিপোর্ট পেশে বিলম্বের মূল কারণ৷ তদন্ত কমিশনের শুনানি হয় ৪০০ বার৷জবানবন্দি নেওয়া হয় শতাধিক সাক্ষীর৷ তারমধ্যে আছেন বিজেপির শীর্ষ নেতা এলকে আডবানি, মুরলী মনোহর যোশি, কল্যাণ সিং, প্রাক্তন বিজেপি নেত্রি উমা ভারতী প্রমুখ৷ বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিং সাংবাদিকদের বলেছেন, বিষয়টি যেহেতু সংবেদনশীল, তাই রিপোর্ট আরও আগে পেশ করলেই ভাল হতো৷ বিজেপি তদন্ত কাজে পূর্ণ সহযোগিতা করেছে৷ প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী উমা ভারতীর সাফ জবাব, ঐ ঘটনার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী নই৷ রাজনৈতিক মহলের ধারণা, রিপোর্ট প্রকাশের পর রাজনৈতিক হাওয়া আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে৷ ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় ষোড়শ শতাব্দীর বাবরি মসজিদকে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের হাত থেকে বাঁচাতে না পারার ব্যর্থতা আড়াল করতে কেন্দ্রের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নরসিমহা রাও-এর কংগ্রেস সরকার লিবারহান তদন্ত কমিশন বসান৷ বাবরি মসজিদ ধংসকান্ডের পর শুরু হয় সাম্প্রদায়িক দাংগা৷ হতাহত হয় বহু লোক৷ প্রতিবেদক: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লী সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক তারিখ 30.06.2009 সম্পাদনা Al-Farooq, Abdullah শেয়ার পাঠান ফেসবুক টুইটার গুগল+ আরো...

রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০১৪


গাঁজা উৎসবে মাতল তারা বিনোদনমূলক গাঁজা সেবনের বৈধতার পর শনিবার প্রথম ডেনভারের সিভিক পার্কে বসে গাঁজা সংস্কৃতি সঙ্গীত উৎসব। সমকাল ডেস্ক দুই দিনব্যাপী উৎসব। যোগ দিয়েছেন ৮০ হাজার তরুণ-তরুণী। অবাক হলেও সত্য, এটি গাঁজা উৎসব। বসেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো রাজ্যের রাজধানী ডেনভারের সিভিক পার্কে।গাঁজা উৎসবে মাতল তারা ছবি: মেইল অনলাইন। সম্প্রতি মার্কিন এই রাজ্যটিতে বিনোদনমূলক গাঁজা সেবন ও বিকিকিনি বৈধতা পাওয়ার আনন্দে বসেছে গাঁজা উৎসব। তবে উৎসবকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এপ্রিলের ২০ তারিখ এটি পালন করা হয়েছে বলে এর নাম দেওয়া হয়েছে ৪/২০। গাঁজা উৎসবের শুরুতে ডেনভারের উপকণ্ঠে সিভিক সেন্টারে এক শোভাযাত্রায়ও অংশ নেন তরুণ-তরুণীরা। গত বছর একই সময়ে শোভাযাত্রা করে গাঁজা সেবনের বৈধতার দাবি জানিয়েছিলেন তারা। পরে এ বছরের শুরুতে কর্তৃপক্ষ আইন করে বিনোদনমূলক গাঁজা সেবন ও বিকিকিনি বৈধতা দান করে। তবে সেবন করতে হবে নিজের ঘরে বসে এবং ২১ বছরের কম কেউ গাঁজা ক্রয় ও সেবন করতে পারবে না। এ আইনের পর জানুয়ারি থেকেই ডেনভারের খুচরা দোকানগুলোতেও প্রকাশ্যে গাঁজা বিকিকিনি শুরু হয়। বিনোদনমূলক গাঁজা সেবনের বৈধতার পর শনিবার প্রথম ডেনভারের সিভিক পার্কে বসে গাঁজা সংস্কৃতি সঙ্গীত উৎসব। তবে এবিসি ডেনভারের এক খবরে বলা হয়, উৎসবস্থল থেকে কম বয়সী কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডেইলি মেইল অনলাইন।

স্বামীকে দিয়ে ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করাল স্ত্রী! নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ১২ বছরেরর এক শিশুকে দুই দিন আটকে রেখে স্বামীকে দিয়ে ধর্ষণ করানোর অভিযোগ উঠেছে শারমিন নামের এক নারী শ্রমিকরে বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আজ সকালে শারমিন ও তার স্বামী রাসেলের বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ধর্ষিতার বাবা। তবে এখনো তাদের আটক করতে পারেনি পুলিশ। শারমিন ও রাসেল শিল্পনগরী বিসিকের ২নং গলি এলাকার ভাই ভাই প্রিন্টিং কারখানায় চাকরি করেন। এদিকে ওই ধর্ষিতাকে শনিবার রাত ৯টায় উদ্ধারের পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়, মাসদাইর ছোট কবরস্থান এলাকার ওই শিশু ৬ মাস আগে বিসিক ২নং গলি এলাকায় ভাই ভাই প্রিন্টিং কারখানায় হেলপার হিসেবে যোগ দেয়। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় কর্মস্থলে যায়। প্রতদিনের মতো দুপুর ১টায় বাসায় খাবার খেতে না আসায় তার খোঁজ শুরু হয়। পরে মা জানতে পারেন দুই দিন আগে কারখানায় নিয়োগ পাওয়া শারমিন তার মেয়েকে বোরকা পরিয়ে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছেন। তাকে দুই দিন আটকে রেখে স্বামী রাসেল ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষিতার বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার এস আই মিজানুর রহমান জানান, ওই শিশুকে শারমিন কারখানা থেকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার নাম করে নিয়ে যান। রাতে তাকে আটকে রেখে শারমিনের স্বামীকে দিয়ে ধর্ষণ করায়। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।

মাটিচাপা দেয়া নবজাতকের পরিচয় মিলেছে বরিশাল প্রতিনিধি, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published: 2014-04-20 20:57:27.0 BdST Updated: 2014-04-20 22:24:19.0 BdST বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় মাটিচাপা দেয়া জীবন্ত উদ্ধার হওয়া নবজাতিকার পরিচয় পাওয়া গেছে। Print Friendly and PDF 0 2 1574 Related Stories মাটিচাপা দেয়া জীবন্ত নবজাতক উদ্ধার 2014-04-18 18:08:42.0 আগৈলঝাড়া থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শুক্রবার উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রাংতা গ্রামে একটি গমক্ষেত থেকে মেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের আগৈলঝাড়া ছোটমনি নিবাস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তখন থেকে সেখানেই আছে। ছোটমনি নিবাস কর্তৃপক্ষ শিশুটির নাম রেখেছে ‘ময়না’। ময়না এখন সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে বলে জানান ছোটমনি নিবাসের উপ-তত্ত্বাবধায়ক আবুল কালাম। আগৈলঝাড়া থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ভোররাতে জন্ম নেয়া এ শিশুর মা একজন কুমারী। নবম শ্রেণির ছাত্রী। লোকলজ্জার ভয়ে তাকে ফেলে যায় ওই কুমারীর মা। ওসি জানান, গত বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাংতা গ্রামের নিকট আত্মীয় শাহ আলম মোল্লার বাড়িতে মেয়েকে (কুমারী মাতা) নিয়ে বেড়াতে যান মাদারীপুরের দাশার এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম। সেখানে রাত যাপন করে পরদিন খুব ভোরে তড়িঘড়ি করে তারা চলে যান। দুপুরে গমক্ষেত থেকে নবজাতিকাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহ হলে শাহ আলম মোল্লার পরিবারের দুই সদস্যকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি প্রকাশ হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বরিশালের গৌরনদীর নাঠৈ গ্রামে মনোয়ারার আরেক মেয়ের বাড়ি থেকে মনোয়ারা বেগমকে আটক করা হয়। মনোয়ারা বেগম পুলিশকে জানান, লোক লজ্জার ভয়ে তিনি নবজাতিকাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাটিচাপা দিয়েছেন, বলেন ওসি। মনোয়ারার বরাত দিয়ে ওসি আরো জানান, গত রমজানে নবজাতিকার মা ময়মনসিংহের নান্দাইলের উত্তরবন গ্রামে বোনের বাড়ি বেড়াতে যান। ওখানে তাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করে বোনের দেবর শামিম শেখ। ওসি বলেন, ধর্ষণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মাটি চাপা দেয়ার ঘটনায় রোববার আগৈলঝাড়া থানায় মামলা করেছেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শহিদুল রহমান। ধর্ষণ মামলায় আসামি করা হয়েছে কুমারী মায়ের বোনের দেবর শামিম শেখকে এবং হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি করা হয় মনোয়ারা বেগমকে। শামিম শেখকে গ্রেপ্তারের জন্য নান্দাইল থানার ওসিকে বলা হয়েছে বলে জানান আগৈলঝাড়া থানার ওসি। বাংলাদেশের আরো খবর

শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৪


জুমার খুতবায় আওয়ামী লীগের সমালোচনা করায় ইমাম গ্রেপ্তার 19 Apr, 2014 নাটোরে জুমার নামাজের আগে খুতবার সময় বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করায় প্রভাষক মাওলানা রেজাউল করিম নামে এক ইমামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া মাওলানা রেজাউল করিম নাটোর শহরের পশ্চিম বাইপাস মহিলা কলেজের প্রভাষক এবং একই এলাকার দস্তানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ১১ই এপ্রিল শুক্রবার মাওলানা রেজাউল করিম স্থানীয় মসজিদে জুমার নামাজের আগে খুতবার সময় তার বক্তব্যে সারা দেশে আওয়ামী লীগের নানা কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে সমালোচনা করেন। একদিন পরই একই গ্রামের আবদুল লতিফ এ ব্যাপারে নাটোর থানায় মামলা করে। মামলায় ডা. নুরুল ইসলাম নামে ইউনিয়ন জামায়াতের এক নেতাকেও ইন্ধনদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। বৃস্পতিবার রাতে প্রভাষক মাওলানা রেজাউল করিমের ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহজাহান আলী ও অপর ভাই স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল গফুরকে নিয়ে বিষয়টি সমঝোতার জন্য নাটোর সদর আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাসায় আসেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাসার সামনে থেকে শিমুলের চেম্বার জেলা যুবলীগ কার্যালয়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় পুলিশ তাকে আটক করে। নাটোর থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানিয়েছেন, উস্কানি ও উত্তেজনামূলক বক্তব্য দেয়ায় মামলার প্রেক্ষিতে তাকে আটক করা হয়েছে। উৎসঃ তাজাখবর.কম Share on facebook Share on email Share on print 9