বুধবার, ৬ নভেম্বর, ২০১৩

ফারিয়াকে নিয়ে বেডরুমে 07 Nov, 2013 এক রাতের ঘটনা। ভেন গোরান এরিকসনের বাসায় বাংলাদেশের মেয়ে ফারিয়া আলম। তারা একসঙ্গে এক টেবিলে বসে রাতের খাবার খেলেন। এরিকসনের বাসায় কোন পরিচারিকা ছিল না। তাই এরিকসন নিজেই টেবিল পরিষ্কার করলেন। এরপর তিনি টেবিলের ডিশ, প্লেট ধুয়ে ফেললেন। এসব যখন শেষ হলো তখন তিনি ফারিয়া আলমকে নিয়ে সিঁড়ি ভাঙতে শুরু করলেন। পৌঁছে গেলেন তার বেডরুমে। সেখানে কাটে তাদের রাত। এ ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে ইংল্যান্ড ফুটবল দলের সাবেক ম্যানেজার ভেন গোরান এরিকসনের আত্মজীবনী ‘ভেন: মাই স্টোরি’তে। এ বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর বৃটেন সহ পশ্চিমা দুনিয়ায় ব্যাপক সাড়া পড়ে গেছে। শুধু ফারিয়া আলম নন, অনেক মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এরিকসনের। তাদের সবার কথাই এ বইয়ে তুলে ধরেছেন তিনি। আর তা নিয়ে বিশেষ করে বৃটিশ মিডিয়া তোলপাড়। তারা বিভিন্ন প্রতিবেদনে ফিরে যাচ্ছেন পিছনের দিনগুলোতে। তখন এরিকসনের সঙ্গে ফারিয়ার সম্পর্ক প্রকাশিত হয়ে পড়ে তারপর তাদের সম্পর্ক আস্তে আস্তে ভেঙে যেতে থাকে। এক পর্যায়ে ফারিয়া প্রকাশক ম্যাক্স ক্লিফোর্ডের কাছে তার কাহিনী ৫ লাখ পাউন্ডে বিক্রি করে দেন বলে খবর বেরিয়েছিল। সেখানেই ফারিয়া বলেছেন, ওই রাতের খাবার খাওয়ার পর এরিকসন আমাকে নিয়ে তার বেডরুমে প্রবেশ করেন। প্রথম দিন বা সেখানে কিভাবে তারা উদ্দাম যৌনাচারে মিলিত হন তার বিস্তারিত বর্ণনাও দেন। এরিকসন তাই লিখেছেন, ম্যাক্স ক্লিফোর্ডকে ফারিয়া যে কাহিনী বলেছে তাতে রয়েছে আমাদের ওই রাতের শারীরিক সম্পর্কের গ্রাফিক বর্ণনা অর্থাৎ কোন সেন্সর ছাড়া কাহিনীর বর্ণনা। প্রথম ডেটিংয়েই তারা উদ্দাম শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ফারিয়া বলেছেন, ফুটবল এসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী মার্ক পালিওর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক খুব তৃপ্তির ছিল না। তবে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অল্প সময়ের জন্য। অন্যদিকে এরিকসনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল একেবারেই অন্য স্বাদের। তিনি দৈহিক লীলায় ঝানু ওস্তাদ। তার সঙ্গে যে সম্পর্ক হয়েছিল তা ছিল অদভুত। আবেগে ভরা। এক পর্যায়ে ফারিয়া জেনে যান যে, ন্যান্সি ডেলওলিও নামে একজন ইতালিয়ান বান্ধবী আছেন। ভালবাসার টানে তখন থেকে ৬ বছর আগে স্বামীকে ফেলে এরিকসনের কাছে চলে এসেছেন। ন্যান্সির সম্পর্কে একদিন ফারিয়া জানতে চান। জবাবে এরিকসন বলেন তাদের সে সম্পর্ক এখন মৃত। এরিকসন বলেন, ন্যান্সির প্রতি শারীরিক আকর্ষণ অনেক দিন আগেই আমার উঠে গেছে। এরিকসন স্বীকার করেছেন, তিনি ন্যান্সির কথা গোপন করেছিলেন। ফারিয়াকে জানতে দেননি। ন্যান্সি ও এরিকসন একই বাড়িতে বসবাস করলেও তাদের বিয়ে হয় নি তখনও। কিন্তু ন্যান্সিকে ফাঁকি দিয়ে তিনি ফারিয়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরিকসন লিখেছেন, আমি ন্যান্সিকে ঠকাচ্ছি। এতে আমার কোন অনুশোচনা ছিল না। আসলে ন্যান্সি নয়, ভীষণ ভালবেসেছিলাম ফারিয়াকেই। ন্যান্সিকে কিভাবে তার স্বামীর কাছ থেকে ছিনতাই করেছিলেন এরিকসন সে সম্পর্কে লিখেছেন- ১৯৯৭ সালের শরৎ কাল। আমি ইতালিয়ান একটি স্পাতে রাতের খাবার খাচ্ছিলাম। তখন আমার সঙ্গী এক নারী। তিনি সবেমাত্র সুইডেন থেকে আমাকে দেখতে এসেছেন। সহসা আমাদের টেবিলের দিকে এক নারী ও এক পুরুষকে এগিয়ে আসতে দেখলাম। মহিলাটি ছিলেন শ্যামলা। তবে অনেক সুন্দরী। অন্য যেসব লোক সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা সবাই ওই নারীকে দেখতে লাগলেন। তারা বিস্ময়ে বললেন- ওয়াও! তার সঙ্গের পুরুষটি নিজেকে পরিচয় দিলেন গিয়ানকারলো হিসেবে। তিনি রোমা ফুটবল দলের ফ্যান বলে পরিচয় দিলেন। এই দলটির এক সময় ম্যানেজার ছিলাম আমি। পরে রোমার প্রতিপক্ষ দলের ম্যানেজার হই। অল্প সময়ের মধ্যে তাকে দেখে অতি শান্ত মানুষ মনে হলো। কিন্তু আমি তো তার সঙ্গী নারীর দিক থেকে চোখ সরাতে পারছিলাম না। তিনি গিয়ানকারলোর স্ত্রী ন্যান্সি ডেলওলিও। তখন তার চেহারা, অভিব্যক্তি এমন ছিল যে, তার দিকে চোখ না দিয়ে পারা যায় না। আমরা কিছু সময় বসে গল্প করলাম। এর পরের দিন ওই দম্পতির সঙ্গে আমার আবার দেখা। এবার একটি সুইমিং পুলে। ন্যান্সি আমাকে তাদের রোমের বাসায় নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানালেন। আমি তা কবুল করলাম। বললাম, তাহলে তো চমৎকার হয়। তার স্বামী গিয়ানকারলো একজন আইনজীবী। তিনি রোমের বিলাসবহুল এক বাসায় বসে আইনি কাজ করেন। এতে তিনি সফল। তার স্ত্রী ন্যান্সিও একজন আইনজীবী। কিন্তু তিনি তেমন আইনি চর্চা করেন না। আমরা যখন নৈশভোজের টেবিলে তখন আমার পাশের চেয়ারে বসলেন ন্যান্সি। আমাকে এরপর একের পর এক অনেক দিন নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানাতে লাগলেন। প্রতিবারই আমার চেয়ারের পাশে বসেন তিনি। ১৯৯৮ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি। এদিন আমার বয়স ৫০ হলো। বেলা ব্লু নামে একটি রেস্তরাঁ ও নাইটক্লাবে একটি পার্টি দিয়ে তা উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিলাম। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হলো ৬০ জনকে। তাদের মধ্যে ছিলেন ন্যান্সি ও তার স্বামী গিয়ানকারলো। এরিকসন আরও লিখেছেন, তখনও আমি সিঙ্গেল। এর আগেই আমার ইতালিয়ান সুন্দরী গ্রেজিলা মানসিনেলির সঙ্গে প্রেম জমে ওঠে। তখন আমি জেনোয়াতে একটি দলের ম্যানেজার। গ্রেজিলার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে আমার বিয়ে ভেঙে যায়। রোমের ওই জন্মদিনের পার্টি শেষে কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আমি কিছু পানীয় পান করতে গেলাম। তখন আমার সঙ্গে আমার সাবেক স্ত্রী অংকি। এসব বন্ধুর মধ্যে ছিল সে-ও। এক পর্যায়ে কথায় কথায় উঠে আসে ন্যান্সি প্রসঙ্গ। ন্যান্সি শুধু আমাকেই চমকে দেয় নি, সে সবাইকে যেন মোহময় করে ফেলেছিল। আমার স্ত্রী অংকি বললো- এরই মধ্যে যদি এরিকসনের বিছানায় ন্যান্সি না গিয়ে থাকে তাহলে খুব শিগগিরই যাবে। তাদের সম্পর্ক এ পর্যন্ত গড়াবে। আসলেই তার পূর্বাভাস সত্যি হয়েছিল। (আগামীকাল- ফারিয়া-সালমান খান রটনা) উৎসঃ মানবজমিন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন