মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর, ২০১৩

রাষ্ট্রপতিকে ১৮-দলীয় জোট যা বললো... (ভিডিও) 19 Nov, 2013 সরকার ক্ষমতায় থেকে একতরফা নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিরোধী দল এই নির্বাচনে যাবে না। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১৮-দলীয় জোটের নেতারা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদকে আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা সংকট নিরসনে আলোচনার উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিরোধী জোটের ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়া নির্দিষ্ট সময়ের বেশ কিছু সময় আগেই বঙ্গভবন এলাকায় গিয়ে পৌঁছান। এসময় খালেদা জিয়াকে বঙ্গভবনের বাইরে ২০-২৫ মিনিটের মত সময় গাড়িতে বসে কাটাতে দেখা যায়। ১৮ দলের পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বক্তব্য রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন। পরে গণমাধ্যমেও ওই বক্তব্যটি দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাষ্ট্রপতিকে বলেন, ‘সরকার তাঁদের জোটের সদস্যদের নিয়ে মন্ত্রিসভা পুনর্গঠন করেছে। বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে সংলাপের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তাই আমরা রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে আজ আপনার কাছে এসেছি।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘মহামান্য রাষ্ট্রপতি, আপনার কাছে আমাদের সনির্বন্ধ অনুরোধ, আপনি সরকারকে বলুন তারা যেন অবিলম্বে সংঘাত, হানাহানি ও হিংস্রতার পথ পরিহার করে সংলাপের একটি সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে। তারা যেন অবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একটি সমঝোতার পথে অগ্রসর হয়।’ রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সম্পর্কে ১৮ দল সচেতন রয়েছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘প্রজাতন্ত্রের সংবিধান থেকে উত্সারিত আপনার ক্ষমতা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে আমরা সচেতন রয়েছি। কিন্তু কখনো কখনো এমন পরিস্থিতি আসে যখন রাজনীতিকদের হাতে প্রণীত এবং সংকীর্ণ স্বার্থে রদবদলকৃত সংবিধানের ধারা-উপধারা জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ থাকে না। তখন তা সংকট নিরসনের পথ নির্দেশনা দিতে সক্ষম হয় না। রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিকে তখন ইতিহাস নির্ধারিত দায়িত্ব পালন করতে হয়।’ ফখরুল বলেন, ‘আমরা মনে করি, আজ জাতীয় জীবনে এমন একটি সময় এসেছে। দেশ জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে জনগণের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আপনি নিজে উদ্যোগী হয়ে এমনি একটি ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবেন, দেশবাসীর সেটাই প্রত্যাশা।’ মির্জা ফখরুল আরও বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতার ও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। একতরফা যেকোনো নির্বাচনের উদ্যোগ কেবল সামাজিক শান্তি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত করে না, বরং গণতন্ত্রের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত করে তোলে। এর আগে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া জোটের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বঙ্গভবনে যান। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও ২০ সদস্যের প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং ১৮-দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে নজির আহমদ, অলি আহমদ, আবদুল লতিফ নেজামী, আন্দালিব রহমান, শফিউল আলম প্রধান, শওকত হোসেন, মো. ইব্রাহিম প্রমুখ। উৎসঃ প্রথম আলো

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন