বুধবার, ১৩ নভেম্বর, ২০১৩

মুসলিম ব্রাদারহুডের সংস্কার মিশন 13 Nov, 2013 বিপ্লবোত্তর মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহণে মুসলিম ব্রাদারহুডের কোনো প্রস্তুতিই ছিল না। এমনকি বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রও এ ধরনের সরকার মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল না। উভয়ের মধ্যে একটা পারস্পরিক সন্দেহ বিরাজ করছিল। মুসলিম ব্রাদারহুড নিজেদের সংস্কার সাধন না করে, তাহলে পশ্চিমারা তাদের মিশরের রাষ্ট্র ক্ষমতায় মেনে নিবে না, এটাও নিশ্চিত ছিল। সুতরাং, মুসলিম ব্রাদারহুডের উচিত তাদের কর্মকাণ্ডে তাৎক্ষণিকভাবে ইস্তফা দিয়ে আরো সময় নিয়ে পুনরায় সংগঠিত হওয়া। আর এটা হবে ধর্ম, সমাজ ও রাজনীতি নিয়ে তাদের ভিশন সম্পর্কে নতুন করে চিন্তার মধ্যদিয়ে। সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে এখন লড়াই করে মুসলিম ব্রাদারহুড কিছুই অর্জন করতে পারবে না। কারণ মিশরের সেনাবাহিনী মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিধর এবং নির্মম। অন্যদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেরও উচিৎ ব্রাদারহুডের নেতাদের মুক্ত করে দেয়া। যেন সংগঠনটি চরমপন্থার দিকে পা না বাড়ায়। মিশরের ইসলামপন্থি দলগুলোর ধ্যান-ধারণা পর্যালোচনা করে বলা যায়, আরবের সবচেয়ে জনবহুল দেশ মিশরকে শাসন করতে হলে ব্রাদারহুডকে নিজেদের মধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্কার আনতে হবে; ১. তিউনিসিয়া এবং তুরস্ক থেকে শিক্ষা গ্রহণ মুসলিম ব্রাদারহুডকে তুরস্ক এবং তিউনিসিয়ার কাছে থেকে শিক্ষা নিয়ে সমাজের ‘বহুমুখিতা’ মেনে নিতে হবে। আর এটাও মেনে নিতে হবে যে, সেক্যুলার রাষ্ট্র মাত্রই ইসলাম বিরোধী নয়। প্রকৃতপক্ষে একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রই মিশরের ইসলামপন্থি, কপটিক খ্রিষ্টান এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারে। ২০১২ সালের জুনে তিউনিসিয়ার ইসলামপন্থি দল আন্না হাদার প্রধান রশীদ ঘানুসি মুসলিম ব্রাদারহুডকে পরামর্শ দেন, মুরসি যদি সেক্যুলারদের ক্ষমতার ভাগ না দেন, তাহলে তাহরির স্কয়ারের বিপ্লবীরাও তাকে আর সমর্থন করবে না। তিউনিসিয়ায় ইসলামপন্থিরা সংবিধানে ইসলামি আত্মপরিচয়কে একটি মূলনীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়নি। কিন্তু মিশরের ইসলামপন্থিরা সংবিধানে মিশরীয়দের ইসলামি আত্মপরিচয়কে প্রতিষ্ঠার জন্য জান-প্রাণ লড়াই করে। এতে করে সেক্যুলাররা ভয় পেয়ে যায়। তেমনিভাবে তুরস্কের এরদোগানও প্রকাশ্যেই বলাবলি করেন, ব্রাদারহুড ভুল পথে হাঁটছে। ২০১১ সালে তিনি প্রকাশ্যে মিশরের নেতাদের গণতন্ত্র মেনে নেয়ার আহবান জানান এবং বলেন, সেক্যুলারিজম মানে ‘ধর্মহীনতা’ নয়। কিন্তু এর জবাবে ব্রাদারহুডের মুখপাত্র এসাম আল আরিয়ান মন্তব্য করেন, তুরস্কের কাছ থেকে মিশরকে গণতন্ত্র শিখতে হবে না। এরদোগান এবং ঘানুসি উভয়েই নিজ দেশের সেক্যুলার রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল ছিলেন। তারা জানতেন, ইসলামপন্থিরা তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে সেক্যুলাররাও বসে থাকবে না। এছাড়া মুরসি সমর্থকরা আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের সেক্যুলার এবং আধুনিক অ-ইসলামপন্থি মুসলিম, কপটিক খ্রিষ্টান, রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যম এবং বিচার বিভাগের জনমত গঠনের ক্ষমতা সম্পর্কে কোনো ধারণাই করতে পারেনি। এছাড়া পশ্চিমারাও তাদের পুরো চার বছর ধরেই সমর্থন দিয়ে যাবে এটা ভাবাটাও ভুল ছিল। আর তারা সবচেয়ে ভয়াবহ ভুলটি করেছিল সেনাবাহিনী তাদের প্রতি অনুগত থাকবে, এটা ভেবে। ২. অভিজাতদের সঙ্গে সমঝোতা মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্নার সময় (১৯০৬-১৯৪৯) সংগঠনটির সফলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ছিল তিনি মিশরের অভিজাত শ্রেণী বিশেষ করে কায়রোর অভিজাত শ্রেণীর চরিত্র ভালো মতোই বুঝতেন। তিনি নিয়মিতই ন্যাশনাল অপেরা হাউজে যেতেন এবং রাজা প্রথম ফারুকের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। এছাড়া তিনি গণমাধ্যম এবং সেনাবাহিনীর ক্ষমতা সম্পর্কেও ওয়াকিবহাল ছিলেন। তিনি আরব জগতের প্রথম ম্যাগাজিনগুলোর একটির প্রতিষ্ঠাতা। এমনকি ১৯৫২ সালের মিশরীয় বিপ্লবের নেতা মোহাম্মদ নাগিব এবং গামাল আব্দুন নাসেরও এক সময় তার অনুসারি ছিলেন। আধুনিক ব্রাদারহুডকেও সফল হতে হলে তাদের শুধু রাস্তায় পড়ে থাকলে হবে না বরং সেই একই অভিজাতদের সঙ্গেই আবারো সমঝোতা করতে হবে। মিশরের অভিজাতরা ব্যক্তিগতভাবে অধার্মিক নন। তারা নিয়মিত নামায পড়েন। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান-সদকা করেন। আল-আজহারের বিখ্যাত পণ্ডিতদের পৃষ্ঠপোষকতা করেন। অভিজাতদের আবাসিক এলাকাগুলোর মসজিদগুলো মিশরের সবেচেয় ধনী মসজিদ। কিন্তু ব্রাদারহুড তাদের এই ধার্মিকতা বোঝে না। কারণ মুসলিম ব্রাদারহুড ইসলামকে শুধু একাট্টা একটি রাজনৈতিক আদর্শ হিসেবেই বিবেচনা করে। অন্যদিকে এই অভিজাতরাও ব্রাদারহুডকে বুঝতে পারে না। তারা সংগঠনটিকে খুবই সন্দেহের চোখে দেখে থাকেন। মুসলিম ব্রাদারহুড সম্পর্কে গণমাধ্যম এবং সেনাবাহিনী চরমপন্থার যে অভিযোগ করে, তারা সেটাই বিশ্বাস করে। তারা সালাফি সংগঠন এবং ব্রাদারহুডের মধ্যে কোনো ফারাক করতে পারেন না। ৩. সালাফিদের সঙ্গ ত্যাগ সালাফিদের সঙ্গে ব্রাদারহুডের আদর্শের অনেক ক্ষেত্রে মিল থাকার কারণেই মিশরে তাদের মূলধারার সমাজবহির্ভূত সংগঠন হিসেবে গণ্য করা হয়। উদাহরণত, ব্রাদারহুড সদস্যরা যখন তুরস্ক সফরে যায়, সেখানে তারা এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নারী সদস্যদের সঙ্গে ছবি তুলতে অস্বীকৃতি জানায়। তাদের ভয়, সালাফিরা এসবের ব্যবহার করে তাদের ইসলামপন্থি ইমেজ ধ্বংস করার চেষ্টা করবে। এছাড়া ব্রাদারহুড নিজেদের ইসলামপন্থি ইমেজকে আরো শক্তিশালী করার আশায় সালাফিদেরও ক্ষমতার ভাগিদার করে। এমনকি তাদের মিশরের সংবিধান রচনার প্রক্রিয়াতেও অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেয়। সালাফিদের সঙ্গে তারা নিয়মিতই ওঠা-বসা এবং আলোচনা সভা করতো। এর মাধ্যমে সালাফি এবং জিহাদিদের সরকারবিরোধী সংঘাত থেকে বিরত রাখা গেলেও তা মিশরের ভোটারদের মনে আস্থা স্থাপন করতে পারেনি। তাছাড়া সাধারণ জনগণ সালাফিদের কিছু চরমপন্থি কর্মকাণ্ডের জন্য ব্রাদারহুডের বিরুদ্ধে নিয়মিতই অভিযোগ করতে থাকেন। ব্রাদারহুডের প্রশ্রয় পেয়েই সালাফিরা গ্রামে প্রায়ই শরীয়া আদালত বসিয়ে বিচার করাসহ খ্রিষ্টান নারীদেরও বোরখা পরতে বাধ্য করার মত ঘটনা ঘটায়। সুতরাং ব্রাদারহুডের উচিত এখনই সমাজের মূলধারায় ফিরে আসা। ৪. ব্যক্তি নয়, প্রতিষ্ঠানকে প্রাধান্য মুরসি প্রশাসন প্রায়ই ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানকে গুলিয়ে ফেলতো। এর ফলে ব্রাদারহুড রাজনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উদাহরণত, প্রেসিডেন্ট মুরসি এবং জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি কায়রোর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রায়ই একসঙ্গে নামায পড়তেন এবং আল সিসির স্ত্রী হিজাব পরতেন। আল সিসির ব্যক্তিগত এই ধর্মপরায়ণতা দেখে মুরসি মনে করেন, পুরো সেনা বাহিনীই হয়তো তাদের মেনে নিয়েছে। কিন্তু মিশরীয় সেনা বাহিনীর জাতীয়তাবাদ, সেক্যুলারবাদী আদর্শ এবং সাধারণভাবে ব্রাদারহুড বিরোধী অবস্থান বুঝতে মুরসি পুরোপুরি ব্যর্থ হন। আর ব্রাদারহুড এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত অ্যানি পিটারসেনের ঘনিষ্টতা দেখে মুরসি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের পুরোপুরি সমর্থন করছে। একইভাবে মুরসি ফিলিস্তিনের গাজার শাসক দল হামাসের চরমপন্থার কথা ভুলে গিয়েই সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে সখ্যতা করেন। এছাড়া, মুসলিম ব্রাদারহুডের নিজেকেও একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবেই গড়ে তুলতে হবে। মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে মিশরের সেনাবাহিনী, বিচার বিভাগ এবং গণমাধ্যমের অনেক লোকেরই ব্যক্তিগত যোগাযোগ আছে, যা সংগঠনটির অনেক কাজেই লাগতে পারে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। অভিজাত শ্রেণীর সামান্য কিছু লোকের সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ দিয়েই ব্রাদারহুড ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না। ৫. নারী ও তরুণদের দলে ভেড়ানো মিশরের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি নারী এবং প্রতি তিনজন নাগরিকের একজনের বয়সই ২৮ বছরে নিচে। এমন একটি দেশে মুসলিম ব্রাদারহুড একটি মধ্যযুগীয় সংগঠনের মতো আচরণ করলে তো টিকে থাকতে পারবে না। বর্তমানে তাদের নারীদের জন্য মুসলিম সিস্টারহুড নামে একটি আলাদা সংগঠন আছে। কিন্তু মূল সংগঠনে নারীরা সদস্য হতে পারেন না। অথচ তিউনিসিয়ার ইসলামপন্থি দল আন্না হাদার নারী সদস্যরা দলটিতে একটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকেন। তারা পুরুষদের সঙ্গে সমানতালেই চলেন। তেমনিভাবে তুরস্কের ইসলামপন্থি নারীরাও পুরোপুরি পশ্চিমা পোশাক পরেই পার্লামেন্টে হাজির হন। তাদের অনেকেই হয়তো হিজাব পরেন কিন্তু বেশিরভাগই মাথা খোলা রেখেই চলাফেরা করেন। কিন্তু তাদের ধার্মিকতা নিয়ে কারো কোনো সংশয় নেই। ব্রাদারহুডেরও উচিৎ তুরস্ক এবং তিউনিসিয়ার ইসলামপন্থিদের মতই নারীদের মূলধারার সাংগঠনিক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে পশ্চাৎপদতার যে অভিযোগ আছে, তা থেকে মুক্ত হওয়া। ব্রাদারহুডের বেশিরভাগ নেতাই বর্তমানে জেলে বন্দি হওয়ায় এখন ব্রাদারহুডের নারী এবং তরুণ সদস্যদের জন্য একটা সুযোগ এসেছে নেতৃত্বের প্রথম সারিতে চলে আসার। ৬. শরীয়ার চেতনা ব্যাখ্যা উপরে সংস্কারের যে রূপরেখা টানা হলো তা একটি মৌলিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে সহায়ক হবে। প্রশ্নটি হলো- ইসলামি রাষ্ট্র মানে কী? ব্রাদারহুডের পুরোনো স্লোগান ‘ইসলামই সমাধান’ বা ‘কোরআনই আমাদের সংবিধান’ এসব আর চলবে না। ব্রাদারহুডও ক্ষমতায় আসার পর এসব স্লোগান না আউড়িয়ে বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু ব্রাদারহুডের তৃণমূল পর্যায়ের সদস্যরা এর তাৎপর্য অনুধাবনে ব্যর্থ হয়েছে। তারা বুঝতে পারেনি ‘কোনো স্বর্গীয় কিতাব’ মিশরের সংবিধান হতে পারে না। তিউনিসিয়ার ইসলামপন্থি দল আন্না হাদার প্রধান নেতা রশীদ ঘানুসিও এই নির্মম সত্যটি মেনে নেন। এটা নিছকই পশ্চিমাদের বা সেক্যুলারদের শান্ত করার কোনো কৌশল নয়। বরং ইসলামি আইন শাস্ত্রের মধ্যেই এর শেকড় নিহিত রয়েছে। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্নার নাতী অক্সফোর্ডভিত্তিক একাডেমিশিয়ান তারিক রামাদান আধুনিক জামানায় শরীয়ার লক্ষ্য উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিৎ তা ব্যাখ্যা করে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন। তিনি ‘মাকাসিদ আল শরীয়াহ’ নামে একটি তত্ত্ব হাজির করেন। ধ্রুপদী মুসলিম পাণ্ডিত্যের চিন্তা ধারার ওপর ভিত্তি করেই তিনি এটা করেন। এই তত্ত্ব আইনের লক্ষ্য এবং চেতনার মধ্য দিয়েই ইসলামি শরীয়াকে বুঝার তাগিদ দেয় এবং আইনের কোনো একটি বিশেষ ধারার আক্ষরিক ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করেই শুধু শরীয়ার মর্ম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করে। কিন্তু ইসলামের এই ঐতিহ্য সম্পর্কে ব্রাদারহুড একদমই ওয়াকিবহাল নয়। মাকাসিদের পথে না হাঁটলে মুসলিম ব্রাদারহুড নাগরিক মডেলের অনুসরণে নারী এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার নায্যতা প্রতিপাদন করতে পারবে না। ব্রাদরহুড যদি রক্ষা পেতে চায় তাহলে তাদের অবশ্যই ‘মাকাসিদ আল শরীয়াহ’ তত্ত্ব প্রকাশ্যেই গ্রহণ করতে হবে এবং তার সৈনিকদের এ তত্ত্বের আলোকেই দীক্ষিত করে তুলতে হবে। এভাবে, ভবিষ্যতে ব্রাদারহুড নিয়ন্ত্রিত একটি পার্লামেন্ট শুধু নারীদের খৎনা করানো বা অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারীদের বিবাহের ইস্যু নিয়েই তর্ক-বিতর্ক করবে না বরং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বেকারত্ব দূরীকরণ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সব মিশরীয়দের জীবনে সমৃদ্ধি অর্জনের মতো বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক-বিতর্কে লিপ্ত হবে। (ইসলামিক আদর্শ, রাজনীতি বিশেষ করে বৃহত্তর মধ্যপ্রাচ্যে ইসলামী আন্দোলন ও সুশীল সমাজ, সালাফি, সুফী এবং মিশরসহ আরবের রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এড হুসেন। মিডল-ইস্টার্ন স্টাডিজের সিনিয়র এই ফেলোর লেখা ‘রিফর্মমিং দ্যা মুসলিম ব্রাদারহুড’ শিরোনামের নিবন্ধ থেকে লেখাটি অনূদিত।) উৎসঃ আরটিএনএন

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন