বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৩

চট্টগ্রাম ছিল এক যুদ্ধক্ষেত্র : নিহত ২, আহত ৭০ : শতাধিক গাড়ি ভাংচুর-আগুন : আটক ৬০ চট্টগ্রাম ব্যুরো « আগের সংবাদ 11 পরের সংবাদ» নির্বাচন কমিশন ঘোষিত কালো তফসিলের বিরুদ্ধে ১৮ দলীয় জোটের অবরোধের দ্বিতীয় দিনে গতকাল চট্টগ্রামে পুলিশ-বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল বেপরোয়া। নগরী ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবরোধকারী ১৮ দলের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে রাবার বুলেট, টিয়ারশেলের সঙ্গে সঙ্গে মুহুর্মুহু গুলি চালিয়েছে পুলিশ। উপর্যুপরি গুলিবর্ষণে অন্তত ২০ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যও রয়েছে। এদিকে গত রাতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় পিকেটারদের ধাওয়া খেয়ে একটি মাইক্রোবাস খাদে পড়ে গিয়ে এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যুদ্ধংদেহী অবস্থানের পরও রাজপথ দখলে রাখেন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। দিনভর চলতে থাকা সংঘর্ষে নগরী কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। সংঘর্ষের সময় নগরীর নিমতলা ট্রাক টার্মিনাল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক যানবাহনে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। অলংকার এলাকায় পুলিশের ৪টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়া হয়। জেলার পটিয়ায় পুলিশের সঙ্গে অবরোধ সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় পালাতে গিয়ে টেম্পো উল্টে মারা যান টেম্পো চালক এরশাদ আলী। এদিকে অবরোধ সমর্থকদের ওপর পুলিশি হামলার ছবি তুলতে গেলে আমার দেশ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের স্টাফ ফটোগ্রাফারের ক্যামেরা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন কোতোয়ালি থানার ওসি। এদিকে নগরীর জামালখান এলাকায় চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিস লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েকজন দুর্বৃত্ত দূর থেকে জেলা নির্বাচন অফিস লক্ষ্য করে একটি পেট্রল বোমা ছুড়ে মারে। বোমাটি অফিস কম্পাউন্ডের ভেতরে পড়ে বিস্ফোরিত হয়। এ সময় আগুন ধরে গেলে পুলিশের বসার একটি কাঠের বেঞ্চ পুড়ে যায়। নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা গুলি ছুড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি। তাত্ক্ষণিকভাবে কেউ আহত হওয়ারও খবর পাওয়া যায়নি। পুলিশ জানায়, কাচের বোতলের ভেতর পেট্রল ও অন্যান্য বিস্ফোরক দিয়ে বোমাটি তৈরি করা হয়েছিল। অবরোধের দ্বিতীয় দিন গতকাল সকাল থেকেই নগরীর এ কে খান গেট থেকে সিটি গেট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এছাড়া নগরীর বন্দর সংলগ্ন নিমতলা, কাজীর দেউড়ি, ওয়াসা, জেলার সীতাকুণ্ডের বটতলা, পটিয়া কলেজ রোড এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও পিকেটারদের ধাওয়ায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। আটক করা হয়েছে অন্তত ৬০ নেতাকর্মীকে। অবরোধে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলো থেকে চট্টগ্রাম নগরী কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সড়ক ও রেল যোগাযোগ। এ কে খান গেট এলাকায় রেললাইন অবরোধ করে আগুন দেয়ায় বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন চলাচল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মহানগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মিছিল কাজীর দেউড়ি এলাকা দিয়ে নাসিমন ভবনের সামনে গেলে পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে মিছিলটি আবার কাজীর দেউড়ি এলাকা দিয়ে আলমাস সিনেমার দিকে চলে যাওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ভিআইপি টাওয়ারে (মার্কেট) হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এ সময় সেখানে একটি সিএনজি আটোরিকশাতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলে যাত্রী আব্দুল আলিম ও তার ভাই মো. মোরশেদ আগুনে ঝলসে যায়। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ব্যাপক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট গুলি চালায় । এ সময় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদলের জমির উদ্দিন নাহিদ, ফয়সাল মাহমুদ ও মোটর চালক দলের মো. রফিক আহত হয়। পুলিশ ভিআইপি টাওয়ারের ভেতরে বিভিন্ন দোকানপাট ও অফিসে ঢুকে অন্তত ৩০ জনকে আটক করে নিয়ে যায়। এদিকে একই সময় বন্দর সংলগ্ন নিমতল বিশ্ব রোডে অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় ৭ পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়। পুলিশ অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে ব্যাপক টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও গুলি ছুড়েছে। অবরোধকারীরা নিমতলা ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন এলাকায় অন্তত ৩৫টি ট্রাক ভাংচুর করে। এখান থেকে বন্দর এবং হালিশহর থানা পুলিশ ১৯ জনকে আটক করে। বন্দর থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম জানান, অবরোধকারীরা ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সকালে বন্দর থানা পুলিশ গোসাইডাঙ্গা বিএনপির সভাপতি জাহিদুল হাসান ও জামায়াত কর্মী নজরুল এবং সি-ম্যান হোস্টেল এলাকা থেকে ছাত্রদল নেতা মো. হোসেন টিটুকে আটক করা হয়েছে বলে শিকার করেন ওসি। এদিকে সকাল ১১টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নগরীর কর্নেলহাট ও এ কে খান এলাকায় ১৮ দলের কর্মীদের সঙ্গে র্যাব, পুলিশ ও বিজিবির ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বিকাল পর্যন্ত চলা এ সংঘর্ষ একপর্যায়ে খণ্ডযুদ্ধে পরিণত হয়। বিকাল পর্যন্ত এখানে অন্তত ৫ জন গুলিবিদ্ধসহ ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে যুবদল নেতা আব্দুল হান্নানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কর্নেলহাট সিটি গেট এলাকায় সকাল থেকে থেমে থেমে সংঘর্ষে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ১ কিলোমিটার এলাকা কার্যত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সিটি গেট এলাকার পুলিশ বক্সে হামলা চালায় অবরোধকারীরা। এ সময় সেখানে থাকা পুলিশের ৪টি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দেয়া হয়। এ কে খান এলাকার নেতাকর্মীরা র্যাব পুলিশের তাড়া খেয়ে ইস্পাহানী এলাকায় রেললাইনের ওপর অবস্থান নিয়ে লাইনে আগুন দেয় ও ফিস প্লেট খুলে নিলে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আটকা পড়ে চট্টগ্রামমুখী সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও মহানগর প্রভাতী। এ সময় চট্টগ্রাম স্টেশন থেকেও কোনো ট্রেন ছেড়ে যেতে পারেনি। এদিকে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম থেকে শুধু চাঁদপুরগামী সাগরিকা ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ছেড়ে গেলেও বিকাল পর্যন্ত আর কোনো ট্রেন ছাড়েনি। অপর দিকে কর্নেলহাট এলাকায় অবরোধকারীরা মহাসড়কের ওপর অবস্থান নিলে সেখানেও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার এয়াকুবনগর বটতলা এলাকায় অবরোধকারী ও পুলিশ-বিজিবির মধ্যে সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধসহ ৮ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় অবরোধকারীদের ইটপাটকেলের আঘাতে ২ পুলিশ ও এক বিজিবি সদস্য আহত হয়। গুলিবিদ্ধরা হলো নাজিম উদ্দিন, আবসার। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছেন এসআই মিজান, এসআই আনোয়ার ও বিজিবি সদস্য লুত্ফর। স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, সকালে ১৮ দলের নেতাকর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা অবরোধ সরিয়ে নিতে গেলে অবরোধকারীদের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ নির্বিচারে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে শিম ক্ষেতে কাজ করা অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দা নাজিম ও আবসার গুলিবিদ্ধ হন। এদিকে সকাল ১১টার দিকে পটিয়ায় অবরোধকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় পালাতে গিয়ে টেম্পো উল্টে চালক এরশাদ আলী গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে দুপুর ১২টার দিকে মৃত্যু হয় তার। রেল যোগাযোগ বন্ধ চট্টগ্রামে রেললাইনের ওপর আগুন জ্বালিয় অবরোধ করার কারণে চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। নগরীর পাহাড়তলী ইস্পাহানী গেট এবং সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা এলাকায় অবরোধকারীরা সকাল থেকে রেললাইনে অবস্থান নিয়ে রেললাইনের ওপর আগুন দিয়েছে। এ কারণে রেল চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরীর অদূরে ফৌজদারহাট স্টেশনে আটকা পড়ে সুবর্ণ ও মহানগর গোধূলী নামের দুটি আন্তঃনগর ট্রেন। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজান (ডিআরএম) এস এম মুরাদ হোসেন জানান, সকাল সাড়ে ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে সাগরিকা এক্সপ্রেস ছাড়া অন্য কোনো ট্রেন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যেতে পারেনি। তিনি চট্টগ্রামের অদূরে ফৌজদারহাট স্টেশনে পরশু ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও মহানগর গোধূলী অবরোধের কারণে আটকা পড়েছে বলে জানান। তিনি জানান, সীতাকুণ্ডের কাছে এবং নগরীর পাহাড়তলী ইস্পাহানী এলাকায় রেললাইন অবরোধ করে আগুন দেয়ার কারণে আপাতত চট্টগ্রামের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উল্লেখ্য, অবরোধের প্রথম দিন এবং গতকালও সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। আমার দেশ-এর ফটোসাংবাদিকের ক্যামেরা ভেঙে ফেলার হুমকি দিলেন ওসি মহিউদ্দিন সেলিম দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার চট্টগ্রাম ব্যুরো অফিসের স্টাফ ফটোগ্রাফার মিনহাজ উদ্দিনের ক্যামেরা ভেঙে ফেলার হুমকি দেন কোতোয়ালি থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম। গতকাল বুধবার সকালে ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় বিনা উসকানিতে অবরোধ সমর্থকদের ওপর পুলিশি হামলার ছবি তুলতে গেলে ওসি মহিউদ্দিন সেলিম এই হুমকি দেন। সভা-সমাবেশ অবরোধের দ্বিতীয় দিনে পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে ওয়াসা মোড়ে এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, কালো তফসিল স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত জনগণ রাজপথ ছাড়বে না। প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে ছাড়া কোনা নির্বাচন এই দেশে হবে না, হতে দেয়া হবে না। প্রশাসন আওয়ামী লীগের নয়, প্রশাসন জনগণের। আশা করব, তারা জনগণের কথা মাথায় রেখে কাজ করবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে ছাড়া কোনো নির্বাচন এই দেশের জনগণ মেনে নেবে না। যতক্ষণ এই সরকার পদত্যাগ না করবে, ততক্ষণ অবরোধ-হরতালসহ কর্মসূচি চলবে। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যে কোনো মূল্যে একদলীয় নির্বাচন দেশের জনগণ প্রতিহত করবে। নিয়ন্ত্রিত কোনো নির্বাচন এই দেশে করতে দেয়া হবে না। প্র্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন বলেন, অবিলম্বে নির্বাচনের তফসিল বাতিল করতে হবে। আওয়ামী লীগ মার্কা কোনো নির্বাচন এই দেশে হবে না। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, জনগণ অবৈধ নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে। চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা শামসুল আলম, মাহবুবুর রহমান শামিম, অ্যাডভোকেট আব্দুস ছাত্তার, জাহাঙ্গীর আলম, কাজী বেলাল, শফিকুর রহমান স্বপন, শাহ আলম, হারুন জামান, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মণি, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আব্দুল মান্নান, ফাতেমা বাদশা, জেলী চৌধুরী, শামসুল হক, মোহাম্মদ সাহেদ, জেসমিন খানম প্রমুখ। কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে শাহ্ আমানত সেতুর (নতুন ব্রিজ) উত্তর পাশে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যোগে দফায় দফায় মিছিল শেষে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী আলহাজ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী এমপির সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন ও সরকার বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটকে বাদ দিয়ে নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। কিন্তু ১৮ দলকে বাদ দিয়ে এদেশে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক শেখ মুহাম্মদ মহিউদ্দিন, এনামুল হক এনাম, জালাল আহমদ, আলহাজ মোশারফ হোসেন, মঞ্জুর উদ্দিন চৌধুরী, কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, মুছা মাহমুদ, অ্যাড. কাশেম চৌধুরী, আবু মোহাম্মদ নিফার, মফজল আহমদ চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, মোর্শেদুল শফি হিরু প্রমুখ। প্রথম পাতা দেশজুড়ে গণবিস্ফোরণ : নিহত আরও ৯ : তফসিলের পর সহিংসতায় ১৮ জনের মৃত্যু, ২৫ অক্টোবর থেকে নিহত ৫২ : চট্টগ্রাম, রাজশাহী, বরিশাল, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, সাতক্ষীরা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর রণক্ষেত্র মানুষ হত্যায় হুকুমের আসামি হতে পারেন খালেদা জিয়া : জনগণ বিরোধীদলীয় নেতাদের গাড়ি পুড়িয়ে প্রতিশোধ নিলে কেমন হবে! : আ.লীগের পার্লামেন্টারী বোর্ডের সভায় শেখ হাসিনা এবার টার্গেট ঢাকা, অবরোধ বাড়ল ১২ ঘণ্টা : আসছে টানা কর্মসূচি সচিবালয়ে শোডাউন : বাথরুমে আশ্রয় নিলেন জনপ্রশাসন সচিব সাংবাদিকদের প্রতীকী অনশন : আমার দেশ ও মাহমুদুর রহমান মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না দেশব্যাপী বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হয় ত্রিমুখী আক্রমণ : সান্ধ্য আইন জারি করে ঘরে ঘরে রক্ষীবাহিনীর তল্লাশি বিফল অন্তরালের সংলাপ : বিএনপি ছাড় দিলেও অনড় সরকার সঙ্কট নিরসনের শেষ উদ্যোগ : জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ দূত তারানকো ঢাকায় আসছেন জনগণকে বিভ্রান্ত করতে সংলাপ সংলাপ খেলছে সরকার - বিএনপি : দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে - রিজভী কুমিল্লা সিটি মেয়রের বাড়িতে তাণ্ডব, র্যাবের বর্বরতার শিকার বিচারক : আদালতে আইনজীবীদের ভাংচুর প্রধানমন্ত্রী চাইলে এক মিনিটেই সরে যেতে পারেন, সংবিধানে কোনো বাধা নেই : ড. কামাল যশোরে জামায়াত নেতা বুলবুলকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে হত্যা : প্রতিবাদে আজ জেলায় হরতালের ডাক পুলিশ-আ.লীগের হামলায় নেতাকর্মী হত্যার প্রতিবাদ : যশোর সিরাজগঞ্জ সাতক্ষীরা কুমিল্লায় ১৮ দলের হরতাল আজ নেতাদের মুক্তির দাবিতে হেফাজতের বিবৃতি : আলেমদের নির্যাতন করে অতীতে কেউ টিকতে পারেনি আপনারাও পারবেন না : ২৪ ডিসেম্বর শাপলা চত্বরের মহাসমাবেশ সফলের আহ্বান পাকিস্তানের নতুন সেনাপ্রধান হলেন রাহিল শরিফ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হাইকশিনারের বৈঠক : নির্বাচন নিয়ে সংলাপের মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছা জরুরি : হেফাজত বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ দল আজকের প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী পরীক্ষা শনিবার ‘জাতীয় পার্টি এখন গণতান্ত্রিক ধারায়’ : নিজ দলের নেতা হত্যার জন্য দায়ী এরশাদের দলের প্রশংসায় ইনু! শাবিতে ভিসি ও জাফর ইকবালের বাসা লক্ষ্য করে ককটেলের নিক্ষেপ দুর্ঘটনায় ৫৪ জন নিহতের জের : একটি ভবনের সঙ্গে ধসে গেল লাটভিয়ার সরকারও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক: মাহমুদুর রহমান। প্রকাশক: আলহাজ্ব মোঃ হাসমত আলী কর্তৃক প্রকাশিত এবং আমার দেশ পাবলিকেশন্স লিঃ ৪৪৬/সি ও ৪৪৬/ডি তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকা-১২০৮ থেকে মুদ্রিত। বার্তা সম্পাদকীয় ও বাণিজ্য বিভাগঃ বিএসইসি ভবন, ১০২ কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ, কারওয়ান বাজার, ঢাকা-১২১৫। পিএবিএক্সঃ ৮১৫৯৫৭৫ (অটোহান্টিং): বিজ্ঞাপন-৮১৫৯৫৮৪, সার্কুলেশন-৮১৫৯৫৮৩, ফ্যাক্সঃ ৮১৫৯৫৮১ ও ৮১৫৯৫৮২ (বার্তা), ৮১৫১৪৪৪ (মফস্বল)। info@amardeshonline.com

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন