বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০১৩
কত কথাই না বলেছিলেন ম খা আলমগীর
22 Nov, 2013
মহীউদ্দীন খান আলমগীর‘দুর্ঘটনার আগে কিছু মৌলবাদী ও বিএনপির ভাড়াটে লোক সাভারের ভবনটির গেট ও বিভিন্ন স্তম্ভ ধরে নাড়াচাড়া করেছিল। ভবনটি ধসে পড়ার পেছনে এটাকেও একটি কারণ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে’—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীরের বক্তব্য এটি। গত ১৪ মাসে নিয়মিত বিরতিতে তিনি এমন বক্তব্য দিয়ে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম দখল করে রেখেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে মহীউদ্দীন খান আলমগীরের ক্যারিয়ারের শুরু। ছিলেন দুঁদে আমলা, ঝুড়িতে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির পিএইচডি, তিন তিনটি স্নাতোকোত্তর ডিগ্রি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিগত সরকারে তিনি একাধিক মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
শুধু যে নাড়াচাড়া তত্ত্ব দিয়ে ‘খ্যাতি’ পেয়েছিলেন মহীউদ্দীন খান আলমগীর তা-ই নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন এবং দোষীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে বাহবা পেয়েছিলেন। পারেননি। উল্টো এ বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি তিনি নিহত এই সাংবাদিক দম্পতির দাম্পত্য জীবন সম্পর্কে কটূক্তি করেন সাংবাদিক নেতাদের সামনে। পরে অবশ্য তিনি তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেন। আর ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু তাঁর পক্ষে সাফাই গান এই বলে যে, ‘মন্ত্রী সরল মনে বলেছেন। কৌশলী হলে এভাবে বলতেন না।’
মহীউদ্দীন খান আলমগীর বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের ওপর নির্যাতন চালানো পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে রাষ্ট্রপতির পদক দেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে আরেক বিতর্কের জন্ম দেন। তিনি বলেন, ‘তাঁকে পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে এ ঘটনাও বিবেচনায় আনা হয়েছে। আপনারা লক্ষ করবেন, তিনি (হারুন) তাঁর ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই ভদ্রলোক যাকে আপনাদের ভাষায় দমন করা হয়েছে , তিনি তো মা-বাবা তুলে গালি দিয়েছেন।’
সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জন্য অবশ্য নোবেল পুরস্কার দাবি করেছিলেন জয়নুল আবদিন ফারুক। কারণ তিনি ‘পেপার স্প্রে’র প্রচলন করেছেন। ওই পেপার স্প্রে ব্যবহার করা হয়েছিল শিক্ষকদের ওপর, বাম সংগঠনগুলোর হরতালেও। পেপার স্প্রে ব্যবহারে উদ্বেগ জানিয়েছিল আইন ও সালিশ কেন্দ্র। উত্তরে চাঁদপুরের কচুয়ায় বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের এক অনুষ্ঠানে ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’ মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছিলেন, ‘যখন নৈরাজ্য বন্ধ করার জন্য নিরাপত্তাকর্মীরা মাঠে যান, তখন অবৈধ সমাবেশ দমন করতে নিশ্চয় ফুলের মালা নিয়ে যাবে না, বরং দমনের উপকরণ নিয়েই যাবে।’
উৎসঃ প্রথম আলো
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন