বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪


রাষ্ট্রপতির ক্ষমায় ২৩ খুনি খালাস, আরও ৬ জনের সাজা হ্রাস : সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর তথ্য প্রকাশ সংসদ রিপোর্টার
রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় ফৌজদারি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২৯ কয়েদি ফাঁসি থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই ২৫ জনের ফাঁসি মওকুফ করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর একদিনেই ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। ২০০৫ সালে ২ জন ও ২০০৭ সালে ২ জনের ফাঁসি মওকুফ করা হয়েছে। ফাঁসি থেকে ক্ষমাপ্রাপ্ত ২৯ জনের ২৩ জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে। বাকি ৬ জনকে সাজা পরিবর্তন করে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ৪ জনকে এই বিশেষ ক্ষমতাবলে সাজা কমানো হয়েছে। তারা বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে গতকাল বুধবার সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমানের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সংসদকে এসব তথ্য জানান। বন্দিদের প্রাণভিক্ষার আবেদন বা সাজা মওকুফের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের মুক্তি বা সাজা মওকুফ করার বিষয়টি বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমা পাওয়া এসব ব্যক্তির মধ্যে আলোচিত হলেন মহিউদ্দিন জিন্টু ও বর্তমানে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার মেয়র আবু তাহেরের ছেলে এ এইচ এম বিপ্লব। মন্ত্রীর দেয়া তথ্য থেকে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে বেঁচে যাওয়াদের ১৯ জনই নাটোরের। এরা হলেন জেলার নলডাঙ্গা থানার রামশার কাজীপুর গ্রামের মোবারক শাহের ছেলে মো. আনিছার রহমান ও তার দুই ছেলে মো. সেন্টু এবং মো. ফয়সাল, ফয়েজ শাহের পাঁচ ছেলে এম এ ফিরোজ, ফখরুদ্দিন ফুটু, ফরমাজুল, ফজলুল হক শাহ এবং ফারুক শাহ, আসাদ শাহের ছেলে জাহিদুল, আব্বাস আলীর দুই ছেলে আবুল হোসেন ও শাহজাহান আলী, কোড়ন মিস্ত্রির ছেলে বাদল, কপির মণ্ডলের ছেলে জলিল, জাহিরুল মেম্বারের পরিবারের তিনজন নিজে ও দুই ছেলে সোহাগ ও সাজ্জাদ হোসেন। ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার শহিদুল্লাহর ছেলে জিন্টু ওরফে মহিউদ্দিন, শাঁখারীবাজারের বিজয় ঘোষের ছেলে মিন্টু ঘোষ, মাদারীপুরের পশ্চিম চিলারচর গ্রামের আলাউদ্দিন চৌকিদারের ছেলে চান মিয়া, রাজশাহীর পুটিয়া থানার দরবেশপুর গ্রামের বাবলু, ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানার বকুয়া খাগড়াতলা গ্রামের আবদুল খালেক, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার খাগাউড়া গ্রামের তালেব উদ্দিন, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার আশুতিয়াপাড়া গ্রামের আবদুল বারেকের ছেলে ইসলাম উদ্দিন ওরফে দ্বীন ইসলাম, কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার হোসেনপুর গ্রামের অক্ষয় সাহার ছেলে রাখাল সাহা এবং সিলেটের কোতোয়ালি থানার সাগর দীঘিরপাড় গ্রামের মনি সিংয়ের ছেলে সিমন সিং। মো. আবদুল্লাহর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রতিটি থানায় জনবল বৃদ্ধির পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের রয়েছে। ওই পরিকল্পনার আওতায় পুলিশ বিভাগের সব ইউনিটসহ থানা, ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের জনবল বাড়ানোর কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বাংলাদেশে মাদকাসক্তের সংখ্যা কত এ সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোনো জরিপ হয়নি। তাই দেশে কতজন শিশু বা লোক মাদকাসক্ত, তার সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে এটা স্বীকার্য যে, বিশ্বায়নের ফলে মাদক সমস্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি মাদকাসক্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন