বুধবার, ৫ মার্চ, ২০১৪


উচ্চশিক্ষা ও কর্মসংস্থান বিপুল সম্ভাবনা ফসকে যাবে দক্ষিণ এশিয়ায়? শেখ সাবিহা আলম | আপডেট: ০৯:২৪, মার্চ ০৬, ২০১৪ উচ্চশিক্ষা নিয়ে ভয়ংকর এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দক্ষিণ এশিয়া। তারুণ্যে ভরা এ অঞ্চল শ্রমবাজারের জন্য উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করতে পারছে না। ফলে বিপুল সম্ভাবনার যে হাতছানি, তা ফসকে যাওয়ার উপক্রম। বাংলাদেশের মতোই একই দৃশ্য ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও আফগানিস্তানে। ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ‘হাই ইউনিভার্সিটি এনরোলমেন্ট লো গ্রাজুয়েট এমপ্লয়মেন্ট’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, উপযুক্ত শিক্ষার ব্যবস্থা করা না গেলে যে তরুণেরা জাতির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে গণ্য হতেন, তাঁরাই অভিশাপ বলে বিবেচিত হবেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সালে বিশ্বের শ্রমবাজারে চার কোটি ৭০ লাখ কর্মক্ষম মানুষের ঘাটতি দেখা দেবে। আর শুধু ভারতেই এই সময়ে উদ্বৃত্ত হবে পাঁচ কোটি ৬০ লাখ তরুণ। ইকোনমিস্ট ইনটেলিজেন্স ইউনিটের বক্তব্য, বিশাল এই শ্রমবাজারটিকে নিজেদের কবজায় নিতে এই অঞ্চলের দেশগুলোর উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমকে সময়োপযোগী করতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আনতে হবে নজরদারির মধ্যে। উচ্চশিক্ষা কাজে আসছে কতটা দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় সরকারের ব্যাপক বিনিয়োগ, নারী শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্বারোপ ইত্যাদি কারণে এ অঞ্চল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের বিপুল সংখ্যায় অংশগ্রহণের চ্যালেঞ্জ উতরে গেছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির হার বাড়ার কারণ নারী শিক্ষায় সরকারগুলোর বিশেষ মনোযোগ এবং প্রচুর সংখ্যায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে নারীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হচ্ছে। এখানে ২০০৪ সালের তুলনায় ২০১১ সালে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ভর্তির হার বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে বিনিয়োগ। নেপালে ২০০০ সালের তুলনায় ২০১১ সালে শিক্ষা খাতে সরকারি বরাদ্দ বেড়েছে ১৭০ শতাংশ। ভারতে দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির সুযোগ বাড়াতে ৩০টি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ও ৩০টি মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার কথা রয়েছে। ২০০৪ সালে এ অঞ্চলে উচ্চশিক্ষায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিল এক কোটি ৩৬ লাখ। ২০১১ সালে এ সংখ্যা হয়েছে আড়াই কোটি। এ সময়ে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির হার বেড়েছে ২০০ শতাংশ। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এত শিক্ষার্থীকে পড়ার সুযোগ দিতে পারছে না। ফলে অনেকেই ছুটছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০১২ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় সাত লাখ দুই হাজার ৯৭৯ জন। স্নাতক (পাস ও সম্মান) ও কারিগরি কোর্সে ওই বছর ভর্তির সুযোগ পান তিন লাখ ৯৭ হাজার ৬০১ জন। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান নিয়ে আছে নানা প্রশ্ন। পাকিস্তানের এফিকেসি অ্যাট পিয়ারসনের নির্বাহী কর্মকর্তা সাদ রিজভী বলছেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে খরচ তিন-চার গুণ বেশি। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যে সব সময় মানসম্পন্ন স্নাতক বেরিয়ে আসছেন তা নয়। পিয়ারসন বিশ্বব্যাপী ইংরেজি মাধ্যমের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ভারতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর একটি বড় অংশ খণ্ডকালীন ও চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্নও আছে। কিন্তু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। পার্থেনন গ্রুপ ইন ইন্ডিয়ার অন্যতম অংশীদার অমিত গার্গা বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় ৬৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এমন বিষয় পড়েন, যাতে চাকরি পাওয়া যাবে। তাঁদের পছন্দের তালিকায় আছে আইন, তথ্যপ্রযুক্তি ও প্রকৌশল। অন্যদিকে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী পড়ছেন মৌলিক বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও কলার বিভিন্ন বিষয়। প্রসঙ্গ ব্যবসায় প্রশাসন (বিবিএ বা এমবিএ) পাকিস্তানের করাচিতে ১৯৫৫ সালে পেনসিলভানিয়ার হোয়ার্টন স্কুল অব বিজনেসের সহযোগিতায় ব্যবসায় প্রশাসন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। ১৯৬৬ সালে চালু হয় ঢাকায়। এ দুটি প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নেওয়ার পর বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিরা পদোন্নতি পেতেন। তাঁরা ইংরেজিতে দক্ষতা অর্জন করতেন, যোগাযোগের দক্ষতাও বাড়ত। এ বিষয়গুলো নবীনদের অনুপ্রাণিত করে। কিন্তু এখন এমনও দেখা যাচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার কোনো কোনো দেশে ব্যবসায় প্রশাসনের স্নাতকদের (বিবিএ) আর চাকরির সুযোগ নেই। তবু শিক্ষার্থীরা এ বিষয়েই পড়ছেন। ২০০০ সালে ভারতে ৬০০ কলেজ ছিল, সেখান থেকে বছরে ব্যবসায় স্নাতক হয়ে বের হয়েছেন সাত হাজার। ২০০৯ সালে কলেজের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় এক হাজার ৪০০টি। আসনসংখ্যা এক লাখ ২০ হাজার। পাকিস্তানের ন্যাশনাল এডুকেশন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী বলেন, ব্যবসায় প্রশাসনে যত স্নাতক দরকার ছিল, তার প্রয়োজন মিটেছে। তার পরও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ শিক্ষাক্রম (কোর্স) চালিয়ে যাচ্ছে। চাকরির বাজারে স্নাতকরা কেন পিছিয়ে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যাঁরা বেরোচ্ছেন তাঁদের সবাই মানসম্পন্ন শিক্ষা পাচ্ছেন না। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়লেও মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাব রয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিচ্ছে অথবা খণ্ডকালীন শিক্ষক বেছে নিচ্ছে। ভারতের একটি পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ শিক্ষক খণ্ডকালীন, তাঁরা মাসে চার হাজার থেকে ২০ হাজার রুপি বেতন পান। মানসম্পন্ন শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি না করায় দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো টাইমস হায়ার এডুকেশন র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১০০-এর মধ্যে নেই। প্রথম ৪০০-এর মধ্যে আছে ভারতের তিনটি প্রতিষ্ঠান। ২০১২-১৩ সালের ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের পাঁচটি ও পাকিস্তানের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সমস্যা আরও... একে শ্রমবাজারের কথা মাথায় রেখে শিক্ষাব্যবস্থার বিস্তার ঘটেনি। তার পরও দক্ষিণ এশিয়ায় ছাত্রছাত্রীদের বড় অংশ হয় ব্যবসায় প্রশাসন, নয়তো সরকারি চাকরিতে আগ্রহী। ভারতে নির্মাণশিল্প, গাড়ি-নির্মাণশিল্প, স্বাস্থ্যসেবা খাতে কাজের অনেক সুযোগ আছে। ২০২২ সাল নাগাদ শুধু গাড়ি নির্মাণশিল্পে ১০ কোটি কাজের সুযোগ হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আগ্রহী ব্যাংকিং ও পর্যটন খাতে। এসব খাতে এত দ্রুত ও অধিক কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে না। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতেও দক্ষ জনশক্তির ব্যাপক অভাব আছে। শ্রীলংকার চিত্রও একই রকম। দেশটিতে পরিবহন খাতে চাকরির সুযোগ ২০১০ থেকে ২০২০-এর মধ্যে বাড়বে ৭৩ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে। অর্থনীতি ও তথ্যপ্রযুক্তির জ্ঞান আছে এমন স্নাতকের প্রয়োজন হবে ৮১ দশমিক ৬ শতাংশের মতো। কিন্তু শ্রীলঙ্কায় কলা বিভাগ থেকে পাস করা স্নাতক আছেন ভূরি ভূরি। শ্রীলঙ্কা সরকার অবশ্য এ দিকগুলো নিয়ে ভাবছে। দেশটির সরকার ২০১৩ সালের জুনে ২৫টি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় চালুর কথা ঘোষণা করে। এখন যেসব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেখানেও সম্মান শ্রেণীতে কারিগরি শিক্ষা চালু করা হয়েছে। নেপালের ট্রেনিং ইনস্টিটিউট ফর টেকনিক্যাল ইনস্ট্রাকশনের প্রধান নির্বাহী ভবানী শংকর সুবেদী বলেছেন, সে দেশে পর্যটন, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও ব্যাংকিং সেক্টরে কাজের প্রচুর সুযোগ আছে। কিন্তু সবচেয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে কৃষি ও পশুপালনে। কিছু কিছু উদ্যোগ অবশ্য আছে ভারতের ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসেস কোম্পানি ১৫টি কলেজে ফাউন্ডেশন স্কিলস কর্মসূচি চালু করেছে। আফগানিস্তানে শিক্ষাক্রমকে সময়োপযোগী করতে ২০১১ সালে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। চীনে স্কুল পর্যায় থেকে পুরো শিক্ষাকার্যক্রম খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষাপদ্ধতিও খুঁটিয়ে দেখছে। বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে সর্বত্র। আফগানিস্তানে ২০১৪ সালের মার্চ থেকে দশম শ্রেণীতে তিনটি শাখা চালু হতে যাচ্ছে, সামাজিক বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা। ভারত এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ভারতের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জাতীয় দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচি (ন্যাশনাল স্কিলস ডেভেলপমেন্ট পলিসি) গ্রহণ করেছে। ২০২২ সাল নাগাদ ৫০ কোটি মানুষকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করার একটি লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে। ইকোনমিস্টের এই প্রতিবেদনে ভালো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কর রেয়াতের মতো সুযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় শীর্ষ ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫টিই বেসরকারি। মানসম্মত বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাকার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়ার কথাও বলছে ইকোনমিস্ট। যদিও ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় এ নিয়ে বিতর্ক চলছে। ইকোনমিস্ট বলছে, ফ্রান্সের একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে সিঙ্গাপুরে চলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চীন ও মালয়েশিয়ায় চলছে যুক্তরাজ্যের নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা। এতে করে ভালো ফল পাওয়া গেছে। ছাত্রাবস্থায় সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে কাজের সুযোগ দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে এ প্রতিবেদনে। উদাহরণ হিসেবে বলা হচ্ছে, থাইল্যান্ডের সুরানারি কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্নাতক শ্রেণীতে ওঠার আগেই সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে কাজ করেন। ফলে শ্রমবাজারের সঙ্গে তাঁদের তখনই যোগাযোগ তৈরি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানো সময়ের দাবি বলে উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। পোল্যান্ডের সরকার বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য একটি রাষ্ট্রীয় কমিটি গঠন করেছে। এর আওতায় প্রায়োগিক গবেষণার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ইকোনমিস্ট বলছে, শুধু শ্রমবাজার সম্পৃক্ত উচ্চশিক্ষার প্রচলন করলেই চলবে না। মেধাপাচারের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। ভারতের গ্রামাঞ্চলে চিকিত্সক-সংকট প্রকট। তবু বেশি বেতনের আশায় প্রতিবছর দেশ ছেড়ে হাজারো চিকিত্সক পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। উচ্চশিক্ষিতদের প্রায় অর্ধেকই বেকার মান নিশ্চিত করা জরুরি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন