ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় অনড়
অনড়
রয়েছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বোরকা ও নেকাব পড়ে ক্লাসে আসায় ১২ই
সেপ্টেম্বর ইংরেজি বিভাগের স্নাতকের (সম্মান) ৭ম সেমিস্টারের ছাত্রী হাফসা
ইসলামকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
কর্তৃপক্ষ বলছে, আমরা ড্রেসকোড সংক্রান্ত
সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছি। ওই শিক্ষার্থী ড্রেসকোড মানলেই কেবল তাকে অনুমোদন
দেওয়া হবে। হাফসা ইসলামের বিষয়ে শনিবার ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয়
প্রধানদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বৈঠকটি অনুষ্ঠিত
হয়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, হাফসার পরিবারে পূর্বে বললেও শেষ পর্যন্ত বৈঠকে
উপস্থিত হননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইসফাক ইলাহী
চৌধুরী বলেন, হাফসার পরিবারকে সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। হাফসার ক্ষেত্রে
কিছু বিষয়ে শিথিলও করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা বৈঠকে উপস্থিত হননি। তারা
এখন বলছে ড্রেসকোড পরিবর্তন করতে হবে। এটা বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্ত।
আমরা আমাদের সিদ্ধান্তে অনড়। বিষয়টা এখন আইনীভাবেই মোকাবেলা করা হবে।
হাফসার বড় বড় ভাই আবদুল্লাহ মোহাম্মদ ইসা
বলেন, হাফসাকে যে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেখানে বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্তের
কথা বলা হয়েছে। এখন তারা মৌখিকভাবে কিছু শর্ত শিথিলের কথা বলছে। আমাদের কথা
হচ্ছে ওই ড্রেসকোডই পরিবর্তন করতে হবে। আর যেহেতু লিখিতভাবে হাফসার
বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তাই লিখিতভাবেই প্রত্যাহার করতে হবে। আর
সেটা বোর্ড অব ট্রাস্টির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হতে হবে। কেননা মৌখিকভাবে করা
হলে কয়েকদিন পর আবার যে এ ধরনের ঘটনা ঘটবেনা তার নিশ্চয়তা কোথায় ?
তিনি বলেন, বিষয়টা সমাধান না হলে আমরা তা
আইনীভাবে মোকাবেলা করবো। ইংরেজি বিভাগের স্নাতকের (সম্মান) ৭ম সেমিস্টারের
ছাত্রী হাফসা ইসলাম বলেন, বোরকার সঙ্গে নেকাব পড়ায় গত দুই সেমিস্টার ধরে
আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়েছে। এভাবে আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে বোরকা ও
নেকাব ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।
জানুয়ারিতে নোটিশ জারির পরই এধরনের কড়াকড়ি
শুরু হয় বলে জানান হাফসা ইসলাম। ওই ছাত্রীর আইডি নম্বর ১১৩০৩০০১।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ড্রেসকোডের দোহাই দিলেও গত ২২শে জানুয়ারি একটি
নোটিশ জারি করে ড্রেসকোড ও নিরাপত্তার অজুহাতে ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের বোরকা,
নেকাব ও হিজাব পরা নিষিদ্ধ করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এরপরও যেসব ছাত্রী বোরকা,
হিজাব ও নেকাব পরিধান করতেন তাদের ২৮শে মে শোকজ করা হয়। হাফসাকেও একই দিনে
শোকজ করা হয়। ৩রা জুনের মধ্যে হাফসার কাছ থেকে জবাব চাওয়া হয়। হাফসা জবাব
দিলেও তা বিশ্ববিদ্যালয়ের পছন্দ মতো হয়নি। শেষ পর্যন্ত তাকে বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে বহিস্কার করা হয়। সূত্র : মানবজমিন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন