শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

এক-চতুর্থাংশ এশীয় পুরুষ ধর্ষক, ‘স্ত্রীদেরও ধর্ষণ’ : জাতিসংঘের জরিপ

rapeএশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছয়টি দেশে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, এসব দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পুরুষ কখনো না কখনো ধর্ষণ করেছেন। জাতিসংঘের পরিচালিত এ জরিপ বলছে, এসব ধর্ষক অনেক সময় তাঁদের স্ত্রী বা সাথিদেরও ধর্ষণ করেছেন।
‘দ্য ডন’ বলছে, জাতিসংঘের নারীবিষয়ক অধিদপ্তর আজ মঙ্গলবার জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ থেকে জানা গেছে, এসব দেশের নারীরা ধর্ষণ ছাড়াও নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হন।
ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, পাপুয়া নিউগিনি, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ১০ হাজারেরও বেশি পুরুষের ওপর এ জরিপটি পরিচালিত হয়। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে পরিচালিত এ ধরনের জরিপ এটিই প্রথম।
জাতিসংঘের নারীবিষয়ক অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক রবার্ট ক্লার্ক আজ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অনেক নারীর জন্যই সহিংসতা এক বীভত্স বাস্তবতা। যে সংস্কৃতি পুরুষকে নারীদের ওপরে খবরদারি চালানোর সুযোগ করে দেয়, সেটিকে অবশ্যই বদলে দিতে হবে।’
জাতিসংঘ বলছে, ধর্ষণের প্রবণতা স্থানভেদে হেরফের হয়, তাই যেসব এলাকায় তা পরিচালিত হয়েছে, সেগুলো পুরো দেশের সম্পূর্ণ পরিস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করে না।
কারও অসম্মতিতে বা জোর করে কাউকে যৌনকর্মে বাধ্য করাকে ধর্ষণের ভিত্তি ধরে পরিচালিত গবেষণাটি বলছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ১১ জন তাঁদের স্ত্রী নন এমন নারীদের ধর্ষণ করেছেন। তবে স্ত্রীদের এ তালিকায় যুক্ত করলে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ ধর্ষণ করেছেন। তবে, ধর্ষণ করেছেন এমন পুরুষের ৪৫ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা একজনের বেশি নারীকে ধর্ষণ করেছেন।
আশঙ্কার ব্যাপার হলো, ধর্ষণ করেছেন এমন ব্যক্তিদের অর্ধেকের বেশি জানিয়েছেন, তাঁরা বয়ঃসন্ধিক্ষণে এবং ১২ শতাংশ ১৫ বছরের কম বয়সে ওই কাজ করেছেন। অধিকাংশ পুরুষ বলেছেন, এ কাজের জন্য তাঁদের কোনো আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হয়নি।
সবচেয়ে বেশি ধর্ষক মিলেছে পাপুয়া নিউগিনিতে। এ দেশের বোগেনভিল এলাকার ৬২ শতাংশই ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। সম্ভবত বহু বছরের গৃহযুদ্ধ ও দারিদ্র্যের কারণে দেশটির এ পরিস্থিতি। ১৯৯৮ সালে দেশটিতে যুদ্ধ শেষ হয়। তবে এখনো আইনি ব্যবস্থার চেয়ে সামাজিক সালিস-ব্যবস্থাকেই বেশি গুরুত্ব দেন দেশবাসী।
পাপুয়া নিউগিনির প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া এলাকার ৪৯ শতাংশ এবং রাজধানী জাকার্তার ২৬ শতাংশ পুরুষ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। চীনে এই হার ২২ এবং কম্বোডিয়ায় ২০ শতাংশ।

http://www.newsevent24.com/2013/09/10/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B6-%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন