সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৩ তে ১২:০৪ পিএম
হাফসাকে বোরকা পরায় বহিস্কৃত হতে হল ব্রাক থেকে ; ফেইসবুকে প্রতিবাদের ঝড়
নিউজ ডেস্ক: নাম হাফসা ইসলাম। ইংরেজি বিভাগে (স্নাতক) সপ্তম সেমিস্টারের (মোট ১২ সেমিস্টার) ছাত্রী। অপরাধ, নেকাবসহ বোরকা পরে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া। শাস্তি, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার।গত ১২ সেপ্টেম্বর ‘ড্রেসকোড ভাঙ্গার’ অভিযোগে তাকে বহিস্কার করা হয়। ভুক্তভোগি ওই ছাত্রীর ভাই আবদুল্লাহ মুহাম্মদের সাথে এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের খবর প্রকাশ হলে এর প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেন বিশ্ববিদ্যালয় সহ নানা শ্রেনী পেশার অনেক লোকজন।
হাফসার ভাই বলেন, বলেন, ””আমাদের তরফ থেকে আমরা প্রতিবারই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করলেও উনারা উনাদের কথাই বারবার বলেছেন। উনারা ড্রেসকোডের কথা বলেছেন। তবে আমাদের অনুরোধে উনারা কোন ছাড় দেওয়ার পক্ষপাতি ছিলেন না।””
কেউই ড্রেসকোড শতভাগ মানছে না বলেও মন্তব্য করেন আবদুল্লাহ।
অভিযোগ, ””বিশ্ববিদ্যালয়টিতে টি-শার্ট এবং থ্রি কোয়ার্টার পরে আসে অনেক ছাত্রী। এটা কমন একটা ঘটনা। এ ব্যাপারটি ড্রেসকোডের বাইরে হলেও বিশ্ববিদ্যালয় এক্ষেত্রে কিন্তু নিশ্চুপ।””
তিনি আরো বলেন, ””ব্যাপারটি নিয়ে আমরা ইতোমধ্যে উচ্চ আদালতে একটি রিট করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি আগামী রোববারের মধ্যে এই সংক্রান্ত ব্যাপারে রেজাল্ট পাবো।””
ওই শোকজ লেটারে ৩ জুনের মধ্যে কারণ দর্শানোর কথা বলা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে হাফসা নেকাবসহ (মুখ ঢাকা) বোরকা পরা বন্ধ করেনি। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের রেজিস্ট্রার ইশফাক এলাহী চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি দাপ্তরিক চিঠিতে হাফসাকে বহিষ্কার করে। সেখানে জানানো হয়, হাফসার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিকে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ইসফাক ইলাহী চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক এ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন অনেকেই। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে। কেউ ব্লগে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
এদিকে নিকাব পরার কারণে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বহিষ্কারের ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষা উদ্যোক্তা সৈয়দ কামাল উদ্দিন আব্দুল্লাহ জাফরী। তিনি বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ইসলামী পোশাক পরিধানের জন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বহিষ্কার হতে হবে, এটা জাতির জন্য লজ্জার ও পরিতাপের বিষয়। যারা এ কাজটি করেছে তারা অত্যন্ত ঘৃণ্য ও নিন্দনীয় কাজ করেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন