নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইলিং চেষ্টায় মুন্নী সাহা
28 Sep, 2013
মহাজোট সরকারের আমলে
লাইসেন্স পাওয়া বেসরকারি টেলিভিশন এটিএন নিউজের সাংবাদিক মুন্নী সাহার
বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্ল্যাকমেইল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে প্রধানমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার সময় মুন্নী সাহাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে মুন্নী সাহা সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে যান। তার সাথে শেখ হাসিনা কিছু অফ দ্য রেকর্ড কথা বলেন। সাধারণতঃ অফ দ্য রেকর্ড কথোপকথন সংরক্ষণ করা হয় না বা কোনো সংবাদ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় না।
কিন্তু মুন্নী সাহা তার সাথে ভিডিও ক্যামেরায় প্রধানমন্ত্রীর অফ দ্য রেকর্ড কথা ধারণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার মুন্নী সাহার ভিডিও ক্যামেরা পরীক্ষা করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর সব অফ দ্য রেকর্ড কথার ফুটেজ পাওয়া গেলে ভিডিও টেপটি জব্দ করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
মাহাবুবের ভিন্নতথ্য
প্রধানমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনার ব্যাপারে নিউইয়র্ক সফররত দৈনিক আমার দেশ এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহাবুবুর রহমান ভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন।
মাহাবুব বলেন, 'বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সংক্ষিপ্ত ইন্টারভিউ নিতে যান এটিএননিউজের সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নী সাহা; যিনি প্রধানমন্ত্রীর ১৪০ জনের বিশাল প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য হিসেবে সরকারি খরচে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। ইন্টারভিউর আগ্রহ জানালে সময় স্বল্পতার কারনে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে সময় দিতে রাজি হয়নি। অনেক অনুরোধের পর ৫ মিনিট সময় দিতে সম্মত হন তিনি।'
তিনি আরো বলেন, 'ইন্টারভিউর এক পর্যায়ে প্রশ্নবানে জর্জরিত শেখ হাসিনা তার আদরের এই সাংবাদিক ব্যক্তিত্বের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রচন্ড রাগত স্বরে জবাব দিতে দিতে তিনি ধমকের স্বরেও কথা বলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ পরিস্থিতিতে এসএসএফ সদস্যরা মুন্নী সাহাকে চলে যেতে বলেন এবং ক্যামেরা নিয়ে নেয়। পরে রেকর্ডিংকৃত ক্যাসেট রেখে দিয়ে মুন্নী সাহার ক্যামেরা ফিরিয়ে দেয়া হয়।'
এ ঘটনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে গিয়ে আমার দেশ এর সাংবাদিক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জন্য প্রতিনিয়ত টকশো এমনকি সংবাদের মধ্যওে আমাদের অনেক সাংবাদিক বন্ধুরা নিজেদেরকে দর্শকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করেন।
এহেন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার কাছ থেকে মুন্নী সাহাকে এমন দুর্ব্যবহারের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি কোনো ভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
কিন্তু জাতিসংঘ অধিবেশন কভার করতে আসা বাংলাদেশী সাংবাদিক, প্রধানমন্ত্রীর বহরের সদস্য এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশী সাংবাদিকদের অনেকেই এ সংবাদটিকে সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করিনি, যোগ করেন মাহাবুব।
তিনি জানান, 'তবে শেষ পর্যন্ত আমাকেও বিশ্বাস করতে হলো। প্রেস রুমে সবার সামনেই মুন্নী সাহা এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টারের কাছে জানতে চান তিনি এ ধরণের সংবাদ অন্যদের কাছে পরিবেশন করেছেন কি-না। অন্য সাংবাদিকদের সামনেই ওই সাংবাদিক বলেন- দিদি বিশ্বাস করেন, আমি এমন কিছু বলিনি। আমি কাউকে কিছু বলিনি।'
মাহাবুব বলেন, 'উপস্থিত আরেক টেলিভিশন সাংবাদিক বলে ওঠেন, “হ্যা, ওর কাছ থেকে আমরা কিছুই শুনিনি। পুরো বিকেলটায় মুন্নী সাহা মানসিকভাবে অত্যন্ত ধীর থেকেছেন। কথা বলতে গিয়েও তিনি স্বাভাবিক হতে পারেননি। এমনকি জাতিসংঘ দপ্তরের পাশের মনোরম নদীর দৃশ্যও তার মনের কষ্ট দূর করতে পারেনি।
যিনি সবসময় হাস্যোজ্জল থাকেন, সেই মুন্নী সাহার সঙ্গে নিউইয়র্কের এক সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে হাস্যরসের চেষ্টা করেও সেলিব্রেটি সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে হাসানো সম্ভব হয়নি, যোগ করেন আমার দেশ এর সাংবাদিক।
এ ঘটনার ব্যাপারে মাহাবুব মন্তব্য করেন, 'প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে যদি কোনো বাড়াবাড়ি হয়, সেটা নিয়ে কথা বলা যায়। তবে সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেয়া বা রেকর্ডিং জোর করে রেখে দেয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জননন্দিত পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করে রাখার বেদনার কথা মনে পড়ছে।'
তিনি বলেন, 'আজ যুক্তরাষ্ট্রের পথে পথে প্রবাসীদের কাছে কেবল উত্তর দিতে হচ্ছে, ‘কবে ছাপা হবে আমার দেশ পত্রিকা’ প্রশ্নের। নিউইয়র্ক সফরের ভিকটিম মুন্নী সাহা সহ সাংবাদিক সমাজের প্রতি আমার প্রশ্ন, আর কত দিন কেবল অনলাইন আমার দেশ-এ কাজ করবো?'
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে আহ্বান জানান, 'আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করুন, আমার চাকুরি ঠিক রাখতে বাংলাদেশের অগনিত পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে আমার দেশ প্রকাশের বাধা প্রত্যাহারে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করুন। নইলে সময়ের ব্যবধানে একে একে সব সাংবাদিককেই এভাবে হয়রাণির শিকার হতে হবে!'
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যান। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর ১৪০ জন সফরসঙ্গীর অন্যতম সাংবাদিক মুন্নী সাহা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
http://www.bdtomorrow.net/newsdetail/detail/200/48187নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে প্রধানমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার সময় মুন্নী সাহাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল কর্মকর্তারা।
কর্মকর্তারা জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুরে মুন্নী সাহা সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কক্ষে যান। তার সাথে শেখ হাসিনা কিছু অফ দ্য রেকর্ড কথা বলেন। সাধারণতঃ অফ দ্য রেকর্ড কথোপকথন সংরক্ষণ করা হয় না বা কোনো সংবাদ উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা হয় না।
কিন্তু মুন্নী সাহা তার সাথে ভিডিও ক্যামেরায় প্রধানমন্ত্রীর অফ দ্য রেকর্ড কথা ধারণ করেন। বিষয়টি টের পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসার মুন্নী সাহার ভিডিও ক্যামেরা পরীক্ষা করা হয়। এতে প্রধানমন্ত্রীর সব অফ দ্য রেকর্ড কথার ফুটেজ পাওয়া গেলে ভিডিও টেপটি জব্দ করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
মাহাবুবের ভিন্নতথ্য
প্রধানমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইল করার ঘটনার ব্যাপারে নিউইয়র্ক সফররত দৈনিক আমার দেশ এর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহাবুবুর রহমান ভিন্ন তথ্য জানিয়েছেন।
মাহাবুব বলেন, 'বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সংক্ষিপ্ত ইন্টারভিউ নিতে যান এটিএননিউজের সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নী সাহা; যিনি প্রধানমন্ত্রীর ১৪০ জনের বিশাল প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য হিসেবে সরকারি খরচে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন। ইন্টারভিউর আগ্রহ জানালে সময় স্বল্পতার কারনে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে সময় দিতে রাজি হয়নি। অনেক অনুরোধের পর ৫ মিনিট সময় দিতে সম্মত হন তিনি।'
তিনি আরো বলেন, 'ইন্টারভিউর এক পর্যায়ে প্রশ্নবানে জর্জরিত শেখ হাসিনা তার আদরের এই সাংবাদিক ব্যক্তিত্বের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রচন্ড রাগত স্বরে জবাব দিতে দিতে তিনি ধমকের স্বরেও কথা বলেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এ পরিস্থিতিতে এসএসএফ সদস্যরা মুন্নী সাহাকে চলে যেতে বলেন এবং ক্যামেরা নিয়ে নেয়। পরে রেকর্ডিংকৃত ক্যাসেট রেখে দিয়ে মুন্নী সাহার ক্যামেরা ফিরিয়ে দেয়া হয়।'
এ ঘটনার বিশ্বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে গিয়ে আমার দেশ এর সাংবাদিক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের জন্য প্রতিনিয়ত টকশো এমনকি সংবাদের মধ্যওে আমাদের অনেক সাংবাদিক বন্ধুরা নিজেদেরকে দর্শকদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করেন।
এহেন পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার কাছ থেকে মুন্নী সাহাকে এমন দুর্ব্যবহারের মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি কোনো ভাবেই বিশ্বাসযোগ্য নয়।
কিন্তু জাতিসংঘ অধিবেশন কভার করতে আসা বাংলাদেশী সাংবাদিক, প্রধানমন্ত্রীর বহরের সদস্য এবং নিউইয়র্কে বাংলাদেশী সাংবাদিকদের অনেকেই এ সংবাদটিকে সত্য হিসেবে মেনে নিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করিনি, যোগ করেন মাহাবুব।
তিনি জানান, 'তবে শেষ পর্যন্ত আমাকেও বিশ্বাস করতে হলো। প্রেস রুমে সবার সামনেই মুন্নী সাহা এশিয়ান টেলিভিশনের রিপোর্টারের কাছে জানতে চান তিনি এ ধরণের সংবাদ অন্যদের কাছে পরিবেশন করেছেন কি-না। অন্য সাংবাদিকদের সামনেই ওই সাংবাদিক বলেন- দিদি বিশ্বাস করেন, আমি এমন কিছু বলিনি। আমি কাউকে কিছু বলিনি।'
মাহাবুব বলেন, 'উপস্থিত আরেক টেলিভিশন সাংবাদিক বলে ওঠেন, “হ্যা, ওর কাছ থেকে আমরা কিছুই শুনিনি। পুরো বিকেলটায় মুন্নী সাহা মানসিকভাবে অত্যন্ত ধীর থেকেছেন। কথা বলতে গিয়েও তিনি স্বাভাবিক হতে পারেননি। এমনকি জাতিসংঘ দপ্তরের পাশের মনোরম নদীর দৃশ্যও তার মনের কষ্ট দূর করতে পারেনি।
যিনি সবসময় হাস্যোজ্জল থাকেন, সেই মুন্নী সাহার সঙ্গে নিউইয়র্কের এক সাংবাদিক ছবি তুলতে গেলে হাস্যরসের চেষ্টা করেও সেলিব্রেটি সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে হাসানো সম্ভব হয়নি, যোগ করেন আমার দেশ এর সাংবাদিক।
এ ঘটনার ব্যাপারে মাহাবুব মন্তব্য করেন, 'প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে যদি কোনো বাড়াবাড়ি হয়, সেটা নিয়ে কথা বলা যায়। তবে সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নেয়া বা রেকর্ডিং জোর করে রেখে দেয়ার ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের জননন্দিত পত্রিকা দৈনিক আমার দেশ বন্ধ করে রাখার বেদনার কথা মনে পড়ছে।'
তিনি বলেন, 'আজ যুক্তরাষ্ট্রের পথে পথে প্রবাসীদের কাছে কেবল উত্তর দিতে হচ্ছে, ‘কবে ছাপা হবে আমার দেশ পত্রিকা’ প্রশ্নের। নিউইয়র্ক সফরের ভিকটিম মুন্নী সাহা সহ সাংবাদিক সমাজের প্রতি আমার প্রশ্ন, আর কত দিন কেবল অনলাইন আমার দেশ-এ কাজ করবো?'
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে আহ্বান জানান, 'আপনারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করুন, আমার চাকুরি ঠিক রাখতে বাংলাদেশের অগনিত পাঠকের চাহিদা পূরণ করতে আমার দেশ প্রকাশের বাধা প্রত্যাহারে সরকারকে চাপ প্রয়োগ করুন। নইলে সময়ের ব্যবধানে একে একে সব সাংবাদিককেই এভাবে হয়রাণির শিকার হতে হবে!'
উল্লেখ্য, গত রোববার রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যান। এ সফরে প্রধানমন্ত্রীর ১৪০ জন সফরসঙ্গীর অন্যতম সাংবাদিক মুন্নী সাহা। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন