রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

শুক্রবার, 27 সেপ্টেম্বর 2013 08:22

সিরিয়াকে তালেবান রাষ্ট্র বানাবেন না: বিশ্ব নেতাদেরকে রুহানি


২৭ সেপ্টেম্বর (রেডিও তেহরান): ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ার তাকফিরি বিদ্রোহীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখলে দেশটি তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে পরিণত হতে পারে।

নিউ ইয়র্কের একটি থিংক ট্যাংকের ফোরামে বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি গতমাসে দামেস্কের কাছে বিদ্রোহীদের চালানো রাসায়নিক হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

একইসঙ্গে তিনি সিরিয়ায় উগ্রবাদীদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা হচ্ছে বলেও সতর্কতা উচ্চারণ করেন। ড. রুহানি বলেন, "সিরিয়ার একাংশে উগ্রবাদী চিন্তাধারা বিস্তারের যে উপযুক্ত ক্ষেত্র সৃষ্টি করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাকে ১৯৯০'র দশকে আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের (আফগানিস্তানের) কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।"

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, "এটি শুধু আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বহু দেশের স্বার্থ এখানে জড়িয়ে আছে। কাজেই সিরিয়া সংকটের একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আমাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।" ড. রুহানি সিরিয়ার সরকার বিরোধী বিদ্রোহীদের সব রকম পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য পাশ্চাত্যের প্রতি আহ্বান জানান।#

রেডিও তেহরান/এমআই/২৭
 http://bangla.irib.ir/2010-04-21-08-29-09/item/53742-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF
 
 
সিরিয়া সম্পর্কে ইরানপ্রেসিডেন্ট রূহানির বক্তব্যের পোষ্টমর্টেম !!!

"সিরিয়াকে তালেবান রাষ্ট্র বানাবেন না: বিশ্ব
নেতাদেরকে রুহানি"[২৭ সেপ্টেম্বর (রেডিও তেহরান)পুরো সংবাদ লিঙ্কসহ কমেন্টে]

যদি এই নিউজটা বিবিসি বা সিএনএন কর্তৃক পেতাম , তাহলে অবিশ্বাসই করতাম । কিন্তু যখন দেখলাম এ সংবাদের সরবরাহকারী হচ্ছে স্বয়ং রেডিও তেহরান, তখন কি আর অবিশ্বাস করা যায় ?
এখন আমরা রেডিও তেহরান এবং রূহানির বক্তব্যের পয়েন্টভিত্তিক পোষ্টমর্টেম করবো -

১- "ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ার তাকফিরি বিদ্রোহীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখলে দেশটি তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে পরিণত হতে পারে"
-পোষ্টমর্টেমঃ এখানে প্রেসিডেন্ট বিদ্রোহীদেরকে তাকফিরি বলেছেন । জানেন, তাকফিরি অর্থ কী ? এটি একটি আরবি শব্দ , যা উর্দু এবং ফারসি ভাষায় ব্যবহৃত হয় , যার অর্থ কাফির । অর্থাত রূহানির ভাষায় সিরিয়ার বিদ্রোহীরা হচ্ছেন সরাসরি কাফির , আর তালেবান ইশারা হিসেবে কাফির !!!
অথচ সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ৮০% হচ্ছেন মুজাহিদ , যারা ইতোমধ্যে আমেরিকার কালো লিষ্টে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন । দেখলেনতো , কীভাবে শীয়াপ্রেসিডেন্ট সুন্নী হওয়ার দরুন মজলুম বিদ্রোহীদেরকে কাফির বললো ?
তারপরও তারা আমাদের মডারেট মুসলিমদের দৃষ্টিতে মডেল (!!!), বন্ধু !!!
তাছাড়া তিনি বলেছেন , "তালেবান শাসিত… "
একথাটার অর্থ কী ? আমরা জানি বর্তমানে আমেরিকা ও বহুজাতিক কুফফারবাহিনী তালেবানদের হাতে প্রতিদিন রামধোলাই খাচ্ছে ।
তাহলে তার মানে কী এই নয় ? যে বিশ্বকুফরি শক্তির নতুন এক শত্রুর জন্ম হচ্ছে , অতএব তাদেরকে এখুনি দমন করতে হবে । কারণ ইরান যে এই কুফরিশক্তির এক বিশ্বস্ত দোসর !!

২- "গতমাসে দামেস্কের কাছে বিদ্রোহীদের চালানো রাসায়নিক হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। "
-পোষ্টমর্টেম ঃ এখানে বলা হয়েছে বিদ্রোহীরা রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে । অথচ সারা বিশ্ববাসী জানে যে , এ হামলা চালিয়েছে বাশশার , এ জন্যেই সে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার কথা ঘোষণা দিয়েছে ।
আমরা জানি যে এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে , এটার নাম গুতা । এই গুতা শহরকে বিদ্রোহীরা প্রথমেই দখল করে নিয়েছিলো ।
বলুনতো , কেউ কি স্বজাতিকে এভাবে মারে ? এ যেনো হেফাজতের উপর কুরআন পুড়ানোর অপবাদ , আর ইখওয়ানের উপর মসজিদ পুড়ানোর অপবাদের মতো । দেখা যাচ্ছে ইরানের এই প্রেসিডেন্ট আমাদের মখা , আবুলদের চে' কম নন ।
উল্লেখ্য , যেহেতু গুতা হচ্ছে মুজাহিদকর্তৃক বিজিত এলাকা থেকে অনেক বিচ্ছিন্ন , তাই মুজাহিদরা অবরূদ্ধ গুতা এবং হিমসকে উদ্ধারের জন্যে সেদিন আবার এক হয়েছেন ।

৩- ড. রুহানি বলেন, "সিরিয়ার একাংশে উগ্রবাদী চিন্তাধারা বিস্তারের যে উপযুক্ত ক্ষেত্র সৃষ্টি করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাকে ১৯৯০'র দশকে আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের (আফগানিস্তানের) কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।"
-পোষ্টমর্টেমঃ উনি আফগানিস্তানের ১৯৯০ 'র দশককে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন । আমাদের প্রশ্ন , ৯০ দশকের আগে আফগানিস্তান কি খুবই শান্তিপুর্ণ এলাকা ছিল ? ওই সময় আফগানিস্তানতো রাশিয়ার দখলে ছিল , তার অর্থ কি এই নয় , যে উনার দৃষ্টিতে আফগানিস্তান যখন রাশিয়ার দখলে ছিল তখন শান্তিতে ছিলো আর যখন আফগান স্বাধীন হলো তখন আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের অভরায়ণ্য হয়ে গেলো ? এটা তার জন্যে বরং আনন্দের কারণ রাশিয়া হচ্ছে ইরানের ঘনিষ্ঠ প্রভু । তাইতো তারা খুশি ছিলো ।
মোটকথা, ইরানীদের দৃষ্টিতে মার্কিনিদের সংজ্ঞা মতো সত্যিকার মুমিনরা ক্ষমতায় যাওয়ার মানেই সন্ত্রাস । তারা চায় না যে , কোনো মুসলিমদেশ শক্তিশালী হোক , কোনো মুসলিমদেশে পরিপুর্ণ শরীয়াহ কায়েম হোক ।

এবার বলুন , তাদের সাথে কীভাবে ঐক্য গড়ে তুলি ? যারা মুসলমান মুজাহিদদেরকে কাফির বলে , যারা উম্মতের দুর্দিনে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে , তারা কীভাবে আমাদের বন্ধু হতে পারে ?

-হানীন ইলদারম

বিঃ দ্রঃ পারলে জবাব দিবেন , অযথা গালি দিয়ে নিজের বংশ পরিচয় দিবেন না ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন