রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

বুড়োর ‘প্রেমে গর্ভবতী’ ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী মৃত্যুর মুখে

৩০ সেপ্টেম্বর,২০১৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন
নীলফামারী: পঞ্চাশোর্ধ্ব এক বৃদ্ধের লালসার শিকার হয়ে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রী গর্ভবতী হয়েছে। গর্ভপাত ঘটাতে গিয়ে এখন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে ছাত্রীটির জীবন।

চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে জেলার ডিমলা উপজেলার খসাখড়িবাড়ী দোহলপাড়া গ্রামে।

জানা গেছে, ওই এলাকার শাহের আলীর মেয়ে কিছামত ছাতনাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীর (১০) ওপর কুদৃষ্টি পড়ে প্রতিবেশী খেরু মামুদের ৫৫ বছর বয়সী ছেলে মনির উদ্দিনের।

মনির ওই ছাত্রীর ওপর তার লালসা চরিতার্থ করতে নানা প্রলোভনের আশ্রয় নেয়। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে অসম প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তা ধীরে ধীরে দৈহিক সম্পর্কে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।

গতকাল রবিবার তার গর্ভপাত ঘটায় মনির। গর্ভপাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণসহ নানা অসুবিধায় পড়ে ছাত্রীটি। এতে প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিলে তড়িঘড়ি করে রাতে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়।

অবস্থার অবনতি হলে সোমবার সকালে ওই ছাত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৯টায় গর্ভপাতে নিহত বাচ্চাটির লাশের দাফন প্রক্রিয়া স্থগিত রয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিখন জানান, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি মাত্র। এর বেশি আমি কিছু জানি না।’
শুক্রবার, 27 সেপ্টেম্বর 2013 08:22

সিরিয়াকে তালেবান রাষ্ট্র বানাবেন না: বিশ্ব নেতাদেরকে রুহানি


২৭ সেপ্টেম্বর (রেডিও তেহরান): ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ার তাকফিরি বিদ্রোহীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখলে দেশটি তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে পরিণত হতে পারে।

নিউ ইয়র্কের একটি থিংক ট্যাংকের ফোরামে বৃহস্পতিবার এক বক্তব্যে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি গতমাসে দামেস্কের কাছে বিদ্রোহীদের চালানো রাসায়নিক হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

একইসঙ্গে তিনি সিরিয়ায় উগ্রবাদীদের জন্য অভয়ারণ্য তৈরি করা হচ্ছে বলেও সতর্কতা উচ্চারণ করেন। ড. রুহানি বলেন, "সিরিয়ার একাংশে উগ্রবাদী চিন্তাধারা বিস্তারের যে উপযুক্ত ক্ষেত্র সৃষ্টি করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাকে ১৯৯০'র দশকে আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের (আফগানিস্তানের) কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।"

ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, "এটি শুধু আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় নয়, বরং বহু দেশের স্বার্থ এখানে জড়িয়ে আছে। কাজেই সিরিয়া সংকটের একটি টেকসই রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আমাদেরকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।" ড. রুহানি সিরিয়ার সরকার বিরোধী বিদ্রোহীদের সব রকম পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য পাশ্চাত্যের প্রতি আহ্বান জানান।#

রেডিও তেহরান/এমআই/২৭
 http://bangla.irib.ir/2010-04-21-08-29-09/item/53742-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%B7%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A7%8D%E0%A6%B0-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%A8-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%AC-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%BF
 
 
সিরিয়া সম্পর্কে ইরানপ্রেসিডেন্ট রূহানির বক্তব্যের পোষ্টমর্টেম !!!

"সিরিয়াকে তালেবান রাষ্ট্র বানাবেন না: বিশ্ব
নেতাদেরকে রুহানি"[২৭ সেপ্টেম্বর (রেডিও তেহরান)পুরো সংবাদ লিঙ্কসহ কমেন্টে]

যদি এই নিউজটা বিবিসি বা সিএনএন কর্তৃক পেতাম , তাহলে অবিশ্বাসই করতাম । কিন্তু যখন দেখলাম এ সংবাদের সরবরাহকারী হচ্ছে স্বয়ং রেডিও তেহরান, তখন কি আর অবিশ্বাস করা যায় ?
এখন আমরা রেডিও তেহরান এবং রূহানির বক্তব্যের পয়েন্টভিত্তিক পোষ্টমর্টেম করবো -

১- "ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, সিরিয়ার তাকফিরি বিদ্রোহীদের সহযোগিতা অব্যাহত রাখলে দেশটি তালেবান শাসিত আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে পরিণত হতে পারে"
-পোষ্টমর্টেমঃ এখানে প্রেসিডেন্ট বিদ্রোহীদেরকে তাকফিরি বলেছেন । জানেন, তাকফিরি অর্থ কী ? এটি একটি আরবি শব্দ , যা উর্দু এবং ফারসি ভাষায় ব্যবহৃত হয় , যার অর্থ কাফির । অর্থাত রূহানির ভাষায় সিরিয়ার বিদ্রোহীরা হচ্ছেন সরাসরি কাফির , আর তালেবান ইশারা হিসেবে কাফির !!!
অথচ সিরিয়ার বিদ্রোহীদের ৮০% হচ্ছেন মুজাহিদ , যারা ইতোমধ্যে আমেরিকার কালো লিষ্টে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছেন । দেখলেনতো , কীভাবে শীয়াপ্রেসিডেন্ট সুন্নী হওয়ার দরুন মজলুম বিদ্রোহীদেরকে কাফির বললো ?
তারপরও তারা আমাদের মডারেট মুসলিমদের দৃষ্টিতে মডেল (!!!), বন্ধু !!!
তাছাড়া তিনি বলেছেন , "তালেবান শাসিত… "
একথাটার অর্থ কী ? আমরা জানি বর্তমানে আমেরিকা ও বহুজাতিক কুফফারবাহিনী তালেবানদের হাতে প্রতিদিন রামধোলাই খাচ্ছে ।
তাহলে তার মানে কী এই নয় ? যে বিশ্বকুফরি শক্তির নতুন এক শত্রুর জন্ম হচ্ছে , অতএব তাদেরকে এখুনি দমন করতে হবে । কারণ ইরান যে এই কুফরিশক্তির এক বিশ্বস্ত দোসর !!

২- "গতমাসে দামেস্কের কাছে বিদ্রোহীদের চালানো রাসায়নিক হামলার কথা উল্লেখ করে বলেন, তার সরকার সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। "
-পোষ্টমর্টেম ঃ এখানে বলা হয়েছে বিদ্রোহীরা রাসায়নিক হামলা চালিয়েছে । অথচ সারা বিশ্ববাসী জানে যে , এ হামলা চালিয়েছে বাশশার , এ জন্যেই সে রাসায়নিক অস্ত্র ধ্বংস করার কথা ঘোষণা দিয়েছে ।
আমরা জানি যে এলাকায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে , এটার নাম গুতা । এই গুতা শহরকে বিদ্রোহীরা প্রথমেই দখল করে নিয়েছিলো ।
বলুনতো , কেউ কি স্বজাতিকে এভাবে মারে ? এ যেনো হেফাজতের উপর কুরআন পুড়ানোর অপবাদ , আর ইখওয়ানের উপর মসজিদ পুড়ানোর অপবাদের মতো । দেখা যাচ্ছে ইরানের এই প্রেসিডেন্ট আমাদের মখা , আবুলদের চে' কম নন ।
উল্লেখ্য , যেহেতু গুতা হচ্ছে মুজাহিদকর্তৃক বিজিত এলাকা থেকে অনেক বিচ্ছিন্ন , তাই মুজাহিদরা অবরূদ্ধ গুতা এবং হিমসকে উদ্ধারের জন্যে সেদিন আবার এক হয়েছেন ।

৩- ড. রুহানি বলেন, "সিরিয়ার একাংশে উগ্রবাদী চিন্তাধারা বিস্তারের যে উপযুক্ত ক্ষেত্র সৃষ্টি করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সন্ত্রাসবাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি আমাকে ১৯৯০'র দশকে আমাদের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তের (আফগানিস্তানের) কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।"
-পোষ্টমর্টেমঃ উনি আফগানিস্তানের ১৯৯০ 'র দশককে সন্ত্রাসবাদ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন । আমাদের প্রশ্ন , ৯০ দশকের আগে আফগানিস্তান কি খুবই শান্তিপুর্ণ এলাকা ছিল ? ওই সময় আফগানিস্তানতো রাশিয়ার দখলে ছিল , তার অর্থ কি এই নয় , যে উনার দৃষ্টিতে আফগানিস্তান যখন রাশিয়ার দখলে ছিল তখন শান্তিতে ছিলো আর যখন আফগান স্বাধীন হলো তখন আফগানিস্তান সন্ত্রাসীদের অভরায়ণ্য হয়ে গেলো ? এটা তার জন্যে বরং আনন্দের কারণ রাশিয়া হচ্ছে ইরানের ঘনিষ্ঠ প্রভু । তাইতো তারা খুশি ছিলো ।
মোটকথা, ইরানীদের দৃষ্টিতে মার্কিনিদের সংজ্ঞা মতো সত্যিকার মুমিনরা ক্ষমতায় যাওয়ার মানেই সন্ত্রাস । তারা চায় না যে , কোনো মুসলিমদেশ শক্তিশালী হোক , কোনো মুসলিমদেশে পরিপুর্ণ শরীয়াহ কায়েম হোক ।

এবার বলুন , তাদের সাথে কীভাবে ঐক্য গড়ে তুলি ? যারা মুসলমান মুজাহিদদেরকে কাফির বলে , যারা উম্মতের দুর্দিনে পিছন থেকে ছুরিকাঘাত করে , তারা কীভাবে আমাদের বন্ধু হতে পারে ?

-হানীন ইলদারম

বিঃ দ্রঃ পারলে জবাব দিবেন , অযথা গালি দিয়ে নিজের বংশ পরিচয় দিবেন না ।

নারীকে পণ্য করে উপস্থাপনে যৌন হয়রানি বাড়ছে

০৬ জুন,২০১৩
45
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
বেইজিং: চীনে বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়ে চলায় শিক্ষকদের পেশাদারিত্বের নৈতিকতা নিয়ে চারিদিকে উত্তপ্ত আলোচনা শুরু হয়েছে।

চায়না পিপলস ডেইলিতে চীনা সমাজের বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্যকেই শুধু বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ওপর যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়ে চলার জন্য দায়ী করলে চলবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।

ওই দৈনিকে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, শুধু সমাজের বিদ্যমান পুরুষতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গীই নারীর ওপর যৌন হয়রানির প্রধানতম কারণ নয়। বরং নারীকে পণ্য করে বাজারে তোলার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে তাও নারীর ওপর যৌন হয়রানি উস্কে দেয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে।

এতে বলা হয়, নারীর অধিকার হরণ নারীর ওপর যৌন হয়রানির মূলেই নিহিত। পণ্যের বিজ্ঞাপনে নারীকে ব্যাবহারের প্রভাব, ইন্টারনেট এবং গণমাধ্যমে নারীকে যৌন আবেদনময়ী ভঙ্গিতে উপস্থাপনও নারীদের ওপর বেড়ে চলা যৌন হয়রানির পেছনে দায়ী।

চীনা সমাজ এখনো পুরুষতান্ত্রিকই রয়ে গেছে এবং এটাই প্রধানত দেশটির বিদ্যমান লিঙ্গ বৈষম্যের কারণ। চীনে এখনো দম্পতিরা ছেলে শিশুর আশা করে বেশি। সেখানে নারীরা এখনো পুরুষের চেয়ে হীন হিসেবেই গণ্য হয়। তার ওপর আছে আবার জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতির খড়গ।

এর ফলে বিশ্বের মধ্যে যেসব দেশে নারী-পুরুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে চীনও তার মধ্যে একটি। এক হিসেবে দেখা গেছে, ২০২০ সালের মধ্যে চীনে ৩ থেকে ৪ কোটি পুরুষ পাত্রীর অভাবে অবিবাহিতই থেকে যাবেন যা দেশটিতে মারাত্মক সামাজিক গোলযোগও সৃষ্টি করতে পারে।

চীনে ধনী, রাজনৈতিকভাবে সফল, বিখ্যাত এবং উচ্চ শিক্ষিতরাই বিয়ের বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয়। আর প্রান্তিক পর্যায়ের বিশেষত গ্রামীণ এবং অনুন্নত এলাকার পুরুষরা বিয়ের বাজারে একেবারেই পিছিয়ে। ফলে অসচ্ছল পুরুষদের জন্য একজন জীবন সঙ্গিনী পাওয়াটা খুবই কঠিন হয়ে পড়ছে যা মারাত্মক সামজিক অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।

আয়-রোজগার, শ্রমের বিভাজন, সম্পদের বন্টন এবং রাজনীতিতে অংশগ্রহণের দিক থেকে চীনা সমাজের নারী ও পুরুষের মধ্যে এখনো ব্যাপক বৈষম্য রয়ে গেছে। বাণিজ্যিকীকরণ এবং বিজ্ঞাপন ও ইভেন্টে নারীকে ক্রমাগত একটি ভোগ্য পণ্য হিসেবে উপস্থাপনের ফলে পুরুষরা নারীকে তাদের লালসা মেটানোর সবচেয়ে নমনীয় শিকার হিসেবে ভাবছে।

লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে এবং সমাজে নারীদেরকে তাদের নায্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে মানুষকে এখনো অনেক লম্বা পথই পাড়ি দিতে হবে।

যৌন হয়রানি এড়াতে চীনে মিনি স্কার্ট না পরার পরামর্শ

০৫ জুন,২০১৩
42
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
ঢাকা: রাস্তাঘাট বা যানবাহনে চলাফেরার সময় যৌন হয়রানি থেকে বাঁচতে নারীদের স্বল্প বসন বিশেষ করে মিনি স্কার্ট ও উত্তেজক প্যান্ট পরার ক্ষেত্রে সতর্ক করে দিয়েছে বেইজিং পুলিশ।

চীনে গণপরিবহনে নারীদের যৌন হয়রানি করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় বেইজিং পুলিশ নারীদের পোশাক পরিধানের ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ‘চায়না ডেইলি’তে বলা হয়, ‘গণপরিবহনে চলাচলের ক্ষেত্রে নারীদের মিনি স্কার্ট ও উত্তেজক প্যান্ট পরা উচিত নয়। আর যদি তারা যৌন হয়রানির শিকার হন, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব পুলিশকে জানানো উচিত।’

এতে বলা হয়, ‘মুঠোফোনে কেউ ছবি তুলে নেওয়ার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বাসের উঁচু আসনে না বসে নারীদের নিচের ধাপের আসনে বসা উচিত। তা ছাড়া বাসের ভেতর নারীদের ব্যাগ, ম্যাগাজিন বা সংবাদপত্র দিয়ে শরীর অন্যদের থেকে আড়াল করে রাখা উচিত।’

এ ধরনের ঘটনা যে কেউ ঘটাক না কেন, ধরা পড়লে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হবে বলে পুলিশের সতর্ক বার্তায় বলা হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা জিং উই বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নারীদের সচেতনতা বাড়াতেই এই সতর্কবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে এশীয় এবং মুসলিমরা ভয়াবহ যৌন নিপীড়নের শিকার

২৯ সেপ্টেম্বর,২০১৩
16
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন
লন্ডন: ফারহার এখন বয়স ১৩। কিন্তু এরও আগেই তার জীবনে ঘটে গেছে দুঃসহ এক ঘটনা। বয়ঃসন্ধির আগেই বয়স্ক ছেলে বন্ধুর বিকৃত যৌনাচারের শিকার হয়েছে সে।

এখানেই শেষ নয়, একান্ত মুহূর্তের কিছু ছবি তুলে তাকে ব্লাক-মেইল করে ওই বন্ধু। এরপর সে ও তার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত ফারহাকে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে।

ফলে তের বছর বয়সে ফারাহ এখন বিভিন্ন নেশাজাতীয় মাদকে আসক্ত। আসক্তির কারণ নিয়মিত একাধিক পুরুষের বেডে যেতে হচ্ছে তাকে। এভাবে যৌন নিপীড়িত হয়ে নিজে ছেলে বন্ধুর অর্থ উপার্জনেরও অন্যতম মাধ্যম ফারাহ।

এ রকম শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন পৃথিবীর যেকোনো সমাজেই আতঙ্কজনক। কিন্তু ফারাহ (ছদ্মনাম) একজন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তার এবং তার মত অন্যান্য সংখ্যালঘু মেয়েদের জীবনের গল্প নিয়ে প্রকাশিত আল-জাজিরার প্রতিবেদনটি সবাইকে নাড়া দিয়েছে।

এতে স্পষ্ট হয়েছে, সমাজের সবচেয়ে বঞ্চিত অংশ বিশেষ করে এশীয় ও মুসলিম নারীরা যুক্তরাজ্যে কতটা অসহায় এবং দেশটির প্রশাসন এসব বঞ্চিতদের রক্ষায় কতটা ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে কয়েকটি কেস স্টাডি তুলে ধরা হয়েছে। তবে বাস্তবে আরও ভয়াবহ চিত্র দেখতে পেয়েছেন ওই প্রতিবেদনের প্রতিবেদকরা।

ওই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়দের মেয়েরা কি ধরনের সমস্যায় পড়ে এবং তাদের ওপর বিভিন্ন সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধী চক্র কিভাবে যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছে তার ওপর বিস্তর গবেষণা চালানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

মুসলিম ওমেনস নেটওয়ার্ক ইউকে (MWNUK)- তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে ওই প্রতিবেদনটির লেখিকা শাইস্তা গোহির বলেন, ‘এ প্রতিবেদনে শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের গৎবাঁধা ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে। এখানে যৌন নিপীড়নকে একটি বর্ণবাদী ব্যাপার হিসেবে দেখানো হয়েছ। এতে করে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়, এশীয় অপরাধীরাই শুধু শ্বেতাঙ্গ মেয়েদের টার্গেট করে। কখনো এশিয়ান ও মুসলিম নারীরা অন্যদের যৌন নির্যাতনের শিকার হয় না।’

তিনি বলেন, ‘তবে আমাদের প্রতিবেদন সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করে, দেশটিতে এশিয়ান ও মুসলিমরাও যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে।’

মুসলিম ওমেনস নেটওয়ার্ক ইউকে’র আরেকটি প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ‘নিপীড়করা ১৩-১৪ বছরের এশিয়ান ও মুসলিম মেয়েদের ওপর যৌন নির্যাতন চালিয়ে আসছে। অথচ ব্রিটিশ প্রশাসন ও গণমাধ্যমে এতদিন সংগঠিত এশিয়ান অপরাধী পুরুষরাই কেবল শ্বেতাঙ্গ মেয়েদের ওপর আক্রমণ চালিয়ে থাকে বলে প্রচার করে এসেছে। এখন এ প্রতিবেদনে তথ্য তাদের এই গৎবাধা প্রচারণার ওপর চরম চপেটাঘাত।’

ব্রিটেনের শিশুবিষয়ক কমিশনের ডেপুটি কমিশনার স্যু বারলুউইটজ বলেন, ‘মুসলিম ওমেনস নেটওয়ার্ক ইউকে’র প্রতিবেদনটি অত্যন্ত সাহসী একটি পদক্ষেপ। এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, এটি এতদিনের প্রচলিত কল্পকাহিনীর ওপর চরম চপেটাঘাত।’

তিনি বলেন, ‘ওই প্রতিবেদনে কিছু আক্রান্তদের গল্প এখন পর্যন্ত আমার জানা ঘটনাগুলোর মধ্যে খুবই ভয়াবহ। অন্যান্য শিশুদের মত এশিয়ান এবং মুসলিম শিশুরাও যৌন নির্যাতনের দারুণ হুমকিতে রয়েছে।’

‘আনহেয়ার্ড ভয়েসেস’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে দেখানো হয়, এশিয়ান নারীরা যৌন নিপীড়কদের সবচেয়ে সহজ শিকার হতে পারে। এ এই শিকার হয় কারণ তাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মানসই অন্যদের থেকে ভিন্ন। ফলে টার্গেট করা সহজ হয়।

সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের নিপীড়ন
শিশু নিপীড়নের ইস্যুটা ব্রিটেনের রাজনীতিতে কয়েক বছরের আলোচিত ইস্যু। একটি অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১০ সালের আগস্ট থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত ২ হাজার ৪০৯ জন শিশু, তরুণ-তরুণী বিভিন্ন গ্যাং ও দলের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

এতে বলা হয়, ২০১০ সালের এপ্রিল থেকে ২০১১ সালের মার্চ পর্যন্ত ইংল্যান্ডে ১৬ হাজার ৫০০ জন শিশু উচ্চতর ঝুঁকিতে ছিল। সেখানে এশিয়ান মুসলিম, হিন্দু ও শিখ সম্প্রদায়, পাকিস্তানি, ভারতীয়, বাংলাদেশি, সোমালীয় ও আফগানিদের ওপর বিভিন্ন সঙ্ঘবদ্ধ শ্বেতাঙ্গ অপরাধীরা যৌন নিপীড়ন চালিয়েছে।

আক্রান্ত কয়েকজনের একজন ইমান, খুবই অল্প বয়সে সে তার বাবার হাতে নিগৃহীত হয়। এরপর তার কোরআন শিক্ষকের হাতে। আইশা ৬ বছর বয়সে যৌন নিপীড়নের শিকার হয় এবং পরবর্তীতে তাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যৌনতার দীক্ষা দেয়া হয়।

সাফা ১৪ বছর বয়সে এক চাচার পাশবিক নির্যাতনের শিকার হয় এবং চাচার বন্ধুদের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। নাজিয়া এক ছেলে বন্ধুর মাধ্যমে হেরোইনে আসক্ত হয় এবং তার মাধ্যমে পতিতাবৃত্তিতে নামে। একটি বয়স্ক ছেলে ১০ বছর বয়সী হাসিনা নামের আরেকটি মেয়েকে যৌনকর্মে প্রলুব্ধ করে। তারপর আরও একদল তরুণের সঙ্গে তাকে যৌন সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হয়।

এভাবে পারভীন নামের আরেকটি মেয়ে ১২ বছর বয়সে তার সৎ-বাবার ভাই ও তার এক বন্ধুর ব্লাক-মেইলের শিকার হয়ে তাদের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য হয়। পরবর্তীতে তাদের বন্ধুরাও একই কাজে তাকে বারংবার বাধ্য করছে।

এছাড়া ওই প্রতিবেদনে গুরুত্ব দিয়ে দেখানো হয়েছে, কিভাবে পরিবারের অন্য নারী সদস্যরা একান্তই পরিবারের দুর্নামের ভয়ে এসব অপরাধ না দেখার ভান করে থাকে।

শাইস্তা গোহির বলেন, ‘আশ্চর্যের বিষয় হলো- বেশিরভাগ যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তীর তারই পরিবারের কোনো সদস্যের দিকে। অথচ এই ব্যাপারটিই আমরা অনেক সময় খেয়াল করি না।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আক্রান্তরা একই সম্প্রদায়ের পুরুষ অথবা বয়স্ক ছেলে বন্ধুর কাছে প্রথম নিপীড়নের শিকার হয়। তারপর ওই ছেলে বন্ধুর অন্য বন্ধুদের মাধ্যমে। কিছু ক্ষেত্রে বয়স্ক পুরুষরা কিছু ছেলেকে ওইসব মেয়ের প্রতি খেয়াল রাখার জন্য অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়ে থাকে। এরপর ওই ছেলেরা তাদের সঙ্গে ওই মেয়েদের পরিচয় করিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে গোহির বলেন, ‘একটা মেয়ে আমাকে বললো- কিছু ট্যাক্সি ড্রাইবার ওদের স্কুলের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে এবং সুন্দরী মেয়েদের খোঁজ করে। মেয়েদের বাসায় যাওয়ার পথ চিনে ওই মেয়ের বয়সী কোনো কাজিন বা প্রতিবেশী ছেলের সঙ্গে পরিচিত হয়। এরপর সমবয়সী অন্য কোনো ছেলেকে ওই টার্গেট করা মেয়ের সঙ্গে কথা বলানো, একে অন্যকে জানার ব্যবস্থা করানো হয় এবং মেয়েটির ছেলে বন্ধু বানানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এগুলোর সব থাকে পূর্বপরিকল্পিত ফাঁদ।’

তাদের এ ফাঁদ অনেক সময় এতটাই ভয়ঙ্কর যে, কোনো মেয়ের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করার সময় অ্যালকোহল এবং নেশাজাতীয় পণ্য ব্যবহার করা হয়, যাতে আক্রান্ত মেয়েটি পরবর্তীতে কোনো অভিযোগ করতে না পারে।

প্রতিবেদনেতে যৌন নির্যাতনের বিভিন্ন ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। কিন্তু প্রতিবেদনটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো- সংখ্যালঘু যৌন নিপীড়নের প্রধান হাতিয়ার ‘ব্লাক-মেইল’ বা প্রতারণা। যেখানে অপরাধীরা পরিবারের লজ্জা ও মানহানির ভয় দেখিয়ে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাছাড়া ওইসব পরিবারেও শিশু নিপীড়নের বিষয়টা বিশ্বাস করা হয় না অথবা উড়িয়ে দেয়া হয়। আর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা এজন্য সব সময় হুমকিতে থাকে।

মুসলিম কাউন্সিল অব ব্রিটেনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ড. দাউদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকেরা বিশেষভাবে ঝুঁকিতে থাকে মূলত তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান ও সাংস্কৃতিক কারণে। যারা আক্রান্ত হয় তারা এ ব্যাপারগুলো জানাতে অনিচ্ছুক থাকে অথবা জানে না কোথায় জানাতে হবে। এ কারণে তারা আরও বেশি ঝুঁকিতে পড়ে।’

‘আনহেয়ার্ড ভয়েসেস’ শিরোনামে ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, যৌন নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পুরুষ প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে। যেমন- ফারহার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্কের জন্য বেছে নেয়া পবিত্র রমজান মাসকে।

দুজন পাকিস্তানি মেয়েকে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করা হয় দুজন জোব্বাধারি বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে, যাদের প্রথম দেখাতেই খুব ধার্মিক বলে মনে হবে।

ওই প্রতিবেদনে জোর দিয়ে দেখানো হয়েছে, কিভাবে মূলধারার গণমাধ্যম, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পুলিশ সাংস্কৃতিক বৈষম্যের কারণে বিষয়টিতে নজর দিতে পারছে না এবং আক্রান্ত মেয়েদের কোনো সাহায্যে আসতে পারছে না।

শিশুদের প্রধান দাতব্য সংস্থা এনএসপিসিসি’র জন ব্রাউন বলেন, ‘মনে রাখতে হবে অপরাধীরা তাদেরই টার্গেট করে, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধ করে সহজেই পার পাওয়া যাবে এবং তাদের দীর্ঘদিন এই মায়াজালে আটকে রাখা যাবে।’

তিনি বলেন, ‘তাছাড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নির্যাতনের শিকার মেয়েরা মূলধারার গণমাধ্যম ও প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সাহায্য পাচ্ছে না বা পায়নি। সেজন্য তারাই বেশি এই বিকৃত যৌনাচারের শিকার হচ্ছে।’

উদ্বোধনের আগেই ফ্লাইওভারে ফাটল

লাশের লাথি এবং আদুরীর মুখচ্ছবি

ভারতীয় জঙ্গিদের ২২ ‘গোপন ঘাঁটি’ বাংলাদেশে!

মুন্নী সাহা যেভাবে সাংবাদিক হলেন



http://www.bdtomorrow.net/newsdetail/detail/200/48268

মুখ খুললেন মুন্নী সাহা

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

হাসিনার কথোপকথন রেকর্ড : মুন্নী সাহার ভিডিও ক্যাসেট জদ্ধ হলো যেভাবে

 
29 Sep, 2013
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তোপের মুখে পড়েছেন এটিএন নিউজের সাংবাদিক মুন্নী সাহা। এ ঘটনায় ঢাকা থেকে আগত সাংবাদিকরা অস্বস্তিতে পড়েন। আর ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার বিকালে। সংক্ষিপ্ত সাক্ষাত্কার নিতে গেলে প্রশ্ন করার একপর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী ক্ষিপ্ত হন এবং তার নিরাপত্তারক্ষী এসএসএফ মুন্নী সাহার ক্যামেরা কেড়ে নেয়। পরে ক্যাসেট রেখে ক্যামেরা ফিরিয়ে দেয়া হয় বলে সূত্র জানিয়েছে। শুক্রবার জাতিসংঘের মিডিয়া রুমে এ ঘটনাটি ছিল বাংলাদেশী সাংবাদিকদের মুখে মুখে। বিষয়টি নিয়ে মুন্নী সাহা ছিলেন নীরব। সরকারি খরচে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে নিউইয়র্কে আসা এ সাংবাদিকের এমন বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ার ঘটনায় সহকর্মীদের মাঝেও অস্বস্তি বিরাজ করে।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতা বিনা অনুমতিতে রেকর্ড করেন। ক্যাসেটটি নিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা পড়লে সেটি জব্দ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে এটিএন নিউজের হেড অব নিউজ মুন্নী সাহা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হোটেল রুমে তার সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে যান। এ সময় তার সঙ্গে ছিল ভিডিও ক্যামেরা। এটাকে অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাত্ হিসেবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী কথাবার্তা রেকর্ড করতে নিষেধ করেন। মুন্নী সাহাও কোনো কথা রেকর্ড না করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় দু’জনের মধ্যে অনেক বিষয়ে কথা হয়। আর প্রধানমন্ত্রীর অগোচরে সব কথাই রেকর্ড হয়। মুন্নী বেরিয়ে গেলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। প্রধানমন্ত্রী বিস্ময় প্রকাশ করে ক্যাসেটটি জব্দ করার নির্দেশ দেন। এপর এসএসএফ ক্যামেরা থেকে ক্যাসেট খুলে নেয়।
অন্য সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত্কার নিতে যান এটিএন নিউজের সিনিয়র সাংবাদিক মুন্নী সাহা। সাক্ষাত্কার নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে ‘সময় স্বল্পতার’ কারণে প্রধানমন্ত্রী প্রথমে সময় দিতে রাজি হননি। অনেক অনুরোধের পর ৫ মিনিট সময় দিতে রাজি হন তিনি। সাক্ষাত্কারের একপর্যায়ে প্রশ্নবাণে জর্জরিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। রাগতস্বরে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি ধমকের সুরে কথা বলেন। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষী স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) সদস্যরা মুন্নী সাহাকে চলে যেতে বলেন এবং তার ক্যামেরা নিয়ে নেন তারা। পরে রেকর্ডিং করা ক্যাসেট রেখে দিয়ে মুন্নী সাহার ক্যামেরা ফিরিয়ে দেয়া হয়। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে সাংবাদিকদের বলেছেন, অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাতের কথা বলে গোপনে কথোপকথন ভিডিও রেকর্ড করার ঘটনা ধরা পড়লে ব্যবস্থা নেয়া হয়।
রাতেই ঘটনা জানাজানি হয়ে যায়। তবে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মুন্নী সাহাকে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার বিষয়টি অনেকেই বিশ্বাস করেননি। শুক্রবার বিকালে জাতিসংঘ মিডিয়া রুমে এ নিয়ে সাংবাদিকদের মাঝে ব্যাপক গুঞ্জন চলতে থাকে। সেখানে মুন্নী সাহাকে নীরব দেখা যায়।
একপর্যায়ে গুঞ্জন পৌঁছায় মুন্নী সাহার কানে। পরে মুন্নী সাহা এ নিয়ে টেলিভিশনের আরেকজন নারী সহকর্মীর কাছে সবার সামনেই জানতে চান তিনি এ ধরনের সংবাদ সবাইকে পরিবেশন করেছেন কিনা। ওই রিপোর্টার তটস্থ হয়ে জবাব দেন, ‘দিদি বিশ্বাস করেন আমি এমন কিছু বলিনি। আমি কাউকে কিছু বলিনি।’ উপস্থিত আরেক টেলিভিশন সাংবাদিক বলে ওঠেন, ‘হ্যাঁ, ওর কাছ থেকে আমরা কিছুই শুনিনি।’
পুরো বিকালটায় মুন্নী সাহা স্বাভাবিক হতে পারেননি। এমনকি জাতিসংঘ দফতরের পাশের নদীর মনোরম দৃশ্যও তার মনের কষ্ট দূর করতে পারেনি। সব সময় হাস্যোজ্জ্বল মুন্নী সাহার সঙ্গে নিউইয়র্কের এক সাংবাদিক ছবি তুলতে গিয়ে হাস্যরসের চেষ্টা করেও সাংবাদিক মুন্নী সাহাকে হাসানো সম্ভব হয়নি।
এদিকে বিডিনিউজ জানায়, সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর কথা গোপনে ক্যামেরায় ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে তার সফরসঙ্গী সাংবাদিক মুন্নী সাহার বিরুদ্ধে।
তবে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী বেসরকারি টেলিভিশন স্টেশন এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান মুন্নী সাহা গোপনে কথা ধারণ করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরীর নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা তার কাছ থেকে ভিডিও টেপটি চেয়ে নেন।
বুধবার সন্ধ্যায় নিউইয়র্ক সিটির গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাংবাদিকদের সাক্ষাতপর্বে এ ঘটনা ঘটে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাত্প্রার্থীদের একজন ছিলেন প্রত্যক্ষদর্শী।
তিনি বলেন, “মুন্নী সাহা যখন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছিলেন, সে সময় সেখানে ছিলেন ইকবাল সোবহান চৌধুরীও। কক্ষ থেকে বের হয়ে আসার পরই এসএসএফ’র একজন অফিসার রেকর্ডার থেকে টেপ মুছে ফেলেন। সে সময় মুন্নী সাহা দুঃখ প্রকাশ করে চলে যান।”
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে এ মোমেন বলেন, “ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। তবে পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের একজন আমাকে তা জানান। বিষয়টি আমাকেও ব্যথিত করেছে। কারণ, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মত মিডিয়া ফ্রেন্ডলি প্রধানমন্ত্রী খুব কমই দেখা যায়।”
মুন্নী সাহা টেলিফোনে বলেন, “গোপনে আমি কোনোকিছু ধারণ করিনি। আমার সঙ্গে ক্যামেরাম্যানও ছিল। সাক্ষাত্কার নেয়ার শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী পানি খাওয়ার জন্য থামলে তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী আমাকে বলেন, ‘সব কথাই তো রাজনৈতিক বিষয়ে হলো। সাউথ সাউথ পুরস্কারসহ এখানের কোনো বিষয়ই তো আসল না।’ তখন ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলে উঠেন, ‘এটা প্রচার না করাই ভালো।’ তখন এসএসএফ’র একজন টেপটি রেখে যেতে বললে আমি তার হাতে দেই।”
১৩৩ জনের প্রতিনিধি বহর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্ক যান। প্রতিনিধি দলে কয়েকজন সাংবাদিকও রয়েছে।
http://www.bdtomorrow.net/newsdetail/detail/200/48206

বিশেষ সাক্ষাৎকার: সুলতানা কামাল

এই সহিংস শক্তিকে নিষিদ্ধ করতেই হবে

মশিউল আলম | আপডেট: ০৪:০০, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৩ | প্রিন্ট সংস্করণ
সুলতানা কামালের জন্ম ঢাকায়, ১৯৫০ সালে। ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন ১৯৭৮ সালে। ১৯৮১ সালে হল্যান্ডে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনার পর কিছু সময় শিক্ষকতা ও জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনে আইনি পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। তারপর স্বেচ্ছাসেবী মানবাধিকারকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০০৬ সালে ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে এক মাসের কিছু বেশি সময় দায়িত্ব পালনের পর পদত্যাগ করেন। বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারপারসনের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
 সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মশিউল আলম
সুলতানা কামাল 

প্রথম আলো  ‘বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও’ স্লোগানে আপনারা একটা আন্দোলন শুরু করেছেন। আপনাদের এই আন্দোলনের লক্ষ্য কী?
সুলতানা কামাল  আমরা যাঁরা এই আন্দোলন শুরু করেছি, তাঁরা সবাই একমত হয়েছি যে বাংলাদেশকে আমরা দেখতে চাই একটি অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ; মৌলবাদ-জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা থেকে মুক্ত গণতান্ত্রিক, মানবাধিকারবোধ-সম্পন্ন একটি দেশ হিসেবে। এ জন্য আমরা সেই ১৯৫২ সাল থেকে আন্দোলন করে এসেছি, যেটার চূড়ান্ত রূপ আমরা দিয়েছি এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার অনেক আগে থেকেই আমাদের মনের মধ্যে কিন্তু বাংলাদেশের একটা রূপরেখা ছিল। সেই রূপরেখায় ব্যত্যয়হীনভাবে সব সময় এই প্রত্যয় রয়ে গেছে যে বাংলাদেশ হবে জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গনির্বিশেষে সব মানুষের বাসস্থান। একই সঙ্গে সেই রূপরেখায় আমরা ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছি। এবং আমরা বলেছি যে এই দেশে এমন একটি শাসনব্যবস্থা থাকবে, যেখানে জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এই দেশ পরিচালনা করবেন, সেখানে সামরিকতন্ত্রের কোনো সুযোগ থাকবে না।
প্রথম আলো  এসব বিষয় আমাদের জানা আছে, এগুলো নতুন নয়। কিন্তু আপনাদের এই আন্দোলনটা নতুন; আপনারা এ মুহূর্তে এটা শুরু করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করলেন কেন?
সুলতানা কামাল  আমাদের এই আন্দোলন সম্প্রতি শুরু হলেও এর ভিত্তি বা পটভূমি মুক্তিযুদ্ধেরও আগের। ছয় দফা, এগারো দফাসহ যে রাজনৈতিক ইশতেহারগুলো ছিল, সেসবের মধ্যে আমাদের এই কথাগুলোর প্রতিফলন ছিল। সেসব স্বপ্ন ও দাবিদাওয়ার ভিত্তিতে সত্তরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ের মধ্য দিয়েও আমাদের এই বিশ্বাস দৃঢ়তর হয় যে দেশের মানুষ এ রকম একটা বাংলাদেশ চেয়েছে। এমনকি সেই স্বপ্নের বাংলাদেশ পাওয়ার জন্য মানুষ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে লড়াই করেছে।
প্রথম আলো  মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে আমরা তো একটা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি এবং তারপর চার দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এখন কেন আপনাদের আবার মুক্তিযুদ্ধেরও আগের সময়ের স্বপ্ন-আদর্শের জন্য আন্দোলন শুরু করতে হচ্ছে?
সুলতানা কামাল  আমার বিবেচনায়, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ কখনোই একটা ভৌগোলিক দখলদারত্বের বিষয় ছিল না। আমরা ভূখণ্ডগত স্বাধীনতার সঙ্গে সঙ্গে মুক্তিরও স্বপ্ন দেখেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণেও সেই কথাটা ছিল: এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। আমরা আমাদের যুদ্ধটার নামও দিয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধ। আমরা মুক্তি চেয়েছিলাম সব ধরনের বৈষম্য থেকে, অন্যায় থেকে, দুঃখ-দুর্দশা থেকে। আমাদের স্বপ্ন ছিল যে এই দেশে কোনো দুঃখী মানুষ থাকবে না, সব মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। অর্থাৎ সম্পদের সুষম বণ্টনের কথাটাও কিন্তু আমরা একই সঙ্গে উচ্চারণ করেছিলাম...।
প্রথম আলো  অর্থাৎ আপনাদের কাঙ্ক্ষিত সেই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পায়নি। কিন্তু আপনাদের এখনকার আন্দোলনের ১ নম্বর দাবি জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। এটা কেন? এ দুইয়ের মধ্যে সম্পর্ক কী?
সুলতানা কামাল  সম্পর্কটা হচ্ছে যে ধর্মনিরপেক্ষ, অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, তেমন একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি বাধা সৃষ্টি করে এসেছে। তাদের রাজনৈতিক আদর্শ ও বিশ্বাস ধর্মভিত্তিক...
প্রথম আলো  গণতান্ত্রিক দেশে বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক আদর্শ থাকবে। ধর্মভিত্তিক আদর্শে সমস্যা বা অন্যায় কী আছে?
সুলতানা কামাল  তারা তাদের রাজনৈতিক আদর্শ বা বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করার জন্য ধর্মকে ব্যবহার করছে। তাদের লক্ষ্যই হচ্ছে ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করা। শুধু তা-ই নয়; তারা যে রাজনৈতিকভাবে অহিংস পদ্ধতিতে তাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে চেয়েছে, তা কিন্তু নয়। তারা তাদের রাজনৈতিক বিশ্বাস এ দেশের মানুষের ওপর চাপিয়ে দিতে চেয়েছে জোর করে, সহিংস পদ্ধতিতে। এবং তা করে এসেছে মুক্তিযুদ্ধেরও আগে থেকে। তখন তাদের ছাত্রসংগঠনের নাম ছাত্রশিবির ছিল না, ছাত্র সংঘ ছিল। তখন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র সংঘ মুক্তিযুদ্ধের আগে প্রগতিশীল দল ও সংগঠনগুলোর ওপর হামলা করেছে, যেটার সাক্ষী আমরা সবাই। যারা উনসত্তরের গণ-আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, বাম ধারার সমাজতান্ত্রিক রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল, তারা সবাই জামায়াত-ছাত্র সংঘের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত ছিল এবং আক্রান্ত হতো।
প্রথম আলো  আপনাদের আপত্তি জামায়াতের এই সহিংস পদ্ধতি নিয়ে?
সুলতানা কামাল  মুক্তিযুদ্ধের সময় তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সংঘবদ্ধভাবে সহিংসতায় নেমেছিল। তারা সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা তো করেছেই, তাদের সেই বিরোধিতার পদ্ধতিও ছিল সহিংস। জামায়াতে ইসলামী একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে এবং জামায়াতে ইসলামীর সদস্যরা নিরীহ-নিরস্ত্র মানুষের ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁদের নেতা গোলাম আযম একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতের গণহত্যার পরে সেই গণহত্যার মূল হোতা টিক্কা খানের সঙ্গে বসে বৈঠক করেছেন এবং বলেছেন যে পাকিস্তানের অখণ্ডতা রক্ষা করার দায়িত্ব তাঁরা নিলেন এবং সেটার জন্য যেকোনো কৌশল তাঁরা অবলম্বন করবেন। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে মে মাসের মধ্যে তাঁরা শান্তি কমিটি ও রাজাকার বাহিনী গঠন করলেন। তাঁদের সে সময়ের অনেক বক্তৃতা-বিবৃতি থেকে বেরিয়ে এসেছে যে তাঁরা ঘাতক দল গঠন করেছিলেন। সেই ঘাতক দলের কাজ ছিল এ দেশের মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হত্যা, ধর্ষণ, লুট, অগ্নিসংযোগসহ নৃশংস, নিকৃষ্ট অপরাধগুলো সংঘটনে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করা। আলবদরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মতিউর রহমান নিজামীকে। আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ ও কামারুজ্জামানের এলাকার লোকজনও সাক্ষ্য দেন যে তাঁরা এই সমস্ত অপরাধকর্মে লিপ্ত ছিলেন। শুধু হানাদারদের সহযোগিতা করাই নয়, তাঁরা নিজেরাও ওই সব নৃশংস-নিকৃষ্ট অপরাধগুলোর সঙ্গে লিপ্ত ছিলেন। তাঁদের এই সমস্ত অপরাধের সাক্ষ্য-প্রমাণ লিপিবদ্ধ রয়েছে রাজাকার গেজেট, আলবদর গেজেট, তাঁদের নিজেদের পত্রপত্রিকা ও অন্যান্য প্রকাশনায় এবং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
প্রথম আলো  এসবের জন্য তো তাঁদের বিচার করা হচ্ছে, ট্রাইব্যুনালের রায়ে বেশ কয়েকজনের সাজাও ঘোষিত হয়েছে। এভাবে আইনি প্রক্রিয়াতেই তো তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলোর প্রতিকার হতে পারে। এর বাইরে আপনারা আর কী চান?
সুলতানা কামাল  তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের রাজনৈতিকভাবেও রুখে দাঁড়াতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাজনীতিকে আমাদের দেশে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁদের পরাজয় ঘটার পর তাঁরা পালিয়ে কিংবা আত্মগোপন করে থাকলেন, কিন্তু তাঁদের কাজ কখনো থেমে থাকেনি, তাঁরা তা চালিয়ে গেছেন। আর পঁচাত্তর-পরবর্তী তখনকার শাসক দল দ্বারা তাঁরা রাজনৈতিকভাবে পুনঃ প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন এবং আবার সেই পুরোনো সহিংস পদ্ধতিতে অগ্রসর হয়েছেন। সহিংসতাকে তাঁরা একটি নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছেন; পঁচাত্তরের পর থেকে এখন পর্যন্ত তাঁদের হাতে কত মানুষ নিহত হয়েছে, তারও একটা হিসাব আমাদের নেওয়া উচিত।
প্রথম আলো  কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করার যে দাবিতে আপনারা সোচ্চার হয়েছেন, সেটার যুক্তি কী? ধর্মভিত্তিক দল তো আরও আছে এবং শুধু এ দেশে নয়, ভারতের মতো ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক দেশেও বিজেপি, শিবসেনা, বজরং দলের মতো উগ্র ধর্মভিত্তিক দল আছে...
সুলতানা কামাল  জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবির পেছনে যে যুক্তি আছে, সেটার বাস্তবতা কিন্তু আদালতের বক্তব্যের মাধ্যমেও কিছুটা বেরিয়ে এসেছে। আদালতে বলা হয়েছে, জামায়াত যেহেতু দল হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, সেহেতু দল হিসেবে জামায়াতের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। আমরা বলি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী জামায়াতে ইসলামী স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বেরই বিরোধী, সংবিধানের বিরোধী একটি দল। যে দল বাংলাদেশকে রাষ্ট্র হিসেবেই মানতে পারে না, এ দেশের মাটিতে তারা রাজনীতি করার অধিকার কেন পাবে? এটা ছাড়াও, একাত্তরে তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্যে যে সহিংসতা ছিল, সেটাই আসলে জামায়াতের পদ্ধতি। তারা নীতিগতভাবেই রাজনীতির সহিংস পথ, জবরদস্তির পথ বেছে নিয়েছে। উপরন্তু তারা ধর্মের নামে সহিংসতা করছে, ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, তারা মসজিদকে ব্যবহার করছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে। এই সহিংস, ধর্মের অপব্যাখ্যাকারী, দেশবিরোধী রাজনৈতিক দলকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে।
প্রথম আলো  কিন্তু নিষিদ্ধ করলে জামায়াত যদি আরও সহিংস হয়ে ওঠে? তাদের সহিংসতায় যদি পাকিস্তানি মাত্রা যুক্ত হয়?
সুলতানা কামাল  জামায়াতের যতটা সামর্থ্য, ততটা সহিংসতা তো এখনই তারা করছে প্রকাশ্যেই। ওদের আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়া, আরও বেশি সহিংস হয়ে ওঠার শঙ্কা থেকে আমরা যদি বলি, ওরা যেভাবে চলছে চলুক, নিষিদ্ধ করার প্রয়োজন নেই, তাহলে তো ওদের এসব মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু এটা তো মেনে নেওয়া যায় না। জামায়াতের রাজনীতি আনুষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ হলে তারা দেশে ও সমাজে একটা বেআইনি, অবৈধ শক্তি হিসেবে চিহ্নিত হবে। তখন তারা সামাজিকভাবে পুরোপুরি পরিত্যক্ত হবে। গোপনে আরও সহিংস পন্থা অবলম্বন করলে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। বাংলাদেশের সমাজে সহিংস রাজনৈতিক শক্তি কখনোই গ্রহণযোগ্যতা পায়নি, জামায়াতও পাবে না।
প্রথম আলো  আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সুলতানা কামাল  ধন্যবাদ প্রথম আলোকেও।

 http://www.prothom-alo.com/opinion/article/51253/%E0%A6%8F%E0%A6%87_%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%82%E0%A6%B8_%E0%A6%B6%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%87_%E0%A6%A8%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%BF%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7_%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87%E0%A6%87_%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%87

বিয়ে করি আর না করি, মা হবোই!’




http://www.bdtomorrow.net/newsdetail/detail/200/48184
 

বিয়ে না করেই মা হতে চান জ্যাকুলিন ফার্নানদেজ!

jakulin 
বলিউড অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নানদেজ বলেছেন, তিনি বিয়েতে বিশ্বাসী নন, বিয়ে না করেই তিনি মা হতে চান।
একটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
জ্যাকুলিন বলেন, আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যখন বিয়ের চেয়ে বিচ্ছেদের হার বেশি। আমার বাবা-মা ত্রিশ বছর ধরে সংসার করছেন। আমি অবশ্যই তাদের মতোই হতে চাই। তবে এটাও ঠিক সেই সময়টা আর নেই। যাই হোক, বিয়ে না করলেও, আমি কিন্তু সন্তানের মা হবোই।
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩/১০.৫৩http://www.newsevent24.com/2013/09/28/%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%87-%E0%A6%AE%E0%A6%BE-%E0%A6%B9%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%9A%E0%A6%BE%E0%A6%A8-%E0%A6%9C%E0%A7%8D/

 
 
 
 
 
 

নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইলিং চেষ্টায় মুন্নী সাহা

প্রটোকল ভাঙলেন মুন্নি সাহা



http://www.bdtomorrow.net/newsdetail/detail/200/48186

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

মিরসরাইয়ে গৃহবধূকে ছাত্রলীগ কর্মীদের গণধর্ষণ
শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: মিরসরাইয়ে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। করেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মীরা এ ঘটনা ঘটায়। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে করেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন পদত্যাগ করেছেন। সূত্র জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় ফেনী থেকে করেরহাট রামগড় সড়ক সংলগ্ন নয়টিলা মাজার জিয়ারত করতে আসেন ফেনীর মহিপাল হাজারী রোড এলাকার ওই গৃহবধূ। সঙ্গে ছিলেন তার চাচাতো ভাই। তার হাতের জটিল অসুস্থতার জন্য বিয়ের পর স্বামী তাকে নিয়ে যাচ্ছে না বলে নিয়ত করে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে এখানে আসেন তিনি। সন্ধ্যার পর ফেরার পথে করেরহাট বাজার পার হয়ে লক্ষ্মীছড়ার পাশে স্থানীয় ছাত্রলীগের যুবক দিদারুল আলম (২৩), মোশাররফ (২৪), সুজা (২৩) ও করিম (২৪) তাদের সিএনজি আটক করে চাচাতো ভাইয়ের ২টি মোবাইল ও পকেটে থাকা ৪০০ টাকা নিয়ে নেয়। এরপর ভাইকে সেখানে আটকে রেখে বোনকে লিটন (২৫), জিয়া (২৪) ও সবুজ (২৩) আরেকটি সিএনজিতে তাকে তুলে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর সব রেখে দিয়ে ভাইকে ছেড়ে দেয়। এরপর ভাই ঘটনাটি স্থানীয় লোকজনদের জানালে তারা স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি সেক্রেটারিকে জানাতে পরামর্শ দেন। অবশেষে রাত ১০টার পর ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ অবহিত হয়।
রাত ১২টার পর অপহরক দলের সদস্য দিদারুল আলমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী  রাত ২টায় গৃহবধূকে দক্ষিণ অলীনগর এলাকার পাহাড়ি জঙ্গল থেকে উদ্ধার করেন জোরারগঞ্জ থানার এসআই আলমগীর হোসেন। এ সময় ধর্ষকেরা গভীর জঙ্গলে পালিয়ে যায়। গৃহবধূ জানান, ৩ যুবক তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে। দিদারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ধর্ষক তিনজন হলো লিটন, জিয়া ও সবুজ। লিটন করেরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, দিদার প্রচার সম্পাদক ও সবুজ সক্রিয় কর্মী। এছাড়া অন্য সকলে ছাত্রলীগ কর্মী। এ বিষয়ে করেরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলাম জানান এমন অপরাধী ছাত্রলীগ নয় এরা ছাত্রলীগ নামধারী।
 http://www.mzamin.com/details.php?nid=NzI5NDA=&ty=MA==&s=Mjc=&c=MQ==

‘শুধু নামাজের সময় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ঢেকে রাখি’

gazipurশিল্প পুলিশ-২ গাজীপুরের পরিচালক (পুলিশ সুপার পদমর্যাদা) মো: আবুল খায়ের বলেছেন, ‘সব সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ঢেকে রাখি না। শুধু নামাজের সময় ছবিগুলো ঢেকে রাখি। ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক ছবি থাকলে ওই ঘরে নামাজ হয় না। তাই এ কাজ করি। এখানে কাউকে অসম্মান দেখানোর উদ্দেশ্য আমার নেই।’।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি তাঁর একটি ছবি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে।
ফেসবুকে ‘সাওন দন্ত্যস’ নামে একটি একাউন্ট থেকে শেয়ার দেয়া এক ছবিতে দেখা গেছে, শিল্প পুলিশ-২ গাজীপুরের পরিচালক মো: আবুল খায়ের তাঁর কার্যালয়ে বসা। তাঁর মাথায় ছিল টুপি, গায়ে জোব্বা। পুলিশ কর্মকর্তার মাথার ওপর দেয়ালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিটি তোয়ালে দিয়ে ঢাকা। এসময় তাঁর ঘরে দুজন লোককেও দেখা গেছে। এ ছবিটি ফেসবুকে ব্যাপক ঝড় তুলেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, ছবিটি বানোয়াট নয়। তবে আমি সব সময় ছবি দুটি ঢেকে রাখি না। কেবল নামাজের সময়ই ঢেকে রাখি। নামাজ পড়ার পর পরই হয়তো কেউ ঘরে ঢুকে উদ্দেশ্যবশত ছবিটি তুলেছেন। এখন উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রচার করে ফিরছেন।
মো: আবুল খায়ের বলেন, বিএনপি সরকারের সময় আমি ডেমরা জোনে এসি ছিলাম। তখন আমার কার্যালয়ে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার ছবি ছিল। নামাজের সময় আমি তাদের ছবিও ঢেকে রাখতাম। এগুলো দেখে অনেকে আমাকে আওয়ামী লীগার বলত। আর এখন বলে বিএনপি-হেফাজত।
আবুল খায়ের বলেন, কোনো অপপ্রচার নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন।
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩/১০.২২/মেহেদী হাসান

http://www.newsevent24.com/2013/09/27/%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A7%E0%A7%81-%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%9C%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AC%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%97%E0%A6%AC%E0%A6%A8/?fb_source=pubv1

এক-চতুর্থাংশ এশীয় পুরুষ ধর্ষক, ‘স্ত্রীদেরও ধর্ষণ’ : জাতিসংঘের জরিপ

rapeএশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছয়টি দেশে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, এসব দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পুরুষ কখনো না কখনো ধর্ষণ করেছেন। জাতিসংঘের পরিচালিত এ জরিপ বলছে, এসব ধর্ষক অনেক সময় তাঁদের স্ত্রী বা সাথিদেরও ধর্ষণ করেছেন।
‘দ্য ডন’ বলছে, জাতিসংঘের নারীবিষয়ক অধিদপ্তর আজ মঙ্গলবার জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ থেকে জানা গেছে, এসব দেশের নারীরা ধর্ষণ ছাড়াও নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হন।
ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, পাপুয়া নিউগিনি, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ১০ হাজারেরও বেশি পুরুষের ওপর এ জরিপটি পরিচালিত হয়। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে পরিচালিত এ ধরনের জরিপ এটিই প্রথম।
জাতিসংঘের নারীবিষয়ক অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক রবার্ট ক্লার্ক আজ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অনেক নারীর জন্যই সহিংসতা এক বীভত্স বাস্তবতা। যে সংস্কৃতি পুরুষকে নারীদের ওপরে খবরদারি চালানোর সুযোগ করে দেয়, সেটিকে অবশ্যই বদলে দিতে হবে।’
জাতিসংঘ বলছে, ধর্ষণের প্রবণতা স্থানভেদে হেরফের হয়, তাই যেসব এলাকায় তা পরিচালিত হয়েছে, সেগুলো পুরো দেশের সম্পূর্ণ পরিস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করে না।
কারও অসম্মতিতে বা জোর করে কাউকে যৌনকর্মে বাধ্য করাকে ধর্ষণের ভিত্তি ধরে পরিচালিত গবেষণাটি বলছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ১১ জন তাঁদের স্ত্রী নন এমন নারীদের ধর্ষণ করেছেন। তবে স্ত্রীদের এ তালিকায় যুক্ত করলে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ ধর্ষণ করেছেন। তবে, ধর্ষণ করেছেন এমন পুরুষের ৪৫ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা একজনের বেশি নারীকে ধর্ষণ করেছেন।
আশঙ্কার ব্যাপার হলো, ধর্ষণ করেছেন এমন ব্যক্তিদের অর্ধেকের বেশি জানিয়েছেন, তাঁরা বয়ঃসন্ধিক্ষণে এবং ১২ শতাংশ ১৫ বছরের কম বয়সে ওই কাজ করেছেন। অধিকাংশ পুরুষ বলেছেন, এ কাজের জন্য তাঁদের কোনো আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হয়নি।
সবচেয়ে বেশি ধর্ষক মিলেছে পাপুয়া নিউগিনিতে। এ দেশের বোগেনভিল এলাকার ৬২ শতাংশই ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। সম্ভবত বহু বছরের গৃহযুদ্ধ ও দারিদ্র্যের কারণে দেশটির এ পরিস্থিতি। ১৯৯৮ সালে দেশটিতে যুদ্ধ শেষ হয়। তবে এখনো আইনি ব্যবস্থার চেয়ে সামাজিক সালিস-ব্যবস্থাকেই বেশি গুরুত্ব দেন দেশবাসী।
পাপুয়া নিউগিনির প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া এলাকার ৪৯ শতাংশ এবং রাজধানী জাকার্তার ২৬ শতাংশ পুরুষ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। চীনে এই হার ২২ এবং কম্বোডিয়ায় ২০ শতাংশ।

http://www.newsevent24.com/2013/09/10/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B6-%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7/

ভারতে এবার শিক্ষকের হাতে কিশোরী ছাত্রীর শ্লীলতাহানি

Rapeস্কুলের বয়স্ক শিক্ষক তার শ্লীলতাহানি করেছে। শিক্ষক দিবসে এই কথা মাকে জানাল ১১ বছরের কন্যা। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর পরে অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিক্ষককে।
ধৃতের নাম তরুণ চ্যাটার্জি। তিনি ভারতের গাজিয়াবাদের একটি স্কুলে সঙ্গীত শিক্ষক। ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই বাসে স্কুলে যাতায়াত করতেন তিনি। অভিযোগ সেই সময় পঞ্চম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করেন।
ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩/২২:৪০/পিএম

http://www.newsevent24.com/2013/09/16/%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%8F%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%87/

ধর্ষণ করেছে বাবা, বিয়ে ছেলের সঙ্গে!

rapeভারতের রাজস্থানে ছয় বছরের একটি শিশুকে একটি কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে ৪০ বছর বয়সী এক নরপশু।
অন্য দিকে, গ্রামের মাতব্বররা শিশুটিকে ওই নরপশুর আট বছর বয়সী ছেলের সঙ্গে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডেইলি মেইল জানায়, দুই সপ্তাহ আগে শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর গত বুধবার আবারো ধর্ষণ করা হয় শিশুটিকে।
তবে মামলা করার পরিবর্তে শিশুটির পরিবার সালিশের জন্য পঞ্চায়েতের দ্বারস্থ হয়।
গ্রাম্য কমিটির সালিশেই নেয়া হয় এই অভিনব সিদ্ধান্ত। তবে পঞ্চায়েতের ওই সিদ্ধান্তকে মেনে নেয়নি শিশুটির বাবা-মা।
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩/১৫.১২/মেহা

http://www.newsevent24.com/2013/09/06/%E0%A6%A7%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%9B%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A7%87-%E0%A6%9B%E0%A7%87/

৯৩ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ

rapeমঙ্গলবার ভারতের রাজধানী দিল্লি এবং মহারাষ্ট্রের দুটি ঘটনা এই ‘ধর্ষণ লজ্জা’কেও লজ্জিত করে তুলেছে। ১০ বছরের এক শিশু ও ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে ভারতে। এই সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে দেশটির অন্যতম গণমাধ্যম ‘জি নিউজ’ তাদের সংবাদের শুরুতে এভাবেই উল্লেখ করেন, “মঙ্গলবার দিল্লি আর মহারাষ্ট্রে যা ঘটল তাতে মুখ ঢেকে যায় লজ্জায় বললেও কম বলা হয়।”
জি নিউজি-এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, দিল্লিতে ১০ বছরের এক শিশুকে শৌচালয়ে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে ১৬ বছরের এক যুবক। ওই শিশুকে ধর্ষণের পাশাপাশি পাশবিকভাবে নির্যাতনও করা হয়।
অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের আমেদ নগরে ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধার সবকিছু কেড়ে নিয়ে ধর্ষণ করে পালায় একদল দুর্বৃত্ত। তাকে অজ্ঞান অবস্থায় বাড়ি থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১৯ আগষ্ট তাকে ধর্ষন করা হয়েছিলো। ধর্ষণের ১৫ দিনপর সেই বৃদ্ধার জ্ঞান ফিরে। এরপর তিনি পুলিশকে জানান এই ধর্ষণের ঘটনা।
এর আগে পুনেতে একটি হাসপাতালে ওর্য়াড বয় ও নিরাপত্তা রক্ষীর হাতে ধর্ষিত হয় এক মানসিক ভারসম্যহীন বাকপ্রতিবন্ধি। প্রচন্ড জরের কারণে তাকে পুনের পিমপরি চিঞ্চওয়াড় মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন সিভিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর গত ২৯ আগষ্ট তাকে ওর্য়াড পরিবর্তনের কথা বলে লিফটে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে তার আশ্রয়স্থল চৈতন্য মহিলা মণ্ডলে চলে আসেন। এই মহিলা মণ্ডলের এক পুনর্বাসনের এক কর্মকর্তাকে আকারে ইঙ্গিতে ঘটনাটির কথা জানান। এরপর ওই পূর্ণবাসন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মামলা করলে রোববার ওয়ার্ড বয় শৈলেন্দ্র দাগড়ু যাদব (৩৯) এবং নিরাপত্তারক্ষী প্রমোদ মনোহর মান্দেকরকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্র : জি নিউজ
নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩/১৬.৩৯/এনসাজওয়াল

এক-চতুর্থাংশ এশীয় পুরুষ ধর্ষক, ‘স্ত্রীদেরও ধর্ষণ’ : জাতিসংঘের জরিপ


rape
এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ছয়টি দেশে জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে, এসব দেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ পুরুষ কখনো না কখনো ধর্ষণ করেছেন। জাতিসংঘের পরিচালিত এ জরিপ বলছে, এসব ধর্ষক অনেক সময় তাঁদের স্ত্রী বা সাথিদেরও ধর্ষণ করেছেন।
‘দ্য ডন’ বলছে, জাতিসংঘের নারীবিষয়ক অধিদপ্তর আজ মঙ্গলবার জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ থেকে জানা গেছে, এসব দেশের নারীরা ধর্ষণ ছাড়াও নানা ধরনের সহিংসতার শিকার হন।
ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, চীন, পাপুয়া নিউগিনি, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ১০ হাজারেরও বেশি পুরুষের ওপর এ জরিপটি পরিচালিত হয়। জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে পরিচালিত এ ধরনের জরিপ এটিই প্রথম।
জাতিসংঘের নারীবিষয়ক অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক রবার্ট ক্লার্ক আজ থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বলেন, ‘অনেক নারীর জন্যই সহিংসতা এক বীভত্স বাস্তবতা। যে সংস্কৃতি পুরুষকে নারীদের ওপরে খবরদারি চালানোর সুযোগ করে দেয়, সেটিকে অবশ্যই বদলে দিতে হবে।’
জাতিসংঘ বলছে, ধর্ষণের প্রবণতা স্থানভেদে হেরফের হয়, তাই যেসব এলাকায় তা পরিচালিত হয়েছে, সেগুলো পুরো দেশের সম্পূর্ণ পরিস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করে না।
কারও অসম্মতিতে বা জোর করে কাউকে যৌনকর্মে বাধ্য করাকে ধর্ষণের ভিত্তি ধরে পরিচালিত গবেষণাটি বলছে, জরিপে অংশগ্রহণকারীদের শতকরা ১১ জন তাঁদের স্ত্রী নন এমন নারীদের ধর্ষণ করেছেন। তবে স্ত্রীদের এ তালিকায় যুক্ত করলে অংশগ্রহণকারীদের ২৪ শতাংশ ধর্ষণ করেছেন। তবে, ধর্ষণ করেছেন এমন পুরুষের ৪৫ শতাংশ বলেছেন, তাঁরা একজনের বেশি নারীকে ধর্ষণ করেছেন।
আশঙ্কার ব্যাপার হলো, ধর্ষণ করেছেন এমন ব্যক্তিদের অর্ধেকের বেশি জানিয়েছেন, তাঁরা বয়ঃসন্ধিক্ষণে এবং ১২ শতাংশ ১৫ বছরের কম বয়সে ওই কাজ করেছেন। অধিকাংশ পুরুষ বলেছেন, এ কাজের জন্য তাঁদের কোনো আইনি ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হয়নি।
সবচেয়ে বেশি ধর্ষক মিলেছে পাপুয়া নিউগিনিতে। এ দেশের বোগেনভিল এলাকার ৬২ শতাংশই ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। সম্ভবত বহু বছরের গৃহযুদ্ধ ও দারিদ্র্যের কারণে দেশটির এ পরিস্থিতি। ১৯৯৮ সালে দেশটিতে যুদ্ধ শেষ হয়। তবে এখনো আইনি ব্যবস্থার চেয়ে সামাজিক সালিস-ব্যবস্থাকেই বেশি গুরুত্ব দেন দেশবাসী।
পাপুয়া নিউগিনির প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া এলাকার ৪৯ শতাংশ এবং রাজধানী জাকার্তার ২৬ শতাংশ পুরুষ ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। চীনে এই হার ২২ এবং কম্বোডিয়ায় ২০ শতাংশ।
http://www.newsevent24.com/2013/09/10/%E0%A6%8F%E0%A6%95-%E0%A6%9A%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A6%82%E0%A6%B6-%E0%A6%8F%E0%A6%B6%E0%A7%80%E0%A6%AF%E0%A6%BC-%E0%A6%AA%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81%E0%A6%B7/