শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪


ছাত্রী ধর্ষণের হুমকি প্রধান শিক্ষকের নয়া দিগন্ত অনলাইন ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, শুক্রবার, ৯:৫৫ পশ্চিবঙ্গের তৃণমূল সংসদ সদস্য তাপস পালের পর এবার স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিলো প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের হুঁশিয়ারি, বেশি বাড়াবাড়ি করলে বহিরাগতদের দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করিয়ে দেয়া হবে। রাজ্যের দুর্গাপুরের রঘুনাথ মুর্মু সরকারি আবাসিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশুদ্ধানন্দ রায়ের বিরুদ্ধে এমনটাই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানিয়েছেন স্কুলেরই এক ছাত্রী। এমনকি ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক নেতাদের পর এবার একজন শিক্ষক বহিরাগতদের দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল এবং মেদিনীপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জিতেন্দ্রনাথ দাসের পথ অনুসরণ করেই ছাত্রীকে বহিরাগতদের দিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন বলে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে প্রকাশ্যে হুমকি দেননি তিনি। ওই ছাত্রী হোস্টেলে খাবার ও পানি ঠিকমতো পাওয়া যাওয়া না বলে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলো প্রধান শিক্ষকের কাছে। তখনই শিক্ষক এই হুমকি দেন বলে অভিযোগ ছাত্রীটির। তবে একথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পাল্টা অভিযোগ, শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা মিলে তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। ১ আগস্ট এই মর্মে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন তারা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার করুণাময়ী মণ্ডল নামে স্কুলেরই এক শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, বিএড কোর্সের আবেদনে সই করাতে গেলে প্রধান শিক্ষক ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে মারধর করেন। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত দুর্নীতিপরায়ণ। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এদিন নিউটাউনশিপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই আক্রান্ত শিক্ষিকা। সূত্র : কলকাতা২৪

printer প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করে একজন :হু প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০১:৪১:১৭ অঅ-অ+ এএফপি বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরে মোট মৃত্যুর চেয়ে নিজের জীবন নিজেই হরণের এ হার অনেক বেশি। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আত্মহত্যার ওপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এটিই প্রথম কোনো প্রতিবেদন। এতে সংস্থাটি খ্যাতিমানদের আত্মহত্যার ঘটনা মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারকে দোষারোপ করেছে। তাদের মতে, এতে আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক শেখর সাক্সেনা বলেন, 'আত্মহত্যা একটি জনস্বাস্থ্যগত সমস্যা। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি আত্মহত্যা_ এটি অবশ্যই বড় একটি সংখ্যা।' তিনি জানান, 'প্রতিবছর বিশ্বে ১৫ লাখ অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর মধ্যে শুধু আত্মহননের ঘটনাই ৮ লাখ।' প্রতিবেদনে বলা হয়, আত্মহননের ২৫ শতাংশ ঘটনাই ঘটে ধনী দেশগুলোয়। এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপ এবং এশিয়ায়। Loading... মন্তব্য

'প্রতি ১০ মেয়েশিশুর ১ জন যৌন নির্যাতনের শিকার' প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ১২:৪৬:৪৫ | আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ১২:৪৮:২০ অঅ-অ+ জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে মোট ১২ কোটি মেয়েশিশু বয়স ২০ হওয়ার আগেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয় অনলাইন ডেস্ক জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছে, বয়স ২০ হওয়ার আগেই পৃথিবীতে প্রতি ১০ জন মেয়েশিশুর একজন ধর্ষিত অথবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।'প্রতি ১০ মেয়েশিশুর ১ জন যৌন নির্যাতনের শিকার' এছাড়া পৃথিবীতে মোট ১২০ মিলিয়ন বা ১২ কোটি মেয়েশিশু নির্যাতনের শিকার বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৯০টি দেশের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করে জাতিসংঘ এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। একসঙ্গে এতগুলো দেশের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে শিশুদের বিষয়ে এমন কোনো প্রতিবেদন এর আগে প্রকাশিত হয়নি। বয়স, ধর্ম, গোত্র, দেশ বা অর্থনৈতিক শ্রেণি নির্বিশেষেই শিশুরা সহিংসতার শিকার হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ-এর নির্বাহী পরিচালক এন্থনি লেক। তিনি বলেন, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক, অচেনা ব্যক্তি ছাড়াও এমনকি পরিবারের ঘনিষ্ঠ মানুষদের দ্বারাও এসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ইউনিসেফ বলছে, কেবল ২০১২ সালেই মোট ৯৫ হাজার শিশু ও কিশোর-কিশোরী খুন হয়েছে। আর এইসব খুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ল্যাটিন অ্যামেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোতে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রতি দশজনের মধ্যে ৬ জনকেই শারীরিকভাবে শাস্তি দেয়া হয়। এসব শিশুর অভিভাবক বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা থাকেন তারাই এই শাস্তি দিয়ে থাকেন। শিশু নির্যাতনের ঘটনা অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ হিসেবে রিপোর্ট করা হয় না বলে প্রকৃত ঘটনার সংখ্যা প্রতিবেদনে উঠে আসা ঘটনার চাইতে অনেক বেশি বলেও জানিয়েছে ইউনিসেফ। এছাড়া অনেক দেশে শিশুদের শাস্তি হিসেবে মারধর করা সামাজিকভাবেই স্বীকৃত।

শিরোনাম
পর্ণো ছবিতে অভিনয় করতে বলায় স্বামীকে হত্যা নয়া দিগন্ত অনলাইন ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, শনিবার, ১:০১ অাটকের পর শ্রুতি চন্দ্রলেখা পর্ণো ছবিতে অভিনয় করতে বলায় স্বামীকে হত্যা করেছেন ভারতের এক তামিল অভিনেত্রী। এ ঘটনায় স্ত্রী শ্রুতি চন্দ্রলেখাসহ (২২) পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাঙ্গালুরু থেকে শ্রুতিকে আটক করা হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানায়, শ্রুতি তামিল ও কান্নাডায় কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আট মাস আগে স্বামী রোনাল্ড পিটার প্রিঞ্জ টাকার জন্য তাকে পর্ণো সিনেমায় অভিনয় করতে বলে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্বামীকে হত্যা করেন শ্রুতি। হত্যার পর তামিলনাড়ুর তিরুনেলভিলিতে স্বামীর মৃতদেহ চাপা দেন তিনি। এ ঘটনায় পাঁচজন তাকে সহায়তা করে। জানুয়ারি মাসে পাঁচ সহযোগীকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে শ্রুতিকে আটক করে পুলিশ। কর্মকর্তারা আরো জানায়, ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় প্রিঞ্জের কাছে বন্ধুরা অনেক টাকা পেতো। সে টাকা শোধ করতে পর্ণো সিনেমা বানানোর কথা চিন্তা করে প্রিঞ্জ এবং সেখানে শ্রুতিকে অভিনয় করার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু সে রাজি হয় না। এরপর স্বামী ব্যাঙ্গালুরুতে গেলে সেখানে বিষ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা করে। পরে পাঁচ সহযোগী প্রিঞ্জের মৃতদেহ মাটি চাপা দেয়।

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪


যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে অ্যাসিড নয়া দিগন্ত অনলাইন ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ৬:০৩ পাশবিক, অর্থিপিশাচ নাকি নরাধম! কোনো বিশেষণই বোধহয় যথেষ্ট নয়। যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীর গোপন অঙ্গে অ্যাসিড ঢেলে দিল স্বামী। এরপর জোর করে কেরোসিন খাইয়ে তাকিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে সে। স্ত্রীকে দগ্ধে দগ্ধে মরতে দেখেও ক্ষান্ত হয়নি স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। যৌনাঙ্গে ও দেহের নিম্ন অঙ্গে অ্যাসিডের জ্বালা নিয়ে স্ত্রীকে মরতে দেখেও এতটুকু অনুশোচনা জন্মায়নি তাদের মনে। উল্টে কোনো চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে ওই নারীকে ঘরে বন্ধ করে রাখে তার পরিবার। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়। আট বছর আগে অভিযুক্ত স্বামী কল্যাণ আহিরওয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয় নিগৃহিতার। ২০০৯ সাল থেকে পনের জন্য মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু হয় বলে জানিয়েছেন মেয়েটির বাবা। ২০১০ সালে যৌতুক নিয়ে অত্যচারের একটি মামলাও দায়ের করা হয় কল্যাণ আহিরওয়ারের বিরুদ্ধে। পরে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করে মিটিয়ে নেয়া হয় বিষয়টি। কিন্তু তারপরেও টাকা আদায়ের চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ক্রমশ সেই অত্যাচারের মাত্র বাড়তে থাকে নির্যাতিতার উপর। বুধবার রাতে চরম পর্যায় পৌঁছায় সেই অত্যাচারের মাত্রা। যৌতুকের টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত কল্যাণ ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে মাটিতে ফেলে ট্রাক্টরের ব্যাটারি থেকে অ্যাসিড বের করে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ঢেলে দেয়। কয়েক ঘন্টা অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকার পর অভিযুক্ত স্বামী মেয়েটিকে মৃত ভেবে তার বাবাকে খবর দেয়। মেয়ে আত্মহত্যা করেছে এই খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা শ্বশুরবাড়িতে আসে। কিন্তু জ্ঞান ফিরে পাওয়ায় মেয়েটি সব কথা নিজের বাবাকে জানায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিতার স্বামী ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। Share on facebook Share on twitter Share on email Share on print More Sharing Services 14 সংশ্লিষ্ট আরও খবর

সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল’ গ্লিটজ ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published: 2014-09-04 17:00:23.0 BdST Updated: 2014-09-04 17:00:32.0 BdST ‘মাকড়ি’ সিনেমার সেই সাহসী ছোট্ট মেয়েটি যে তার বোনকে বাঁচাতে অবলীলায় ঢুকে যায় ডাইনির গুহায়, সেই শোয়েতা বাসু আজ সত্যিই বন্দি। যমজ দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করে ভারতের জাতীয় পুরস্কার জিতে নেওয়া মেয়েটিকে নামতে হয়েছে দেহ ব্যবসায়। আর সে জন্য সম্প্রতি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। Print Friendly and PDF 0
4 12.1K ২৩ বছর বয়সী শোয়েতার শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। 'কাহানি ঘার ঘার কি’, 'কারিশমা কা কারিশমা’সহ অনেক হিন্দি সিরিয়ালে অভিনয় করা মেয়েটির আদুরে মুখ হয়তো আজও ছোট পর্দার দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। এরপর ভিশাল ভারাদওয়াজের পরিচালনায় ‘মাকড়ি’ সিনেমায় অভিনয় করে বড় পর্দার দর্শক ও সমালোচকদের মন জয় করে নেয় মেয়েটি। ‘ইকবাল’ সিনেমায়ও তার অভিনয় স্বীকৃত হয়। বাংলা, তামিল এবং তেলেগু সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। তাহলে কি এমন হলো যে আজ তার এই পরিণতি? জবাবটা দিলেন শোয়েতা নিজেই। “আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব এবং আরও বেশ কিছু কর্তব‍্য্য ছিল। সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর কয়েক জন আমাকে বললো টাকা উপার্জনের জন্য দেহ বিক্রি করতে। আমি অসহায় ছিলাম এবং আর কোনো উপায় না থাকায় এই কাজ শুরু করলাম। “ একটি যৌন ব্যবসা চক্রের সংগঠকের সঙ্গে রোববার রাতে একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় শোয়েতাকে। পরদিন আদালত তাকে পাঠিয়ে দেন ভারতের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি ত্রাণকেন্দ্রে। সেখানে তাকে তিন মাস বসবাস করতে হবে। অন্যদিকে ঐ যৌন ব্যবসা চক্রের সংগঠক যে কি না প্রত্যেক খদ্দেরের কাছ থেকে ১ লাখ রুপি করে নিচ্ছিল বলে জানা গেছে, তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রবিবার, ৬ জুলাই, ২০১৪


সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা সাতক্ষীরা সংবাদদাতা ৭ জুলাই ২০১৪, সোমবার, ১১:৩০ সাতক্ষীরায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের মাছিয়াড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম লাভলী বেগম (৪০)। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ হাওলাদারের স্ত্রী। মৃতের স্বজনরা জানান, আব্দুল হামিদ মাদারীপুরের একটি ইটভাটায় কাজ করেন। তার স্ত্রী লাভলী বেগমের সাথে একই গ্রামের সাত্তার ফকিরের ছেলে কুদ্দুস ফকিরের দীর্ঘ দিনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। রোববার রাত ১১টার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাইরে বের হন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার মুখে কাপড় বেঁধে নিয়ে যায়। সোমবার সকাল সাতটার দিকে মাছিয়াড়া গ্রামের ডাঃ রতন করের আমবাগানে তার লাশ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসি পুলিশে খবর দেয়। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, গৃহবধূর ঘাড়ে ও মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তাকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এবার উত্তর প্রদেশে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ প্রকাশ : ০৬ জুলাই, ২০১৪ ২০:০৭:১১ | আপডেট : ০৬ জুলাই, ২০১৪ ২০:১০:১০ ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করেছে অভিযুক্তেরই দুই বন্ধু অনলাইন ডেস্ক ভারতের উত্তর প্রদেশে এবার এক শিক্ষিকাকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এবার উত্তর প্রদেশে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ অভিযুক্ত তিন যুবক- এনডিটিভি আজ রোববার এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মুজাফফরনগর জেলার বালওয়াখেরি গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষিকা। ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করেছে অভিযুক্তেরই দুই বন্ধু। ওই শিক্ষিকা বলেন, 'মুহিত (ধর্ষক) আমার পেছন থেকে এসে আমার মুখ জাপটে ধরে। এতে আমি চিৎকার করতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে সে আমাকে একটি খালি বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ফোনে সে তার দুই বন্ধুকে ডেকে আনে।' 'মুহিত যখন আমাকে ধর্ষণ করে তার দুই বন্ধু তাদের মোবাইল ফোনে সে দৃশ্যের ভিডিওধারণ করে।' ঘটনা ফাঁস করলে ধর্ষণকারীরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারীর বাবা তিন কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরপর শনিবার রাতেই তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে মুজাফফরনগরে একটি আলোচিত গণধর্ষণেরর ঘটনা ঘটে। ২০ বছর বয়সী এক নারীকে আটজন মিলে ধর্ষণের পর তার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের জাতীয় অপরাধ ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, গত বছরে উত্তর প্রদেশে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটে ৩২ হাজার ৫৪৬টি, এর মধ্যে ৩ হাজার ৫০টিই ধর্ষণের।

উত্তর প্রদেশে শিক্ষিকাকে ছাত্রদের ধর্ষণ অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ২০:৪২, জুলাই ০৬, ২০১৪ ১ Like ১৪ ভারতের উত্তর প্রদেশে এবার ২৩ বছর বয়সী এক কলেজশিক্ষিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী অভিযোগ করেছেন, একজন কলেজছাত্র তাঁকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছে। মোজাফ্ফরনগর জেলার বলওয়াখেরি গ্রামে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। ওই নারী বলেছেন, ওই ছাত্রের দুই সহযোগী ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও করেছে। এ ঘটনা কাউকে বললে ওই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়া হবে বলে তারা হুমকি দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ রোববার এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গতকাল ছাত্র পড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই শিক্ষিকা। তিনি বলেন, মোহিত নামের এক কলেজছাত্র পেছন থেকে এসে তাঁর মুখ চেপে ধরে। সে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় সে তার দুই বন্ধুকে ফোন করে আসতে বলে। তারা এসে মোবাইলে ধর্ষণের দৃশ্য রেকর্ড করে। এরপর তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, বিষয়টি যেন তিনি কাউকে না জানান। ঘটনার পর গতকাল গভীর রাতে অভিযুক্ত তিন কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মোজাফ্ফরনগরে দুই সপ্তাহ আগে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের দৃশ্য ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘হোয়াটস অ্যাপে’ ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০১৪


অঢেল সম্পদ, ঘরে নেই বউ আপডেট: ০০:০৫, জুন ৩০, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ ০ Like ২ ড্রিউ হিউসটন, এদুয়ার্দো সেভারিন, ইয়োশিকাজু তানাকা, আলবার্টটাকায় নাকি বাঘের দুধও মেলে! কিন্তু ভালোবাসা জোটে না। বিখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর কোটিপতিদের তালিকার দিকে তাকালে অন্তত তাই মনে হয়। তাঁরা প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক। বিয়ের উপযুক্ত (!) হলেও তাঁদের কপালে এখনো বউ জোটেনি। খবর এনডিটিভির। ফোর্বস সাময়িকীটির সর্বশেষ তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্বের এক হাজার ৬৪৫ জন শীর্ষ ধনকুবেরের মধ্যে কখনোই বিয়ে করতে পারেননি অন্তত ৩ শতাংশ। তাঁদের মধ্যে ১০ জন শীর্ষ অবিবাহিত ধনীর তালিকা দিয়েছে সাময়িকীটি। তাঁদের সম্পদের পরিমাণ এখানে তুলে ধরা হলো। মার্কিন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা ড্রিউ হিউসটনের বয়স ৩০। তিনি ড্রপবক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০২ কোটি মার্কিন ডলার। জার্মানির অভিজাত পরিবারের সদস্য আলবার্টের বয়স ৩০। ব্যবসা ও উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০৬ কোটি মার্কিন ডলার। ব্রাজিলের বংশোদ্ভূত এদুয়ার্দো সেভারিন (৩১) ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা। মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০১ কোটি মার্কিন ডলার। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইউবিকুইট নেটওয়ার্কসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবার্ট পেরার বয়স ৩৫। তাঁর সম্পদ ২০৭ কোটি ডলার। ৩৭ বছর বয়সী জাপানের উদ্যোক্তা ইয়োশিকাজু তানাকা ‘গ্রি’ নামের একটি ইন্টারনেট ব্যবসা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সম্পদ ১০৬ কোটি মার্কিন ডলার। টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জ্যাক দোরসির (৩৭) সম্পদ ২২০ কোটি মার্কিন ডলার। ইউক্রেনে জন্ম নেওয়া ৩৮ বছর বয়সী মার্কিন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা ও কম্পিউটার প্রকৌশলী জান কোউমের সম্পদ ৬০৮ কোটি ডলার। তিনি হোয়াটস অ্যাপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। মার্কিন উদ্যোক্তা জোনাথন ওরিংগার (৩৯) ‘শাটারস্টক’ নামের ফটোগ্রাফি সংস্থার সিইও। তাঁর সম্পদ ১৩৫ কোটি ডলার। ৩৭ বছর বয়সী মার্কিন বিনিয়োগকারী আলেজানদ্রো সান্তো ডোমিগো দাভিলার সম্পদের পরিমাণ ১১১ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির দ্বৈত নাগরিক নিকোলাস বার্গরুয়েন (৫২) একজন বিনিয়োগকারী। তাঁর সম্পদ ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।

সাদ্দামকে উৎখাত জঙ্গি উত্থানের জন্য কিছুটা দায়ী আপডেট: ০০:০৬, জুন ২৫, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ ০ Like ৪ টনি ব্লেয়ারইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতি বর্তমানে সুন্নি জঙ্গিদের উত্থানের পেছনে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে৷ যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার গত সোমবার ফিনান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ মন্তব্য করেন৷ খবর দ্য ইনডিপেনডেন্টর৷ নিবন্ধটিতে ব্লেয়ার বলেন, ইরাকে ১১ বছর আগে সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনার জের ধরে বর্তমানে জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছে৷ ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর আগ্রাসনে সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন না চালালে এত দিনে হয়তো আরব বসন্তের জোয়ারে দেশটির জনগণ সাদ্দামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করত৷ সাদ্দাম হয়তো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মতো বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করতেন৷ কিংবা মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের মতো তাঁর পরিণতি হতো৷ যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৩ সালে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়ে হোক না কেন, আজ আমরা বড় ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলা করছি৷ তবে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইরাকে চলমান সংকট, ২০০৩ সালে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফল নয়৷’

ব্রাজিলে নবাগত বাংলাদেশিরা মজেছে যৌনতায়; সেক্স ক্রাইমের শিকার জাহেদ আপডেট হয়েছে বাংলাদেশ সময়: July 4, 2014 তে 1:48 pm image_89078_0একই গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে দুই যুবকের দ্বন্দ্বে ব্রাজিলের শিল্পনগরী পারানায় প্রাণ হারিয়েছে বাংলাদেশি যুবক জাহেদ আহমেদ (২৮)। সুরতহাল রিপোর্টে গলাটিপে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে। ২৮ জুন স্যাটারডে নাইটের কোনো এক সময় শহরের স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেল কক্ষে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় জাহেদকে। ঠাণ্ডা মাথার দুঃসাহসী খুনিরা তার মৃতদেহ রাতের অন্ধকারেই হোটেল থেকে বের করে ফেলে রাখে সিয়ানর্চে এলাকার পুলিশ স্টেশন লাগোয়া পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে। পরদিন খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুরিকান্দি গ্রামের জাহেদের পারিবারিক সূত্রের বরাদ দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যে সংবাদ প্রকাশিত হলেও অজ্ঞাত থেকে যায় হত্যার মোটিভ। বাণিজ্যিক রাজধানী সাও পাওলো থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরবর্তী পারানাতে যে পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিতে জাহেদ কাজ করতেন, সেখানকার একাধিক সূত্র গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ভয়াবহ প্রতিহিংসার কথা বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে। নারীঘটিত আলামত পাবার বিষয় উল্লেখ করে ইতিমধ্যে স্থানীয় টিভিতে ফলাও করে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা উইলসন হেনরিক্স বলেন, পরিত্যক্ত স্থানটি থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় নিহত জাহিদের লাশ তারা উদ্ধার করেছেন এবং মুখমণ্ডলসহ শরীরে কয়েকটি স্থানে লালচে দাগ ছাড়া অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন তারা পাননি। শ্বাসরোধেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পারানা পুলিশ। পরিত্যক্ত স্থানটি থেকে বড় একটি খালি লাগেজও উদ্ধার করা হয়। ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী নিকট আত্মীয় ব্যতীত অন্য কারো কাছে মরদেহ হস্তান্তরের বিধান না থাকায় পারানার লন্দ্রিনা এলাকায় জানাজা পরবর্তী দাফন সম্পন্ন হয় জাহেদের। জোর পুলিশি তদন্ত চলছে, তবে প্যারাগুয়ের সীমান্তবর্তী অপরাধপ্রবণ এই অঞ্চলটিতে হরহামেশা খুনখারাবি লেগে থাকার পরিণতিতে সময়ের ব্যবধানে চাপা পড়ে যাবে দুঃখজনক এই হত্যা, এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় অধিবাসীদের কয়েকজন। কিছুদিন আগে এই পারানাতেই মারিঙ্গা এলাকায় খুন হন আরেক বাংলাদেশি। আগেকার ওই হত্যার সঙ্গে জাহেদ খুন হবার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পারানার গোয়েন্দা বিভাগ। এদিকে শনিবার রাতে জাহেদ খুন হবার দুই দিনের মাথায় ৩০ জুন পারানাতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সিলেটেরই গোলাপগঞ্জের সুহেল আহমেদ। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, পারানার অন্তর্ভুক্ত লন্দ্রিনা থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে রোলান্দিয়া এলাকার সান ফেরনান্দোতে সোমবার রাত নয়টার দিকে মাথায় গুলি লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম গুরুতর আহত অবস্থায় সুহেলকে উদ্ধার করে সান রাফায়েল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। জাহেদ খুন হবার পর ঢাকার জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যুরোর বরাত দিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে বলা হয়, জীবিকার সন্ধানের পাশাপাশি এক বান্ধবীর ডাকে ব্রাজিল যান জাহেদ। বান্ধবীর ডাকে বা আমন্ত্রণে সিলেট থেকে পারানা গমন করার বিষয়টি বাস্তবতার নিরিখে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে ব্যাপক অনুসন্ধানে। ১০ লাখ টাকা খরচায় জাহেদের ব্রাজিল আসার বিষয়টি সত্য হলেও আদ্যোপান্ত অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে অপরাপর বাংলাদেশিদের অনেক অনেক অজানা তথ্য। জীবিকার সন্ধানে জাহেদের মতো আরো হাজার চারেক বাংলা মায়ের সন্তান আজ ব্রাজিলে। তাদের প্রায় সবাইকেই আট-১০ লাখ এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে ১২-১৪ লাখ টাকাও পরিশোধ করতে হয়েছে দালালদের, দেশ থেকে দেশে সীমান্ত পাড়ি দিতে হয়েছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ব্রাজিলে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অর্ধেকের বেশিই নবাগত। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, পতিতাবৃত্তি যেদেশে শতভাগ বৈধ এমন এক ভূখণ্ডে তথা আজকের দুনিয়ার সবচাইতে ‘সেক্স ফ্রি কান্ট্রি’ ব্রাজিলের মাটিতে পা দেবার অল্প দিনের মধ্যেই নবাগত বাংলাদেশিদের একটা বিশাল অংশই আত্মহারা হয়েছেন অবাধ যৌনতায়। পারিবারিক বা ধর্মীয় মূল্যবোধ ধুলোয় মিশিয়ে ব্রাজিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের কাছেই সেক্স এখন সিগ্রেট-বিয়ারের চাইতেও সহজসাধ্য-সহজলভ্য। যত্রতত্র যখন তখন যে কাউকে যেকোনো কন্ডিশনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে তারা পারানা, পোর্তো আলেগ্রো, সাও পাওলোসহ ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, নবাগত বাংলাদেশিদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাত-আটজনই এখন ওই পথে হাঁটছেন সাম্বা নৃত্যের দেশে। কোথাও কোথাও ‘আউট অব ক্লাস’ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বহু ঘটন-অঘটনের মাঝে পোর্তো আলেগ্রোর একটি ঘটনা এখন বাংলাদেশিদেরই মুখে মুখে। মেস করে একই বাসায় থাকেন এমন বাংলাদেশি ব্যাচেলরদের একটি গ্রুপ রাস্তা থেকে একজনকে চুক্তি করে বাসায় নিয়ে আসার পর বুঝতে পারে ওই সুন্দরী আসলে হিজড়া সম্প্রদায়ের। দেশটিতে বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ার সুবাদে একদিকে যেমন দিনকে দিন বাড়ছে যৌনতার সাগরে গা ভাসিয়ে দেবার প্রবণতা, পাশাপাশি সময়ে সময়ে ঘটে যাওয়া সব কিছুই কমিউনিটিতে প্রকাশও হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। উদ্বেগের বিষয়, কোনো রকম বাছ বিচার ছাড়াই ফ্রি সেক্সে মিশে গিয়ে দেশটির বাংলাদেশিরা আজ জড়িয়ে পড়ছে রকমারি সব সেক্স ক্রাইমে। এর সঙ্গে ধীরে ধীরে যোগ হতে শুরু করেছে মাদক সংক্রান্ত আরো ভয়াবহ বিষয়াদি। নৈতিকতায় ধস নামা বাংলাদেশি একটি বড় জনগোষ্ঠির উল্লেখযোগ্য অংশ আবার বিভিন্ন শহরে ইদানিং লিপ্ত হচ্ছে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে কামড়াকামড়িতে। একই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশিদের টানাহেচড়াটি অবশ্য ঘটছে ভিনদেশি যুবকদের সঙ্গে। ইউরোপিয়ানদের তুলনায় অনেক সহজ সরল মনের সাদাসিধে ব্রাজিলিয়ান মেয়েরা কখনো কখনো ভিনদেশী যুবকদের প্রতারণারও শিকার হচ্ছে। ইউনিক গার্লফ্রেন্ডের ওপর কর্তৃত্ব জাহির করার দৌড়ে একে অপরকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে শাসানো ব্রাজিলে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। বাংলাদেশিরা জড়িত ছিলেন বিগত দিনে এমন বেশ কিছু অঘটন ঘটতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা হলেও পারানায় এ যাত্রায় সেই সেক্স ক্রাইমেরই বলি হয়ে গেলেন জাহেদ আহমেদ। স্বপ্ন নিয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে আসা সদা হাসিখুশি প্রাণচঞ্চল যুবক জাহেদের পরিণতি যাতে আর কারো না হয় বিদেশ বিভুঁইয়ে, এমন আশাবাদ জাহেদের কর্মস্থলের লোকজনেরই। নতুন বার্তা

সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় হালিমা আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূকে তার স্বামী সুজন মিয়া (২১) জবাই করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ছোট অর্জুনদি লিচু বাগান থেকে হালিমার জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার শাশুড়ি ও ননদকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সুজন পলাতক রয়েছে। তিনি উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস এলাকার সামছুল হকের ছেলে। অন্যদিকে নিহত হালিমা আকতার উপজেলার বারদী ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে।পরিবারের বরাত দিয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, ২০১০ সালে প্রেমের সূত্র ধরে হালিমাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে সুজন। এ ঘটনায় দায়ের করা অপহরণ মামলায় সুজন ও তার চাচা তাইয়েন মেম্বারকেও আসামি করা হয়। ওই সময়ে সুজনের সঙ্গে হালিমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। অপহরণ মামলায় সুজন ৫ মাস কারাভোগ শেষে আবারো হালিমাকে দ্বিতীয় দফায় বিয়ে করেন। এ বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত হালিমাকে মারধর করতো সুজন। এর এক পর্যায়ে বাবার বাড়িতে চলে যান হালিমা। বৃহস্পতিবার সকালে হালিমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে ডেকে আনে সুজন। বিকেল ৫টার পর থেকেই হালিমার মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকে। পরে শুক্রবার সকালে মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের অর্জুনদি লিচু বাগান থেকে পুলিশ হালিমার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সুজন সম্পৃক্ত।ওসি আরও জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সুজনের মা ও বোনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/07/04/190143.php#sthash.xMLgtBCt.AVX1hYAx.dpuf

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ৪৯টি নয়া দিগন্ত অনলাইন ৪ জুলাই ২০১৪, শুক্রবার, ৩:৩২ বিশ্বে মোট ৪৯টি দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। বর্তমানে বিশ্বে মোট ১৬০ কোটি মুসলমানের বাস। তারা মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ। পিউ রিসার্চ সেন্টারে ফোরাম অন রিলিজিয়ন অ্যান্ড পাবলিক লাইফের ভাষ্যমতে, বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ (৬২ ভাগ) মুসলমানের বাস এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায়। অনেকে মনে করতে পারে, মধ্যপ্রাচ্য বা উত্তর আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি মুসলমান বাস করে। বাস্তবে সেখানে বাস করে ৩১৭ মিলিয়ন মুসলমান। অথচ কেবল পাকিস্তান ও ভারতেই বাস করে ৩৪৪ মিলিয়ন মুসলমান। তবে মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে ঘনত্বের দিক থেকে বেশি মুসলমান বাস করেন। সেখানকার জনসংখ্যার ৯৩ শতাংশ মুসলমান। আর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমান হার ২৪ শতাংশ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংখ্যা হচ্ছে ৪৯টি। ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মুসলমান বাস করে। বিশ্বে বর্তমানে মোট দেশের সংখ্যা ২০১টি। তবে সবগুলো জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত নয়। জাতিসঙ্ঘ সদস্যভুক্ত দেশের সংখ্যা ১৯৩টি। এছাড়া দুটি রাষ্ট্রকে জাতিসঙ্ঘ পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দিয়েছে। খ্রিস্টান দেশের সংখ্যা ১৫৭টি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যায় খ্রিস্টানদের হার ৩২ শতাংশ।

আমার প্রিয় ( টার্গেট ) ব্যাক্তিত্বে মধ্য হতে এক জন কে হারালাম গতকাল ৫ই রমজান ১৪৩৫ হিঃ ( 3th july 2014 )। ই ন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজীউন মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক ।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪


এক বছরে বৈধ গর্ভপাত ৬ হাজার ৬৭৬টি কালের কণ্ঠ অনলাইন প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ১৫:১১:১৯ উরুগুয়েতে ২০১৩ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির মোট জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ লাখ, যার অর্ধেকের বেশি নারী। আইনসম্মতভাবে গর্ভপাত বৈধ করার আইন প্রণয়নের ১ বছরের মধ্যে উরুগুয়েতে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রতি ১০০০ নারীর মধ্যে গড়ে ৯ জন আইনসম্মত উপায়ে বিনামূল্যে গর্ভপাতের পথ বেছে নিয়েছেন। ২০১২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এ গর্ভপাতগুলো ঘটানো হয়। দেশটির উপগণস্বাস্থ্যমন্ত্রী লিওনেল ব্রিওজ্জো গতকাল এ তথ্য দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৩ সালে কানাডায় প্রতি ১ হাজার নারীর মধ্যে গড়ে ১৫ দশমিক ২ জন, ১৯৯৮ সালে চীনে ২৪ দশমিক ২ জন, ২০০৪ সালে কিউবায় ২৪ দশমিক ৮ জন নারী গর্ভপাতের পথ বেছে নিয়েছিলেন। এদিকে উরুগুয়ের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট জোসে মুজিকা (৭৮) এ পরিবর্তনের একজন দৃঢ় সমর্থক। ২০১২ সালের অক্টোবরে গর্ভপাত বৈধ করার আইনটি পাস হয় উরুগুয়েতে। আইন অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা থাকার ১২ সপ্তাহ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকলে ভ্রুণের গঠন ত্রুটিপূর্ণ হলে কিংবা ধর্ষণের কারণে সন্তান ধারণ করলে, বৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানো যাবে

পূর্বের ধর্ম ত্যাগ করে “ইসলাম ধর্মাবলম্বী” হয়েছেন যেসব তারকারা সিটিজিনিউজ ডট কম | প্রকাশিত হয়েছে : মে ২৯, ২০১৪ | ১২:১০ অপরাহ্ণ Share via email Share অনলাইন ডেস্ক :: ধর্ম পরিবর্তন এখন নতুন কিছু নয়, বরাবরই আমদের চোখের সামনে এবং পেছনে অগনিত মানুষ তার ধর্ম পরিবর্তন করে আসছেন। তবে সবথেকে যে বিষয়টি আমাদের চোখে পড়ে তা হল তারকাদের ধর্মান্তরিত হওয়া। তবে পরিবর্তনের জন্য তারকারা সবথেকে বেশী যে ধর্মটিকে বেছে নিয়েছেন তা হল ইসলাম ধর্ম। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম এমনসব তারকাদের তালিকা যারা তাদের আগের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়েছেন। zPWfeUoমাইকেল জ্যাকসন প্রয়াত পপ স্টার মাইকেল মৃত্যুর কিছু দিন আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। মুসলিম হওয়ার পর তার নাম রাখা হয় ‘মিকাঈল।” ইসলাম ধর্ম গ্রহনের ব্যাপারে গীতিকার ডেভিড ওয়ার্নসবায় এবং ফিলিপ বুবাল তাকে বেশ প্রভাবিত করেন। তাদের ধারণা ছিল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তিনি ভালো মানুষে পরিনত হবেন। স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামকে ডেকে তিনি কলেমা শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তবে পরবর্তীতে মাইকেলের ইসলাম ধর্মকে বেছে নেয়ার ব্যাপারটিকে গুজব বলে উড়িয়েও দেয়া হয়। H1WW4Gtঅমৃতা সিং জন্মসূত্রে শিখ ধর্মের অনুসারি ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিং। ১৯৮৩ সালে ‘বেতাব’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্নপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর তার অভিনীত ‘সানি’, ‘মারদ’, ‘সাহেব’-ছবিগুলো দারুণ ব্যবসা সফল হয়। এরপরই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে অভিনেতা সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেন। যদিও এই বিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকেনি। সাইফ শেষমেষ আবার কারিনা কাপুরকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করিয়ে বিয়ে করেছেন। v3atxEXধর্মেন্দ্র ১৯৭৯ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র। এর আগে তার নাম ছিল ধারাম সিং দেউল। বলিউডের ইতিহাসে অন্যত্তম সফল অভিনেতা তিনি। রোমান্টিক এবং একশন-উভয় ধাঁচের ছবিতেই সমান সাবলীল ছিলেন তিনি। তিনি প্রথম বিয়ে করেন প্রকাশ কৌড়কে। এই সংসারে তার চার সন্তান রয়েছে। একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি হেমা মালিনির প্রেমে পাগল হন। কিন্তু তাদের মিলনের ক্ষেত্রে বাঁধ সাধে ধর্ম। যেকারণে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হেমাকে বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় বিয়ের সময়ে ভারতে বেশ বিক্ষোভও হয়েছে। কিন্তু ধর্মেন্দ্র তাতে ভ্রুক্ষেপও করেননি। C4WtlZNহ্যান্স রাজ হ্যান্স জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক হ্যান্স রাজ হ্যান্স ইসলঅম ধর্ম গহণ করেছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানী মিডিয়া। তারা জানিয়েছে, মূলত সুফি সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্টতা থেকেই তিনি ইসলাম ধর্মের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েন। এরপর তিনি ইসলামের ইতিহাসের উপর ব্যাপক পড়াশোনা করেন এবং সম্প্রতিক সময়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি মদীনা গমনের পরিকল্পনা করছেন বলেও জানা গেছে। উল্লেখ্য, ‘আজা নাচলে’, দিল টুটে টুটে’ এবং ‘দামা দাম মাস্ত ক্যালেন্ডার’ প্রভৃতি জনপ্রিয় গানের গায়ক এই হ্যান্স। যদিও তার ছেলে নবরাজ তার বাবার মুসলিম হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন। NNe2Brnএ আর রহমান তার সঙ্গীত সম্পর্কে সারা বিশ্বই এখন ওয়াকিবহাল। ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালকদের একজন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি হিন্দু ছিলেন। তার নাম ছিল এ. এস. দিলীপ কুমার। সুফি সঙ্গীতের প্রেরণা থেকেই ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। ১৯৮৪ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম করে দিলীপ কুমার থেকে আল্লা রাখা রহমানে পরিনত হন তিনি। Mac11EJশর্মিলা ঠাকুর বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেত্রীদের একজন শর্মিলা ঠাকুর। অভিনয়ে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৩ সালে তাকে পদ্মভূষন পদকে ভূষিত করে সরকার। শর্মিলা ঠাকুরও প্রেমের কারণেই ইসলঅম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলঅম ধর্মে দিক্ষীত হয়ে তিনি মনসুর আলি পতৌদিকে বিয়ে করেন। শর্মিলার তিন সন্তানের মধ্যে সাইফ আলি খান এবং সোহা আলি খান বলিউডে নাম লিখিয়েছেন। তার আরেক মেয়ে সাবা আলি খান পেশায় জুয়েলারি ডিজাইনার। Print Friendly Share via email Share সিটিজি নিউজ এ প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত প্রদান করুন : 8 টি মন্তব্য « « আগের সংবাদ পরের সংবাদ » » বিশ্বজুড়ে'র আরও সংবাদ চীনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ ইরাককে আরো ৪ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র ইতালিতে আরো ১৫ অবৈধ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার বেলুনের লোভ দেখিয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়ায় আছড়ে মারলেন বাবা ‘তাকে খুন করবো?’ অর্থ-কড়ি ছাড়া জীবনযাপন করছেন যে মানুষটি কেনিয়ায় কার্গো বিমান বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে বাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৮ বিশ্বকাপের দেশে মৃত্যুর হাতছানি! ইরাক থেকে ফিরলো ২৭ বাংলাদেশি অপরাধী হয়েও সাজা পাচ্ছেন না মোদি! মোদি সরকারের মুখোশ খুলছে একই ভবন কিন্তু ইফতারের সময় তিনটি! ইরাক-সিরিয়ায় খিলাফতের ঘোষণা দিল আইএসআইএল 

অশ্লীল ভিডিও প্রকাশের হুমকি দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণ! June 23, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in প্রতিবেশী with 0 Comments rape নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম ঢাকা বিলাসপুর এলাকায় এক এমবিএ-পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগ তার প্রেমিক অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে সেটি ফেসবুকে আপলোড করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধরে তাকে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে বিলাসপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। রোহতকের বাসিন্দা এমবিএ-এর ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছে, হিসারের সাতরোড নিবাসী রিঙ্কু সোনি ওফে ম্যান্ডির সঙ্গে একটি বিয়েতে তার আলাপ হয়েছিল। এর পরই তাদের বন্ধুত্ব হয় এবং অনেক বছর তারা ফোনে কথা বলত। অভিযুক্ত বিলাসপুর এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে এবং পচগাঁওয়ের ফজিলবাসে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসে মাদক মিশিয়ে তাকে খাইয়ে দেয়। এর পর মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গেলে সে তার অশ্লীল ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে। এর পর প্রায় এক বছর ধরে অশ্লীল ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করার হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে থাকে। পুলিশ নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট করানোর পর আভিযুক্ত রিঙ্কুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। সূত্র : জিনিউজ নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/ ২৩ জুন ২০১৪/১৭.৫০/মেহেদী হাসান আরো খবর: যুবতীকে অপহরণ করে ৫ মাস ধরে তান্ত্রিকের ধর্ষণ! নববিবাহিতা ভাবিকে ধর্ষণ করল দেবর মায়ের বিরুদ্ধে মেয়েদের অশ্লীল এমএমএস তৈরির অভিযোগ! প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনের পার্কিংয়ে গণধর্ষণ জামাই কর্তৃক শাশুড়ী ধর্ষণ! - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/06/23/others/neighbour/139314#sthash.0AVXGZND.dpuf

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনের পার্কিংয়ে গণধর্ষণ June 21, 2014 by নিউজ ডেস্ক/এমএ in প্রতিবেশী with 0 Comments প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অবস্থিত অশোকা হোটেলের পার্কিংয়ে এক যুবতীকে গণধর্ষণের মামলা সামনে এসেছে৷ অভিযুক্তেরা যুবতীকে গণধর্ষণের পর তাকে হুমকিও দেয় যাতে সে কাউকে কিছু না জানায়৷ একজন অভিযুক্ত যুবতীর মুখ বন্ধ রাখতে তাকে চাকরীর টোপও দেয়৷ যদিও যুবতী এই মামলার অভিযোগ চাণক্যপুরি থানায় করলে পুলিশ গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে৷ শুক্রবার যুবতী আদালতে সিআরপিসি’র ধারা ১৬৪ ধারায় বয়ান দেয়৷ নয়া দিল্লি জেলার বরিষ্ট পুলিশ আধিকারিক গণধর্ষণ ও ১৬৪ ধারায় বয়ানের কথা জানিয়েছেন৷ পুলিশ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী ওই যুবতী গাজিয়াবাদের বাসিন্দা৷ যুবতী শুক্রবার চাণক্যপুরি থানায় তার অভিযোগে জানায়, সে গাজিয়াবাদের বাসিন্দা পাঞ্চাল ও তার বন্ধু মোনিলকে চিনত৷ অশোকা হেটেলের পার্কিং গাড়ি বসে তারা তাকে কোল্ডড্রিংক্স দেয়৷ কোল্ডডিংক্স খাওয়ার পর সে অজ্ঞান হয়ে যায়৷ জ্ঞান ফিরলে য়ে বুধতে পারে অভিযুক্তরা তাকে গণধর্ষণ করেছে৷ যুবতীর অভিযোগ ওই অভিযুক্তরাই তাকে ফের দিল্লি নিয়ে এসে আইএসবিটির পাশে গাড়িতে তাকে ধর্ষণ করে৷ এরপরেই তার মাথায় আত্মহত্যার কথা ঘুরপাক খেতে থাকে৷ যুবতী জানায় ঘটনার পর থেকেই সে ভয়ে ভয়ে থাকত৷ যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে চাণক্যপুরি থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসি’র ৩৭৬ ও ৩২৮ ধারায় গণধর্ষণ ও নেশ দ্রব্য খাওয়ানোর মামলা দায়ের করেছে৷ নয়া দিল্লির জেলা পুলিশ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন তারা এই মামলার তদন্ত করছেন৷ অভিযুক্তদের কোঁজ মিললেই তাদের গ্রেফতার করা হবে৷ আরো খবর: যুবতীকে অপহরণ করে ৫ মাস ধরে তান্ত্রিকের ধর্ষণ! ফেসবুক বান্ধবীকে গণধর্ষণ মুগদায় বাস থেকে নামিয়ে দুই শিশুকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ নববিবাহিতা ভাবিকে ধর্ষণ করল দেবর অশ্লীল ভিডিও প্রকাশের হুমকি দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণ!

মডেল বানানোর নাম করে নাবালিকার নগ্ন ছবি! May 29, 2014 by নিউজ ডেস্ক/এসই in রকমারি with 2 Comments rape রকমারি ডেস্ক নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বাচ্চারা তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে চায়। আর এই জনপ্রিয়তার দৌড়ে অনেকেই না বুঝে নিজেকে নিয়ে যায় ভয়ঙ্কর বিপদের দিকে। সামাজিক কারণে মেয়েদেরকেই এই বিপদের মুখে পড়তে হয় সবচেয়ে বেশি। কারণ জনপ্রিয় করে দেওয়ার ফানুস দেখিয়ে ফায়দা তুলে নেন কিছু অসৎ ব্যক্তি। সারাজীবন তার ঘানি টানতে হয় ওই মেয়েকে। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়াতে। প্লেবয় ম্যাগাজিনের মডেল বানানোর নাম করে নাবালিকার নগ্ন ছবি তুললেন এক ব্যক্তি৷ মেয়েটি ওই ব্যক্তির প্রমিকার আত্মীয়। সে ওই মেয়েটিকে জানায়, প্লে বয় ম্যাগাজিনের মডেল হতে হলে তাকে এসব করতে হবে৷ এই ঘটনায় তাকে সঙ্গ দেয় তার প্রেমিকাই। প্রেমিক যুগল ক্রিস্টোফার ও লেস্লি একসঙ্গে থাকত৷ লেস্লির ১২ বছরের আত্মীয়া তাদের কাছেই থাকত। মেলবোর্ন পুলিশের কাছে খবর আসে এক প্রেমিক যুগল তাদের কাছে থাকা এক নাবালিকা মেয়ের দেখাশোনা ঠিকভাবে করছে না। পুলিশ এ ঘটনা তদন্ত শুরু করলে বেরিয়ে আসে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। ক্রেস্টোফার ও লেস্লির ওই নাবালিকা আত্মীয়ার নগ্ন ছবি তোলে৷ লেস্লি জানায়, ওই মেয়েটি প্লেবয় ম্যাগাজিনের মডেল হতে চাইত বলেই ক্রিস্টোফার ওকে সাহায্য করেছে৷ পুলিশ তদন্ত করে দেখছেন সাহায্য করার নামে তারা তাকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে। ক্রিস্টোফার নাবালিকাকে নগ্ন করে বিভিন্ন কামোত্তেজক ভঙ্গীতে দাড় করিয়ে ছবি তোলে। এমন ফটোশ্যুট প্রায় ছয় বার করা হয়েছে। পুলিশ তাদের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। ল্যাপটপের হার্ডডিস্কে থাকা বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি দিয়ে পুলিশ ওই প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধে শিশু পর্ণোগ্রাফি মামলা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সম্পর্কে তাদের প্রতিবেশীরা কিছুই জানতেন না। পুলিশ আসার পরই এই ঘটনা সবার সামনে চলে আসে। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম/২৯মে, ২০১৪/২২.১৭/সাই আরো খবর: মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগে মা আটক! রাজশাহীতে আবাসিক হোটেল থেকে প্রেমিক যুগল আটক সঙ্গীতা বিজলানির কাজের মেয়েকে ধর্ষণ: গ্রেফতার শাহরুখের ড্রাইভার! শিলার রুম ডেটের ফাঁদ চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনের পার্কিংয়ে গণধর্ষণ - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/05/29/gallery/various/134473#sthash.DbF1FERo.dpuf

৩ তরুণীকে ধর্ষণের পর নগ্ন ভিডিও ধারণ! রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় তিন তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর নগ্ন ভিডিওচিত্র ধারণ করেছে লম্পটরা। নির্যাতিতদের মধ্যে দুই তরুণী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছে। তাদের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাদল, বাপ্পী ও কুদ্দুস নামের তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাষানটেক এক নম্বর বস্তির ত্রাস পুলিশের খাতায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মামুন হোসেন। তার বাবার নাম ইসহাক। মামুনের নেতৃত্বে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ অবৈধ সব কর্মকাণ্ডই চলে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য বস্তিতে রয়েছে ২০ জনের একটি গ্রুপ। নির্যাতিত তিন তরুণীর একজনের খালাতো ভাই সোবেল। সোবেলও মামুনের নির্দেশে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। সম্প্রতি একটি চুরির মালামাল সে মামুনকে বুঝিয়ে না দেওয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি মামুনের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে সাতজনের একটি দল ওই তিন তরুণীকে তাদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে। ওই বস্তিরই একটি ঘরে তাদের নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই অবস্থায়ই ডেকে নিয়ে আসা হয় নির্যাতিতদের বাবা-মাকে। একপর্যায়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে অনবরত আঘাত করে থাকে দুর্বৃত্তরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন, নির্যাতিতদের গগণবিদারী চিৎকার শোনার পরও কেউ মামুনের ভয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায়নি। নির্যাতিতরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের হাসপাতালে যেতে দেয়নি দুর্বৃত্তরা। পরে গতকাল খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মামলা হয় থানায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাষানটেক থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, মামুন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পুলিশ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরই সে এলাকা ছাড়া। মাত্র দুই মাস আগে সে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে এসেছে

ভোগের বস্তুতে পরিনিতি হয়েছে বর্তমানের মেয়েরা (দয়া করে mind খাইয়েন না) শিরোনাম টি দেখে অনেকের হয়তো মাথায় রক্ত ওঠে গেছে। রক্ত তো তাদের মাথায় ওঠবে যারা নারীদের কে ভোগের বস্তূ হিসাবে ব্যবহার করে। আজ কাল ইসলাম বিদ্বেষীরা বলে ইসলাম নাকি নারীদের কে ভোগের বস্তু বানিয়েছে? কিন্তু বাস্তব চিত্র কি তা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতেছি। আমি অনেক দিন যাবত অনুসন্ধান করতেছি। অনুসন্ধান করে যা পেয়েছি তা আমার কল্পনাতেও আসেনা। বর্তমানের মেয়েরা প্রেমের আড়ালে যে সব অপকর্ম করতেছে? তা এই দেশের পাগলা কুকুরদের কেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রেমিকের কথা মতো নিজের দেহ কে বিলিয়ে দিচ্ছে। আবার এই সব নোংরামী ভিডিও করে উচ্চ মূল্যে বাজারে বিক্রয় করতেছে। সব চেয়ে অবাক বিষয় হল বর্তমানের মেয়েরা বিনা টাকায় নিজের দেহ কে অন্য কাউ কে ভোগ করতে দেয় না (প্রেমিক ছাড়া) । এই দেশের দেহ ব্যবসা মেয়েদের দেহের মূল্য আছে, কিন্তু তোমাদের দেহের এক আনার ও দাম নেই। মেয়েরা লাভ রিলোশন টিকিয়ে রাখতে নিজের দেহকে অন্যের কাছে বিলিয়ে দেয়। তাদের চেয়ে অধিক বোকা আর কে আছে যে নিজেই নিজে ধোঁকা দেয়? এর করুণ পরিনিতি কি গত ২/১২/১২ তারিখে দেখেছি। এক টি মেয়েকে প্রেমিক সহ ১৬ জন মিলে ধর্ষণ করেছে। অবশেষে ঢাকা ল্যাব এইড হাস্পাতালে মারা গেছে। ছেলের বাবা প্রভাবশালী হওয়াতে মেয়ের মা বাবা থানাতে গিয়ে মামলা ও করতে পারেনি। একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় আল্লাহ র ধরা কতো কঠিন । আজকের মেয়েরা বাজারের বিনা মূল্যের পন্য হয়ে গেছে। যা সারা জীবন ভোগ করলেও কো নো টাকা পয়সা লাগেনা? রাস্তা দিয়ে বেপর্দা ভাবে হেটে যা এমন কি বুকেতে ওড়নাও দেয়না এই নির্লজ্জ বেহায়ার দলে। বরং বুকের ওড়না গলাতে ঝুলিয়ে নিজের কমলা লেবুর সাইজ দেখাতে থাকে। আর এ দিকে রাস্তার হাজার হাজার যুবক ছেলেরা এদের রসে মাখা রূপ যৌবন ফ্রি ভাবে ভোগ করতে থাকে,এবং মজা লুটতে থাকে । আর বলতে থাকে কি সুন্দর মাল, যদি কাছে পাইতাম? কাচা গিল্লা খায়তাম। থাপ রিয়ে চাপা ফাটিয়ে দেওয়া দরকার এই সব বেজম্মা নারী বাদীদের। যারা সমান অধিকারের কথা বলে পুরুষের মাথার বুঝা নারীর ঘাড়ে চাইয়ে দেয়। এই সব নারীবাদীদের দেখলে চিনা যায় না সে কি গাই না কি বলদ? এই সব বেজম্মা নারীবাদীরা বলে নারীদের কে সমান অধিকার দিতে হবে? বলদিরা বলে কি? নারী কে যদি সমান অধিকার দিতে হয়? তা হলে পুরুষদের কে আগে দেয় না কেনো? কেনো সংসদে গিয়ে বলে না মাননীয় স্পিকার, বর্তমানে ইভটিজিংক সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই আজ থেকে আইন করা হোক রসের কমলা এখন থেকে ছেলেদের বুকে থাকবে। যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের পিছনে ঘুরে। সন্তান জম্ম দিতে গিয়ে কত মায়ের মৃত্য? তার কোনও সঠিক হিসাব নাই। এই দেশের বেজম্মা নারীবাদীরা যদি নারীদের কে সমান অধিকার দিতে চায়? তাহলে তারা কেনো সংসদে গিয়ে বলে না মাননীয় স্পিকার, সন্তান জম্ম দেওয়া কষ্টের কাজ, সন্তান জম্ম দিতে গিয়ে হাজারো মায়ের মৃত্য হয়। তাই আজ থেকে আইন করা হোক এখন থেকে সন্তান গর্ভ ধারণ ও সন্তান জম্ম দিবে পুরুষেরা। এতো তারা আমাদের কে পাপ দিতো? এখন থেকে আমরাও দিবো। আমার এই সামান্য কথা গুলি যদি এইদেশের কুখ্যাত বেজম্মা নারী বাদীরা বাস্তবায়ন না করতে পারে তা হলে নারীকে সমান অধিকার কি ভাবে দিবে? আমার বুঝে আসেনা? আপনার আসে কি? তা হলে নারী কে অধিকার কারা দিয়েছে আমরা জানতে চাই? সম্পদে ইসলাম নারী কে চার আনা দিয়েছে? কিন্তু অন্য ধর্মতে নারী কে এক আনাও দেয় নাই? সেটা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই? যত মাথার ব্যাথার কারন আছে সেটা ইসলাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন ইসলাম নারী কে রানীর মর্যাদা দিয়েছে। ভোগের বস্তু করে নাই? যার কারনে তারা ইসলাম কে সহ্য করতে পারেনা। এই দেশের ক্ষমতায় বসে আছে নারীরাই। এরপর ও যারা বলে এই দেশে নারীর ক্ষমতা, অধিকার নেই? তাদের কাছে আমার প্রশ্ন বর্তমানে যারা ক্ষমতায় বসে আছে তারা কি হিজড়া? আজ বাংলাদেশের বেজম্মা নারী বাদীদের মুখের কথাই যে সব মেয়েরা পর্দা হীন ভাবে চলাফেরা করতেছে ? তা কোথায় গিয়ে ঠেকে আল্লাহ ভালো জানেন। দিন যত বাড়তেছে পর্দা হীন মেয়েদের সংখ্যা তত বাড়তেছে। পর্দা হীন মেয়েদের সংখ্যা যত বাড়বে? মেয়েদের কপালে দুর্গতি তত বাড়বে,কমবেনা। বর্তমানের মেয়েরা যে ভাবে ফ্রি সেক্স শুরু করেছে? এই অবস্তা চলতে থাকলে এই দেশের পোলাপানরা বিয়ে করবে না। যেমন এক যুবক আরেক যুবক কে জিজ্ঞেস করে হে যুবক তুমি বিয়ে করো না কেনো? তখন যুবক উত্তর দেয় দুধ যদি সস্তায় পাওয়া যায়? গাই পালবে কে? ঠিক তেমনি ভাবে বিয়ের আগে নারী দের কাছে থেকে যদি সব কিছু পাওয়া যায়? তা হলে বিয়ে করবে কে? এবার আপনারা বলুন নারী দের কে ভোগের বস্তু ইসলাম বানিয়েছে না তথা কথিত নারী বাদীরা বানিয়েছে? প্রশ্ন টি আপনাদের কাছে রইয়ে গেলো। যদি পারেন উত্তর দিয়ে যাবেন। যাবার আগে কয়েক টি কথা বলে যেতে চাই, উপরে আল্লাহ এক জন আছেন? তিনি সকলের সব কিছু দেখতেছেন। যখন আল্লাহ ধরবেন ? আল্লাহ ধরা কত কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পাবেন. ‪#‎mk_ahmad‬

বাবার নির্মম মৃত্যুতে বুঝলাম র‌্যাব পুলিশের ক্রসফায়ারের গল্প কি সাখাওয়াত হোসেন : মানুষের জীবনের যে কোন মূল্য নেই এটি আগে কখনো বুঝি নাই। আমার বাবা বাঁচার জন্য কত চেষ্টাই না করেছিলেন। ৭ তলার পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে টিন শেডের ওপরে পড়েন। সেখানেও তাকে নির্দয়ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এতদিন টেলিভিশন আর খবরের কাগজে পড়েছি ক্রসফায়ারের গল্প। বাবার নির্মম মৃত্যুর পর বুঝলাম র‌্যাব-পুলিশ যে ক্রসফায়ারের কথা বলে তা আসলে কি। জীবনের এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরও আমি আমার পরীক্ষা দিতে গেছি। কী লিখেছি, জানি না। হাত চলতে চায়নি পরীক্ষার হলে। র‌্যাবের কথিত ক্রসফায়ারে নিহত রাজধানীর আলমবাগের বাসিন্দা সংগ্রাম চৌধুরীর বড় মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী নূসরাত জাহান শান্তা চৌধুরী গতকাল বুধবার নিজ বাসায় এভাবেই নিজের কষ্টের কথা প্রকাশ করেন। গতকাল বুধবার ভোরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মেকুর কাশেম (৩৫)। নিহত ওয়াসিমের স্ত্রী সোনিয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামীকে বাথরুম থেকে ধরে নিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। কিসের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ধরে নিয়ে র‌্যাব হত্যা করেছে দু’জনকেই। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের শিকার হন ১৯৭৩ জন। এসব ঘটনা ঘটেছে কথিত ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধের নামে। এসব ঘটনার কালিমা লেগেছে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর গায়ে। কিন্তু কোন সরকারের পক্ষ থেকেই কথিত ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। গত ৩ মার্চ সোমবার জুরাইনের আলমবাগের ওয়াসিমের বাড়িতে র‌্যাবের কথিত ক্রসফায়ারে ওয়াসিম ও তার কর্মচারী সংগ্রাম চৌধুরী মারা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, এই ধরনের হত্যাকা- সব সময়েই আইন ও গণতন্ত্রের বিপক্ষে বলে এগুলো কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই মৃত্যুদ- দেয়া উচিত। তাহলেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের এই প্রবণতা বন্ধ করা যাবে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশে কোনো ক্রসফায়ার হয় না। যা হয়, তা বন্দুকযুদ্ধ। গতকাল বুধবার সরেজমিন রাজধানীর জুরাইন আলমবাগ ঘুরে ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কথিত ক্রসফায়ারে নিহত ওয়াসিম ও সংগ্রামের পরিবারে কান্না থামছে না। তাদের মৃত্যু নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। নিহতদের পরিবার ও র‌্যাবের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে যে অপহরণের কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে ওই এলাকায়ই রয়েছে নানা আলোচনা। যে আখতারকে অপহরণের কথা বলা হয়েছে, ওই আখতার সেতুর টোল আদায় কাজে জড়িত ছিলেন ওয়াসিমের অধীনে। একসময় তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন আখতার। এদিকে নিহত সংগ্রাম চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সংগ্রাম ও ওয়াসিমকে এর আগেও একবার র‌্যাব ধরে নিয়েছিল। তখন র‌্যাবের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়। কোন পক্ষের ইন্ধনে অপহরণ নাটক সাজিয়ে সংগ্রাম ও ওয়াসিমকে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে বলে ওই পরিবার অভিযোগ করেন। গতকাল সরেজমিন কদমতলী থানাধীন আলমবাগে গিয়ে দেখা গেছে, র‌্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দু’টি পরিবারের পাশাপাশি গোটা এলাকায় পিনপতন নীরবতা। স্থানীয় সূত্র ও পরিবারের সদস্যরা জানান, র‌্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ওয়াসিম ও সংগ্রামের নিহত হওয়ার নেপথ্যে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ইন্ধন রয়েছে। পোস্তগোলা সেতুর টোল আদায়কৃত টাকা-পয়সার আয়-ব্যয় নিয়মিত দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল তারই বিশ্বস্ত আখতারের ওপর। এ সময় আখতার তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন ওয়াসিমের আলমবাগের বাড়ির পাঁচ তলায়। সেতু টোলের টাকা আদায়ের সব দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পর নগদ টাকার লোভে পড়ে আখতার একাধিকবার হিসাবে গরমিল দেখাতে শুরু করে। এ নিয়ে ওয়াসিমের সঙ্গে তার চরম বিবাদ সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতা ও তার ছেলের মধ্যস্থতায় বেশ কয়েকবার তাদের দু’জনের কোন্দল মেটানো হয়। গত জানুয়ারি ওয়াসিমের টোল আদায়ের বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে আখতার পালানোর পর তাদের দু’জনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। টাকা উদ্ধার করতে সংগ্রামকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকেন তিনি। কিন্তু এ ঘটনাটি আখতার জানতে পেরে ওয়াসিমের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে হাত মেলায়। সংগ্রাম চৌধুরীর স্ত্রী সায়েমা চৌধুরী দাবি করেন, চক্রান্তকারীরাই র‌্যাবকে দিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে বন্দুকযুদ্ধে তার স্বামী ও ওয়াসিমকে হত্যা করেছে। তার স্বামী সংগ্রাম, আখতার, সুমন, জনিসহ অনেকেই ওয়াসিমের সেতুর টোল আদায়ের কাজ করতেন। ওয়াসিম তাদের সবাইকে বিশ্বাস করতেন। গত ১০-১৫ দিন আগে সেতুর টোল আদায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ওলামা আলী গ্রুপের রাজুর সঙ্গে তাদের একটি ঝামেলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ৬ মাস আগে ওলামা আলীর লোকের ইন্ধনে র‌্যাব ওয়াসিম ও সংগ্রামকে নারায়াণগঞ্জ থেকে আটক করে। পরে ওয়াসিমের সঙ্গে র‌্যাবের গোপন রফা হলে সকালে তাদের দু’জনকে ছেড়ে দেয়। নিহত ওয়াসিমের ছেলে আলী আহসান জানান, ওই সময় র‌্যাবের সদস্যরা তার পিতা ও সংগ্রামকে রাত দু’টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ধরে নিয়ে যান। পরের দিন সকালে র‌্যাবের টেলিফোন পেয়ে তাদের দু’জনকে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় র‌্যাবের সঙ্গে তার পিতার কোন গোপন রফা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। স্থানীয় স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র নয় বছর বয়সী কায়েস চৌধুরী জানে না তার বাবা সংগ্রাম চৌধুরীকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে। অশ্রুশিক্ত চোখে অবুঝ এ শিশুটি বার বার বলছিলো আব্বু এমন কি করেছিলো যে, তাকে মেরে ফেলা হলো। আব্বু আর কোন দিন ফিরে আসবে না। এ সময় তার কাকা প্রিন্স চৌধুরী কায়েসের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত¦না দেয়ার চেষ্টা করলে সে সজোরো কাঁদতে থাকে। এ সময় স্বজনভরা বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গতকাল দুপুরে সংগ্রাম চৌধুরীর বাসায় কথা হয় তার বড় ভাই পরিবহন ব্যবসায়ী প্রিন্স চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি হাসপাতাল মর্গ থেকে ভাইয়ের লাশ গ্রহণকালে পুলিশের ছাড়পত্র দেখিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি অনুযায়ী সংগ্রাম চিহ্নিত সন্ত্রাসী হলে তো তার নামে স্থানীয় থানায় মামলা থাকতো। কিন্তু পুলিশ তো ভাল করে তার নামই জানে না। ঠিকানায় পিতার নাম লেখা হয়েছে অজ্ঞাত। এসব কথার সময় সংগ্রামের স্ত্রী সালমা চৌধুরী বাসার আসবাবপত্র দেখিয়ে বলেন, তার স্বামী চাঁদাবাজ হলে ঘরে অন্ততঃ মূল্যবান আসবাবপত্র থাকতো। স্বামী হারা সংসারে সন্তানদের কিভাবে মানুষ করবেন, কি করে বাঁচবেন এসব বলতে বলতেই তিনি মূর্ছা যান। এ সময় পাশের কক্ষ থেকে নামাজ শেষ করে বের হন সংগ্রামের বড় সন্তান মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান শান্তা চৌধুরী। গত সোমবার বাবা যে সময়ে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারান, ঠিক সে সময়ে শান্তা ছিলেন পরীক্ষার হলে। গতকাল বৃহস্পতিবারও তার পরীক্ষা রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় অংশ নিলেও শান্তার রেজাল্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন তার পরিবার। গতকাল দুপুরে ওয়াসিমের ১২৯/২, মদিনা মসজিদ রোডের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। আশপাশের লোকজন বলেন, নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। বাসায় অবস্থান করলেও কারো ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। এ ছাড়া ওয়াসিমের ছেলে আলী ব্যতীত সকলের মোবাইলগুলো র‌্যাব সদস্যরা নিয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ ক্রসফারার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাই একতরফা এবং সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। এসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে একটি গৎবাঁধা প্যাটার্ন অনুসরণ করেন। অধিকাংশ ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে- পুলিশ, র‌্যাব কিংবা ডিবি কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের পরিচিতি দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মানুষজনকে তুলে নিয়ে যায়। নিরাপত্তা বাহিনীর তুলে নেয়ার পর আর না ফিরে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় ছাত্র, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং বিরোধী দলের অজস্র নেতার নাম রয়েছে। কখনো এই ব্যক্তিদের লাশ হয়তো খুঁজে পাওয়া যায়, কিংবা কখনো তারা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যান। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় যে, মৃত ব্যক্তি একজন অপরাধী ছিলেন। বেশ কয়েকবার তাদের এই দাবি মিথ্যা হিসেবেও প্রমাণিত হয়েছে। কখনো কখনো এও দাবি করা হয় যে, আটককৃত অপরাধীর পক্ষের লোকেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর অস্ত্র চালায় বলেই সম্পূর্ণ আত্মরক্ষার্থে তারা বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হতে বাধ্য হন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধসংক্রান্ত কোনো পূর্ব অভিযোগ ছিল না। সেদিন ঘটনাস্থলে সালাউদ্দীন (২৯) এবং জুয়েল (২৮) নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে আটটি হত্যা মামলা থাকলেও নিহত জুয়েলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই ছিল না। জুয়েল কাপ্তানবাজার এলাকার একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তিনি ফিল্টার যন্ত্রপাতি বেচতেন। নিহত জুয়েলের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি পুলিশ কোনো মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরি বা নিদেনপক্ষে কোনো অভিযোগই দেখাতে পারেনি। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক এসআই প্রদীপ কুমার কুন্ডুও জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগসংক্রান্ত বৈধ কোনো কাগজ বা দলিলপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। জুয়েলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে শনির আখড়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল হক বলেন, অপরাধী হিসেবে সালাউদ্দীনের নাম আমাদের পরিচিত হলেও জুয়েলের নাম আমরা কখনো শুনিনি। জুয়েলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল বলেও অন্তত আমি তো জানি না। আমাদের দামুড়হুদা, (চুয়াডাঙ্গা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার কাশেম ওরফে মেকুর কাশেম (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোরে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের একটি আম বাগানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া বোমার আঘাতে দামুড়হুদা মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিয়াজ আলী (৩৮) ও কনস্টেবল খায়রুল ইসলাম (৪৫) গুরুতর আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশী বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি তাজা বোমা ও বেশ কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/03/06/165112.php#sthash.jBW3qm18.7XUzkDKV.dpuf

বুধবার, ২ জুলাই, ২০১৪


খিলাফতকে গড়ে তোলায় সাহায্য করতে মুসলমানদের প্রতি বাগদাদীর আহ্বান ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকি পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন মুলতবি হওয়ার পর নয়া সরকার গঠনের জন্য ইরাকি নেতাদের উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার ঘণ্টা দুয়ের মত কার্যক্রম চলার পর সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে অধিবেশনের বিরতি দেয়া হয়। তার আগে পার্লামেন্টের সুন্নি ও কুর্দি সদস্যরা ওয়াক আউট করেন। তারা আর ফিরে আসেননি। ফলে কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় অধিবেশন প- হয়ে যায়। খবর এএফপি। জানা গেছে, পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর পরই অনৈক্যের ব্যাপারটি প্রকাশিত হয় স্পিকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে কুর্দি আইন প্রণেতা নাজিবা নাকিব অবরোধ তুলে নিতে ও স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের জন্য স্থগিত বরাদ্দ দেয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী নূরী মালিকির দলের এমপি কাজিম আল সায়াদি কুর্দি অঞ্চলের প্রধানের মাথা গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। ইসলামিক স্টেটের কথা উল্লেখ করায় কুর্দি এমপিরা ওয়াকআউট করেন। তারা কেউ ফিরে না আসায় কোরাম পূর্ণ হয়নি। অধিবেশনে সভাপতিত্বকারী এমপি বলেন, যদি ঊর্ধ্বতন পদগুলোর ব্যাপারে মতৈক্য হয় তাহলে ৮ জুলাই অধিবেশন বসবে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন দ্রুত হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে যে সময় ইরাকের অনুকূলে নেই। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মেরি হার্ফ এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ দ্রুততার আহ্বান জানান। রয়টার্স জানায়, ইসলামী রাষ্ট্রের খলিফা আবু বকর আল বাগদাদী অস্ত্র হাতে তুলে নিতে এবং খিলাফতকে গড়ে তুলতে সাহায্য করার জন্য ইসলামী রাষ্ট্রে এসে সমবেত হতে বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার অনলাইনে ‘রমযান মাসে মুজাহিদীন ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি বার্তা’ শিরোনামে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি মুসলমানদের জিহাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুন যুগ শুরু হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত মুসলমানরাই বিজয়ী হবে। তিনি মুসলমানদের জেগে উঠতে এবং মধ্য আফ্রিকা থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত মুসলমানদের উপর অন্যায়ের প্রতিশোধ গ্রহণের আহ্বান জানান। ইউরোপীয় কাউন্সিলের পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনিয়র পলিসি ফেলো জুলিয়ান বারনেস-ড্যাসি বলেন, বাগদাদী বলিষ্ঠ আহ্বানের মধ্য দিয়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছেন এবং এখন দৃঢ়তার সাথে কথা বলছেন। এক বিশাল ভূখ-ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হওয়ার তিনি উপলব্ধি করেছেন যে সময় তার অনুকূলে। এ এক বলিষ্ঠ, সার্বিক কৌশল যার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে নয়া ইসলামী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। এদিকে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি বিবিসির সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেন,স্বাধীনতা পাওয়া কুর্দিদের অধিকার এবং এখন থেকে আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা করছি যে কুর্দিস্তানের লক্ষ্য স্বাধীনতা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে যাতে কুর্দিস্তানের সকল লোক অংশগ্রহণ করবে। তিনি গণভোটের কোনো সময় নির্ধারণ করেননি। তবে বলেন, কয়েকমাসের মধ্যেই তা অনুষ্ঠিত হবে। এপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইরাকের রাষ্ট্রদূত লুকমান ফাইলি বলেছেন, আইসিস যোদ্ধাদের দমনের জন্য অতিরিক্ত মার্কিন সাহায্য পেতে বিলম্ব হওযায় অপেক্ষা না করে ইরাক ক্রমেই ইরান, রাশিয়া ও সিরিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। তিনি তাদের উপর বিমান হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানান। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/07/03/189889.php#sthash.jUvXNRsm.dpuf

চলন্ত মাইক্রোবাসে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ২২:১৭, জুলাই ০২, ২০১৪ রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে এক তরুণীকে (১৮) ধরে চলন্ত মাইক্রোবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। গতকাল মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই তরুণী একজন পোশাককর্মী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিত্সাধীন। মিরপুর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণীর বরাত দিয়ে জানান, মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়ায় থাকেন ওই তরুণী। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বান্ধবীর বাসা থেকে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। দারুস সালাম সড়কের টেকনিক্যাল মোড়ে একটি মাইক্রোবাস এসে থামে তঁার সামনে। ওই মাইক্রোবাসটি থেকে দুই যুবক নেমে তঁাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। এদের মধ্যে একজনকে তিনি চেনেন। তার নাম ফরিদ। গাড়িতে তোলার পর ফরিদ ও তার সহযোগী ওই তরুণীকে চলন্ত মাইক্রোবাসে ধর্ষণ করে। এ সময় চালকসহ মোট তিনজন গাড়িতে ছিল। তবে শুধু ফরিদ ও তার সঙ্গে থাকা যুবক তঁাকে ধর্ষণ করে বলে মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে। একপর্যায়ে গভীর রাতে তারা তঁাকে দারুস সালাম থানার টেকনিক্যাল মোড়ে রেখে যায়। আজ সন্ধ্যায় তঁাকে ওসিসিতে ভর্তি করে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার তরুণীর এক ফুফু পুলিশকে জানিয়েছেন, স্থানীয় বখাটে ফরিদ অনেক দিন ধরেই তঁার ভাতিজিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় ফরিদ এ ঘটনা ঘটায় বলে তঁার ধারণা। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রপ্তোরের চষ্টো চলছে। রাত সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় থানায় কোনো মামলা হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ওসিসির সমন্বয়কারী চিকিত্সক বিলকিস বেগম জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে।

রবিবার, ২৯ জুন, ২০১৪


প্রচ্ছদ মতামত সংবাদ অর্থ পাচার সুইস ব্যাংকে আমাদের যত সম্পদ ফারুক মঈনউদ্দীন | আপডেট: ০০:০৪, জুন ২৯, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ ১ Like ১২ 28-06-14-ILLUS-FARUK-MOINUDDINসম্প্রতি সুইস ব্যাংকে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের যে গোপন অর্থ সঞ্চিত রয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ যে বোমা ফাটিয়েছে সেটা নিয়ে বহু দেশে তোলপাড় হয়ে গেলেও আমাদের এখানে পত্রপত্রিকায় কিছু বিচ্ছিন্ন লেখা ছাড়া আর তেমন কোনো আলোড়ন দেখা যাচ্ছে না কোনো মহলে। সরকারি মহলের নীরবতা হয়তো কিছুটা অর্থবহ। কারণ, সবার জানা আছে সুইস ব্যাংকে কারা গোপন সঞ্চয় রাখে। সুইস ব্যাংকগুলো যে দেশ-বিদেশের পাচার করা গোপন অর্থের অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে, তার ইতিহাস বহু আগের। প্রায় ৩০০ বছর আগে থেকেই সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে গোপন অ্যাকাউন্ট খুলে টাকা জমা রাখার ব্যবস্থা চালু ছিল। ফ্রান্সের রাজাদের সঞ্চিত অর্থ গোপন রাখার প্রবণতা থেকেই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ১৭১৩ সালে জেনেভার সিটি কাউন্সিলে যে আইন করা হয়, তাতে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টের হিসাব গোপন রাখার বিধান চালু করা হয়। কেবল গ্রাহক ছাড়া অন্য কারও কাছে অ্যাকাউন্ট–সম্পর্কিত তথ্য জানানো ছিল নিষিদ্ধ। মূলত তখন থেকেই বিভিন্ন দেশ থেকে অর্থ পাচার করে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে রাখার প্রবণতা শুরু হয়েছিল। আদিতে সুইস ব্যাংকের গোপনীয়তা রক্ষার আইন ফৌজদারি ছিল না বিধায় গোপনীয়তা ভঙ্গের কারণে কোনো ব্যাংক কর্মচারীকে শাস্তি দেওয়ার সুযোগ ছিল না। ১৯৩৪ সালের নতুন ব্যাংকিং আইন এই গোপনীয়তা রক্ষার বিষয়টিকে ফেডারেল আইনে পরিণত করে আরও কঠোর করে দেওয়া হয়। ১৯২৯ সালের মহামন্দার ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং আইনের এই সংশোধন প্রয়োজন ছিল। নতুন আইনে ব্যাংকিং গোপনীয়তার বিষয়টিকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির আওতায় নিয়ে আসা হয়, ফলে গোপনীয়তা ভঙ্গকারীর শাস্তি ছিল কারাদণ্ড। জার্মানিতে হিটলারের শাসনামলে বিদেশে ধনসম্পদ জমা করার জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান চালু করা হলে সুইজারল্যা‌ন্ডে এই ব্যাংকিং গোপনীয়তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ইউরোপীয় ইহুদিরা তাদের সমুদয় সম্পদ সুইস ব্যাংকে জমা রাখা শুরু করে। যুদ্ধের ডামাডোলে বহু ইহুদি সুইস ব্যাংকের গোপন দলিলপত্র হারিয়ে ফেলে, ফলে যুদ্ধ-পরবর্তীকালে তারা আর তাদের সঞ্চিত অর্থ ফেরত পায়নি। তবে মজার বিষয় হচ্ছে, সুইস ব্যাংকে যে কেবল ইহুদিদের সম্পদ গোপন করে রাখা হতো তা নয়, নাৎ​সি বাহিনী যুদ্ধবন্দী এবং অধিকৃত দেশ থেকে যে সম্পদ লুণ্ঠন করে, সেসবও গচ্ছিত রাখা হয়েছিল সুইস ব্যাংকের গোপনীয়তায়। বিষয়টির মধ্যে কোনো আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গি ছিল না। মার্কিন কূটনীতিবিদ স্টুয়ার্ট আইজেনস্ট্যাট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে অর্থনৈতিক অসংগতি এবং ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে তাঁর বিখ্যাত বই ইমপারফেক্ট জাস্টিস: লুটেড অ্যাসেটস, স্লেভস লেবার, অ্যান্ড দ্য আনফিনিশড বিজনেস অব ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু-তে দেখিয়েছেন যে ১৯৩৯ সালের জানুয়ারি থেকে ১৯৪৫-এর জুন পর্যন্ত জার্মানি তখনকার মূল্যে ৪০ কোটি ডলারের স্বর্ণ ন্যাশনাল ব্যাংক অব বার্নে পাচার করেছে। ধারণা করা যায়, যুদ্ধের খরচ চালানোর জন্য নিয়ে যাওয়া এই স্বর্ণের বেশির ভাগই ছিল হতভাগ্য ইহুদিদের কাছ থেকে লুট করা। আইজেনস্ট্যাট লিখেছেন, ‘সুইজারল্যান্ড বা অন্য নিরপেক্ষ দেশগুলো যে ভিকটিমদের স্বর্ণ জেনেশুনে গ্রহণ করেছে তার কোনো প্রমাণ নেই...তবে সুইজারল্যান্ড ও ইতালিতে পাঠানো স্বর্ণের মধ্যে অন্তত একটা ছোট অংশ ছিল, যা অধিকৃত দেশের নাগরিক এবং কনসেনট্রেশন ক্যাম্পের হতভাগ্য এবং ক্যাম্পে আনার আগেই মেরে ফেলা লোকজনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা।’ এসব স্বর্ণালংকার অন্যান্য সোনার সঙ্গে মিশিয়ে গলিয়ে ফেলা হয়। এতে ধারণা করা যায় যে সুইজারল্যান্ড জার্মান আগ্রাসনের ভয় করছিল। যুদ্ধ শেষে ১৯৪৬ সালে সুইস-ওয়াশিংটন চুক্তির অধীনে সুইস সরকার ত্রিপক্ষীয় গোল্ড কমিশনের কাছে প্রায় ছয় কোটি (৫.৮) ডলারের সমপরিমাণ স্বর্ণ হস্তান্তর করতে সম্মত হয়। বিনিময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ফরাসি সরকার জার্মানি থেকে প্রাপ্ত সব স্বর্ণের সঙ্গে সুইজারল্যান্ড এবং সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের সম্পৃক্ততার দাবি ছেড়ে দেয়। এর ফলে ষাটের দশক পর্যন্ত সুইস ফেডারেল আইনের কারণে সেখানকার ব্যাংক, অ্যাটর্নি অফিস, ট্রাস্টিসহ সর্বত্র জার্মান সহিংসতার শিকার এবং উদ্বাস্তুদের সুপ্ত হিসাব খঁুজে বের করার কাজ চলে। এভাবে খঁুজে পাওয়া যায় প্রায় ২৪ লাখ ডলার, (১৯৬২-এর মূল্যমানে) যা যোগ্য উত্তরাধিকারীদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। এর মধ্যে ১৯৯৭ সালে একটা ঘটনা সুইস ব্যাংকের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়টাকে আরও স্পষ্ট করে দেয়। ইউনিয়ন ব্যাংক অব সুইজারল্যান্ডের (ইউবিএস) এক প্রহরী ধ্বংস করে ফেলার ঠিক আগে ব্যাংকের কিছু পুরোনো লেজার আবিষ্কার করে, যেখানে জার্মানিতে ইহুদি নিধনের সময়কার অ্যাকাউন্টের হিসাব ছিল। বার্লিনসহ বিভিন্ন শহরের ঠিকানাসংবলিত সেই সব হিসাব দেখে ক্রিস্টোফার মেইলি নামের সেই প্রহরী সেসব লেজার তুলে দেন একটা ইহুদি সাহায্য সংস্থার কাছে। বিষয়টি সুইস আইনে অপরাধ হলেও মেইলি এই ঐতিহাসিক দলিল ধ্বংস হতে দিতে চাননি। জার্মানিতে ইহুদি নিধনের সময়কার হিসাবপত্র দেওয়ার জন্য সুইস ব্যাংকগুলো বিভিন্নমুখী চাপের মুখে থাকলেও মেইলির এই বোমা ফাটানো ঘটনা তাদের নতুন চাপের মুখে ফেলে দেয়। শাস্তি এড়ানোর জন্য মেইলি আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় গ্রহণ করেন। মেইলির এই উদ্‌ঘাটন অবশ্য সুইজারল্যান্ডের মানুষ এবং সংবাদমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়৷ এক পক্ষ মেইলির সাহসী বিবেচনাপ্রসূত পদ‌ক্ষেপের প্রশংসা করে, অন্য পক্ষ তাঁকে দেশপ্রেমরহিত বিশ্বাসঘাতক হিসেবে চিহ্নিত করে। প্রতিক্রিয়া যা-ই হোক, পরের বছরই সুইস ব্যাংকের তরফ থেকে ইহুদি সংস্থাগুলোর সঙ্গে ১২৫ কোটি ডলারের ক্ষতিপূরণ রফা হয়। ঘটনাটা ইউবিএস কর্তৃপক্ষকে যথেষ্ট বেকায়দায় ফেলে দেয়, কারণ এটি নতুন সুইস আইনে জার্মানি কর্তৃক ইহুদি নিধনের প্রমাণস্বরূপ যেকোনো আলামত সংরক্ষণ করার যে বিধান রয়েছে তার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে বিষয়টা যে এক দুঃখজনক ভুল, সেটা স্বীকার করতেও হয়েছে তাদের। কোনো প্রাচীন দলিল ধ্বংস করার আগে ব্যাংকের নিজস্ব একজন ইতিহাসবিদ সেসব পরীক্ষা করে দেখতেন যে সেগুলোতে ইহুদি নিধন সম্পর্কে কোনো প্রমাণ রয়েছে কি না। মেইলির আবিষ্কারের আগে আরও যেসব দলিল ধ্বংস করা হয়েছে, সেখানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি বলে সেই ইতিহাসবিদ সেসব ধ্বংসের অনুমতি দিয়েছিলেন বলে জানায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তবে ধ্বংস করা দলিলগুলোর কোনো তালিকা না রাখার কারণে সেই ইতিহাসবিদকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। অবশ্য মেইলি একা নন, পরবর্তী সময়ে রুডলফ এলমার নামের একজন সুইস ব্যাংক কর্মকর্তা কর ফাঁকি দেওয়া টাকার হিসাব ফাঁস করে দেওয়ার পর সুইস কর্তৃপক্ষ তার পেছনে লাগে। উইকিলিকসকে দেওয়া তার তথ্যগুলো কর ফাঁকি দেওয়া কালোটাকার অভয়ারণ্য হিসেবে সুইস ব্যাংকের ভূমিকা আর গোপন থাকে না। এরপর ব্র্যাডলি বার্কেনফেল্ড নামের আর একজনের ভূমিকার কারণে ইউবিএস আরও একবার কর ফাঁকিতে সহায়তা করার জন্য ধরা পড়ে। এর জন্য ইউবিএসকে সাত কোটি ৮০ লাখ ডলার জরিমানা দিতে হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রকে প্রায় সাড়ে চার হাজার সন্দেহভাজন মার্কিন করখেলাপি হিসাবধারীর তালিকা সরবরাহ করতে হয়। বলা বাহুল্য, মেইলির মতো এলমার এবং বার্কেনফেল্ডকেও সুইস কর্তৃপক্ষ বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিল। সুতরাং বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের সুইস ব্যাংকে গোপন সঞ্চয় নতুন কোনো ঘটনা নয়। মূল ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন যে আমাদের দেশের কঠোর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের ফাঁক গলে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ কীভাবে (২০১৩ সাল পর্যন্ত মোট জমা তিন হাজার ২০০ কোটি টাকার সমপরিমাণ) সুইস ব্যাংকে পাড়ি দিতে পারে, তা ভেবে। কেবল সুইস ব্যাংক নয়, মালয়েশিয়া, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশি নাগরিকদের সঞ্চিত সম্পদ কোন পথে গেল, তার কোনো কার্যকর তদন্ত কখনো করার চেষ্টা কি হয়েছে কখনো? আজ পৃথিবীর প্রভাবশালী দেশগুলোর চাপে সুইস ব্যাংকগুলো তাদের গোপনীয়তা রক্ষার অঙ্গীকার থেকে কিছুটা সরে আসতে বাধ্য হয়েছে বোঝা যায়। ৩০০ বছরের ঐতিহ্য ভেঙে যদি সুইস ব্যাংকগুলো তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে গোপন হিসাবের তালিকা প্রকাশ করতে পারে, তাহলে আমাদের মতো দেশগুলোর সরকার দেশের স্বার্থে পাচারকৃত সম্পদের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে পারছে না কেন? ফারুক মঈনউদ্দীন: লেখক ও ব্যাংকার৷

সেক্সি রিপোর্টার ও কোস্টারিকা ফুটবল নতুন বার্তা ডেস্ক Sun, 29 Jun, 2014 10:25:34 AM রিও: গ্রুপে ছিল ইংল্যান্ড, ইতালি, উরুগুয়ে। কিন্তু ফুটবল বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে যারা গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোর যুদ্ধে পৌঁছেছে, তাদের নাম কোস্টারিকা। যে দলে ব্রায়ান রুইজ, জোয়েল ক্যাম্পবেলের মতো তারকা থাকলেও সাফল্যে পিছনে উঠে আসছে অন্য একটি নাম! ইনি মাঠে নামেন না। পরিচয় সাংবাদিক। কিন্তু এই মুহূর্তে তিনিজেল বেরাহিমিই নাকি কোস্টারিকার ‘লাকি চার্ম’। একই সঙ্গে সুন্দরী সাংবাদিককে নিয়ে রীতিমতো সাড়া পড়ে গিয়েছে বিশ্বকাপে। বিশ্ব জুড়ে প্রচারমাধ্যমের শিরোনামেও উঠে এসেছেন জেল। তার দেশ এবং তিনি দু’জনেই এখন খবরের শিরোনামে। কী ভাবে উপভোগ করছেন ব্যাপারটা? প্রশ্নে উত্তরে জেলের টুইট : ব্রাজিলে আসা আমার স্বপ্ন ছিল। এখন আমারও স্বপ্ন পূরণ হয়েছে, দেশেরও। ব্রাজিলে প্রতিটা মুহূর্ত আমি উপভোগ করছি। আর আমার দেশের কথা শুনতে চান? কোস্টারিকা শেষ ষোলোয় গিয়েছে বলে আমরা সবাই দারুণ খুশি। এখন ফল যা-ই হোক না কেন, আমাদের সেলিব্রেশন চলবেই।” দেশের প্রতিটা ম্যাচেই জাতীয় রংয়ের জার্সিতে মাঠে উপস্থিত থাকছেন বেরাহিমি। রিয়াল মাদ্রিদের অন্ধ ভক্তের ভক্তসংখ্যাও কিন্তু ব্রাজিলে বাড়ছে। বিশেষ করে নিজের অন্তরঙ্গ ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি টুইটারে পোস্ট করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছেন তিনি। কিন্তু তার দল কি বিশ্বকাপে এই ভাবে সাড়া ফেলে যাবে? প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে কোস্টারিকার প্রতিদ্বন্দ্বী বড় হেভিওয়েট না হলেও পুরো ফুটবলবিশ্ব জুড়ে গ্রিস পরিচিত ‘আন্ডারডগদের রাজা’ হিসাবে। ইউরো ২০০৪ ফাইনালে পর্তুগালকে নিজের ঘরের মাঠে হারিয়েছিল গ্রিস। তবে এই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে চোট ও কার্ডের সমস্যায় জর্জড়িত গ্রিস। উল্টো দিকে কোস্টারিকানরা মন ভরিয়ে দিয়েছেন তাদের সুন্দর ফুটবলে। আক্রমণে ফুল ফোটাচ্ছেন, ডিফেন্সেও সমান জমাট। এখন পর্যন্ত পেনাল্টিতে ছাড়া গোল খায়নি তারা। গ্রিসের সমস্যা, আইভরি কোস্ট ম্যাচে চোট পেয়েছেন দলের গোলরক্ষক ওরেস্তিস কারনেজিস। যে তালিকায় রয়েছেন পানাজিওটিস কোনেও। পাশাপাশি আবার লাল কার্ড দেখে খেলতে পারবেন না দলের অধিনায়ক কোস্তাস কাতসুরানিস। যার জায়গায় খেলতে পারেন ইউরোজয়ী দলের সদস্য জিওর্জিওস কারাগুনিস। বিশ্বকাপে এই প্রথম মুখোমুখি কোস্টারিকা-গ্রিস। এবার দেখার গ্যালারিতে থাকা জেল বেরাহিমির জাদু কোনো কাজ করে কিনা। –ওয়েবসাইট। নতুন বার্তা/এসএফ

শনিবার, ২৮ জুন, ২০১৪


ফেনীতে বউ-শাশুড়িকে ধর্ষণের পর ডাকাতি ফেনী জেলা সংবাদদাতা : বউ-শাশুড়িকে ধর্ষণ শেষে আট ভরি স্বর্ণ, নগদ টাকা, মোবাইলফোনসহ প্রায় সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। ঘটনাটি ঘটেছে ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত সূত্র জানায়, শনিবার রাত ২টার দিকে ১০-১২ জনের সশস্ত্র ডাকাতদল দৌলতপুর গ্রামের এক ব্যক্তির ঘরের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে। এ সময় বাড়ির সদস্যদের হাত-পা বেধে একটি কক্ষে আটকে রেখে বউ-শাশুড়িকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তারা আলমারি ভেঙে নগদ আট ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্রসহ সাত লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে রোববার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/06/22/187513.php#sthash.mG0dJbgk.dpuf

‘অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ আর শেষে আল্লাহ হাফেজের দরকার নেই’ প্রবাস নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম : shahriar-kabir (1) অনুষ্ঠানের শুরুতে বিসমিল্লাহ আর বক্তব্যের শেষে আল্লাহ হাফেজ বলার সমালোচনা করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেছেন, এখন বিসমিল্লাহ বলে অনুষ্ঠান শুরুর দরকার নেই। বিসমিল্লাহ শব্দের বিরোধিতা আমি করছি না। উর্দু আর ফারসীর মিশেলে খোদা হাফেজ সংস্করণে আল্লাহ হাফেজ শব্দটা জিয়াউর রহমানের আমল থেকে শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমানের ভূত, পাকিস্তানের ভূত আমাদের ঘাড়ে চেপে বসে আছে। পাকিস্তানী ধ্যান ধারণা আমাদের মাথায় চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মনোজগতে সাম্প্রদায়িকতা ঢুকে গেছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ঐতিহাসিক আগরতলা মামলা কার্যক্রম শুরুর ৪৬তম দিবসে উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের চেতনা ও আচরণে এখনো পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ভর করছে। জামায়াতের লোকেরা আওয়ামী লীগে ঢুকে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকেরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে এখন অনেক কিছু করতে চাইছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি। আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জামায়াতকে তারা ফুলের মালা দিয়ে দলে ঢুকাচ্ছেন, আর আমাদের জাতীয় বীরদের মুল্যায়ন করছেন না। শর্ষীনার পীরকে স্বাধীনতার পদক দেয়া হয়েছে। আমাদের জাতীয় বীরদের স্বাধীনতা পদক দেয়া হয়নি। বঙ্গবন্ধু ও তাদের সহযোগিরা যারা সশস্ত্রভাবে সংগ্রাম করেছে, কেন তাদেরকে আমরা জাতীয় বীরের মর্যাদা দিব না? আওয়ামী লীগের অর্জনের কথা কখনো সঠিক ভাবে লিপিবদ্ধ হয়নি মন্তব্য করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ৬৫ বছরের পুরনো দল আওয়ামী লীগের ইতিহাসে অকথিত অধ্যায় বাংলাদেশের বাজারে আওয়ামী লীগ তাদের দলিয় ইতিহাস এখনো প্রকাশ করেনি। কিন্তু কংগ্রেস ভারতে তাদের রাজনৈতিক ইতিহাস প্রকাশ করেছে বিভিন্ন প্রকাশনায়। আগরতলা মামলা মূল্যায়ন পরিষদের সভাপতি আবু আহাদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আগরতলা মামলায় ২৬নং অভিযুক্ত ও সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) এম শওকত আলী এমপি, আগরতলা মামলায় ২৯নং অভিযুক্ত ও জাতীয় বীর ফ্লাইট সার্জেন্ট (অব.) আব্দুল জলিল, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সহকারী এটর্নী জেনারেল এ্যাডভোকেট সাহিদা বেগম, মূল্যায়ন পরিষদের সেক্রেটারি আমজাদ হোসেন প্রমুখ। ( নিউজটি প্রকাশিত হয়েছে - জুন ২০, ২০১৪ তারিখ, আর বাংলাদেশ সময় - ৪:৪৪ পূর্বাহ্ণ মিনিটে ) ( বি: দ্র: প্রবাস নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম-এর প্রকাশিত প্রচারিত কোনো সংবাদ তথ্য, ছবি, রেখাচিত্র, ভিডিও, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না

চুয়াডাঙ্গায় অপহৃত গৃহবধূ কেরানীগঞ্জে উদ্ধার চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা : চুয়াডাঙ্গা শহরের পলাশ পাড়া থেকে অপহৃত গৃহবধূ পপি খাতুন (২০) কে ৭৩ দিন পর ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় অপহরণকারী আসাদুল ইসলাম (২৬)কে আটক করে।পুলিশ জানায়, আজ সোমবার ভোরে চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে এসআই খলিলুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার কেরানীগঞ্জের ভাড়াবাড়ি থেকে গৃহবধূ পপিকে উদ্ধার করে। এসময় দামুড়হুদা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে অপহরণকারী আসাদুল ইসলামকে আটক করে।উল্লেখ্য, গত ১১ এপ্রিল বিকালে শহরের পলাশ-পাড়া এলাকার আমজাদ হোসেনের স্ত্রী পপি খাতুন নিখোঁজ হয়। এরপর ১৭ এপ্রিল পপির বাবা জাহাঙ্গীর হোসেন বাদী হয়ে জামাতা আমজাদ হোসেন ও ফরহাদসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করার অভিযোগ এনে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর পুলিশ ফরহাদকে আটক করে।সদর থানার ওসি মুন্সী আসাদুজ্জামান জানান, প্রেম-ঘটিত সম্পর্কের কারণেই আসাদুলের হাত ধরে পপি খাতুন ঘর ছেড়ে অজানার পথে পাড়ি জমায়। তিনি আরও জানান, এ মামলার এজাহার-ভুক্ত আসামি ফরহাদ আজও চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/06/23/187731.php#sthash.KNrYB2zO.dpuf

ভারতে প্রতি ২২ মিনিটে ১টি ধর্ষণ May 30, 2014 by নিউজ ইভেন্ট ২৪.কম/পিএম in প্রতিবেশী, ফিচার with 0 Comments rape-india নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম ঢাকা ধর্ষণ বা যৌন নিগ্রহের তালিকায় ভারত উঠে এসেছে বিশ্বের তৃতীয় স্থানে। কার্যত প্রতি ২২ মিনিটে ভারতের কোথাও না কোথাও একজন সাবালিকা বা নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হচ্ছে। বলা বাহুল্য, এর দায় দেশের পুলিশ ও বিচারব্যবস্থার। শুক্রবার জার্মান রেডিও ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনের এ কথা বলা হয়েছে। ২০১২ সালে দিল্লির একটি বাসে বিবেক মথিত করা গণধর্ষণকাণ্ডে মেডিক্যাল ছাত্রীর মৃত্যুর ত শুকায়নি। অথচ একই রকমভাবে নিত্যদিন ঘটে চলেছে সাবালিকা বা নাবালিকার ওপর ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের ঘটনা, বরংবার। বলতে গেলে প্রতি ২২ মিনিটে ভারতে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটছে আর রাজধানী দিল্লিতে ধর্ষণের হার গড়ে দৈনিক চার থেকে পাঁচটি করে। অধিকাংশ ঘটনা রক্তহীম করা। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে পশ্চিমবঙ্গের কামদুনিতে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনা, মধ্যমগ্রামে এক কিশোরীকে দফায় দফায় ধর্ষণ করার ঘটনার পর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করে মেয়েটি। হালে দমদমের এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়ে সামাজিক লজ্জা আর ঘেন্নায় ট্রেনে গলা দিয়ে জ্বালা জুড়াতে চেয়েছিল। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে চার বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যায়। ওই বছরেরই জুলাই মাসে ১৭ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর, তার জিভ কেটে দেয় ওই ধর্ষক যাতে সে আদালতে গিয়ে সাক্ষ্য দিতে না পারে। সেই একই মাসে দুই বছরের এক শিশুর ওপর যৌন অত্যাচার করায় শেষ পর্যন্ত শিশুটি মারা যায়। পুলিশের কাছে শিশুর মা-বাবা অভিযোগ জানাতে গেলে বলা হয় যে, রাস্তার কুকুর কামড়ানোতে নাকি সে মারা গেছে। পাঞ্জাবের ১৮ বছরের এক তরুণী তার ধর্ষককে গ্রেপ্তার করার দাবি জানালে পুলিশ তা করতে অস্বীকার করে। আর তরুণীটি বেছে নেয় আত্মহননের পথ। হালে উত্তর প্রদেশে এক দলিত পরিবারের দুই বোনকে গণধর্ষণ করে গলায় ফাঁস দিয়ে গাছের ডালে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় নরপশুরা। তাদের অপরাধ, অজগ্রামে বাড়িতে টয়লেট না থাকায় তারা দুই বোন গিয়েছিল কাছের জঙ্গলে। এ সবের জন্য কাকে দায়ী করা উচিত? পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিকৃত মানসিকতা নাকি পুলিশ প্রশাসনের উদাসীনতা নাকি দেশের বিচার ব্যবস্থার ত্রুটি? ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ প্রথমে চেষ্টা করে অভিযোগ না নিয়ে লোকলজ্জার ভয় দেখিয়ে উভয় পরে মধ্যে টাকা-পয়সা দিয়ে ব্যাপারটা মিটিয়ে ফেলতে। উত্তর প্রদেশের ওই দুই কিশোরীর ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডে পুলিশ থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ তা নিতে টালবাহানা করে। পরে জনরোষ ছড়িয়ে পড়লে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। আরো আছে, দিল্লির এক নারীকে যে ব্যক্তি ধর্ষণ করেছিল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার কয়েক দিন পর ওই নারী দেখেন যে ওই ধর্ষক দিব্যি পুলিশ অফিসারের সঙ্গে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মেতে রয়েছে খোশগল্পে। অনেক সময় পুলিশের চাপে ধর্ষককেই বিয়ে করতে বাধ্য হয় ধর্ষিতা। দিল্লির মানবাধিকারবিষয়ক আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার মনে করেন, অনেক ক্ষেত্রে রক্ষকই হয়ে ওঠে ভক্ষক। সাধারণভাবে বলতে গেলে মেয়েদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখার ভাইরাস আছে পুরুষ শাসিত সমাজের অস্থিমজ্জায়। ২০১১ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রায় এক লাখ ধর্ষণ-সংক্রান্ত মামলা ঝুলে আছে দেশের বিভিন্ন আদালতে। তার মধ্যে মাত্র ২৬ শতাংশ দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এই দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার দরুণ মহিলাদের বারংবার আদালতে হাজিরা দিয়ে ধর্ষণের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিররণ দিতে হয় আসামিপক্ষের কৌসুলির জেরায়। তখন অনেক নারী ব্যথা, বেদনা আর হতাশায় আত্মহননকেই মনে করেন শ্রেয়। ১৬ ডিসেম্বর দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডের পর বিচারপতি ভার্মা কমিটি আইন সংশোধন করে ফাস্ট-ট্র্যাক কোর্টের সুপারিশ করেন। তাতে দিল্লি গণধর্ষণ মামলার চারজন আসামির ফাঁসির আদেশ দেয়া হয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় এখনো তা কার্যকর হয়নি। হবে কিনা তাও অনিশ্চিত। পশ্চিমবঙ্গ নারী কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায় ডয়চে ভেলেকে বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় প্রথমেই লোকেরা আঙুল তোলে ধর্ষিতা নারীর দিকে। কেন তিনি রাতে বাইরে গিয়েছিলেন? তারা ভুলে যান আজ শিক্ষিত নারীদের বাইরে বের হতে হয় নানা কাজকর্মে। তার জন্য তাকে যৌন নিগ্রহের শিকার হতে হবে? সমাজটা কি একটা জঙ্গল নাকি? সমাজবিজ্ঞানী দেবদাস ভট্টাচার্য ডয়চে ভেলেকে বলেন, আইন কঠোর করাটাই যথেষ্ট নয়, দেখতে হবে দ্রুত বিচারে তারা দোষী সাব্যস্ত হচ্ছে কিনা। দোষী সাব্যস্ত না হলে আইন কঠোর করে লাভ কী? সূত্র : ডয়চে ভেল। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম/৩০মে, ২০১৪/২০.৪০/পিএম আরো খবর: ধর্ষণ নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিকদের যত মন্তব্য স্বামীকে ছাড়াতে এসে পুলিশের হাতে ধর্ষণের শিকার! ভারতে একই পরিবারের দুই শিশুকে ধর্ষণ: যুবক গ্রেফতার ‘ধর্ষণের শিকার নারীরও ফাঁসি হওয়া উচিত’ ধর্ষণ ঠেকাতে বিশেষ জিন্সের প্যান্ট উদ্ভাবন!

Way To Jannah Skip to content প্রথম পাতা মৌলিক বিষয়সমুহ আক্বীদা অনলাইনে কুরআন কুরআন সুন্নাহ শিরক বিদআত অন্যান্য বিষয় ডাউনলোড আমাদের সম্পর্কে আপনার লেখা জমা দিন পার্বত্য চট্টগ্রামে মুসলিমদের খ্রিষ্টান বানাচ্ছে খ্রিস্টান মিশনারীরা By WaytoJannah জুন 27, 2014 0 পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা, তাদের প্রভাব এতটাই বেশি যে, অনেক সময় প্রশাসনকেও পাত্তা দিতে চায় না। এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক একটি ঘটনা উল্লেখ্য, ঘটনাটি ঘটেছে গত ১৫ মার্চ ২০১৪ বান্দরবান জেলায়। পার্বত্যনিউজসহ দুই-একটি অনলাইন মিডিয়ায় খবরটি যেভাবে এসেছে তার সারমর্ম হলো- ‘বান্দরবান ফাতিমা রানী চার্চ-এ মহিলা হোস্টেলের মেয়েদেরকে মিশনের ফাদার ও ব্রাদার কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এরা সবাই বান্দরবান ডনবস্কো উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম থেকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। গত ১৫ মার্চ ৭১ জন ছাত্রী নদীতে গোসল করার নামে হোস্টেল থেকে বের হয়ে পালিয়ে গেলে ঘটনাটি জানতে পারে স্থানীয়রা। দুর্গম পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী দরিদ্র পিতা-মাতা বুক ভরা আশা নিয়ে তাদের সন্তানদের জেলা সদরে উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি করায়। এ সন্তানরা একদিন শিক্ষিত হয়ে মা-বাবা ও সমাজের মুখ উজ্জ্বল করবে। এমন প্রত্যাশায় পাহাড়ের দূরপল্লীর মেয়েরা ডনবস্কো উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে ফাতিমা রানী চার্চ-এর হোস্টেলকেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেয়। গত ১৫ মার্চ ৭১ জন ছাত্রী হোস্টেল থেকে পালিয়ে যায়। হোস্টেল থেকে পালিয়ে যাওয়া ছাত্রীদের কেউ কেউ আশ্রয় নেয় তাদের নিকট আত্মীয় ও বান্ধবীদের বাড়িতে। কর্তৃপক্ষ কিছু কিছু ছাত্রীদের হোস্টেলে ফিরিয়ে আনলেও তাদের সাথে কথা বলার সুযোগ দেয়নি মিডিয়াকর্মী এবং প্রশাসনকে।’ ওপরের ঘটনার মধ্যে লুকিয়ে থাকা খ্রিস্টান মিশনারিদের অপ্রতিরুদ্ধ প্রভাব সম্পর্কে কোনো আঁচ করতে পারছেন কি? একটু ভেবে দেখুন, এত বড় একটি ঘটনা অথচ বাংলাদেশের মূল ধারার কোনো গণমাধ্যমে তা খবর হয়ে এলো না! কিন্তু আমরা যদি অন্যদিকে তাকাই তা হলে কী দেখতে পাই? এদেশের কোনো মহিলা মাদরাসার হোস্টেল, এতিমখানা কিংবা কোন কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে যদি একই ধরনের অভিযোগে ৫ জন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটত, তাহলে আমাদের মিডিয়া সে ঘটনাকে কতটা রসিয়ে রসিয়ে ফলাও করে প্রচার করত! অনেকে হয়তো ফলোআপ নিউজ করে করে ওই প্রতিষ্ঠানেরই বারোটা বাজিয়ে দিত। আর এর জন্য তাদের তথ্য প্রমাণেরও খুব একটা প্রয়োজন হতো কি? অথচ কী অদ্ভূত ঘটনা, মিশনারিদের একটি হোস্টেল থেকে ৭১ জন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার সংবাদও চেপে গেল বাংলাদেশের মিডিয়া! শুধু মিডিয়া নয়, প্রশাসনও চেপে গেছে বিষয়টি। শুনেছি, প্রথম দিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তারা হোস্টেল কর্তৃপক্ষের ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারেননি। চার্চ কর্তৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে প্রশাসনকে কোন সহায়তা করারই প্রয়োজন মনে করেননি। মিডিয়া এবং প্রশাসনকে পাত্তা না দিয়ে এত বড় একটি ঘটনা ধামাচাপা দেয়াটা কি সহজ কথা? মোটেই না, বরং এটা প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশের মিডিয়া এবং প্রশাসনকে গুরুত্ব না দিয়েই অনেক কিছু করার মতো প্রভাব শক্তি আছে এই মিশনারিদের। ফাতিমা রানী চার্চের ঘটনাটি তদন্ত হওয়া দরকার ডেইলি মেইলের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গত ১৮ জানুয়ারি ২০১৪ প্রকাশিত একটি সংবাদ থেকে জানা যায়, “মাত্র দুই বছরে শিশু যৌন নির্যাতনের অভিযোগে বিভিন্ন চার্চের চারশ’ যাজককে বরখাস্ত করেছিলেন পোপ ষোড়শ বেনেডিক্ট। ২০১১-১২ বছরে এসব যাজকদের বরখাস্ত করা হয় বলে ভ্যাটিকানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। জেনেভায় জাতিসংঘের শুনানিতে অংশ নিয়ে ভ্যাটিকানের ক্যাথলিক চার্চ এ তথ্য প্রকাশ করে। ১৬ জানুয়ারি ২০১৪ তারা সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের শুনানিতে অংশ নেয়। প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, আগের বছরগুলোর তুলনায় শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গেছে। ২০০৮-০৯ বছরে একই অপরাধে ১৭১ জন যাজককে বরখাস্ত করা হয়েছিল।” এই সংবাদটি থেকে আমরা কী জানতে পারলাম? চার্চের দায়িত্বে থাকা ফাদার কিংবা ব্রাদারগণ কর্তৃক যৌন নির্যাতনে ঘটনা নতুন কিছু নয়। আর এটা অপরাধযোগ্য বিষয়, তাই এর জন্য নির্যাতনকারীদের শাস্তিও ভোগ করতে হয়। শুধু তাই নয়, এর জন্য জাতিসংঘ বা অন্যকোনো দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কাছে চার্চ কৈফিয়ত দিতেও বাধ্য। এটাই যদি বাস্তবতা হয়, তাহলে বান্দরবানের ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া হলো কেন, এমন প্রশ্ন করা কি অমূলক হবে? যদিও বান্দরবান ফাতিমা রানী চার্চ-এ মহিলা হোস্টেলের মেয়েদেরকে মিশনের ফাদার ও ব্রাদার কর্তৃক যৌন হয়রানির অভিযোগটি এখনও প্রমাণিত নয়, কিন্তু যেহেতু ৭১ জন ছাত্রীর পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং এর জন্য ফাদার ও ব্রাদারদের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে, তাই চার্চের স্বার্থেই এর সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া আবশ্যক। অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ বান্দরবান জেলার একটি চার্চের অধীনে মহিলা হোস্টেলে মেয়েদের নির্যাতিত হওয়ার বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এ জেলাটি তো খ্রিস্টান অধ্যুষিত না, তাহলে এখানে চার্চ এলো কোথা থেকে? আর ফাদার-ব্রাদারদের দ্বারা মেয়েদের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনাই-বা ঘটে কী করে? এটা সত্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের মধ্যে এক সময় কেউ খ্রিস্টান ছিলেন না। বান্দরবানসহ তিন জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অধিবাসীরা ছিলেন মূলত বৌদ্ধ, হিন্দু এবং প্রকৃতিপূজারি। কিন্তু ব্রিটিশরা উপমহাদেশে আসার সময় তাদের সাথে সাথে খ্রিস্টান মিশনারিরাও এসেছে। মিশনারিরা শুরুতে সমতল-অসমতল সকল অঞ্চলের মানুষের মধ্যেই খ্রিস্ট ধর্ম প্রচারে উদ্যোগী হন। কিন্তু এক পর্যায়ে তারা বুঝতে পারেন যে, সমতলে বসবাসকারী অপেক্ষাকৃত অগ্রসর জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরিত করার চেয়ে পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসকারী উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে ধর্মান্তরিত করাটা অনেক সহজ এবং নিরাপদ। তাই তারা বাংলাদেশের যেখানেই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর দেখা পেয়েছে, সেখানেই আস্তানা গেড়েছে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকেই তারা তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে ধর্মান্তরিত করার টার্গেট করে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও এবং দাতা সংস্থার সহায়তায় তারা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে প্রলুব্ধ করে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর করা শুরু করে। মিশনারিদের প্রচেষ্টায় আজকের বাস্তবতা হলো, পার্বত্য চট্টগ্রামের শুধু বান্দরবান নয়, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এমনকি কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকাগুলোতে বসবাসরত কোনো কোনো ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শতভাগ এবং কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর আংশিক জনসংখ্যা ইতোমধ্যে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে। ধর্মান্তরিত খ্রিস্টানদের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকায় প্রভাব বাড়ছে মিশনারিদেরও। রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়িতেও মিশনারিদের প্রভাব বিদ্যমান তবে বর্তমানে বান্দরবানে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা। মিশনারিদের এই প্রভাবের গভীরতা ঠিক কতটা, তা বোঝা যাবে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক রিপোর্টের সূত্র ধরে ২০১১ সালের ১০ আগস্ট দৈনিক ইনকিলাবে “খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে উপজাতীয়দের” শিরোনামে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে। প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৪৫টি উপজাতির অস্তিত্ব রয়েছে। এর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলায় রয়েছে ১৪টি উপজাতি। এসব উপজাতির ৩০.৫৭ ভাগ চাকমা, ১৬.৬০ ভাগ মারমা, ৭.৩৯ ভাগ ত্রিপুরা, ৬.১৬ ভাগ অন্যান্য উপজাতি। অবশিষ্টরা বাঙালি। পার্বত্যাঞ্চলের প্রধান এ তিনটি উপজাতির মধ্যে প্রথাগতভাবে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী বেশি। দ্বিতীয় অবস্থানে সনাতন বা হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। গত দুই দশকে এসব জেলায় খ্রিস্টান ধর্মের বিস্তার ঘটেছে অবিশ্বাস্য দ্রুততার সঙ্গে। গত জুন (২০১১) মাসে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় কোরআন শিক্ষা ও বয়স্ক শিক্ষা কেন্দ্র সম্প্রসারণের সম্ভাব্যতা যাচাই, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, বান্দরবান জেলায় এখন মুসলমান ১ লাখ ৪৭ হাজার ৬২ জন। খ্রিস্টান ১ লাখ ৩ হাজার ৯৯৭ জন। বৌদ্ধ ৩০ হাজার ৫৪৬ জন। হিন্দু ১০ হাজার ৭৯৬ জন। দু’দশক আগে এ জেলায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যার দিকে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এখন তারা তৃতীয় স্থানে চলে এসেছে। খ্রিস্টান ধর্মানুসারীদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিতীয়।’ মুসলিমদেরকেও খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে বান্দরবান জেলার পরিসংখ্যান থেকেই দেখা যাচ্ছে, যে অঞ্চলে এক সময় খ্রিস্টান ধর্মানুসারীদের কোনো অস্তিত্বই ছিল না, সেখানে আজ মিশনারিদের তৎপরতায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তথা উপজাতীয়দের সর্বাংশে খ্রিস্টানকরণ প্রায় সম্পন্ন। শুধু তাই নয়, অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা অসহায় দরিদ্র মুসলিম পরিবারগুলোকেও খ্রিস্টান বানানোর মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদনটিতে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, বান্দরবান রুমা উপজেলার গেলাইঙ্গা, রেমাকৃপাংশা, ফাইন্দু ইউনিয়নে খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ও কিছু হিন্দু পরিবার বাস করত। অথচ মারমা ও বোম উপজাতি অধ্যুষিত রুমা উপজেলার এখন ৬০ ভাগ জনসংখ্যাই খ্রিস্টান। অন্যদিকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ক্রমশই কমছে। রুমা বাজার থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে আশ্রম পাড়ায় একবার ৪-৫টি ত্রিপুরা পরিবার ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়। আর্থিক অনটনে পড়ে তারা মুসলমানদের সাহায্যপ্রার্থী হলে আশানুরূপ সাড়া পায়নি। এ সুযোগে জাইনপাড়াস্থ খ্রিস্টান মিশনারি চার্চ তাদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করে। রুমা উপজেলার এসব নওমুসলিমদের অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েই বশে এনেছে, তাদেরকে খ্রিস্টান বানিয়েছে। কারণ, কোনো উপজাতি ইসলামের সাম্য ভাতৃত্বের আদর্শে মুগ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছে, এমন খবর যদি মিশনারিরা পায় তাহলে তারা যেন অনেকটা উন্মাদ হয়ে উঠে। ছলে-বলে কিংবা কলে-কৌশলে যেভাবেই হোক তাদেরকে খ্রিস্টান বানাতে সচেষ্ট হয়। এ ক্ষেত্রে পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠন এমনকি রাষ্ট্রীয় বাহিনীকেও তারা কাজে লাগাতে পিছপা হয় না। ২০১৩ সালের রাঙ্গামাটি জেলার কিছু নওমুসলিমের ক্ষেত্রে এমন ঘটনাই ঘটেছে। ঘটনাটি নিম্নরূপ- ‘গত ২ জানুয়ারি ২০১৩ ঢাকার বাসাবোর একটি মাদরাসায় হানা দিয়ে পুলিশ ৫ জন উপজাতীয় নওমুসলিম অভিভাবক এবং তাদের ১৬ সন্তানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাদের ইসলাম গ্রহণের এফিডেভিট ও অন্যান্য বৈধ কাগজপত্র দেখে পুলিশ ১১ শিক্ষার্থী ও তাদের ৫ অভিভাবককে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ৫ জন ছাত্র আগে থেকেই মাদরাসায় পড়তো বলে তাদের অভিভাবক সাথে ছিল না। অভিভাবক আসা পর্যন্ত তাদের তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখে পুলিশ। পরে অভিভাবকরা তাদের আনতে গেলে ত্রিপুরা স্টুডেন্টস ফোরামের সদস্য পরিচয়ে কতিপয় উপজাতীয় লোক তেজগাঁও থানার সীমার সামনে থেকে মাদরাসায় যেতে না দিয়ে তাদের জোর করে ধরে নিয়ে যায়। উপজাতীয় এসব লোক অভিভাবক ও তাদের সন্তানদের মাদরাসায় যেতে না দিয়ে খ্রিস্টান ক্যাথলিক চার্চ নিয়ন্ত্রিত একটি এনজিও সংস্থার কাছে দিয়ে দেয়। জানা গেছে, উক্ত ক্যাথলিক চার্চ নিয়ন্ত্রণ করেন রোজালিন ডি কস্তা।’ এছাড়া একই সময়ে গাজীপুরের মিয়াপাড়ায় দারুল হুদা মাদরাসা থেকেও উপজাতীয় নওমুসলিম ছাত্রদের ধরে নিয়ে মিশনারিদের হাতে তুলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এসব উপজাতীয় নওমুসলিম রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার দুমদুমিয়া গ্রামের বাসিন্দা। তারা ছিলেন ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের লোক। আর এসব উপজাতীয় নওমুসলিম ছাত্রদের মাদরাসা থেকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে কর্মরত উপজাতীয় কমান্ডারগণ। বাংলাদেশ একটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। সেই দেশে নওমুসলিমদের মাদরাসা থেকে ধরে খ্রিস্টান চার্চের আওতায় নিয়ে যাওয়ার স্পর্ধা এরা পেল কোথায়? তাও আবার রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সহায়তা নিয়ে? পার্বত্য জনগণের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে তাদের ধর্মান্তরিত করার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে মিশনারি প্রভাবিত এনজিওগুলো। স্বাস্থ্যসেবা ও মানবসেবার নাম করে এসব এনজিও তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। সেবার আড়ালে তাদের একটাই লক্ষ্য, অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা। তিন পার্বত্য জেলা তথা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি জেলায় এক সময় বৌদ্ধ, মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক বেশি থাকলেও বর্তমানে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। যা উপরের পরিসংখ্যান থেকে সহজেই অনুমেয়। এর পেছনে যেসব এনজিও ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ আছে তার মধ্যে রয়েছে- অ্যাডভানটেজ ক্রুশ অব বাংলাদেশ, হিউম্যানিট্রেইন ফাউন্ডেশন, খ্রিস্টান কমিশন ফর ডেভলপমেন্ট বাংলাদেশ (সিসিডিবি), ইভানজেলিক্যাল খ্রিস্টান ক্রুশ, ডানিডা, ওয়ার্ল্ড ভিশন, কৈনানিয়া, শান্তিরানী ক্যাথলিক চার্চ, গ্রিন হিল, গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থা (গ্রাউস), মহামনি শিশু সদন, জাইনপাড়া আশ্রম, তৈদান, আশার আলো, তৈমু প্রভৃতি। এনজিওগুলোর নানা প্রলোভনে পড়ে দলে দলে ধর্মান্তরিত হচ্ছে পাহাড়ি উপজাতীয় জনগোষ্ঠী। ফলে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা আরোও বেশি তৎপর হয়ে উঠছে। এছাড়াও ইউএনডিপি ও ইউনিসেফের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন রেজিস্টার্ড ও নন রেজিস্টার্ড এনজিওর মাধ্যমে আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের আড়ালে মূলত খ্রিস্ট ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কর্মকাণ্ড চালানো হচ্ছে। একই সাথে এসব এনজিও প্রতিনিয়ত উপজাতীয়দের বাঙালিবিদ্বেষী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে। ফলে উপজাতীয়দের মধ্যে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ার হার আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে বোম, মারমা প্রভৃতি উপজাতীয় লোকদের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। মুসলিম এবং রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বৌদ্ধ এবং হিন্দুরা যে হারে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হচ্ছে তা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে বৌদ্ধ জনসংখ্যা শূন্যের কোঠায় নেমে এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। অথচ বৌদ্ধ ধর্মের ধারক-বাহকরা তাদের ধর্মের ওপর এই হুমকির বিষয়ে একেবারেই উদাসীন অথবা সব কিছু জেনে-শুনেও অজ্ঞাত কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতা এবং পাহাড়ি বিভিন্ন সংগঠনের নেতারাও তাদের ধর্মের ওপর খ্রিস্টান ধর্মের থাবার ভয়াবহতা উপলব্ধি করতে পারছেন না। বরং তারা মিশনারিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে উল্টো মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে বেড়াচ্ছেন। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন সভা, সমাবেশ, সেমিনারে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে জোর করে মুসলমান বানানো হচ্ছে বলে বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশবিরোধী প্রচারণার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে এনজিও এবং দাতাসংস্থার সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক বিদেশি নাগরিককে বের করে দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তারপরও এদের দৌরাত্ম্য থামেনি, বরং দিন দিন বাড়ছে। অনেক সময় পর্যটকের ছদ্মবেশেও বিদেশি নাগরিকরা পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বাঙালি মুসলমান ও বাংলাদেশ বিদ্বেষী মনোভাব উস্কে দিয়ে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের কাজে নেমে পড়েন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতেও পাহাড় থেকে বিদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন সময় বহিষ্কৃত হতে হয়েছে। কিন্তু তাতেও তাদের তৎপরতা কমেনি পার্বত্য চট্টগ্রামের খ্রিস্টানাইজেশনের উদ্দেশ্য ইতিহাসের নানা ঘটনার পরিক্রমায় এটা স্পষ্ট যে, ব্রিটিশ আমল থেকেই বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা এবং এর সংলগ্ন মায়ানমারের কিছু পার্বত্য এলাকা ও ভারতের ‘সেভেন সিস্টার’ খ্যাত রাজ্যগুলোর সমন্বয়ে খ্রিস্টান অধ্যুষিত একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ছিল। পশ্চিমাদের এই কল্পিত রাষ্ট্র বঙ্গোপসাগরের তীর থেকে শুরু করে চীনের সীমানা পর্যন্ত বিস্তৃত। এ কারণেই এই অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে স্থানীয় সমতলবাসীদের থেকে সুপরিকল্পিতভাবে বিচ্ছিন্ন রেখে মিশনারিদের দ্বারা খ্রিস্টান বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল বহু আগে থেকেই। ১৯০০ সালে ব্রিটিশরা যে হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন অ্যাক্টের মাধ্যমে পাহাড়ি জনগণকে স্থানীয় বাঙালি জনগণ থেকে বিচ্ছন্নকরণ করে তার মূলেও ছিল তাদের সেই পরিকল্পিত রাষ্ট্র গঠনের ইচ্ছা। এটা করা হয়েছিল মূলত স্থানীয় বাঙালিদের থেকে পাহাড়িদের বিচ্ছিন্ন রেখে তাদেরকে খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত করা সহজ হবে এই আকাক্সক্ষায়। কিন্তু প্রথম দিকে খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তকরণ প্রক্রিয়ায় ছিল ধীর গতি। তাই ব্রিটিশরা তাদের এই কল্পিত রাষ্ট্রের দ্রুত এবং সফল বাস্তবায়নের জন্য ১৯৪৭ সালে উপমহাদেশ ছেড়ে যাওয়ার সময়েও এই অঞ্চলটিকে ভারত কিংবা পাকিস্তান কারও অধীনেই না রাখার পক্ষপাতি ছিল। তাদের ধারণা ছিল যে, এই অঞ্চলটি ভারত কিংবা পাকিস্তানের অংশ না হলে এখানকার স্থানীয় জনগোষ্ঠীগুলোর পক্ষে সফল এবং কার্যকর রাষ্ট্র ব্যবস্থা গঠন সম্ভব হবে না। এই সুযোগে ব্রিটিশরাই আবার ত্রাণকর্তা হিসেবে হাজির হয়ে নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকে তরান্বিত করতে পারবে। যাই হোক, সে সময় তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না হলেও তারা যে থেমে নেই সেটাই এখন দৃশ্যমান। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারা যে তৎপর তা তাদের কর্মকাণ্ড দেখলেই বোঝা যায়। কারণ একদিকে তারা যেমন স্থানীয় পাহাড়ি জনগোষ্ঠীগুলোকে খ্রিস্টান বানাতে উঠেপড়ে লেগেছে, তেমনি তারা এসব জনগণকে বাঙালি মুসলমান, বাংলাদেশ সরকার এবং সেনাবাহিনী বিদ্বেষী করে তুলছে। একই সাথে ‘আদিবাসী’ কনসেপ্ট, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীগুলোকে স্থানীয় সর্বাধিক প্রচলিত ভাষার পরিবর্তে মাতৃভাষায় শিক্ষিত করার কনসেপ্ট দিয়ে রাষ্ট্র এবং স্থানীয় জনগণ থেকে তাদের বিচ্ছিন্ন রাখার মিশন বাস্তবায়ন করছে। অন্যদিকে যেসব জনগোষ্ঠীর বর্ণমালা নেই তাদের ভাষাকে রোমান হরফে লেখার প্রচলন করা হচ্ছে, যাতে এসব জনগোষ্ঠীর যোগাযোগটা সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র এবং তার জনগণের সাথে না হয়ে পশ্চিমাদের সাথেই ঘনিষ্ঠ হয়, বিশেষ করে যারা রোমান হরফ ব্যবহার করে তাদের সঙ্গে হয়। পশ্চিমাদের আশীর্বাদপুষ্ট মিশনারিদের এই অপতৎপরতা যে শুধু বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলায় সীমিত তা কিন্তু নয়, একই মিশন নিয়ে তারা কাজ করছে মায়ানমার এবং ভারতের সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোতেও। একই সাথে তারা এসব অঞ্চলের জনগণের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ বাড়ানোর চেষ্টাও করছে। ভিন্ন দেশের সীমানায় বসবাস করছে একই জনগোষ্ঠীর লোকজনদের ক্ষেত্রে তাদেরকে বিশেষ বিশেষ সংগঠনের আওতায় সংগঠিত করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে বসবাসরত চাকমা এবং ত্রিপুরাদেরকে সমন্বিত করে ইতোমধ্যে একাধিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। অপরদিকে এসব অঞ্চলে যেসব মিশনারিরা তৎপরতা চালাচ্ছে তারাও দুর্গম ও অরক্ষিত সীমান্ত দিয়ে ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাতায়াত করে তাদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগ প্রতিষ্ঠা করছে। একবার মায়ানমার থেকে এভাবে কয়েকজন মিশনারি বান্দরবানে প্রবেশের ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় বেশ তোলপাড় হয়েছিল। কিন্তু দুর্গম অঞ্চলের সীমান্ত অরক্ষিত থাকায় সব খবর তো প্রশাসনের পক্ষে রাখাও সম্ভব না, তাই এমন ঘটনা হরহামেশায় ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং তার সংলগ্ন মায়ানমার ও ভারতের রাজ্যগুলোর এ চিত্রকে পূর্বতিমুর এবং দক্ষিণ সুদানের ইতিহাস এবং ঘটনা চিত্রের সাথে মিলিয়ে দেখলে, আশা করি সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কে আর কাউকে বুঝিয়ে বলতে হবে না। খ্রিস্টানাইজেশনের মূল টার্গেট ভারত এবং চীন বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা এবং খ্রিস্টানাইজেশন শুধু বাঙালি মুসলমান এবং বাংলাদেশের সমস্যা এটা ভাবলে বোকামি হবে। হ্যাঁ, বাঙালি মুসলমান এবং বাংলাদেশের জন্য এটা একটা বিরাট সমস্যা; তবে এ সমস্যা থেকে রেহাই পাবে না ভারত, মায়ানমার; এমনকি চীনের জন্যও এটা আতঙ্কজনক একটি বার্তা। ধারণা করা যায়, ভারত শুরুতে এটাকে শুধু বাংলাদেশের সমস্যা মনে করেছিল। তাই তারা এটাকে আরও উস্কে দেওয়ার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের উগ্রপন্থী সশস্ত্র সংগঠনগুলোকে আশ্রয়, অস্ত্র, ট্রেনিং দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে রেখেছিল। কিন্তু এতে তাদের হিতে বিপরীত হয়েছে। বাংলাদেশের চাকমা প্রাধান্য বিশিষ্ট সশস্ত্র সংগঠন শান্তিবাহিনীকে তাদের দেশের আশ্রয় দেয়ার ফলে সেদেশের চাকমাদের সাথে এদের যোগাযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। গড়ে উঠেছে যৌথ সংগঠন, যাদের দৃশ্যমান লক্ষ্য আন্তঃসাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাড়ানো হলেও, তাদের ভবিষ্যৎ এবং মূল লক্ষ্য হলো একটি বৃহত্তর স্বাধীন চাকমা ল্যান্ড প্রতিষ্ঠা করা। ভারত সরকার বিষয়টি বুঝতে পেরেই ১৯৯৭ সালে তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি অসমচুক্তি করিয়ে দিয়ে এই চাকমাদের ভারত থেকে তাড়িয়েছে। কিন্তু একবার যে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা চাইলেই নিঃশেষ করে দেয়া যায় না। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। দুই দেশের চাকমাদের মধ্যে বিভিন্ন উপলক্ষে যোগাযোগ এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা দুই দেশের সরকারেরই জানা আছে। অন্যদিকে এমএন লারমা চীন সফর করে এসে শান্তবাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছিল বলে চীন এদের প্রশ্রয় দিয়েছে অথবা এদের অপকীর্তির ব্যাপারে নীরব ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু বর্তমানে যে হারে এই অঞ্চলের উপজাতীয় জনগণ খ্রিস্টান হচ্ছে তা থামানো না গেলে ভারত কিংবা চীনের জন্যও তা মাথাব্যথার কারণ হতে বাধ্য। কারণ এই অঞ্চল খ্রিস্টান প্রধান অঞ্চলে পরিণত হলে এদের যোগাযোগ ভারত কিংবা চীনের পরিবর্তে পশ্চিমাদের সাথেই বেশি ঘনিষ্ঠ হবে। আর সেটা হলে বর্তমান বিশ্বের উদীয়মান সুপার পাওয়ার চীন এবং ভারতের জন্য তা অস্বস্তির কারণ হতে বাধ্য। আর বর্তমানে মায়ানমারের যেসব বৌদ্ধরা মুসলিমদের হত্যা করে উল্লাস করছে তাদের জন্য অশনি সঙ্কেত হয়ে আসবে এই খ্রিস্টানরাই। একই সাথে বাংলাদেশের পার্বত্যাঞ্চলে যেসব বৌদ্ধ পণ্ডিতরা বর্তমানে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় কিংয়া বানিয়ে জায়গা দখলে ব্যস্ত আছেন, আর কয়েক দশক পরে তারা তাদের এসব মন্দিরের সেবা করার জন্য কোনো পূজারি পাবেন কিনা তাতেই সন্দেহ আছে। অতএব, পার্বত্য চট্টগ্রামে অপ্রতিরুদ্ধ খ্রিস্টান মিশনারিরা এবং খ্রিস্টানাইজেশন সমস্যা শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়। এটা মায়ানমার, ভারত এবং চীনের অখ-তা ও নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। সর্বোপরি এখানে বৌদ্ধ ধর্মের অস্তিত্ব বিলুপ্তির কারণও হতে পারে এটা। তাই পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করে এই সমস্যাকে যৌথভাবে মোকাবিলা করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সকলকেই বুঝতে হবে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বাঙালিমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গড়ার প্রেসক্রিপশনের অন্তর্নিহিত অর্থ কী। কেনই বা তারা বাঙালিদের জন্য সকল প্রকার রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করে দেয়ার পরামর্শ দেয়? কেনই বা তারা ‘আদিবাসী’ কনসেপ্ট নিয়ে এত মাতামাতি করে, রাষ্ট্রকে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে তা বাস্তবায়ন করতে চায়? সৈয়দ ইবনে রহমত লেখক : সাংবাদিক ও গবেষক সূত্র ( লেখাটি ঈষত পরিবর্তিত )

ঢাকার বাইরে মামী ভাগ্নের পরকীয়ার শালিস: গ্রাম প্রধানকে পিটিয়ে হত্যা June 28, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in ঢাকার বাইরে with 0 Comments Nator_District_Map_Bangladesh নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম নাটোর নাটোরে মামী ভাগ্নের পরকীয়া প্রেমের শালিসের মধ্যে গ্রাম প্রধান ইয়াছিন আলীকে ( ৫৫) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কৈচরপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/ ২৮ জুন ২০১৪/১০.৩৩/মেহেদী হাসান আরো খবর: নাটোরে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা যশোরে মিল শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা রাঙ্গামাটিতে গ্রামপ্রধানসহ দুই জনকে অপহরণ কুষ্টিয়ায় কৃষককে গলা কেটে হত্যা

ঢাকার বাইরে মামী ভাগ্নের পরকীয়ার শালিস: গ্রাম প্রধানকে পিটিয়ে হত্যা June 28, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in ঢাকার বাইরে with 0 Comments Nator_District_Map_Bangladesh নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম নাটোর নাটোরে মামী ভাগ্নের পরকীয়া প্রেমের শালিসের মধ্যে গ্রাম প্রধান ইয়াছিন আলীকে ( ৫৫) পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাতে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার কৈচরপাড়া গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। বাগাতিপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় এনেছে। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/ ২৮ জুন ২০১৪/১০.৩৩/মেহেদী হাসান আরো খবর: নাটোরে স্বামীকে খুন করেছে স্ত্রী ঝালকাঠিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা যশোরে মিল শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা রাঙ্গামাটিতে গ্রামপ্রধানসহ দুই জনকে অপহরণ কুষ্টিয়ায় কৃষককে গলা কেটে হত্যা

লাকি মাকসুদার রাতগুলো ভোর হয় না… মুনিফ আম্মার, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বাংলামেইল২৪ডটকম শনিবার, ২৮ জুন ২০১৪ ১০:৪৯ Lacky & Maksudaঢাকা: আঁধার কেটে যাচ্ছে ক্রমশ। একটু একটু করে ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে মাত্র। রাস্তায় বাড়ছে মানুষের সংখ্যা। রাতভর জেগে থাকা কুকুরগুলোও অলস হাই তুলছে। হেডলাইট নিভিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে গাবতলীর লোকাল বাস। ঠিক তখনই গলির ভেতর থেকে মুখ গুঁজে বেরিয়েছেন কয়েকজন। কেউ যুবতী, কেউ মাঝবয়েসী। তবে গার্মেন্টসকর্মী নয় কেউই। কাজের সন্ধানেও বেরুয়নি তারা। রাতভর নিজেকে বিক্রি করে এখন ঘরে ফেরার পালা। রাজধানীর পুরানা পল্টনের পানির ট্যাংকি গলির মুখে দেখা ওদের সঙ্গে। ভোরের মানুষ দেখে খানিকটা ইতস্তত। ভালো মতো মুখ ঢাকতেও ভোলেনি দু’একজন। কাছে যেতেই গলার আওয়াজ নামিয়ে এনেছে একদম নীচে। যেন নিজেদের কোনো কিছুই প্রকাশ করতে আগ্রহী নয় আর। পিছু নিতেই জোরসে ধমকে উঠলো একজন, ‘ওই কী চাস? এহন আর না। দূরে যা।’ ধমক মনে হলেও এরমধ্যে ছিলো একরাশ ক্ষোভ। নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার যন্ত্রণা সহ্য করতে না পারার তীব্র প্রতিবাদও ছিল এটি। খানিকটা পথ হেঁটেই উল্টো দৌড় দিলো সবাই। কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল পুলিশের টহল গাড়ি। পুলিশকে যেন যমের মতো ভয় পায় ওরা সবাই। প্রায় ১০ মিনিট পরে গলি ছেড়ে আবার বেরুলো সবাই। পুলিশকে না দেখে রাস্তার একপাশেই বসলো দুইজন। খানিকটা ক্লান্ত। একটু যেন গা এলিয়ে দিতে পারলেই শান্তি। পাশে গিয়ে বসতেই প্রশ্ন ছুঁড়লো, ‘পুলিশডি কোনদিগে গেল?’ চলে গেছে জেনে এবার যেনো নিশ্চিন্ত হলো। ক্যান, পুলিশে কী সমস্যা? পাল্টা প্রশ্ন করতেই সব ঝাড়লো একসঙ্গে। একজন বলে উঠলো, ‘আরে জানেন না। মাইরা কিচ্ছু রাখে না। লাঠি দিয়া পিডাইয়া সব ফাডাইয়া দেয়।’ বলেই পায়ের কাপড় সরিয়ে দেখালো অন্যজন। আঁতকে ওঠার মতো দৃশ্য। বাম পায়ের হাঁটুর নীচে লাল হয়ে ফুলে গেছে একটি অংশ। মোটা হয়ে বসে গেছে লাঠির আঘাত। তারপর এক এক করে ঝাড়তে লাগলো রাতভর জমে থাকা ক্ষোভগুলো। ‘পুলিশের লাইগা কিচ্ছু করন যায় না। এমনিতেই বৃষ্টি। তারপরেও পুলিশ আইয়া শান্তি দেয় না। খালি ট্যাকা দিলেই সব ঠিক।’ এক নিঃশ্বাসে কথাগুলো বললেন। নাম জানতে চাইলে এবার আর কোনো আড়ষ্টতা নয়। ঝটপট বললেন, ‘লাকি’। বাড়ি কই, প্রশ্ন করতেই সোজাসাপ্টা উত্তর, ‘নরসিংদীর ঘোড়াশালে’। তারপর নিজ থেকেই বললেন লাকি, ‘পেটের দায়ে ইজ্জত বেচি। রাস্তায় নামছি। শখে না। কোন কিছুর বাছ বিছার করি না। মানুষ খারাপ কয়। শরম লাগে। তবুও এইসব করি। খালি কয়ডা খাওনের লাইগা, পোলাপাইনডিরে মানুষ করনের লাইগা। তারপরেও এতো কষ্ট আর সহ্য হয় না।’ সঙ্গে থাকা মাকসুদা তখনই কথা বলে উঠলেন, ‘আল্লাহ হেগো বিচার করবো। আমরা তো কারও ক্ষতি করি না। ক্ষতি যা, তা তো নিজেরই করছি। নিজেরে শেষ কইরা দিছি। আর কিচ্ছু বাকি রাখি নাই। তবুও আমাগোরো শান্তি দেয় না।’ লাকী আর মাকসুদার জীবনগল্প মোটেও সুখকর নয়। নামে লাকি হলেও জীবনগড়া তার দুঃখ দিয়েই। নরসিংদীর এ মেয়ে বড় হয়েছেন ভুলতা গাউছিয়ায়। আর্থিক টানাপোড়েনের সংসারে পড়াশোনার ঝাপি খুব একটা খুলতে পারেননি। বইখাতা গুটিয়ে ফেলতে হয়েছে ক্লাস ফাইভে ওঠার আগেই। বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছে বয়স হওয়ার আগে। বাবার অভাবী সংসারে নিয়ম মতো খাবার না জুটলেও ভেবেছিলেন স্বামীর সংসারে হয়তো সেটা আর থাকবে না। কিন্তু কষ্ট পিছু ছাড়েনি। মাত্র আটমাস টিকেছে সে সংসার। তারপর রিকশাচালক স্বামী আরও একজন বউ তুলে এনেছেন ঘরে। ততোদিনে লাকির পেটে নতুন মুখের কোলাহল। শুরু হলো নতুন যন্ত্রণা। নিত্য মারধর, গালাগাল। সহ্যের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিবাদী হয়ে উঠেছেন লাকি। প্রতিবাদে নেমে এসেছেন রাস্তায়, বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। গত সাতবছর ধরে এভাবেই চালাচ্ছেন নিজেকে। তার সন্তান লিমনের বয়সও এখন সাত বছর। মাকসুদার গল্পেও ভিন্নতা নেই খুব একটা। বয়সে লাকির চেয়ে চার পাঁচ বছরের বড়। তার সন্তান দুজন। বড় মেয়ের ক্লাস ফোরে পড়ে আর ছোট ছেলে এখন স্কুলে যাওয়া শুরু করেনি। স্বামীর খবর জানতে চাইলে জোরে নিঃশ্বাস ফেলে মাকসুদা। তারপর গড়গড় করে বলেন, ‘পৃথিবীতে আমার দুই সন্তান ছাড়া আর কেউ নাই। স্বামী আছে তার অন্য সংসার লইয়া। আমার লগে গত ১০ বছর ধইরা কোন যোগাযোগ নাই।’ এমন গল্প শুনে প্রশ্ন করতে মুখ কাঁপে। তবুও জানতে ইচ্ছে করে অনেক কিছু। হয়তো বুঝতে পেরে নিজ থেকেই মাকসুদা বললেন, ‘আমাগোরে মানুষ খারাপ কয়। আমরা খারাপ কাম করি। কিন্তু কেউ তো ভালো করবো কইয়া একটা কাম দেয় না। উল্টা পারে না ঝাঁটা দিয়া পিটাইয়া বিদায় করে। হেইল্লাইগা আমরা এহানে আইয়া এইসব করি। বাড়িতে যাওনের আগে বোরখা পইরা একদম ঠিকঠাক হইয়া যাই। কেউ কোনদিন টেরও পায় না আমরা কী করি। সবাই জানে হসপিটালে আয়ার কাম করি।’ কথার ফাঁকে আলো ফুটে উঠেছে পুরোপুরি। ফেরার তাগাদা অনুভব করেছে লাকিরা। উঠে দাঁড়ালেন দুজনেই। আবার ভালো করে মুখ ঢেকে নিলেন দুজনেই। তাদের সঙ্গে তখন রাতভর আয় করা কয়েকশ টাকা আর নিজেকে বিকিয়ে দেয়ার রাশি রাশি কষ্ট। ‘ভাই গেলাম। রাইতে আইসেন, সব কমু। অহন যাই, বাচ্চার ঘুম ভাইঙ্গা না পাইলে কাইন্দা দিবো। আমগোরে রাইতেই পাইবেন, দিনে না…।’ লাকি আর মাকসুদা দ্রুত পা চালালেন। যাওয়ার আগে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, আঁধারেই তাদের জীবন, তাদের রাত কখনোই ভোর হয় না। বাংলামেইল২৪ডটকম/ এমএ/ এনএফ স

ধামরাইয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগ ধামরাই (ঢাকা)উপজেলা সংবাদদাতা : ঢাকা জেলার ধামরাই পৌরসভার তালতলা এলাকায় তিনজন বখাটের বিরুদ্ধে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- পৌরসভার ছয়বাড়িয়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আতিক হোসেন ও নুরু মিয়ার ছেলে সুজনসহ অজ্ঞাত পরিচয় একজন।ধর্ষিতা পৌরসভার তালতলা মহল্লার লালমিয়ার বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে স্বামীকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। ধর্ষিতা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার ঘরে জোরপূর্বক প্রবেশ করে পালাক্রমে ধর্ষণ করে ওই তিন যুবক। এঘটনা কাউকে জানানো হলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ধর্ষিতা।আজ শনিবার সকালে ওই গৃহবধূ পৌর যুবলীগের সভাপতি ছয়বাড়িয়া গ্রামের আমিনুর রহমান ও স্থানীয় কাউন্সিলর আবু সাইদের কাছে ঘটনাটি খুলে বলেন এবং বিচার দাবি করেন। এ ঘটনায় আমিনুর রহমান ওই তিন ধর্ষণকারীকে ডেকে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তাদের আটক করে থানার ডিউটি অফিসার এস আই আবু তাহেরকে ফোন করে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন।ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদার বলেন, “আমি এই মাত্র ঘটনাস্থলে থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই হাফিজুর রহমান ও এস আই আবুল বাসারকে পাঠিয়েছি।” বিষয়টি সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। « পূর্ববর্তী সংবাদ পর - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/06/28/188839.php#sthash.coTenLpR.ljUhN5js.dpuf

প্রিন্স মুসার অজানা অধ্যায় রাইজিংবিডি.কম শাহ মতিন টিপু ঢাকা, ১০ আগস্ট: ১৯৯৮ সালে বিশ্বখ্যাত লন্ডনের সানডে টেলিগ্রাফের ১৭ মে সংখ্যায় ‘ম্যান উইথ দি গোল্ডেন গানস’ শিরোনামে হাইলাইটস হয়েছিলেন বাংলাদেশের একজন ধনকুবের। টেলিগ্রাফের ঐ সংখ্যাটিতে বাংলাদেশী ধনকুবেরকে নিয়ে লেখা হয়েছিল ব্যতিক্রমী প্রচ্ছদ কাহিনী। এর ফলে বিশ্বব্যাপী বিশেষ করে পশ্চিমা জগতে দারুণ আলোড়ন তোলে এই ধনকুবের কাহন। প্রচ্ছদ কাহিনীতে টেলিগ্রাফের বিশেষ প্রতিনিধি মি. নাইজেল ফার্নডেল লিখেন, বিশ্বের প্রথম সারির এই অস্ত্র ব্যবসায়ী পৃথিবীর সর্বত্র বিশেষ করে পাশ্চাত্য সমাজে ‘প্রিন্স অব বাংলাদেশ’ বলে খ্যাত। বিশ্ব এই ধনকুবের আর কেউ নন, তিনি ড. মুসা বিন শমসের। যাকে বিশ্বের সর্বোচ্চ মহল ও দরবারে সম্মানিত ‘প্রিন্স মুসা’ বলেই সম্বোধন করা হয়। ২০১০ সালে তিনি আবার তোলপাড় তুলেন পশ্চিমা জগতে। এ তোলপাড় তার সাত বিলিয়ন ডলার সুইস ব্যাংকে আটকে যাওয়ার কারণে। এ একাউন্ট জব্দ করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষই। বলা হয়েছে, মুসা বিন শমসেরের ‘লেনদেন অনিয়মিত’। টাকা তুলতে না পারার কারণ ১ কোটি ডলার দামের একটি মন্ট বাঙ্ক কলম। ফ্রান্সে তৈরী ওই কলম মাত্র একটিই তৈরি করেছে নির্মাতা কোম্পানি। ২৪ ক্যারেট স¡র্ণে তৈরী এ কলমটিতে রয়েছে ৭৫০০টি হীরকখ-। এক কোটি ডলারের বেশি লেনদেনের কোন ব্যবসায়িক চুক্তিতে মুসা বিন শমসের সাক্ষাতকার করেন ওই কলম দিয়েই। মুসা বিন শমসের বিশ্বাস করেন, এ কলম দিয়ে যে ব্যবসায় স্বাক্ষর করবেন তা সফল হবেই। সারা বছরই কড়া প্রহরায় এ কলমটি রক্ষিত থাকে সুইস ব্যাঙ্কের ভল্টে। প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ নিরাপত্তায় ওই কলম নিয়ে যাওয়া হয় নির্দ্দিষ্ট স্থানে। আবার সেভাবে ফেরত নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সম্প্রতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ওই কলমটি তুলতেই বাধা দিয়েছে তাকে। আর এ কারণে টাকাও তুলতে পারেননি তিনি। কলম তুলতে যাওয়ার পরই তিনি জানতে পারেন সুইস ব্যাংেক গচ্ছিত তার সকল সম্পদই জব্দ করা হয়েছে। ২০১০ সালের ৯ নভেম্বর আইরিশ ডেইলি মিরর এবং ১৪ নভেম্বর বৃটেনের দ্য উইকলি নিউজ এ সংক্রান্ত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলে জানায় ব্রিটেনের ক্যাম্পেইন মিডিয়া নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ওই খবরে মুসা বিন শমসেরের বিচিত্র বিলাসবহুল বর্ণাঢ্য জীবনের বৃত্তান্ত-বিবরণও দেয়া হয়। তিনি যে রোলেক্স ঘড়িটি ব্যবহার করেন তার দাম ৫০ লাখ ডলার। ওই বিশেষ ঘড়ি মাত্র একটিই তৈরি করেছে নির্মাতা কোম্পানি। তার ইউনিক মন্ট ব্রাঙ্ক কলমের দাম ১০ লাখ ডলার। বেশভূষা অঙ্গসজ্জায় তিনি ব্যবহার করেন ১৬ ক্যারেটের একটি রুবি। যার দাম ১০ লাখ ডলার। আরও একটি চুনি পরেন ৫০ হাজার ডলার দামের। এছাড়া পরেন ৫০ হাজার ডলার দামের একটি হীরা ও এক লাখ ডলার দামের একটি পালা (এমেরাল্ড)। প্রতিদিন তিনি গোসল করেন গোলাপ পানিতে। নিত্য দিনের চলাফেরায় অথবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে তিনি ৭০ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের গহনা-অলঙ্কার পড়েন। একবার ড. মুসা ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম তার বন্ধু ব্রিটেনের বিরোধী দলীয় নেতা (পরে প্রধানমন্ত্রী) টনিব্লেয়ারের নির্বাচনী ফান্ডে ৫০ লাখ পাউন্ড অনুদান দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করে বিশ্বদরবারে আলোচনায় উঠে আসেন। একজন বিদেশী নাগরিক হওয়ায় টনি ব্লেয়ার অবশ্য সে অনুদান গ্রহণ করেননি। এরপরেও নানা কর্মকান্ডের মাধ্যমে এ ব্যবসায়ী মাঝে মধ্যেই বিশ্ব মিডিয়ার আলোচনা বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছেন। লোক মুখে আছে তার বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক চমকপ্রদ কাহিনী। ১৯৯৭ সালে ড. মুসা বিন শমসের তার ইউরোপিয়ান সদর দপ্তর হিসেবে একবার আয়ারল্যান্ডের কালকিনি দুর্গ কিনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সফল হননি। প্রিন্স মুসার বিশ্বখ্যাতি অমিত সম্পদশালী এক ধনকুবের হিসেবে। তবে কেউ জানে না কত তার ধনসম্পদ। হয়তো নিজেও তিনি জানেন না। মনে করা হয়, তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ধনীদের অন্যতম একজন । তার জীবন যাপনের কথা ও কাহিনী দেশে ও দেশের বাইরে ছড়িয়ে আছে কিংবদন্তির মতো। লোকের মুখে-মুখেও আছে তার বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য জীবনের অনেক চমকপ্রদ চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিবরণ। বৃটেনের দ্য উইকলি নিউজ ‘গোল্ডফিঙ্গারস্! ম্যান উইথ দ্য মিডাস টাচ ওন্ট জাস্ট রাইট অফ ফ্রোজেন এসেটস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে লিখেছে, ড. মুসা বিন শমসের বিপুল ধনসম্পদের অধিকারী হয়েছেন আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসা, তেল বাণিজ্য ও কেনাবেচার দালালির মাধ্যমে। ড্যাটকো নামে রয়েছে তার জনশক্তি রপ্তানির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। আইরিশ ডেইলি মিরর ‘ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন পেন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ছয়জন দুর্ধর্ষ দেহরক্ষী ছাড়া তিনি কোথাও যান না, চলাফেরা করেন না। ২৭ শে মে, ২০১২ ডেটলাইনে অনলাইনে প্রাপ্ত এক পরিসংখ্যানে লেখা হয়েছে, মুসা বিন শমসেরের অর্থের পরিমান ১.৫ বিলিয়ন ইউ এস ডলার। একবার মুসা বিন শমসেরের ব্যাংক এ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মুসা বিন শমসেরের ব্যাংক এ্যাকউন্টের তথ্য চেয়ে সকল তফসিলী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। শুধু এ ব্যবসায়ী নয়, এর সঙ্গে জড়িত স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসেবেরও তথ্য ৭ কার্যদিবসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগে জানানোর জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। অর্থ পাচার সন্দেহে এ নির্দেশ দেয়া হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগের যুগ্মপরিচালক একেএম এহসান স্বাক্ষরিত চিঠিতে ব্যাংকগুলোকে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তখন জানা গিয়েছিল, মুসা বিন শমসের ব্যাংক হিসেবে খোলার সময় গ্রাহক পরিচিতি (কেওয়াইসি) সম্পূর্ণভাবে প্রদান করেননি। ফলে কেওয়াইসি`র দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে দেশ থেকে অর্থ পাচার করা হতে পারে মনে করা হয়। অর্থ পাচারের সন্দেহেই শমসের ও তার সঙ্গে জড়িত সকলের ব্যাংক হিসেব লেনদেনের তথ্য চেয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, প্রিন্স মুসা বিন শমসের পিতার নাম শমসের আলী মোল্লা, জেলা, ফরিদপুর। বর্তমান ব্যবসায়িক ঠিকানা, বাড়ি নম্বর-৫৭, রোড নম্বর-১, ব্লক-১, বনানী, ঢাকা-১২১৩। অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি অর্থণীতির ম্যাগাজিনে বলা হয়, ৭০ দশকের মাঝামাঝিতে বহির্বিশ্ব প্রাচ্যের এক স্বল্প বয়সী যুবকের ধুমকেতুসম বাণিজ্যিক উত্থান লক্ষ্য করে বিস্ময়ে হতবাক হয়েছিল। সৌদি আরব এবং কাতারে প্রবাসী এই খ্যাতিমান বাংলাদেশী ব্যাবসায়ীর উত্থান সত্যিই উল্কার মত ঝলকে উঠেছিল। আরব্য রজনীর গল্প-কাহিনীসম তাঁর বিস্ময়কর জীবন-কথা নিয়ে রচিত উপাখ্যান ৮০ দশকের বিশ্ব-গণমাধ্যমে বারংবার শিরোনাম হয়। পশ্চিমা বিশ্বে দারুণভাবে সাড়া জাগানো বাংলাদেশী এই খ্যাতিমান অস্ত্র-ব্যবসায়ী যেন রূপকথার রাজপুত্রের মর্যাদাই লাভ করে দেশ মাতৃকার ভাবমূর্তি বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল করে তোলেন। অত্যাশ্চার্য্য ও কীর্তিমান এই ভাগ্যবান পুরুষই ডঃ মুসা বিন শমসের। জানা যায়, তিনি বাংলাদেশের শিক্ষিত ও পেশাদার নর-নারীদের জন্য ইটালীতে কাজের সুযোগ করে দেন। বাংলাদেশের ডিপ্লোমা নার্সিং কাউন্সিলের সনদ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভের বিষয়ে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। তাঁরই সৌজন্যে দেশের নার্সদের ইতালী ছাড়াও অন্যসব ইউরোপীয় দেশে কর্ম-সংস্থানের পথ সুগম হয়েছে। বাংলাদেশী জনশক্তির জন্য ইউরোপীয় স্বর্ণ-দ্বার ডঃ মুসার আপ্রান প্রচেষ্টায় আজ উন্মোচিত। এ কথা স্বীকার্য যে, ড. মুসা একজন রহস্যময় ব্যক্তি। তার অনেক কিছুই আমাদের অজানা। কেউ কেউ মনে করেন, প্রকৃত মূল্যায়নের অভাবে তিনি এখনও স্বদেশে এক বিরাট রহস্য। প্রিন্স মুসার প্রাসাদ : রাজধানীর অভিজাত গুলশান এলাকার সুরম্য প্রাসাদে মুসার বসবাস। প্রাসাদের সাজসজ্জাও চোখধাধানো। লিভিংরুমসহ প্রাসাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ছাদ অবধি শোভা পাচ্ছে বড় বড় দ্যুতিময় অসংখ্য ঝালর। ঘরগুলোর মেঝে মহামূল্যবান ঝকমকে কার্পেটে মোড়া। লিভিংরুমের আকর্ষন আরো বাড়িয়ে দিয়েছে সুপরিসর ডাইনিংস্পেস। সব মিলিয়ে প্রাসাদটি পরিণত হয়েছে স্বপ্নপুরীতে। ফাইভ স্টার ফ্যামিলি : মুসার পরিবারকে বলা হয় দেশের একমাত্র ফাইভ স্টার ফ্যামিলি। কারণ, তাঁর বাসার স্টাইল-আয়োজন কর্মকান্ড সবকিছুই ফাইভ স্টার মানের। প্রিন্স মুসা তিনটি বুদ্ধিদীপ্ত ও মেধাবী সন্তানের গর্বিত পিতা। ওরা হলেন জাহারা বিনতে মুসা ন্যান্সী, হাজ্জাজ বিন মুসা ববি ও আজ্জাত বিন মুসা জুবি। এদের প্রত্যেকেই যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেছেন। ন্যান্সী বিয়ে করেছেন শেখ ফজলে ফাহিমকে। অক্সফোর্ড স্কলার ববি বিয়ে করেছেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমামকে। আর জুবি বিয়ে করেছেন সুমী নাসরিনকে। হাজ্জাজ বিন মুসা ববি সম্পর্কে একটি কথা না বললেই নয় যে, এই তরুন বয়সেই অভূতপূর্ব সাফল্য তার ঝুড়িতে। তিনি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি ও পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত আছেন। প্রিন্স মুসার ব্যবহৃত জিনিসপত্র : জানা যায়, হীরকখচিত যে জুতো পরেন তার প্রতি জোড়ার মূল্য লক্ষ্য ডলার। তাঁর সংগ্রহে এমনি রতœখচিত হাজারো জুতো রয়েছে। তাঁর পরনের কয়েকটি স্যুট স্বর্ণসুতাখচিত। ভারতীয় দৈনিক দি হিন্দুতে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে লিখেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক রাশিদা ভাগৎ। তিনি নিত্য গোসল করেন নির্জলা গোলাপ জলে। যার পোশাক, পছন্দ-অপছন্দ বৃটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্যার এন্থনি ইডেনের মত। ঊনবিংশ শতাব্দির সেরা ফ্যাশনরাজ বিউব্রামেল এর সাথেই তাঁর কেবল তুলনা চলে। ফিলিপাইনের ফাষ্ট লেডি ইমেল দ্য মারকোসের ওয়্যারড্রব ভরে থাকত ১০০ জোড়া সৌখিন জুতো। মুসা বিন শমসেরের বিলাসিতা তার চেয়েও বিস্ময়কর। তাঁর সংগ্রহে অসংখ্য মূল্যবান স্যুট রয়েছে; তাঁকে কখনো এক স্যুট পরিহিত অবস্থায় দু`বার দেখা যায় না। এমনি মূল্যবান প্রতিটি স্যুটের দাম ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার পাউন্ড। যা শুধু তাঁর জন্য তৈরী করা হয়েছিল। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজাইনার বলে খ্যাত প্রিওনী বেলভেস্ট এবং ইটালীর আবলা এবং ফ্যান্সিসকো স্মলটো ও খ্রিস্টিয়ান ডিয়রের বিশেষ ব্রান্ডের অতি মূল্যবান পোশাক-আশাক দিয়েই তাঁর সারি সারি ওয়্যারড্রব ভর্তি। তাঁর হাতের সবচেয়ে মূল্যবান ঘড়ির ডায়াল এবং ব্রেসলেট হচ্ছে হীরক খচিত। যার মূল্য অর্ধ মিলিয়ন ডলার এবং তাঁর সবচেয়ে মূল্যবান ঘড়ির বেল্ট, কাফলিঙ্ক-এর সেটের মূল্য ১.১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কেবল তাঁর জন্যে প্রস্তুতকৃত এই মূল্যবান ঘড়িটি তৈরী করা হয়েছিল ২৭ মাসেরও বেশী সময় ধরে। বিশ্ব বিখ্যাত রোলেক্স কোম্পানী এই অত্যাশ্চার্য্য ঘড়িটির প্রস্তুতকারক। রাইজিংবিডি / শামটি / কেএস