বাবার নির্মম মৃত্যুতে বুঝলাম র্যাব পুলিশের ক্রসফায়ারের গল্প কি
সাখাওয়াত হোসেন : মানুষের জীবনের যে কোন মূল্য নেই এটি আগে কখনো বুঝি নাই। আমার বাবা বাঁচার জন্য কত চেষ্টাই না করেছিলেন। ৭ তলার পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে টিন শেডের ওপরে পড়েন। সেখানেও তাকে নির্দয়ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এতদিন টেলিভিশন আর খবরের কাগজে পড়েছি ক্রসফায়ারের গল্প। বাবার নির্মম মৃত্যুর পর বুঝলাম র্যাব-পুলিশ যে ক্রসফায়ারের কথা বলে তা আসলে কি। জীবনের এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরও আমি আমার পরীক্ষা দিতে গেছি। কী লিখেছি, জানি না। হাত চলতে চায়নি পরীক্ষার হলে। র্যাবের কথিত ক্রসফায়ারে নিহত রাজধানীর আলমবাগের বাসিন্দা সংগ্রাম চৌধুরীর বড় মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী নূসরাত জাহান শান্তা চৌধুরী গতকাল বুধবার নিজ বাসায় এভাবেই নিজের কষ্টের কথা প্রকাশ করেন। গতকাল বুধবার ভোরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মেকুর কাশেম (৩৫)।
নিহত ওয়াসিমের স্ত্রী সোনিয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামীকে বাথরুম থেকে ধরে নিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। কিসের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ধরে নিয়ে র্যাব হত্যা করেছে দু’জনকেই।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের শিকার হন ১৯৭৩ জন। এসব ঘটনা ঘটেছে কথিত ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধের নামে। এসব ঘটনার কালিমা লেগেছে র্যাব ও পুলিশ বাহিনীর গায়ে। কিন্তু কোন সরকারের পক্ষ থেকেই কথিত ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। গত ৩ মার্চ সোমবার জুরাইনের আলমবাগের ওয়াসিমের বাড়িতে র্যাবের কথিত ক্রসফায়ারে ওয়াসিম ও তার কর্মচারী সংগ্রাম চৌধুরী মারা যায়।
সাম্প্রতিক সময়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, এই ধরনের হত্যাকা- সব সময়েই আইন ও গণতন্ত্রের বিপক্ষে বলে এগুলো কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই মৃত্যুদ- দেয়া উচিত। তাহলেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের এই প্রবণতা বন্ধ করা যাবে।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশে কোনো ক্রসফায়ার হয় না। যা হয়, তা বন্দুকযুদ্ধ।
গতকাল বুধবার সরেজমিন রাজধানীর জুরাইন আলমবাগ ঘুরে ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কথিত ক্রসফায়ারে নিহত ওয়াসিম ও সংগ্রামের পরিবারে কান্না থামছে না। তাদের মৃত্যু নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। নিহতদের পরিবার ও র্যাবের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। র্যাবের পক্ষ থেকে যে অপহরণের কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে ওই এলাকায়ই রয়েছে নানা আলোচনা। যে আখতারকে অপহরণের কথা বলা হয়েছে, ওই আখতার সেতুর টোল আদায় কাজে জড়িত ছিলেন ওয়াসিমের অধীনে। একসময় তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন আখতার। এদিকে নিহত সংগ্রাম চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সংগ্রাম ও ওয়াসিমকে এর আগেও একবার র্যাব ধরে নিয়েছিল। তখন র্যাবের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়। কোন পক্ষের ইন্ধনে অপহরণ নাটক সাজিয়ে সংগ্রাম ও ওয়াসিমকে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে বলে ওই পরিবার অভিযোগ করেন। গতকাল সরেজমিন কদমতলী থানাধীন আলমবাগে গিয়ে দেখা গেছে, র্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দু’টি পরিবারের পাশাপাশি গোটা এলাকায় পিনপতন নীরবতা।
স্থানীয় সূত্র ও পরিবারের সদস্যরা জানান, র্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ওয়াসিম ও সংগ্রামের নিহত হওয়ার নেপথ্যে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ইন্ধন রয়েছে। পোস্তগোলা সেতুর টোল আদায়কৃত টাকা-পয়সার আয়-ব্যয় নিয়মিত দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল তারই বিশ্বস্ত আখতারের ওপর। এ সময় আখতার তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন ওয়াসিমের আলমবাগের বাড়ির পাঁচ তলায়। সেতু টোলের টাকা আদায়ের সব দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পর নগদ টাকার লোভে পড়ে আখতার একাধিকবার হিসাবে গরমিল দেখাতে শুরু করে। এ নিয়ে ওয়াসিমের সঙ্গে তার চরম বিবাদ সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতা ও তার ছেলের মধ্যস্থতায় বেশ কয়েকবার তাদের দু’জনের কোন্দল মেটানো হয়। গত জানুয়ারি ওয়াসিমের টোল আদায়ের বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে আখতার পালানোর পর তাদের দু’জনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। টাকা উদ্ধার করতে সংগ্রামকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকেন তিনি। কিন্তু এ ঘটনাটি আখতার জানতে পেরে ওয়াসিমের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে হাত মেলায়।
সংগ্রাম চৌধুরীর স্ত্রী সায়েমা চৌধুরী দাবি করেন, চক্রান্তকারীরাই র্যাবকে দিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে বন্দুকযুদ্ধে তার স্বামী ও ওয়াসিমকে হত্যা করেছে। তার স্বামী সংগ্রাম, আখতার, সুমন, জনিসহ অনেকেই ওয়াসিমের সেতুর টোল আদায়ের কাজ করতেন। ওয়াসিম তাদের সবাইকে বিশ্বাস করতেন। গত ১০-১৫ দিন আগে সেতুর টোল আদায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ওলামা আলী গ্রুপের রাজুর সঙ্গে তাদের একটি ঝামেলা হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ৬ মাস আগে ওলামা আলীর লোকের ইন্ধনে র্যাব ওয়াসিম ও সংগ্রামকে নারায়াণগঞ্জ থেকে আটক করে। পরে ওয়াসিমের সঙ্গে র্যাবের গোপন রফা হলে সকালে তাদের দু’জনকে ছেড়ে দেয়।
নিহত ওয়াসিমের ছেলে আলী আহসান জানান, ওই সময় র্যাবের সদস্যরা তার পিতা ও সংগ্রামকে রাত দু’টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ধরে নিয়ে যান। পরের দিন সকালে র্যাবের টেলিফোন পেয়ে তাদের দু’জনকে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় র্যাবের সঙ্গে তার পিতার কোন গোপন রফা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। স্থানীয় স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র নয় বছর বয়সী কায়েস চৌধুরী জানে না তার বাবা সংগ্রাম চৌধুরীকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে। অশ্রুশিক্ত চোখে অবুঝ এ শিশুটি বার বার বলছিলো আব্বু এমন কি করেছিলো যে, তাকে মেরে ফেলা হলো। আব্বু আর কোন দিন ফিরে আসবে না। এ সময় তার কাকা প্রিন্স চৌধুরী কায়েসের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত¦না দেয়ার চেষ্টা করলে সে সজোরো কাঁদতে থাকে। এ সময় স্বজনভরা বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
গতকাল দুপুরে সংগ্রাম চৌধুরীর বাসায় কথা হয় তার বড় ভাই পরিবহন ব্যবসায়ী প্রিন্স চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি হাসপাতাল মর্গ থেকে ভাইয়ের লাশ গ্রহণকালে পুলিশের ছাড়পত্র দেখিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি অনুযায়ী সংগ্রাম চিহ্নিত সন্ত্রাসী হলে তো তার নামে স্থানীয় থানায় মামলা থাকতো। কিন্তু পুলিশ তো ভাল করে তার নামই জানে না। ঠিকানায় পিতার নাম লেখা হয়েছে অজ্ঞাত।
এসব কথার সময় সংগ্রামের স্ত্রী সালমা চৌধুরী বাসার আসবাবপত্র দেখিয়ে বলেন, তার স্বামী চাঁদাবাজ হলে ঘরে অন্ততঃ মূল্যবান আসবাবপত্র থাকতো। স্বামী হারা সংসারে সন্তানদের কিভাবে মানুষ করবেন, কি করে বাঁচবেন এসব বলতে বলতেই তিনি মূর্ছা যান। এ সময় পাশের কক্ষ থেকে নামাজ শেষ করে বের হন সংগ্রামের বড় সন্তান মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান শান্তা চৌধুরী। গত সোমবার বাবা যে সময়ে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারান, ঠিক সে সময়ে শান্তা ছিলেন পরীক্ষার হলে। গতকাল বৃহস্পতিবারও তার পরীক্ষা রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় অংশ নিলেও শান্তার রেজাল্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন তার পরিবার। গতকাল দুপুরে ওয়াসিমের ১২৯/২, মদিনা মসজিদ রোডের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। আশপাশের লোকজন বলেন, নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। বাসায় অবস্থান করলেও কারো ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। এ ছাড়া ওয়াসিমের ছেলে আলী ব্যতীত সকলের মোবাইলগুলো র্যাব সদস্যরা নিয়ে গেছে।
অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ ক্রসফারার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাই একতরফা এবং সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। এসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে একটি গৎবাঁধা প্যাটার্ন অনুসরণ করেন। অধিকাংশ ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে- পুলিশ, র্যাব কিংবা ডিবি কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের পরিচিতি দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মানুষজনকে তুলে নিয়ে যায়। নিরাপত্তা বাহিনীর তুলে নেয়ার পর আর না ফিরে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় ছাত্র, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং বিরোধী দলের অজস্র নেতার নাম রয়েছে। কখনো এই ব্যক্তিদের লাশ হয়তো খুঁজে পাওয়া যায়, কিংবা কখনো তারা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যান। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় যে, মৃত ব্যক্তি একজন অপরাধী ছিলেন। বেশ কয়েকবার তাদের এই দাবি মিথ্যা হিসেবেও প্রমাণিত হয়েছে। কখনো কখনো এও দাবি করা হয় যে, আটককৃত অপরাধীর পক্ষের লোকেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর অস্ত্র চালায় বলেই সম্পূর্ণ আত্মরক্ষার্থে তারা বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হতে বাধ্য হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধসংক্রান্ত কোনো পূর্ব অভিযোগ ছিল না। সেদিন ঘটনাস্থলে সালাউদ্দীন (২৯) এবং জুয়েল (২৮) নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে আটটি হত্যা মামলা থাকলেও নিহত জুয়েলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই ছিল না। জুয়েল কাপ্তানবাজার এলাকার একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তিনি ফিল্টার যন্ত্রপাতি বেচতেন।
নিহত জুয়েলের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি পুলিশ কোনো মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরি বা নিদেনপক্ষে কোনো অভিযোগই দেখাতে পারেনি। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক এসআই প্রদীপ কুমার কুন্ডুও জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগসংক্রান্ত বৈধ কোনো কাগজ বা দলিলপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন।
জুয়েলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে শনির আখড়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল হক বলেন, অপরাধী হিসেবে সালাউদ্দীনের নাম আমাদের পরিচিত হলেও জুয়েলের নাম আমরা কখনো শুনিনি। জুয়েলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল বলেও অন্তত আমি তো জানি না।
আমাদের দামুড়হুদা, (চুয়াডাঙ্গা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার কাশেম ওরফে মেকুর কাশেম (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোরে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের একটি আম বাগানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া বোমার আঘাতে দামুড়হুদা মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিয়াজ আলী (৩৮) ও কনস্টেবল খায়রুল ইসলাম (৪৫) গুরুতর আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশী বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি তাজা বোমা ও বেশ কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/03/06/165112.php#sthash.jBW3qm18.7XUzkDKV.dpuf
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন