যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে অ্যাসিড
নয়া দিগন্ত অনলাইন
৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ৬:০৩
পাশবিক, অর্থিপিশাচ নাকি নরাধম! কোনো বিশেষণই বোধহয় যথেষ্ট নয়। যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীর গোপন অঙ্গে অ্যাসিড ঢেলে দিল স্বামী। এরপর জোর করে কেরোসিন খাইয়ে তাকিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে সে। স্ত্রীকে দগ্ধে দগ্ধে মরতে দেখেও ক্ষান্ত হয়নি স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। যৌনাঙ্গে ও দেহের নিম্ন অঙ্গে অ্যাসিডের জ্বালা নিয়ে স্ত্রীকে মরতে দেখেও এতটুকু অনুশোচনা জন্মায়নি তাদের মনে। উল্টে কোনো চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে ওই নারীকে ঘরে বন্ধ করে রাখে তার পরিবার। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়।
আট বছর আগে অভিযুক্ত স্বামী কল্যাণ আহিরওয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয় নিগৃহিতার। ২০০৯ সাল থেকে পনের জন্য মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু হয় বলে জানিয়েছেন মেয়েটির বাবা। ২০১০ সালে যৌতুক নিয়ে অত্যচারের একটি মামলাও দায়ের করা হয় কল্যাণ আহিরওয়ারের বিরুদ্ধে। পরে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করে মিটিয়ে নেয়া হয় বিষয়টি। কিন্তু তারপরেও টাকা আদায়ের চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ক্রমশ সেই অত্যাচারের মাত্র বাড়তে থাকে নির্যাতিতার উপর।
বুধবার রাতে চরম পর্যায় পৌঁছায় সেই অত্যাচারের মাত্রা। যৌতুকের টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত কল্যাণ ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে মাটিতে ফেলে ট্রাক্টরের ব্যাটারি থেকে অ্যাসিড বের করে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ঢেলে দেয়। কয়েক ঘন্টা অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকার পর অভিযুক্ত স্বামী মেয়েটিকে মৃত ভেবে তার বাবাকে খবর দেয়। মেয়ে আত্মহত্যা করেছে এই খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা শ্বশুরবাড়িতে আসে। কিন্তু জ্ঞান ফিরে পাওয়ায় মেয়েটি সব কথা নিজের বাবাকে জানায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নির্যাতিতার স্বামী ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
Share on facebook Share on twitter Share on email Share on print More Sharing Services 14
সংশ্লিষ্ট আরও খবর
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন