লাখ লাখ লাশ পড়বে তবু কওমী মাদ্রাসা দেব না :হেফাজত
28 Oct, 2013
প্রস্তাবিত কওমী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩ পাস করা থেকে বিরত থাকার দাবিতে ও ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্দোলনে নামছে হেফাজতে ইসলাম। এ লক্ষ্যে আগামী শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ, পরদিন হাটহাজারীতে মহাসমাবেশ ও ১৫ নভেম্বর সকল বিভাগীয় শহরে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল রবিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এসব কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন হয়। হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, 'লাখ লাখ লাশ পড়বে তবুও কওমী মাদ্রাসা সরকারের নিয়ন্ত্রণে যেতে দেয়া হবে না। কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩-এর মাধ্যমে সরকার কওমী শিক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়।' সংবাদ সম্মেলনে বাবুনগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সংবাদ সম্মেলন শেষে হেফাজত আমীর মাওলানা আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকরা মত বিনিময় করতে গেলে তিনি বলেন, কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন বাস্তবায়ন করলে দেশে গৃহযুদ্ধ হবে।
কমিউনিটি সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসলাম বিদ্বেষী একটি চক্রের প্ররোচনায় নানা ছলছুতোয় কওমী মাদ্রাসা কব্জা করার অশুভ পথে পা বাড়াতে উদ্যত হয়েছে সরকার। একদিকে সরকার কওমী মাদ্রাসার দরদী সেজে কওমী সনদের স্বীকৃতির প্রলোভন দেখাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের কতিপয় মন্ত্রী-এমপি দেশের অন্যতম শ্রদ্ধাভাজন আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রস্তাবিত এই আইনের মাধ্যমে কওমী মাদ্রাসাসমূহে বিদ্যমান ইসলামী শিক্ষার স্বকীয়তা ধ্বংস, সমাজকে ধর্মহীন ও নৈতিকতা শূন্য করার কু-পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বতস্ফূর্ত সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত কওমী মাদ্রাসাসমূহকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সরকার এই আইনের সুবাদে নিজেদের মনোনীত কিছু লোক চাপিয়ে দিয়ে বস্তুত কওমী মাদ্রাসাগুলোর ওপর খবরদারী করতে চায়। সনদের তথাকথিত স্বীকৃতির নাম দিয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টিরও গভীর চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, আমরা মনে করি, আলেম-ওলামাকে ঈমান-আকীদার প্রশ্নে যে কোনো আন্দোলন থেকে বিরত রেখে আত্মরক্ষামূলক ভূমিকায় ঠেলে দেবার জন্য এটি সরকারের আরেকটি নতুন চাল। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের দায়িত্বশীল ও বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রিন্সিপালগণ সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মওলানা শামশুল আলম, নায়েব আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান, যুগ্ম-সম্পাদক মওলানা মঈনুদ্দী রুহী, মাওলানা সেলিম উল্লাহ, হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের আমীর মাওলানা মাহমুদুল হাসান, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী প্রমুখ।
প্রস্তাবিত কওমী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩ পাস করা থেকে বিরত থাকার দাবিতে ও ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আন্দোলনে নামছে হেফাজতে ইসলাম। এ লক্ষ্যে আগামী শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ, পরদিন হাটহাজারীতে মহাসমাবেশ ও ১৫ নভেম্বর সকল বিভাগীয় শহরে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল রবিবার চট্টগ্রামের হাটহাজারীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে কেন্দ্রীয় হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এসব কর্মসূচিতে বাধা দেয়া হলে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলেও ঘোষণা দেন হয়। হেফাজতের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, 'লাখ লাখ লাশ পড়বে তবুও কওমী মাদ্রাসা সরকারের নিয়ন্ত্রণে যেতে দেয়া হবে না। কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৩-এর মাধ্যমে সরকার কওমী শিক্ষাকে ধ্বংস করতে চায়।' সংবাদ সম্মেলনে বাবুনগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী।
সংবাদ সম্মেলন শেষে হেফাজত আমীর মাওলানা আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সঙ্গে তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকরা মত বিনিময় করতে গেলে তিনি বলেন, কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ আইন বাস্তবায়ন করলে দেশে গৃহযুদ্ধ হবে।
কমিউনিটি সেন্টারের সংবাদ সম্মেলনে হেফাজতের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসলাম বিদ্বেষী একটি চক্রের প্ররোচনায় নানা ছলছুতোয় কওমী মাদ্রাসা কব্জা করার অশুভ পথে পা বাড়াতে উদ্যত হয়েছে সরকার। একদিকে সরকার কওমী মাদ্রাসার দরদী সেজে কওমী সনদের স্বীকৃতির প্রলোভন দেখাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারের কতিপয় মন্ত্রী-এমপি দেশের অন্যতম শ্রদ্ধাভাজন আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, প্রস্তাবিত এই আইনের মাধ্যমে কওমী মাদ্রাসাসমূহে বিদ্যমান ইসলামী শিক্ষার স্বকীয়তা ধ্বংস, সমাজকে ধর্মহীন ও নৈতিকতা শূন্য করার কু-পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বতস্ফূর্ত সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত কওমী মাদ্রাসাসমূহকে সরকারি নিয়ন্ত্রণে আষ্টেপৃষ্টে বেঁধে ফেলার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সরকার এই আইনের সুবাদে নিজেদের মনোনীত কিছু লোক চাপিয়ে দিয়ে বস্তুত কওমী মাদ্রাসাগুলোর ওপর খবরদারী করতে চায়। সনদের তথাকথিত স্বীকৃতির নাম দিয়ে আলেমদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি সৃষ্টিরও গভীর চক্রান্ত করে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, আমরা মনে করি, আলেম-ওলামাকে ঈমান-আকীদার প্রশ্নে যে কোনো আন্দোলন থেকে বিরত রেখে আত্মরক্ষামূলক ভূমিকায় ঠেলে দেবার জন্য এটি সরকারের আরেকটি নতুন চাল। দেশের শীর্ষস্থানীয় আলেম, কওমী মাদ্রাসা বোর্ডের দায়িত্বশীল ও বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রিন্সিপালগণ সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মওলানা শামশুল আলম, নায়েব আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম, মাওলানা লোকমান, যুগ্ম-সম্পাদক মওলানা মঈনুদ্দী রুহী, মাওলানা সেলিম উল্লাহ, হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতের আমীর মাওলানা মাহমুদুল হাসান, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হাবিবুল্লাহ আজাদী প্রমুখ।
উৎসঃ ইত্তেফাক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন