আজ সেই ২৮ অক্টোবর
28 Oct, 2013
আজ সেই ২৮ অক্টোবর। সাত
বছর আগে এই দিনে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের ক্ষমতা ছাড়ার দিনে পুরানা
পল্টন মোড়ে জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের
ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করা
হয়।
সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ মেরে লাশের ওপর নৃত্য উল্লাস করার মতো ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনা শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের হৃদয় নাড়া দিয়েছিল তখন। সেদিন জামায়াত শিবিরের ৫ জন ও কমিউনিস্ট পার্টির একজন মারা যায়।
২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রেডিও-টিভিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। মূলত এ ভাষণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশব্যাপী শুরু হয় লগি-বৈঠার তাণ্ডব। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত অফিসসহ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেমন চালানো হয় পৈশাচিক হামলা, তেমনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় অনেক অফিস, বাড়িঘর, পুরো দেশব্যাপী চলে তাণ্ডবতা।
চারদলীয় জোট সরকারের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ ছিল। সকাল থেকেই সভার মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের লগি, বৈঠা ও অস্ত্রধারীরা জামায়াতের সমাবেশের দিকে এগিয়ে আসে। এসময় জামায়াত ইট পাটকেল ও গজারীর লাঠি দিয়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় বিজয়নগর, তোপখানা রোড, মুক্তাঙ্গন ও পল্টন মোড় এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
লগি বৈঠার বাহিনীর হামলায় পিছু হঠতে বাধ্য হয় জামায়াত শিবির। শিবির নেতা মুজাহিদুল ইসলামকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করায়। একই লগি বৈঠার হামলায় মারা যায় জসিম উদ্দিনসহ ৫ জন।
পুরো ঘটনায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিপুল সংখ্য পুলিশ বাহিনীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
২৮ অক্টোবরের আগ থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছিল, লগি-বৈঠা, কাস্তে বা অন্য কোনো অস্ত্রশস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ও বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু পুলিশ এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ ঘটনার পর দীর্ঘ সাত বছর কোণঠাসা রয়েছে জামায়াত শিবির। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জামায়াত নেতাদের ধরপাকর, দলীয় কার্যালয় বন্ধ, মামলা, হামলা নির্যাতনে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। সরকারের মেয়াদ শেষে সময় এসেছে জামায়াত শিবিরের।
এবার প্রতিশোধ নেবার পালা। দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতে পারে আজ সোমবার।
জানা গেছে শিবিরের ১২৬টি শাখাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে টানা ৬০ ঘন্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন ২৮ অক্টোবর পিকেটিং এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে।
ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ ইয়াহিয়া জানান, এমনিতেই ২৮ অক্টোবর ছাত্রশিবির বিক্ষোভ মিছিল করে। এবার এই দিনে ১৮-দলীয় জোটের হরতাল কর্মসূচিও আছে। ছাত্রশিবির অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও রাজপথে থাকবে।
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল জব্বার আজ এক ইমেইল বার্তায় জানান, ‘ছাত্র-জনতা এবার প্রতিরোধের মানসিকতা নিয়েই রাজপথে নেমেছে। সরকার যদি অগণতান্ত্রিক আচরণ অব্যাহত রাখে, তাহলে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে সরকারের পতন নয়, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কবর রচনা করা হবে।’
সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ মেরে লাশের ওপর নৃত্য উল্লাস করার মতো ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনা শুধু বাংলাদেশেই নয়, গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের হৃদয় নাড়া দিয়েছিল তখন। সেদিন জামায়াত শিবিরের ৫ জন ও কমিউনিস্ট পার্টির একজন মারা যায়।
২০০৬ সালের ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া রেডিও-টিভিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন। মূলত এ ভাষণ শেষ হওয়ার পরপরই দেশব্যাপী শুরু হয় লগি-বৈঠার তাণ্ডব। বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত অফিসসহ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেমন চালানো হয় পৈশাচিক হামলা, তেমনি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় অনেক অফিস, বাড়িঘর, পুরো দেশব্যাপী চলে তাণ্ডবতা।
চারদলীয় জোট সরকারের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরীর উদ্যোগে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর বিকাল ৩টায় বায়তুল মোকাররমের উত্তর সড়কে পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশ ছিল। সকাল থেকেই সভার মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। বেলা ১১টার দিকে আওয়ামী লীগের লগি, বৈঠা ও অস্ত্রধারীরা জামায়াতের সমাবেশের দিকে এগিয়ে আসে। এসময় জামায়াত ইট পাটকেল ও গজারীর লাঠি দিয়ে তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। এ সময় বিজয়নগর, তোপখানা রোড, মুক্তাঙ্গন ও পল্টন মোড় এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
লগি বৈঠার বাহিনীর হামলায় পিছু হঠতে বাধ্য হয় জামায়াত শিবির। শিবির নেতা মুজাহিদুল ইসলামকে লগি-বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করায়। একই লগি বৈঠার হামলায় মারা যায় জসিম উদ্দিনসহ ৫ জন।
পুরো ঘটনায় নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিপুল সংখ্য পুলিশ বাহিনীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
২৮ অক্টোবরের আগ থেকেই পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার ঘোষণা করা হচ্ছিল, লগি-বৈঠা, কাস্তে বা অন্য কোনো অস্ত্রশস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ও বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু পুলিশ এ ব্যাপারে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
এ ঘটনার পর দীর্ঘ সাত বছর কোণঠাসা রয়েছে জামায়াত শিবির। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জামায়াত নেতাদের ধরপাকর, দলীয় কার্যালয় বন্ধ, মামলা, হামলা নির্যাতনে দিশেহারা হয়ে পড়ে তারা। সরকারের মেয়াদ শেষে সময় এসেছে জামায়াত শিবিরের।
এবার প্রতিশোধ নেবার পালা। দলটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত ক্ষোভের প্রকাশ ঘটতে পারে আজ সোমবার।
জানা গেছে শিবিরের ১২৬টি শাখাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে টানা ৬০ ঘন্টার হরতালের দ্বিতীয় দিন ২৮ অক্টোবর পিকেটিং এর মাত্রা বাড়িয়ে দিতে।
ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক আবু সালেহ ইয়াহিয়া জানান, এমনিতেই ২৮ অক্টোবর ছাত্রশিবির বিক্ষোভ মিছিল করে। এবার এই দিনে ১৮-দলীয় জোটের হরতাল কর্মসূচিও আছে। ছাত্রশিবির অন্যান্য দিনের মতো এ দিনও রাজপথে থাকবে।
ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল জব্বার আজ এক ইমেইল বার্তায় জানান, ‘ছাত্র-জনতা এবার প্রতিরোধের মানসিকতা নিয়েই রাজপথে নেমেছে। সরকার যদি অগণতান্ত্রিক আচরণ অব্যাহত রাখে, তাহলে ছাত্র-জনতার প্রতিরোধে সরকারের পতন নয়, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের কবর রচনা করা হবে।’
উৎসঃ প্রাইমনিউজ
http://www.bdtomorrow.com/newsdetail/detail/200/52156
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন