রবিবার, ৬ জুলাই, ২০১৪


সাতক্ষীরায় গৃহবধূকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা সাতক্ষীরা সংবাদদাতা ৭ জুলাই ২০১৪, সোমবার, ১১:৩০ সাতক্ষীরায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ রোববার রাত ১১টার দিকে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের মাছিয়াড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম লাভলী বেগম (৪০)। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের আব্দুল হামিদ হাওলাদারের স্ত্রী। মৃতের স্বজনরা জানান, আব্দুল হামিদ মাদারীপুরের একটি ইটভাটায় কাজ করেন। তার স্ত্রী লাভলী বেগমের সাথে একই গ্রামের সাত্তার ফকিরের ছেলে কুদ্দুস ফকিরের দীর্ঘ দিনের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। রোববার রাত ১১টার দিকে তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিয়ে বাইরে বের হন। এ সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত তার মুখে কাপড় বেঁধে নিয়ে যায়। সোমবার সকাল সাতটার দিকে মাছিয়াড়া গ্রামের ডাঃ রতন করের আমবাগানে তার লাশ দেখতে পেয়ে গ্রামবাসি পুলিশে খবর দেয়। তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, গৃহবধূর ঘাড়ে ও মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর চিহ্ন রয়েছে। পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তাকে ধর্ষণের পর কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এবার উত্তর প্রদেশে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ প্রকাশ : ০৬ জুলাই, ২০১৪ ২০:০৭:১১ | আপডেট : ০৬ জুলাই, ২০১৪ ২০:১০:১০ ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করেছে অভিযুক্তেরই দুই বন্ধু অনলাইন ডেস্ক ভারতের উত্তর প্রদেশে এবার এক শিক্ষিকাকে অপহরণের পর গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এবার উত্তর প্রদেশে শিক্ষিকাকে ধর্ষণ অভিযুক্ত তিন যুবক- এনডিটিভি আজ রোববার এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মুজাফফরনগর জেলার বালওয়াখেরি গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হন ২৩ বছর বয়সী ওই শিক্ষিকা। ওই শিক্ষিকাকে ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করেছে অভিযুক্তেরই দুই বন্ধু। ওই শিক্ষিকা বলেন, 'মুহিত (ধর্ষক) আমার পেছন থেকে এসে আমার মুখ জাপটে ধরে। এতে আমি চিৎকার করতে পারছিলাম না। একপর্যায়ে সে আমাকে একটি খালি বাড়িতে নিয়ে যায়। এরপর ফোনে সে তার দুই বন্ধুকে ডেকে আনে।' 'মুহিত যখন আমাকে ধর্ষণ করে তার দুই বন্ধু তাদের মোবাইল ফোনে সে দৃশ্যের ভিডিওধারণ করে।' ঘটনা ফাঁস করলে ধর্ষণকারীরা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই শিক্ষিকা। ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারীর বাবা তিন কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরপর শনিবার রাতেই তাদেরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ ঘটনার দুই সপ্তাহ আগে মুজাফফরনগরে একটি আলোচিত গণধর্ষণেরর ঘটনা ঘটে। ২০ বছর বয়সী এক নারীকে আটজন মিলে ধর্ষণের পর তার ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতের জাতীয় অপরাধ ব্যুরোর তথ্যানুযায়ী, গত বছরে উত্তর প্রদেশে নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতার ঘটনা ঘটে ৩২ হাজার ৫৪৬টি, এর মধ্যে ৩ হাজার ৫০টিই ধর্ষণের।

উত্তর প্রদেশে শিক্ষিকাকে ছাত্রদের ধর্ষণ অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ২০:৪২, জুলাই ০৬, ২০১৪ ১ Like ১৪ ভারতের উত্তর প্রদেশে এবার ২৩ বছর বয়সী এক কলেজশিক্ষিকা ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই নারী অভিযোগ করেছেন, একজন কলেজছাত্র তাঁকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেছে। মোজাফ্ফরনগর জেলার বলওয়াখেরি গ্রামে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটেছে। ওই নারী বলেছেন, ওই ছাত্রের দুই সহযোগী ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ভিডিও করেছে। এ ঘটনা কাউকে বললে ওই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়া হবে বলে তারা হুমকি দিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আজ রোববার এনডিটিভির খবরে বলা হয়, গতকাল ছাত্র পড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন ওই শিক্ষিকা। তিনি বলেন, মোহিত নামের এক কলেজছাত্র পেছন থেকে এসে তাঁর মুখ চেপে ধরে। সে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে একটি ফাঁকা ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় সে তার দুই বন্ধুকে ফোন করে আসতে বলে। তারা এসে মোবাইলে ধর্ষণের দৃশ্য রেকর্ড করে। এরপর তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়, বিষয়টি যেন তিনি কাউকে না জানান। ঘটনার পর গতকাল গভীর রাতে অভিযুক্ত তিন কলেজছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মোজাফ্ফরনগরে দুই সপ্তাহ আগে ২০ বছর বয়সী এক তরুণী গণধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের দৃশ্য ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘হোয়াটস অ্যাপে’ ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০১৪


অঢেল সম্পদ, ঘরে নেই বউ আপডেট: ০০:০৫, জুন ৩০, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ ০ Like ২ ড্রিউ হিউসটন, এদুয়ার্দো সেভারিন, ইয়োশিকাজু তানাকা, আলবার্টটাকায় নাকি বাঘের দুধও মেলে! কিন্তু ভালোবাসা জোটে না। বিখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর কোটিপতিদের তালিকার দিকে তাকালে অন্তত তাই মনে হয়। তাঁরা প্রচুর অর্থবিত্তের মালিক। বিয়ের উপযুক্ত (!) হলেও তাঁদের কপালে এখনো বউ জোটেনি। খবর এনডিটিভির। ফোর্বস সাময়িকীটির সর্বশেষ তালিকায় স্থান পাওয়া বিশ্বের এক হাজার ৬৪৫ জন শীর্ষ ধনকুবেরের মধ্যে কখনোই বিয়ে করতে পারেননি অন্তত ৩ শতাংশ। তাঁদের মধ্যে ১০ জন শীর্ষ অবিবাহিত ধনীর তালিকা দিয়েছে সাময়িকীটি। তাঁদের সম্পদের পরিমাণ এখানে তুলে ধরা হলো। মার্কিন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা ড্রিউ হিউসটনের বয়স ৩০। তিনি ড্রপবক্সের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০২ কোটি মার্কিন ডলার। জার্মানির অভিজাত পরিবারের সদস্য আলবার্টের বয়স ৩০। ব্যবসা ও উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১০৬ কোটি মার্কিন ডলার। ব্রাজিলের বংশোদ্ভূত এদুয়ার্দো সেভারিন (৩১) ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা। মোট সম্পদের পরিমাণ ৪০১ কোটি মার্কিন ডলার। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইউবিকুইট নেটওয়ার্কসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রবার্ট পেরার বয়স ৩৫। তাঁর সম্পদ ২০৭ কোটি ডলার। ৩৭ বছর বয়সী জাপানের উদ্যোক্তা ইয়োশিকাজু তানাকা ‘গ্রি’ নামের একটি ইন্টারনেট ব্যবসা কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর সম্পদ ১০৬ কোটি মার্কিন ডলার। টুইটারের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জ্যাক দোরসির (৩৭) সম্পদ ২২০ কোটি মার্কিন ডলার। ইউক্রেনে জন্ম নেওয়া ৩৮ বছর বয়সী মার্কিন ইন্টারনেট উদ্যোক্তা ও কম্পিউটার প্রকৌশলী জান কোউমের সম্পদ ৬০৮ কোটি ডলার। তিনি হোয়াটস অ্যাপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও। মার্কিন উদ্যোক্তা জোনাথন ওরিংগার (৩৯) ‘শাটারস্টক’ নামের ফটোগ্রাফি সংস্থার সিইও। তাঁর সম্পদ ১৩৫ কোটি ডলার। ৩৭ বছর বয়সী মার্কিন বিনিয়োগকারী আলেজানদ্রো সান্তো ডোমিগো দাভিলার সম্পদের পরিমাণ ১১১ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির দ্বৈত নাগরিক নিকোলাস বার্গরুয়েন (৫২) একজন বিনিয়োগকারী। তাঁর সম্পদ ২০০ কোটি মার্কিন ডলার।

সাদ্দামকে উৎখাত জঙ্গি উত্থানের জন্য কিছুটা দায়ী আপডেট: ০০:০৬, জুন ২৫, ২০১৪ | প্রিন্ট সংস্করণ ০ Like ৪ টনি ব্লেয়ারইরাকের সাবেক স্বৈরশাসক সাদ্দাম হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতি বর্তমানে সুন্নি জঙ্গিদের উত্থানের পেছনে কিছুটা ভূমিকা রেখেছে৷ যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার গত সোমবার ফিনান্সিয়াল টাইমস-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ মন্তব্য করেন৷ খবর দ্য ইনডিপেনডেন্টর৷ নিবন্ধটিতে ব্লেয়ার বলেন, ইরাকে ১১ বছর আগে সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনার জের ধরে বর্তমানে জঙ্গিদের উত্থান ঘটেছে৷ ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনীর আগ্রাসনে সাদ্দামকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন না চালালে এত দিনে হয়তো আরব বসন্তের জোয়ারে দেশটির জনগণ সাদ্দামের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করত৷ সাদ্দাম হয়তো সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের মতো বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করতেন৷ কিংবা মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের মতো তাঁর পরিণতি হতো৷ যুক্তরাজ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘২০০৩ সালে যে সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়ে হোক না কেন, আজ আমরা বড় ধরনের ঝুঁকি মোকাবিলা করছি৷ তবে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ইরাকে চলমান সংকট, ২০০৩ সালে নেওয়া সিদ্ধান্তের ফল নয়৷’

ব্রাজিলে নবাগত বাংলাদেশিরা মজেছে যৌনতায়; সেক্স ক্রাইমের শিকার জাহেদ আপডেট হয়েছে বাংলাদেশ সময়: July 4, 2014 তে 1:48 pm image_89078_0একই গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে দুই যুবকের দ্বন্দ্বে ব্রাজিলের শিল্পনগরী পারানায় প্রাণ হারিয়েছে বাংলাদেশি যুবক জাহেদ আহমেদ (২৮)। সুরতহাল রিপোর্টে গলাটিপে শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে। ২৮ জুন স্যাটারডে নাইটের কোনো এক সময় শহরের স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেল কক্ষে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় জাহেদকে। ঠাণ্ডা মাথার দুঃসাহসী খুনিরা তার মৃতদেহ রাতের অন্ধকারেই হোটেল থেকে বের করে ফেলে রাখে সিয়ানর্চে এলাকার পুলিশ স্টেশন লাগোয়া পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে। পরদিন খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার সুরিকান্দি গ্রামের জাহেদের পারিবারিক সূত্রের বরাদ দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যে সংবাদ প্রকাশিত হলেও অজ্ঞাত থেকে যায় হত্যার মোটিভ। বাণিজ্যিক রাজধানী সাও পাওলো থেকে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরবর্তী পারানাতে যে পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিতে জাহেদ কাজ করতেন, সেখানকার একাধিক সূত্র গার্লফ্রেন্ড নিয়ে ভয়াবহ প্রতিহিংসার কথা বৃহস্পতিবার এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেছে। নারীঘটিত আলামত পাবার বিষয় উল্লেখ করে ইতিমধ্যে স্থানীয় টিভিতে ফলাও করে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা উইলসন হেনরিক্স বলেন, পরিত্যক্ত স্থানটি থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় নিহত জাহিদের লাশ তারা উদ্ধার করেছেন এবং মুখমণ্ডলসহ শরীরে কয়েকটি স্থানে লালচে দাগ ছাড়া অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন তারা পাননি। শ্বাসরোধেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে করছে পারানা পুলিশ। পরিত্যক্ত স্থানটি থেকে বড় একটি খালি লাগেজও উদ্ধার করা হয়। ব্রাজিলের আইন অনুযায়ী নিকট আত্মীয় ব্যতীত অন্য কারো কাছে মরদেহ হস্তান্তরের বিধান না থাকায় পারানার লন্দ্রিনা এলাকায় জানাজা পরবর্তী দাফন সম্পন্ন হয় জাহেদের। জোর পুলিশি তদন্ত চলছে, তবে প্যারাগুয়ের সীমান্তবর্তী অপরাধপ্রবণ এই অঞ্চলটিতে হরহামেশা খুনখারাবি লেগে থাকার পরিণতিতে সময়ের ব্যবধানে চাপা পড়ে যাবে দুঃখজনক এই হত্যা, এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় অধিবাসীদের কয়েকজন। কিছুদিন আগে এই পারানাতেই মারিঙ্গা এলাকায় খুন হন আরেক বাংলাদেশি। আগেকার ওই হত্যার সঙ্গে জাহেদ খুন হবার কোনো যোগসূত্র আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পারানার গোয়েন্দা বিভাগ। এদিকে শনিবার রাতে জাহেদ খুন হবার দুই দিনের মাথায় ৩০ জুন পারানাতেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সিলেটেরই গোলাপগঞ্জের সুহেল আহমেদ। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, পারানার অন্তর্ভুক্ত লন্দ্রিনা থেকে ২৪ কিলোমিটার দূরে রোলান্দিয়া এলাকার সান ফেরনান্দোতে সোমবার রাত নয়টার দিকে মাথায় গুলি লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম গুরুতর আহত অবস্থায় সুহেলকে উদ্ধার করে সান রাফায়েল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। জাহেদ খুন হবার পর ঢাকার জনশক্তি কর্মসংস্থান ব্যুরোর বরাত দিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে বলা হয়, জীবিকার সন্ধানের পাশাপাশি এক বান্ধবীর ডাকে ব্রাজিল যান জাহেদ। বান্ধবীর ডাকে বা আমন্ত্রণে সিলেট থেকে পারানা গমন করার বিষয়টি বাস্তবতার নিরিখে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে ব্যাপক অনুসন্ধানে। ১০ লাখ টাকা খরচায় জাহেদের ব্রাজিল আসার বিষয়টি সত্য হলেও আদ্যোপান্ত অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে অপরাপর বাংলাদেশিদের অনেক অনেক অজানা তথ্য। জীবিকার সন্ধানে জাহেদের মতো আরো হাজার চারেক বাংলা মায়ের সন্তান আজ ব্রাজিলে। তাদের প্রায় সবাইকেই আট-১০ লাখ এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে ১২-১৪ লাখ টাকাও পরিশোধ করতে হয়েছে দালালদের, দেশ থেকে দেশে সীমান্ত পাড়ি দিতে হয়েছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। ব্রাজিলে বসবাসরত বাংলাদেশিদের অর্ধেকের বেশিই নবাগত। দুর্ভাগ্যের বিষয় হচ্ছে, পতিতাবৃত্তি যেদেশে শতভাগ বৈধ এমন এক ভূখণ্ডে তথা আজকের দুনিয়ার সবচাইতে ‘সেক্স ফ্রি কান্ট্রি’ ব্রাজিলের মাটিতে পা দেবার অল্প দিনের মধ্যেই নবাগত বাংলাদেশিদের একটা বিশাল অংশই আত্মহারা হয়েছেন অবাধ যৌনতায়। পারিবারিক বা ধর্মীয় মূল্যবোধ ধুলোয় মিশিয়ে ব্রাজিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনেকের কাছেই সেক্স এখন সিগ্রেট-বিয়ারের চাইতেও সহজসাধ্য-সহজলভ্য। যত্রতত্র যখন তখন যে কাউকে যেকোনো কন্ডিশনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে তারা পারানা, পোর্তো আলেগ্রো, সাও পাওলোসহ ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, নবাগত বাংলাদেশিদের প্রতি ১০ জনের মধ্যে সাত-আটজনই এখন ওই পথে হাঁটছেন সাম্বা নৃত্যের দেশে। কোথাও কোথাও ‘আউট অব ক্লাস’ হয়ে পড়ছেন অনেকে। বহু ঘটন-অঘটনের মাঝে পোর্তো আলেগ্রোর একটি ঘটনা এখন বাংলাদেশিদেরই মুখে মুখে। মেস করে একই বাসায় থাকেন এমন বাংলাদেশি ব্যাচেলরদের একটি গ্রুপ রাস্তা থেকে একজনকে চুক্তি করে বাসায় নিয়ে আসার পর বুঝতে পারে ওই সুন্দরী আসলে হিজড়া সম্প্রদায়ের। দেশটিতে বাংলাদেশির সংখ্যা বাড়ার সুবাদে একদিকে যেমন দিনকে দিন বাড়ছে যৌনতার সাগরে গা ভাসিয়ে দেবার প্রবণতা, পাশাপাশি সময়ে সময়ে ঘটে যাওয়া সব কিছুই কমিউনিটিতে প্রকাশও হয়ে যাচ্ছে দ্রুত। উদ্বেগের বিষয়, কোনো রকম বাছ বিচার ছাড়াই ফ্রি সেক্সে মিশে গিয়ে দেশটির বাংলাদেশিরা আজ জড়িয়ে পড়ছে রকমারি সব সেক্স ক্রাইমে। এর সঙ্গে ধীরে ধীরে যোগ হতে শুরু করেছে মাদক সংক্রান্ত আরো ভয়াবহ বিষয়াদি। নৈতিকতায় ধস নামা বাংলাদেশি একটি বড় জনগোষ্ঠির উল্লেখযোগ্য অংশ আবার বিভিন্ন শহরে ইদানিং লিপ্ত হচ্ছে গার্লফ্রেন্ড নিয়ে কামড়াকামড়িতে। একই মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশিদের টানাহেচড়াটি অবশ্য ঘটছে ভিনদেশি যুবকদের সঙ্গে। ইউরোপিয়ানদের তুলনায় অনেক সহজ সরল মনের সাদাসিধে ব্রাজিলিয়ান মেয়েরা কখনো কখনো ভিনদেশী যুবকদের প্রতারণারও শিকার হচ্ছে। ইউনিক গার্লফ্রেন্ডের ওপর কর্তৃত্ব জাহির করার দৌড়ে একে অপরকে রক্তচক্ষু দেখিয়ে শাসানো ব্রাজিলে নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। বাংলাদেশিরা জড়িত ছিলেন বিগত দিনে এমন বেশ কিছু অঘটন ঘটতে গিয়ে অল্পের জন্য রক্ষা হলেও পারানায় এ যাত্রায় সেই সেক্স ক্রাইমেরই বলি হয়ে গেলেন জাহেদ আহমেদ। স্বপ্ন নিয়ে সাত সমুদ্র তের নদী পাড়ি দিয়ে আসা সদা হাসিখুশি প্রাণচঞ্চল যুবক জাহেদের পরিণতি যাতে আর কারো না হয় বিদেশ বিভুঁইয়ে, এমন আশাবাদ জাহেদের কর্মস্থলের লোকজনেরই। নতুন বার্তা

সোনারগাঁওয়ে গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা সোনারগাঁও (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলায় হালিমা আক্তার (১৮) নামের এক গৃহবধূকে তার স্বামী সুজন মিয়া (২১) জবাই করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার বারদী ইউনিয়নের ছোট অর্জুনদি লিচু বাগান থেকে হালিমার জবাই করা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার শাশুড়ি ও ননদকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে সুজন পলাতক রয়েছে। তিনি উপজেলার মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিস এলাকার সামছুল হকের ছেলে। অন্যদিকে নিহত হালিমা আকতার উপজেলার বারদী ইউনিয়নের সেনপাড়া এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে।পরিবারের বরাত দিয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক জানান, ২০১০ সালে প্রেমের সূত্র ধরে হালিমাকে তুলে নিয়ে বিয়ে করে সুজন। এ ঘটনায় দায়ের করা অপহরণ মামলায় সুজন ও তার চাচা তাইয়েন মেম্বারকেও আসামি করা হয়। ওই সময়ে সুজনের সঙ্গে হালিমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। অপহরণ মামলায় সুজন ৫ মাস কারাভোগ শেষে আবারো হালিমাকে দ্বিতীয় দফায় বিয়ে করেন। এ বিয়ের পর থেকেই প্রতিনিয়ত হালিমাকে মারধর করতো সুজন। এর এক পর্যায়ে বাবার বাড়িতে চলে যান হালিমা। বৃহস্পতিবার সকালে হালিমাকে তার বাবার বাড়ি থেকে ডেকে আনে সুজন। বিকেল ৫টার পর থেকেই হালিমার মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকে। পরে শুক্রবার সকালে মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের অর্জুনদি লিচু বাগান থেকে পুলিশ হালিমার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সুজন সম্পৃক্ত।ওসি আরও জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ১০০ শয্যা বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় সুজনের মা ও বোনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/07/04/190143.php#sthash.xMLgtBCt.AVX1hYAx.dpuf

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ ৪৯টি নয়া দিগন্ত অনলাইন ৪ জুলাই ২০১৪, শুক্রবার, ৩:৩২ বিশ্বে মোট ৪৯টি দেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ। বর্তমানে বিশ্বে মোট ১৬০ কোটি মুসলমানের বাস। তারা মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশ। পিউ রিসার্চ সেন্টারে ফোরাম অন রিলিজিয়ন অ্যান্ড পাবলিক লাইফের ভাষ্যমতে, বিশ্বের দুই তৃতীয়াংশ (৬২ ভাগ) মুসলমানের বাস এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায়। অনেকে মনে করতে পারে, মধ্যপ্রাচ্য বা উত্তর আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি মুসলমান বাস করে। বাস্তবে সেখানে বাস করে ৩১৭ মিলিয়ন মুসলমান। অথচ কেবল পাকিস্তান ও ভারতেই বাস করে ৩৪৪ মিলিয়ন মুসলমান। তবে মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলে ঘনত্বের দিক থেকে বেশি মুসলমান বাস করেন। সেখানকার জনসংখ্যার ৯৩ শতাংশ মুসলমান। আর এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মোট জনসংখ্যার মধ্যে মুসলমান হার ২৪ শতাংশ। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের সংখ্যা হচ্ছে ৪৯টি। ইন্দোনেশিয়ায় সবচেয়ে বেশি মুসলমান বাস করে। বিশ্বে বর্তমানে মোট দেশের সংখ্যা ২০১টি। তবে সবগুলো জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃত নয়। জাতিসঙ্ঘ সদস্যভুক্ত দেশের সংখ্যা ১৯৩টি। এছাড়া দুটি রাষ্ট্রকে জাতিসঙ্ঘ পর্যবেক্ষকের মর্যাদা দিয়েছে। খ্রিস্টান দেশের সংখ্যা ১৫৭টি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যায় খ্রিস্টানদের হার ৩২ শতাংশ।

আমার প্রিয় ( টার্গেট ) ব্যাক্তিত্বে মধ্য হতে এক জন কে হারালাম গতকাল ৫ই রমজান ১৪৩৫ হিঃ ( 3th july 2014 )। ই ন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজীউন মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক ।

বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০১৪


এক বছরে বৈধ গর্ভপাত ৬ হাজার ৬৭৬টি কালের কণ্ঠ অনলাইন প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ ১৫:১১:১৯ উরুগুয়েতে ২০১৩ সালের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটির মোট জনসংখ্যা মাত্র ৩৩ লাখ, যার অর্ধেকের বেশি নারী। আইনসম্মতভাবে গর্ভপাত বৈধ করার আইন প্রণয়নের ১ বছরের মধ্যে উরুগুয়েতে গর্ভপাতের ঘটনা ঘটেছে। এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী প্রতি ১০০০ নারীর মধ্যে গড়ে ৯ জন আইনসম্মত উপায়ে বিনামূল্যে গর্ভপাতের পথ বেছে নিয়েছেন। ২০১২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ২০১৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত এ গর্ভপাতগুলো ঘটানো হয়। দেশটির উপগণস্বাস্থ্যমন্ত্রী লিওনেল ব্রিওজ্জো গতকাল এ তথ্য দিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০৩ সালে কানাডায় প্রতি ১ হাজার নারীর মধ্যে গড়ে ১৫ দশমিক ২ জন, ১৯৯৮ সালে চীনে ২৪ দশমিক ২ জন, ২০০৪ সালে কিউবায় ২৪ দশমিক ৮ জন নারী গর্ভপাতের পথ বেছে নিয়েছিলেন। এদিকে উরুগুয়ের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট জোসে মুজিকা (৭৮) এ পরিবর্তনের একজন দৃঢ় সমর্থক। ২০১২ সালের অক্টোবরে গর্ভপাত বৈধ করার আইনটি পাস হয় উরুগুয়েতে। আইন অনুযায়ী, অন্তঃসত্ত্বা থাকার ১২ সপ্তাহ থেকে ১৪ সপ্তাহের মধ্যে প্রসূতি মায়ের স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকলে ভ্রুণের গঠন ত্রুটিপূর্ণ হলে কিংবা ধর্ষণের কারণে সন্তান ধারণ করলে, বৈধভাবে গর্ভপাত ঘটানো যাবে

পূর্বের ধর্ম ত্যাগ করে “ইসলাম ধর্মাবলম্বী” হয়েছেন যেসব তারকারা সিটিজিনিউজ ডট কম | প্রকাশিত হয়েছে : মে ২৯, ২০১৪ | ১২:১০ অপরাহ্ণ Share via email Share অনলাইন ডেস্ক :: ধর্ম পরিবর্তন এখন নতুন কিছু নয়, বরাবরই আমদের চোখের সামনে এবং পেছনে অগনিত মানুষ তার ধর্ম পরিবর্তন করে আসছেন। তবে সবথেকে যে বিষয়টি আমাদের চোখে পড়ে তা হল তারকাদের ধর্মান্তরিত হওয়া। তবে পরিবর্তনের জন্য তারকারা সবথেকে বেশী যে ধর্মটিকে বেছে নিয়েছেন তা হল ইসলাম ধর্ম। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে হাজির হলাম এমনসব তারকাদের তালিকা যারা তাদের আগের ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়েছেন। zPWfeUoমাইকেল জ্যাকসন প্রয়াত পপ স্টার মাইকেল মৃত্যুর কিছু দিন আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করেন। মুসলিম হওয়ার পর তার নাম রাখা হয় ‘মিকাঈল।” ইসলাম ধর্ম গ্রহনের ব্যাপারে গীতিকার ডেভিড ওয়ার্নসবায় এবং ফিলিপ বুবাল তাকে বেশ প্রভাবিত করেন। তাদের ধারণা ছিল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করলে তিনি ভালো মানুষে পরিনত হবেন। স্থানীয় একটি মসজিদের ইমামকে ডেকে তিনি কলেমা শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তবে পরবর্তীতে মাইকেলের ইসলাম ধর্মকে বেছে নেয়ার ব্যাপারটিকে গুজব বলে উড়িয়েও দেয়া হয়। H1WW4Gtঅমৃতা সিং জন্মসূত্রে শিখ ধর্মের অনুসারি ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী অমৃতা সিং। ১৯৮৩ সালে ‘বেতাব’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্নপ্রকাশ করেন তিনি। এরপর তার অভিনীত ‘সানি’, ‘মারদ’, ‘সাহেব’-ছবিগুলো দারুণ ব্যবসা সফল হয়। এরপরই তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে অভিনেতা সাইফ আলি খানকে বিয়ে করেন। যদিও এই বিয়ে শেষ পর্যন্ত টিকেনি। সাইফ শেষমেষ আবার কারিনা কাপুরকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করিয়ে বিয়ে করেছেন। v3atxEXধর্মেন্দ্র ১৯৭৯ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র। এর আগে তার নাম ছিল ধারাম সিং দেউল। বলিউডের ইতিহাসে অন্যত্তম সফল অভিনেতা তিনি। রোমান্টিক এবং একশন-উভয় ধাঁচের ছবিতেই সমান সাবলীল ছিলেন তিনি। তিনি প্রথম বিয়ে করেন প্রকাশ কৌড়কে। এই সংসারে তার চার সন্তান রয়েছে। একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে তিনি হেমা মালিনির প্রেমে পাগল হন। কিন্তু তাদের মিলনের ক্ষেত্রে বাঁধ সাধে ধর্ম। যেকারণে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হেমাকে বিয়ে করেন। তার দ্বিতীয় বিয়ের সময়ে ভারতে বেশ বিক্ষোভও হয়েছে। কিন্তু ধর্মেন্দ্র তাতে ভ্রুক্ষেপও করেননি। C4WtlZNহ্যান্স রাজ হ্যান্স জনপ্রিয় ভারতীয় গায়ক হ্যান্স রাজ হ্যান্স ইসলঅম ধর্ম গহণ করেছেন বলে দাবি করেছে পাকিস্তানী মিডিয়া। তারা জানিয়েছে, মূলত সুফি সঙ্গীতের প্রতি আকৃষ্টতা থেকেই তিনি ইসলাম ধর্মের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়েন। এরপর তিনি ইসলামের ইতিহাসের উপর ব্যাপক পড়াশোনা করেন এবং সম্প্রতিক সময়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি মদীনা গমনের পরিকল্পনা করছেন বলেও জানা গেছে। উল্লেখ্য, ‘আজা নাচলে’, দিল টুটে টুটে’ এবং ‘দামা দাম মাস্ত ক্যালেন্ডার’ প্রভৃতি জনপ্রিয় গানের গায়ক এই হ্যান্স। যদিও তার ছেলে নবরাজ তার বাবার মুসলিম হওয়ার খবর অস্বীকার করেছেন। NNe2Brnএ আর রহমান তার সঙ্গীত সম্পর্কে সারা বিশ্বই এখন ওয়াকিবহাল। ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালকদের একজন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনি হিন্দু ছিলেন। তার নাম ছিল এ. এস. দিলীপ কুমার। সুফি সঙ্গীতের প্রেরণা থেকেই ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি। ১৯৮৪ সালে তিনি ইসলাম ধর্ম করে দিলীপ কুমার থেকে আল্লা রাখা রহমানে পরিনত হন তিনি। Mac11EJশর্মিলা ঠাকুর বলিউডের স্বনামধন্য অভিনেত্রীদের একজন শর্মিলা ঠাকুর। অভিনয়ে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৩ সালে তাকে পদ্মভূষন পদকে ভূষিত করে সরকার। শর্মিলা ঠাকুরও প্রেমের কারণেই ইসলঅম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলঅম ধর্মে দিক্ষীত হয়ে তিনি মনসুর আলি পতৌদিকে বিয়ে করেন। শর্মিলার তিন সন্তানের মধ্যে সাইফ আলি খান এবং সোহা আলি খান বলিউডে নাম লিখিয়েছেন। তার আরেক মেয়ে সাবা আলি খান পেশায় জুয়েলারি ডিজাইনার। Print Friendly Share via email Share সিটিজি নিউজ এ প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে আপনার মতামত প্রদান করুন : 8 টি মন্তব্য « « আগের সংবাদ পরের সংবাদ » » বিশ্বজুড়ে'র আরও সংবাদ চীনে রোজা রাখা নিষিদ্ধ ইরাককে আরো ৪ হাজার ক্ষেপণাস্ত্র দেবে যুক্তরাষ্ট্র ইতালিতে আরো ১৫ অবৈধ অভিবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার বেলুনের লোভ দেখিয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি মেয়ে হয়ে জন্ম নেয়ায় আছড়ে মারলেন বাবা ‘তাকে খুন করবো?’ অর্থ-কড়ি ছাড়া জীবনযাপন করছেন যে মানুষটি কেনিয়ায় কার্গো বিমান বিধ্বস্ত আফগানিস্তানে বাসে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত ৮ বিশ্বকাপের দেশে মৃত্যুর হাতছানি! ইরাক থেকে ফিরলো ২৭ বাংলাদেশি অপরাধী হয়েও সাজা পাচ্ছেন না মোদি! মোদি সরকারের মুখোশ খুলছে একই ভবন কিন্তু ইফতারের সময় তিনটি! ইরাক-সিরিয়ায় খিলাফতের ঘোষণা দিল আইএসআইএল 

অশ্লীল ভিডিও প্রকাশের হুমকি দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণ! June 23, 2014 by নিউজ ডেস্ক/মেহা in প্রতিবেশী with 0 Comments rape নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম ঢাকা বিলাসপুর এলাকায় এক এমবিএ-পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশিত হয়েছে। নির্যাতিতার অভিযোগ তার প্রেমিক অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে সেটি ফেসবুকে আপলোড করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধরে তাকে ক্রমাগত ধর্ষণ করেছে। নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে বিলাসপুর থানার পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। রোহতকের বাসিন্দা এমবিএ-এর ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগে জানিয়েছে, হিসারের সাতরোড নিবাসী রিঙ্কু সোনি ওফে ম্যান্ডির সঙ্গে একটি বিয়েতে তার আলাপ হয়েছিল। এর পরই তাদের বন্ধুত্ব হয় এবং অনেক বছর তারা ফোনে কথা বলত। অভিযুক্ত বিলাসপুর এলাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করে এবং পচগাঁওয়ের ফজিলবাসে একটি ভাড়া বাড়িতে থাকে। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে দেখা করার জন্য তার বাড়িতে আসতে বলে এবং কোল্ড ড্রিঙ্কসে মাদক মিশিয়ে তাকে খাইয়ে দেয়। এর পর মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে গেলে সে তার অশ্লীল ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে। এর পর প্রায় এক বছর ধরে অশ্লীল ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করার হুমকি দিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রীকে ধর্ষণ করতে থাকে। পুলিশ নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট করানোর পর আভিযুক্ত রিঙ্কুর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। সূত্র : জিনিউজ নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডটকম/ ২৩ জুন ২০১৪/১৭.৫০/মেহেদী হাসান আরো খবর: যুবতীকে অপহরণ করে ৫ মাস ধরে তান্ত্রিকের ধর্ষণ! নববিবাহিতা ভাবিকে ধর্ষণ করল দেবর মায়ের বিরুদ্ধে মেয়েদের অশ্লীল এমএমএস তৈরির অভিযোগ! প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনের পার্কিংয়ে গণধর্ষণ জামাই কর্তৃক শাশুড়ী ধর্ষণ! - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/06/23/others/neighbour/139314#sthash.0AVXGZND.dpuf

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনের পার্কিংয়ে গণধর্ষণ June 21, 2014 by নিউজ ডেস্ক/এমএ in প্রতিবেশী with 0 Comments প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে অবস্থিত অশোকা হোটেলের পার্কিংয়ে এক যুবতীকে গণধর্ষণের মামলা সামনে এসেছে৷ অভিযুক্তেরা যুবতীকে গণধর্ষণের পর তাকে হুমকিও দেয় যাতে সে কাউকে কিছু না জানায়৷ একজন অভিযুক্ত যুবতীর মুখ বন্ধ রাখতে তাকে চাকরীর টোপও দেয়৷ যদিও যুবতী এই মামলার অভিযোগ চাণক্যপুরি থানায় করলে পুলিশ গণধর্ষণের মামলা দায়ের করে৷ শুক্রবার যুবতী আদালতে সিআরপিসি’র ধারা ১৬৪ ধারায় বয়ান দেয়৷ নয়া দিল্লি জেলার বরিষ্ট পুলিশ আধিকারিক গণধর্ষণ ও ১৬৪ ধারায় বয়ানের কথা জানিয়েছেন৷ পুলিশ জানিয়েছে, ২২ বছর বয়সী ওই যুবতী গাজিয়াবাদের বাসিন্দা৷ যুবতী শুক্রবার চাণক্যপুরি থানায় তার অভিযোগে জানায়, সে গাজিয়াবাদের বাসিন্দা পাঞ্চাল ও তার বন্ধু মোনিলকে চিনত৷ অশোকা হেটেলের পার্কিং গাড়ি বসে তারা তাকে কোল্ডড্রিংক্স দেয়৷ কোল্ডডিংক্স খাওয়ার পর সে অজ্ঞান হয়ে যায়৷ জ্ঞান ফিরলে য়ে বুধতে পারে অভিযুক্তরা তাকে গণধর্ষণ করেছে৷ যুবতীর অভিযোগ ওই অভিযুক্তরাই তাকে ফের দিল্লি নিয়ে এসে আইএসবিটির পাশে গাড়িতে তাকে ধর্ষণ করে৷ এরপরেই তার মাথায় আত্মহত্যার কথা ঘুরপাক খেতে থাকে৷ যুবতী জানায় ঘটনার পর থেকেই সে ভয়ে ভয়ে থাকত৷ যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে চাণক্যপুরি থানার পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইপিসি’র ৩৭৬ ও ৩২৮ ধারায় গণধর্ষণ ও নেশ দ্রব্য খাওয়ানোর মামলা দায়ের করেছে৷ নয়া দিল্লির জেলা পুলিশ আধিকারিকেরা জানিয়েছেন তারা এই মামলার তদন্ত করছেন৷ অভিযুক্তদের কোঁজ মিললেই তাদের গ্রেফতার করা হবে৷ আরো খবর: যুবতীকে অপহরণ করে ৫ মাস ধরে তান্ত্রিকের ধর্ষণ! ফেসবুক বান্ধবীকে গণধর্ষণ মুগদায় বাস থেকে নামিয়ে দুই শিশুকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ৩ নববিবাহিতা ভাবিকে ধর্ষণ করল দেবর অশ্লীল ভিডিও প্রকাশের হুমকি দেখিয়ে এক বছর ধরে ধর্ষণ!

মডেল বানানোর নাম করে নাবালিকার নগ্ন ছবি! May 29, 2014 by নিউজ ডেস্ক/এসই in রকমারি with 2 Comments rape রকমারি ডেস্ক নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম ইন্টারনেটের দুনিয়ায় বাচ্চারা তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠতে চায়। আর এই জনপ্রিয়তার দৌড়ে অনেকেই না বুঝে নিজেকে নিয়ে যায় ভয়ঙ্কর বিপদের দিকে। সামাজিক কারণে মেয়েদেরকেই এই বিপদের মুখে পড়তে হয় সবচেয়ে বেশি। কারণ জনপ্রিয় করে দেওয়ার ফানুস দেখিয়ে ফায়দা তুলে নেন কিছু অসৎ ব্যক্তি। সারাজীবন তার ঘানি টানতে হয় ওই মেয়েকে। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়াতে। প্লেবয় ম্যাগাজিনের মডেল বানানোর নাম করে নাবালিকার নগ্ন ছবি তুললেন এক ব্যক্তি৷ মেয়েটি ওই ব্যক্তির প্রমিকার আত্মীয়। সে ওই মেয়েটিকে জানায়, প্লে বয় ম্যাগাজিনের মডেল হতে হলে তাকে এসব করতে হবে৷ এই ঘটনায় তাকে সঙ্গ দেয় তার প্রেমিকাই। প্রেমিক যুগল ক্রিস্টোফার ও লেস্লি একসঙ্গে থাকত৷ লেস্লির ১২ বছরের আত্মীয়া তাদের কাছেই থাকত। মেলবোর্ন পুলিশের কাছে খবর আসে এক প্রেমিক যুগল তাদের কাছে থাকা এক নাবালিকা মেয়ের দেখাশোনা ঠিকভাবে করছে না। পুলিশ এ ঘটনা তদন্ত শুরু করলে বেরিয়ে আসে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য। ক্রেস্টোফার ও লেস্লির ওই নাবালিকা আত্মীয়ার নগ্ন ছবি তোলে৷ লেস্লি জানায়, ওই মেয়েটি প্লেবয় ম্যাগাজিনের মডেল হতে চাইত বলেই ক্রিস্টোফার ওকে সাহায্য করেছে৷ পুলিশ তদন্ত করে দেখছেন সাহায্য করার নামে তারা তাকে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেছে। ক্রিস্টোফার নাবালিকাকে নগ্ন করে বিভিন্ন কামোত্তেজক ভঙ্গীতে দাড় করিয়ে ছবি তোলে। এমন ফটোশ্যুট প্রায় ছয় বার করা হয়েছে। পুলিশ তাদের ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। ল্যাপটপের হার্ডডিস্কে থাকা বিভিন্ন ভিডিও ও ছবি দিয়ে পুলিশ ওই প্রেমিক যুগলের বিরুদ্ধে শিশু পর্ণোগ্রাফি মামলা করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সম্পর্কে তাদের প্রতিবেশীরা কিছুই জানতেন না। পুলিশ আসার পরই এই ঘটনা সবার সামনে চলে আসে। নিউজ ইভেন্ট ২৪ ডট কম/২৯মে, ২০১৪/২২.১৭/সাই আরো খবর: মেয়ের শ্লীলতাহানির অভিযোগে মা আটক! রাজশাহীতে আবাসিক হোটেল থেকে প্রেমিক যুগল আটক সঙ্গীতা বিজলানির কাজের মেয়েকে ধর্ষণ: গ্রেফতার শাহরুখের ড্রাইভার! শিলার রুম ডেটের ফাঁদ চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনের পার্কিংয়ে গণধর্ষণ - See more at: http://www.newsevent24.com/2014/05/29/gallery/various/134473#sthash.DbF1FERo.dpuf

৩ তরুণীকে ধর্ষণের পর নগ্ন ভিডিও ধারণ! রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় তিন তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর নগ্ন ভিডিওচিত্র ধারণ করেছে লম্পটরা। নির্যাতিতদের মধ্যে দুই তরুণী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন আছে। তাদের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাদল, বাপ্পী ও কুদ্দুস নামের তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভাষানটেক এক নম্বর বস্তির ত্রাস পুলিশের খাতায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মামুন হোসেন। তার বাবার নাম ইসহাক। মামুনের নেতৃত্বে এলাকায় মাদক ব্যবসাসহ অবৈধ সব কর্মকাণ্ডই চলে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য বস্তিতে রয়েছে ২০ জনের একটি গ্রুপ। নির্যাতিত তিন তরুণীর একজনের খালাতো ভাই সোবেল। সোবেলও মামুনের নির্দেশে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। সম্প্রতি একটি চুরির মালামাল সে মামুনকে বুঝিয়ে না দেওয়ায় গত ১২ ফেব্রুয়ারি মামুনের নেতৃত্বে পাঁচ থেকে সাতজনের একটি দল ওই তিন তরুণীকে তাদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে। ওই বস্তিরই একটি ঘরে তাদের নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করা হয়। ওই অবস্থায়ই ডেকে নিয়ে আসা হয় নির্যাতিতদের বাবা-মাকে। একপর্যায়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে অনবরত আঘাত করে থাকে দুর্বৃত্তরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি প্রতিবেদককে বলেন, নির্যাতিতদের গগণবিদারী চিৎকার শোনার পরও কেউ মামুনের ভয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাহস পায়নি। নির্যাতিতরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের হাসপাতালে যেতে দেয়নি দুর্বৃত্তরা। পরে গতকাল খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মামলা হয় থানায়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ভাষানটেক থানার উপ-পরিদর্শক রেজাউল করিম জানান, মামুন এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। পুলিশ বিষয়টি অবহিত হওয়ার পরই সে এলাকা ছাড়া। মাত্র দুই মাস আগে সে কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে এসেছে

ভোগের বস্তুতে পরিনিতি হয়েছে বর্তমানের মেয়েরা (দয়া করে mind খাইয়েন না) শিরোনাম টি দেখে অনেকের হয়তো মাথায় রক্ত ওঠে গেছে। রক্ত তো তাদের মাথায় ওঠবে যারা নারীদের কে ভোগের বস্তূ হিসাবে ব্যবহার করে। আজ কাল ইসলাম বিদ্বেষীরা বলে ইসলাম নাকি নারীদের কে ভোগের বস্তু বানিয়েছে? কিন্তু বাস্তব চিত্র কি তা আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরতেছি। আমি অনেক দিন যাবত অনুসন্ধান করতেছি। অনুসন্ধান করে যা পেয়েছি তা আমার কল্পনাতেও আসেনা। বর্তমানের মেয়েরা প্রেমের আড়ালে যে সব অপকর্ম করতেছে? তা এই দেশের পাগলা কুকুরদের কেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রেমিকের কথা মতো নিজের দেহ কে বিলিয়ে দিচ্ছে। আবার এই সব নোংরামী ভিডিও করে উচ্চ মূল্যে বাজারে বিক্রয় করতেছে। সব চেয়ে অবাক বিষয় হল বর্তমানের মেয়েরা বিনা টাকায় নিজের দেহ কে অন্য কাউ কে ভোগ করতে দেয় না (প্রেমিক ছাড়া) । এই দেশের দেহ ব্যবসা মেয়েদের দেহের মূল্য আছে, কিন্তু তোমাদের দেহের এক আনার ও দাম নেই। মেয়েরা লাভ রিলোশন টিকিয়ে রাখতে নিজের দেহকে অন্যের কাছে বিলিয়ে দেয়। তাদের চেয়ে অধিক বোকা আর কে আছে যে নিজেই নিজে ধোঁকা দেয়? এর করুণ পরিনিতি কি গত ২/১২/১২ তারিখে দেখেছি। এক টি মেয়েকে প্রেমিক সহ ১৬ জন মিলে ধর্ষণ করেছে। অবশেষে ঢাকা ল্যাব এইড হাস্পাতালে মারা গেছে। ছেলের বাবা প্রভাবশালী হওয়াতে মেয়ের মা বাবা থানাতে গিয়ে মামলা ও করতে পারেনি। একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায় আল্লাহ র ধরা কতো কঠিন । আজকের মেয়েরা বাজারের বিনা মূল্যের পন্য হয়ে গেছে। যা সারা জীবন ভোগ করলেও কো নো টাকা পয়সা লাগেনা? রাস্তা দিয়ে বেপর্দা ভাবে হেটে যা এমন কি বুকেতে ওড়নাও দেয়না এই নির্লজ্জ বেহায়ার দলে। বরং বুকের ওড়না গলাতে ঝুলিয়ে নিজের কমলা লেবুর সাইজ দেখাতে থাকে। আর এ দিকে রাস্তার হাজার হাজার যুবক ছেলেরা এদের রসে মাখা রূপ যৌবন ফ্রি ভাবে ভোগ করতে থাকে,এবং মজা লুটতে থাকে । আর বলতে থাকে কি সুন্দর মাল, যদি কাছে পাইতাম? কাচা গিল্লা খায়তাম। থাপ রিয়ে চাপা ফাটিয়ে দেওয়া দরকার এই সব বেজম্মা নারী বাদীদের। যারা সমান অধিকারের কথা বলে পুরুষের মাথার বুঝা নারীর ঘাড়ে চাইয়ে দেয়। এই সব নারীবাদীদের দেখলে চিনা যায় না সে কি গাই না কি বলদ? এই সব বেজম্মা নারীবাদীরা বলে নারীদের কে সমান অধিকার দিতে হবে? বলদিরা বলে কি? নারী কে যদি সমান অধিকার দিতে হয়? তা হলে পুরুষদের কে আগে দেয় না কেনো? কেনো সংসদে গিয়ে বলে না মাননীয় স্পিকার, বর্তমানে ইভটিজিংক সংখ্যা বেড়ে গেছে। তাই আজ থেকে আইন করা হোক রসের কমলা এখন থেকে ছেলেদের বুকে থাকবে। যাতে তারা নিজেরাই নিজেদের পিছনে ঘুরে। সন্তান জম্ম দিতে গিয়ে কত মায়ের মৃত্য? তার কোনও সঠিক হিসাব নাই। এই দেশের বেজম্মা নারীবাদীরা যদি নারীদের কে সমান অধিকার দিতে চায়? তাহলে তারা কেনো সংসদে গিয়ে বলে না মাননীয় স্পিকার, সন্তান জম্ম দেওয়া কষ্টের কাজ, সন্তান জম্ম দিতে গিয়ে হাজারো মায়ের মৃত্য হয়। তাই আজ থেকে আইন করা হোক এখন থেকে সন্তান গর্ভ ধারণ ও সন্তান জম্ম দিবে পুরুষেরা। এতো তারা আমাদের কে পাপ দিতো? এখন থেকে আমরাও দিবো। আমার এই সামান্য কথা গুলি যদি এইদেশের কুখ্যাত বেজম্মা নারী বাদীরা বাস্তবায়ন না করতে পারে তা হলে নারীকে সমান অধিকার কি ভাবে দিবে? আমার বুঝে আসেনা? আপনার আসে কি? তা হলে নারী কে অধিকার কারা দিয়েছে আমরা জানতে চাই? সম্পদে ইসলাম নারী কে চার আনা দিয়েছে? কিন্তু অন্য ধর্মতে নারী কে এক আনাও দেয় নাই? সেটা নিয়ে কারো মাথা ব্যাথা নেই? যত মাথার ব্যাথার কারন আছে সেটা ইসলাম হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন ইসলাম নারী কে রানীর মর্যাদা দিয়েছে। ভোগের বস্তু করে নাই? যার কারনে তারা ইসলাম কে সহ্য করতে পারেনা। এই দেশের ক্ষমতায় বসে আছে নারীরাই। এরপর ও যারা বলে এই দেশে নারীর ক্ষমতা, অধিকার নেই? তাদের কাছে আমার প্রশ্ন বর্তমানে যারা ক্ষমতায় বসে আছে তারা কি হিজড়া? আজ বাংলাদেশের বেজম্মা নারী বাদীদের মুখের কথাই যে সব মেয়েরা পর্দা হীন ভাবে চলাফেরা করতেছে ? তা কোথায় গিয়ে ঠেকে আল্লাহ ভালো জানেন। দিন যত বাড়তেছে পর্দা হীন মেয়েদের সংখ্যা তত বাড়তেছে। পর্দা হীন মেয়েদের সংখ্যা যত বাড়বে? মেয়েদের কপালে দুর্গতি তত বাড়বে,কমবেনা। বর্তমানের মেয়েরা যে ভাবে ফ্রি সেক্স শুরু করেছে? এই অবস্তা চলতে থাকলে এই দেশের পোলাপানরা বিয়ে করবে না। যেমন এক যুবক আরেক যুবক কে জিজ্ঞেস করে হে যুবক তুমি বিয়ে করো না কেনো? তখন যুবক উত্তর দেয় দুধ যদি সস্তায় পাওয়া যায়? গাই পালবে কে? ঠিক তেমনি ভাবে বিয়ের আগে নারী দের কাছে থেকে যদি সব কিছু পাওয়া যায়? তা হলে বিয়ে করবে কে? এবার আপনারা বলুন নারী দের কে ভোগের বস্তু ইসলাম বানিয়েছে না তথা কথিত নারী বাদীরা বানিয়েছে? প্রশ্ন টি আপনাদের কাছে রইয়ে গেলো। যদি পারেন উত্তর দিয়ে যাবেন। যাবার আগে কয়েক টি কথা বলে যেতে চাই, উপরে আল্লাহ এক জন আছেন? তিনি সকলের সব কিছু দেখতেছেন। যখন আল্লাহ ধরবেন ? আল্লাহ ধরা কত কঠিন তা হাড়ে হাড়ে টের পাবেন. ‪#‎mk_ahmad‬

বাবার নির্মম মৃত্যুতে বুঝলাম র‌্যাব পুলিশের ক্রসফায়ারের গল্প কি সাখাওয়াত হোসেন : মানুষের জীবনের যে কোন মূল্য নেই এটি আগে কখনো বুঝি নাই। আমার বাবা বাঁচার জন্য কত চেষ্টাই না করেছিলেন। ৭ তলার পাইপ বেয়ে নামতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে টিন শেডের ওপরে পড়েন। সেখানেও তাকে নির্দয়ভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়। এতদিন টেলিভিশন আর খবরের কাগজে পড়েছি ক্রসফায়ারের গল্প। বাবার নির্মম মৃত্যুর পর বুঝলাম র‌্যাব-পুলিশ যে ক্রসফায়ারের কথা বলে তা আসলে কি। জীবনের এমন মর্মান্তিক ঘটনার পরও আমি আমার পরীক্ষা দিতে গেছি। কী লিখেছি, জানি না। হাত চলতে চায়নি পরীক্ষার হলে। র‌্যাবের কথিত ক্রসফায়ারে নিহত রাজধানীর আলমবাগের বাসিন্দা সংগ্রাম চৌধুরীর বড় মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী নূসরাত জাহান শান্তা চৌধুরী গতকাল বুধবার নিজ বাসায় এভাবেই নিজের কষ্টের কথা প্রকাশ করেন। গতকাল বুধবার ভোরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির এক নেতা নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম মেকুর কাশেম (৩৫)। নিহত ওয়াসিমের স্ত্রী সোনিয়া বেগম সাংবাদিকদের বলেন, তার স্বামীকে বাথরুম থেকে ধরে নিয়ে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। কিসের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ধরে নিয়ে র‌্যাব হত্যা করেছে দু’জনকেই। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গত ১০ বছরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের শিকার হন ১৯৭৩ জন। এসব ঘটনা ঘটেছে কথিত ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধের নামে। এসব ঘটনার কালিমা লেগেছে র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর গায়ে। কিন্তু কোন সরকারের পক্ষ থেকেই কথিত ক্রসফায়ার কিংবা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের। গত ৩ মার্চ সোমবার জুরাইনের আলমবাগের ওয়াসিমের বাড়িতে র‌্যাবের কথিত ক্রসফায়ারে ওয়াসিম ও তার কর্মচারী সংগ্রাম চৌধুরী মারা যায়। সাম্প্রতিক সময়ে বন্দুকযুদ্ধে নিহতদের সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে তাকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক হিসেবে আখ্যায়িত করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, এই ধরনের হত্যাকা- সব সময়েই আইন ও গণতন্ত্রের বিপক্ষে বলে এগুলো কখনোই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের অবশ্যই মৃত্যুদ- দেয়া উচিত। তাহলেই বিচারবহির্ভূত হত্যাকা-ের এই প্রবণতা বন্ধ করা যাবে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, দেশে কোনো ক্রসফায়ার হয় না। যা হয়, তা বন্দুকযুদ্ধ। গতকাল বুধবার সরেজমিন রাজধানীর জুরাইন আলমবাগ ঘুরে ও নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কথিত ক্রসফায়ারে নিহত ওয়াসিম ও সংগ্রামের পরিবারে কান্না থামছে না। তাদের মৃত্যু নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে রহস্য। নিহতদের পরিবার ও র‌্যাবের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে যে অপহরণের কথা বলা হয়েছে তা নিয়ে ওই এলাকায়ই রয়েছে নানা আলোচনা। যে আখতারকে অপহরণের কথা বলা হয়েছে, ওই আখতার সেতুর টোল আদায় কাজে জড়িত ছিলেন ওয়াসিমের অধীনে। একসময় তার ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন আখতার। এদিকে নিহত সংগ্রাম চৌধুরীর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সংগ্রাম ও ওয়াসিমকে এর আগেও একবার র‌্যাব ধরে নিয়েছিল। তখন র‌্যাবের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের ছাড়িয়ে আনা হয়। কোন পক্ষের ইন্ধনে অপহরণ নাটক সাজিয়ে সংগ্রাম ও ওয়াসিমকে কথিত বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যা করা হয়েছে বলে ওই পরিবার অভিযোগ করেন। গতকাল সরেজমিন কদমতলী থানাধীন আলমবাগে গিয়ে দেখা গেছে, র‌্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত দু’টি পরিবারের পাশাপাশি গোটা এলাকায় পিনপতন নীরবতা। স্থানীয় সূত্র ও পরিবারের সদস্যরা জানান, র‌্যাবের কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত ওয়াসিম ও সংগ্রামের নিহত হওয়ার নেপথ্যে প্রতিপক্ষ গ্রুপের ইন্ধন রয়েছে। পোস্তগোলা সেতুর টোল আদায়কৃত টাকা-পয়সার আয়-ব্যয় নিয়মিত দেখাশোনার দায়িত্ব ছিল তারই বিশ্বস্ত আখতারের ওপর। এ সময় আখতার তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন ওয়াসিমের আলমবাগের বাড়ির পাঁচ তলায়। সেতু টোলের টাকা আদায়ের সব দায়িত্ব গ্রহণের কিছুদিন পর নগদ টাকার লোভে পড়ে আখতার একাধিকবার হিসাবে গরমিল দেখাতে শুরু করে। এ নিয়ে ওয়াসিমের সঙ্গে তার চরম বিবাদ সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় একজন প্রভাবশালী নেতা ও তার ছেলের মধ্যস্থতায় বেশ কয়েকবার তাদের দু’জনের কোন্দল মেটানো হয়। গত জানুয়ারি ওয়াসিমের টোল আদায়ের বড় অঙ্কের টাকা নিয়ে আখতার পালানোর পর তাদের দু’জনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য রূপ নেয়। টাকা উদ্ধার করতে সংগ্রামকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করতে থাকেন তিনি। কিন্তু এ ঘটনাটি আখতার জানতে পেরে ওয়াসিমের প্রতিপক্ষ গ্রুপের সঙ্গে হাত মেলায়। সংগ্রাম চৌধুরীর স্ত্রী সায়েমা চৌধুরী দাবি করেন, চক্রান্তকারীরাই র‌্যাবকে দিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে বন্দুকযুদ্ধে তার স্বামী ও ওয়াসিমকে হত্যা করেছে। তার স্বামী সংগ্রাম, আখতার, সুমন, জনিসহ অনেকেই ওয়াসিমের সেতুর টোল আদায়ের কাজ করতেন। ওয়াসিম তাদের সবাইকে বিশ্বাস করতেন। গত ১০-১৫ দিন আগে সেতুর টোল আদায় ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ ওলামা আলী গ্রুপের রাজুর সঙ্গে তাদের একটি ঝামেলা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ৬ মাস আগে ওলামা আলীর লোকের ইন্ধনে র‌্যাব ওয়াসিম ও সংগ্রামকে নারায়াণগঞ্জ থেকে আটক করে। পরে ওয়াসিমের সঙ্গে র‌্যাবের গোপন রফা হলে সকালে তাদের দু’জনকে ছেড়ে দেয়। নিহত ওয়াসিমের ছেলে আলী আহসান জানান, ওই সময় র‌্যাবের সদস্যরা তার পিতা ও সংগ্রামকে রাত দু’টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে ধরে নিয়ে যান। পরের দিন সকালে র‌্যাবের টেলিফোন পেয়ে তাদের দু’জনকে তিনি বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সময় র‌্যাবের সঙ্গে তার পিতার কোন গোপন রফা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে তার কিছু জানা নেই। স্থানীয় স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র নয় বছর বয়সী কায়েস চৌধুরী জানে না তার বাবা সংগ্রাম চৌধুরীকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে। অশ্রুশিক্ত চোখে অবুঝ এ শিশুটি বার বার বলছিলো আব্বু এমন কি করেছিলো যে, তাকে মেরে ফেলা হলো। আব্বু আর কোন দিন ফিরে আসবে না। এ সময় তার কাকা প্রিন্স চৌধুরী কায়েসের মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত¦না দেয়ার চেষ্টা করলে সে সজোরো কাঁদতে থাকে। এ সময় স্বজনভরা বাড়িতে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। গতকাল দুপুরে সংগ্রাম চৌধুরীর বাসায় কথা হয় তার বড় ভাই পরিবহন ব্যবসায়ী প্রিন্স চৌধুরীর সঙ্গে। তিনি হাসপাতাল মর্গ থেকে ভাইয়ের লাশ গ্রহণকালে পুলিশের ছাড়পত্র দেখিয়ে বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দাবি অনুযায়ী সংগ্রাম চিহ্নিত সন্ত্রাসী হলে তো তার নামে স্থানীয় থানায় মামলা থাকতো। কিন্তু পুলিশ তো ভাল করে তার নামই জানে না। ঠিকানায় পিতার নাম লেখা হয়েছে অজ্ঞাত। এসব কথার সময় সংগ্রামের স্ত্রী সালমা চৌধুরী বাসার আসবাবপত্র দেখিয়ে বলেন, তার স্বামী চাঁদাবাজ হলে ঘরে অন্ততঃ মূল্যবান আসবাবপত্র থাকতো। স্বামী হারা সংসারে সন্তানদের কিভাবে মানুষ করবেন, কি করে বাঁচবেন এসব বলতে বলতেই তিনি মূর্ছা যান। এ সময় পাশের কক্ষ থেকে নামাজ শেষ করে বের হন সংগ্রামের বড় সন্তান মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান শান্তা চৌধুরী। গত সোমবার বাবা যে সময়ে র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে প্রাণ হারান, ঠিক সে সময়ে শান্তা ছিলেন পরীক্ষার হলে। গতকাল বৃহস্পতিবারও তার পরীক্ষা রয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে পরীক্ষায় অংশ নিলেও শান্তার রেজাল্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন তার পরিবার। গতকাল দুপুরে ওয়াসিমের ১২৯/২, মদিনা মসজিদ রোডের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি। আশপাশের লোকজন বলেন, নিহত ওয়াসিমের পরিবারের সদস্যরা ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন। বাসায় অবস্থান করলেও কারো ডাকে সাড়া দিচ্ছেন না। এ ছাড়া ওয়াসিমের ছেলে আলী ব্যতীত সকলের মোবাইলগুলো র‌্যাব সদস্যরা নিয়ে গেছে। অভিযোগ রয়েছে, অধিকাংশ ক্রসফারার বা বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাই একতরফা এবং সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত। এসব ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত পুলিশ সদস্যরা নিজেদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রশ্নে একটি গৎবাঁধা প্যাটার্ন অনুসরণ করেন। অধিকাংশ ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে- পুলিশ, র‌্যাব কিংবা ডিবি কর্মকর্তা হিসেবে নিজেদের পরিচিতি দিয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মানুষজনকে তুলে নিয়ে যায়। নিরাপত্তা বাহিনীর তুলে নেয়ার পর আর না ফিরে আসা ব্যক্তিদের তালিকায় ছাত্র, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং বিরোধী দলের অজস্র নেতার নাম রয়েছে। কখনো এই ব্যক্তিদের লাশ হয়তো খুঁজে পাওয়া যায়, কিংবা কখনো তারা পুরোপুরি অদৃশ্য হয়ে যান। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় যে, মৃত ব্যক্তি একজন অপরাধী ছিলেন। বেশ কয়েকবার তাদের এই দাবি মিথ্যা হিসেবেও প্রমাণিত হয়েছে। কখনো কখনো এও দাবি করা হয় যে, আটককৃত অপরাধীর পক্ষের লোকেরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের ওপর অস্ত্র চালায় বলেই সম্পূর্ণ আত্মরক্ষার্থে তারা বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হতে বাধ্য হন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর যাত্রাবাড়ি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধসংক্রান্ত কোনো পূর্ব অভিযোগ ছিল না। সেদিন ঘটনাস্থলে সালাউদ্দীন (২৯) এবং জুয়েল (২৮) নামের দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছিলেন। এদের মধ্যে সালাউদ্দীনের বিরুদ্ধে আটটি হত্যা মামলা থাকলেও নিহত জুয়েলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই ছিল না। জুয়েল কাপ্তানবাজার এলাকার একজন ব্যবসায়ী ছিলেন এবং তিনি ফিল্টার যন্ত্রপাতি বেচতেন। নিহত জুয়েলের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ি পুলিশ কোনো মামলা কিংবা সাধারণ ডায়েরি বা নিদেনপক্ষে কোনো অভিযোগই দেখাতে পারেনি। মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ি থানার উপ-পরিদর্শক এসআই প্রদীপ কুমার কুন্ডুও জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগসংক্রান্ত বৈধ কোনো কাগজ বা দলিলপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। জুয়েলের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে শনির আখড়া এলাকার বাসিন্দা আশরাফুল হক বলেন, অপরাধী হিসেবে সালাউদ্দীনের নাম আমাদের পরিচিত হলেও জুয়েলের নাম আমরা কখনো শুনিনি। জুয়েলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল বলেও অন্তত আমি তো জানি না। আমাদের দামুড়হুদা, (চুয়াডাঙ্গা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থী সংগঠন পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার কাশেম ওরফে মেকুর কাশেম (৩৫) নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার ভোরে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের একটি আম বাগানে এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীদের ছোড়া বোমার আঘাতে দামুড়হুদা মডেল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) নিয়াজ আলী (৩৮) ও কনস্টেবল খায়রুল ইসলাম (৪৫) গুরুতর আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশী বন্দুক, ৪ রাউন্ড গুলি, ৪টি তাজা বোমা ও বেশ কয়েকটি গুলির খোসা উদ্ধার করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/03/06/165112.php#sthash.jBW3qm18.7XUzkDKV.dpuf

বুধবার, ২ জুলাই, ২০১৪


খিলাফতকে গড়ে তোলায় সাহায্য করতে মুসলমানদের প্রতি বাগদাদীর আহ্বান ইনকিলাব ডেস্ক : ইরাকি পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন মুলতবি হওয়ার পর নয়া সরকার গঠনের জন্য ইরাকি নেতাদের উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার ঘণ্টা দুয়ের মত কার্যক্রম চলার পর সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে অধিবেশনের বিরতি দেয়া হয়। তার আগে পার্লামেন্টের সুন্নি ও কুর্দি সদস্যরা ওয়াক আউট করেন। তারা আর ফিরে আসেননি। ফলে কোরাম পূর্ণ না হওয়ায় অধিবেশন প- হয়ে যায়। খবর এএফপি। জানা গেছে, পার্লামেন্ট অধিবেশন শুরুর পরই অনৈক্যের ব্যাপারটি প্রকাশিত হয় স্পিকার নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করে কুর্দি আইন প্রণেতা নাজিবা নাকিব অবরোধ তুলে নিতে ও স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলের জন্য স্থগিত বরাদ্দ দেয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী নূরী মালিকির দলের এমপি কাজিম আল সায়াদি কুর্দি অঞ্চলের প্রধানের মাথা গুঁড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেন। ইসলামিক স্টেটের কথা উল্লেখ করায় কুর্দি এমপিরা ওয়াকআউট করেন। তারা কেউ ফিরে না আসায় কোরাম পূর্ণ হয়নি। অধিবেশনে সভাপতিত্বকারী এমপি বলেন, যদি ঊর্ধ্বতন পদগুলোর ব্যাপারে মতৈক্য হয় তাহলে ৮ জুলাই অধিবেশন বসবে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ওয়াশিংটন দ্রুত হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে যে সময় ইরাকের অনুকূলে নেই। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র মেরি হার্ফ এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ দ্রুততার আহ্বান জানান। রয়টার্স জানায়, ইসলামী রাষ্ট্রের খলিফা আবু বকর আল বাগদাদী অস্ত্র হাতে তুলে নিতে এবং খিলাফতকে গড়ে তুলতে সাহায্য করার জন্য ইসলামী রাষ্ট্রে এসে সমবেত হতে বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। মঙ্গলবার অনলাইনে ‘রমযান মাসে মুজাহিদীন ও মুসলিম উম্মাহর প্রতি বার্তা’ শিরোনামে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি মুসলমানদের জিহাদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, নতুন যুগ শুরু হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত মুসলমানরাই বিজয়ী হবে। তিনি মুসলমানদের জেগে উঠতে এবং মধ্য আফ্রিকা থেকে মিয়ানমার পর্যন্ত মুসলমানদের উপর অন্যায়ের প্রতিশোধ গ্রহণের আহ্বান জানান। ইউরোপীয় কাউন্সিলের পররাষ্ট্র বিষয়ক সিনিয়র পলিসি ফেলো জুলিয়ান বারনেস-ড্যাসি বলেন, বাগদাদী বলিষ্ঠ আহ্বানের মধ্য দিয়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠার কথা ঘোষণা করেছেন এবং এখন দৃঢ়তার সাথে কথা বলছেন। এক বিশাল ভূখ-ে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সক্ষম হওয়ার তিনি উপলব্ধি করেছেন যে সময় তার অনুকূলে। এ এক বলিষ্ঠ, সার্বিক কৌশল যার মধ্য দিয়ে তিনি নিজেকে নয়া ইসলামী জাগরণের অগ্রদূত হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করছেন। এদিকে কুর্দিস্তান আঞ্চলিক সরকারের প্রেসিডেন্ট মাসুদ বারজানি বিবিসির সাথে এক সাক্ষাতকারে বলেন,স্বাধীনতা পাওয়া কুর্দিদের অধিকার এবং এখন থেকে আমরা প্রকাশ্যে ঘোষণা করছি যে কুর্দিস্তানের লক্ষ্য স্বাধীনতা। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে একটি গণভোট অনুষ্ঠিত হবে যাতে কুর্দিস্তানের সকল লোক অংশগ্রহণ করবে। তিনি গণভোটের কোনো সময় নির্ধারণ করেননি। তবে বলেন, কয়েকমাসের মধ্যেই তা অনুষ্ঠিত হবে। এপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইরাকের রাষ্ট্রদূত লুকমান ফাইলি বলেছেন, আইসিস যোদ্ধাদের দমনের জন্য অতিরিক্ত মার্কিন সাহায্য পেতে বিলম্ব হওযায় অপেক্ষা না করে ইরাক ক্রমেই ইরান, রাশিয়া ও সিরিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। তিনি তাদের উপর বিমান হামলা চালাতে যুক্তরাষ্ট্রকে অনুরোধ জানান। - See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/07/03/189889.php#sthash.jUvXNRsm.dpuf

চলন্ত মাইক্রোবাসে পোশাককর্মীকে ধর্ষণ নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ২২:১৭, জুলাই ০২, ২০১৪ রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে এক তরুণীকে (১৮) ধরে চলন্ত মাইক্রোবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেছে দুই যুবক। গতকাল মঙ্গলবার ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই তরুণী একজন পোশাককর্মী। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিত্সাধীন। মিরপুর থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান ধর্ষণের শিকার হওয়া তরুণীর বরাত দিয়ে জানান, মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়ায় থাকেন ওই তরুণী। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বান্ধবীর বাসা থেকে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। দারুস সালাম সড়কের টেকনিক্যাল মোড়ে একটি মাইক্রোবাস এসে থামে তঁার সামনে। ওই মাইক্রোবাসটি থেকে দুই যুবক নেমে তঁাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেয়। এদের মধ্যে একজনকে তিনি চেনেন। তার নাম ফরিদ। গাড়িতে তোলার পর ফরিদ ও তার সহযোগী ওই তরুণীকে চলন্ত মাইক্রোবাসে ধর্ষণ করে। এ সময় চালকসহ মোট তিনজন গাড়িতে ছিল। তবে শুধু ফরিদ ও তার সঙ্গে থাকা যুবক তঁাকে ধর্ষণ করে বলে মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে। একপর্যায়ে গভীর রাতে তারা তঁাকে দারুস সালাম থানার টেকনিক্যাল মোড়ে রেখে যায়। আজ সন্ধ্যায় তঁাকে ওসিসিতে ভর্তি করে পুলিশ। ধর্ষণের শিকার তরুণীর এক ফুফু পুলিশকে জানিয়েছেন, স্থানীয় বখাটে ফরিদ অনেক দিন ধরেই তঁার ভাতিজিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে রাজি না হওয়ায় ফরিদ এ ঘটনা ঘটায় বলে তঁার ধারণা। পুলিশ জানায়, ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রপ্তোরের চষ্টো চলছে। রাত সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় থানায় কোনো মামলা হয়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ওসিসির সমন্বয়কারী চিকিত্সক বিলকিস বেগম জানান, ধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা করা হচ্ছে।