শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪


ছাত্রী ধর্ষণের হুমকি প্রধান শিক্ষকের নয়া দিগন্ত অনলাইন ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪, শুক্রবার, ৯:৫৫ পশ্চিবঙ্গের তৃণমূল সংসদ সদস্য তাপস পালের পর এবার স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিলো প্রধান শিক্ষক। প্রধান শিক্ষকের হুঁশিয়ারি, বেশি বাড়াবাড়ি করলে বহিরাগতদের দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করিয়ে দেয়া হবে। রাজ্যের দুর্গাপুরের রঘুনাথ মুর্মু সরকারি আবাসিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশুদ্ধানন্দ রায়ের বিরুদ্ধে এমনটাই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ জানিয়েছেন স্কুলেরই এক ছাত্রী। এমনকি ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষিকাকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক নেতাদের পর এবার একজন শিক্ষক বহিরাগতদের দিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছেন, এমন অভিযোগ প্রকাশ্যে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তৃণমূল সাংসদ তাপস পাল এবং মেদিনীপুর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জিতেন্দ্রনাথ দাসের পথ অনুসরণ করেই ছাত্রীকে বহিরাগতদের দিয়ে ধর্ষণের হুমকি দিয়েছেন বলে বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তবে প্রকাশ্যে হুমকি দেননি তিনি। ওই ছাত্রী হোস্টেলে খাবার ও পানি ঠিকমতো পাওয়া যাওয়া না বলে অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলো প্রধান শিক্ষকের কাছে। তখনই শিক্ষক এই হুমকি দেন বলে অভিযোগ ছাত্রীটির। তবে একথা অস্বীকার করে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের পাল্টা অভিযোগ, শিক্ষিকা ও ছাত্রীরা মিলে তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। ১ আগস্ট এই মর্মে লিখিত অভিযোগও করেছিলেন তারা। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার করুণাময়ী মণ্ডল নামে স্কুলেরই এক শিক্ষিকা অভিযোগ করেন, বিএড কোর্সের আবেদনে সই করাতে গেলে প্রধান শিক্ষক ঘরের দরজা বন্ধ করে তাকে মারধর করেন। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত দুর্নীতিপরায়ণ। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে এদিন নিউটাউনশিপ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই আক্রান্ত শিক্ষিকা। সূত্র : কলকাতা২৪

printer প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করে একজন :হু প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০১:৪১:১৭ অঅ-অ+ এএফপি বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি করে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বছরে মোট মৃত্যুর চেয়ে নিজের জীবন নিজেই হরণের এ হার অনেক বেশি। জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গতকাল বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। আত্মহত্যার ওপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এটিই প্রথম কোনো প্রতিবেদন। এতে সংস্থাটি খ্যাতিমানদের আত্মহত্যার ঘটনা মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারকে দোষারোপ করেছে। তাদের মতে, এতে আত্মহত্যা প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক শেখর সাক্সেনা বলেন, 'আত্মহত্যা একটি জনস্বাস্থ্যগত সমস্যা। প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একটি আত্মহত্যা_ এটি অবশ্যই বড় একটি সংখ্যা।' তিনি জানান, 'প্রতিবছর বিশ্বে ১৫ লাখ অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এর মধ্যে শুধু আত্মহননের ঘটনাই ৮ লাখ।' প্রতিবেদনে বলা হয়, আত্মহননের ২৫ শতাংশ ঘটনাই ঘটে ধনী দেশগুলোয়। এ ধরনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় ইউরোপ এবং এশিয়ায়। Loading... মন্তব্য

'প্রতি ১০ মেয়েশিশুর ১ জন যৌন নির্যাতনের শিকার' প্রকাশ : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ১২:৪৬:৪৫ | আপডেট : ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ১২:৪৮:২০ অঅ-অ+ জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বে মোট ১২ কোটি মেয়েশিশু বয়স ২০ হওয়ার আগেই যৌন নির্যাতনের শিকার হয় অনলাইন ডেস্ক জাতিসংঘ এক প্রতিবেদনে বলেছে, বয়স ২০ হওয়ার আগেই পৃথিবীতে প্রতি ১০ জন মেয়েশিশুর একজন ধর্ষিত অথবা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।'প্রতি ১০ মেয়েশিশুর ১ জন যৌন নির্যাতনের শিকার' এছাড়া পৃথিবীতে মোট ১২০ মিলিয়ন বা ১২ কোটি মেয়েশিশু নির্যাতনের শিকার বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ১৯০টি দেশের তথ্য-উপাত্ত নিয়ে গবেষণা করে জাতিসংঘ এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে। একসঙ্গে এতগুলো দেশের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে শিশুদের বিষয়ে এমন কোনো প্রতিবেদন এর আগে প্রকাশিত হয়নি। বয়স, ধর্ম, গোত্র, দেশ বা অর্থনৈতিক শ্রেণি নির্বিশেষেই শিশুরা সহিংসতার শিকার হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ-এর নির্বাহী পরিচালক এন্থনি লেক। তিনি বলেন, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক, অচেনা ব্যক্তি ছাড়াও এমনকি পরিবারের ঘনিষ্ঠ মানুষদের দ্বারাও এসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ইউনিসেফ বলছে, কেবল ২০১২ সালেই মোট ৯৫ হাজার শিশু ও কিশোর-কিশোরী খুন হয়েছে। আর এইসব খুনের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটেছে ল্যাটিন অ্যামেরিকা ও ক্যারিবীয় দেশগুলোতে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ২ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের প্রতি দশজনের মধ্যে ৬ জনকেই শারীরিকভাবে শাস্তি দেয়া হয়। এসব শিশুর অভিভাবক বা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে যারা থাকেন তারাই এই শাস্তি দিয়ে থাকেন। শিশু নির্যাতনের ঘটনা অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ হিসেবে রিপোর্ট করা হয় না বলে প্রকৃত ঘটনার সংখ্যা প্রতিবেদনে উঠে আসা ঘটনার চাইতে অনেক বেশি বলেও জানিয়েছে ইউনিসেফ। এছাড়া অনেক দেশে শিশুদের শাস্তি হিসেবে মারধর করা সামাজিকভাবেই স্বীকৃত।

শিরোনাম
পর্ণো ছবিতে অভিনয় করতে বলায় স্বামীকে হত্যা নয়া দিগন্ত অনলাইন ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৪, শনিবার, ১:০১ অাটকের পর শ্রুতি চন্দ্রলেখা পর্ণো ছবিতে অভিনয় করতে বলায় স্বামীকে হত্যা করেছেন ভারতের এক তামিল অভিনেত্রী। এ ঘটনায় স্ত্রী শ্রুতি চন্দ্রলেখাসহ (২২) পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ব্যাঙ্গালুরু থেকে শ্রুতিকে আটক করা হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা জানায়, শ্রুতি তামিল ও কান্নাডায় কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। আট মাস আগে স্বামী রোনাল্ড পিটার প্রিঞ্জ টাকার জন্য তাকে পর্ণো সিনেমায় অভিনয় করতে বলে। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে স্বামীকে হত্যা করেন শ্রুতি। হত্যার পর তামিলনাড়ুর তিরুনেলভিলিতে স্বামীর মৃতদেহ চাপা দেন তিনি। এ ঘটনায় পাঁচজন তাকে সহায়তা করে। জানুয়ারি মাসে পাঁচ সহযোগীকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে শ্রুতিকে আটক করে পুলিশ। কর্মকর্তারা আরো জানায়, ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় প্রিঞ্জের কাছে বন্ধুরা অনেক টাকা পেতো। সে টাকা শোধ করতে পর্ণো সিনেমা বানানোর কথা চিন্তা করে প্রিঞ্জ এবং সেখানে শ্রুতিকে অভিনয় করার জন্য চাপ দিতে থাকে। কিন্তু সে রাজি হয় না। এরপর স্বামী ব্যাঙ্গালুরুতে গেলে সেখানে বিষ খাইয়ে স্বামীকে হত্যা করে। পরে পাঁচ সহযোগী প্রিঞ্জের মৃতদেহ মাটি চাপা দেয়।

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৪


যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর গোপনাঙ্গে অ্যাসিড নয়া দিগন্ত অনলাইন ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ৬:০৩ পাশবিক, অর্থিপিশাচ নাকি নরাধম! কোনো বিশেষণই বোধহয় যথেষ্ট নয়। যৌতুকের টাকা না পাওয়ায় স্ত্রীর গোপন অঙ্গে অ্যাসিড ঢেলে দিল স্বামী। এরপর জোর করে কেরোসিন খাইয়ে তাকিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে সে। স্ত্রীকে দগ্ধে দগ্ধে মরতে দেখেও ক্ষান্ত হয়নি স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। যৌনাঙ্গে ও দেহের নিম্ন অঙ্গে অ্যাসিডের জ্বালা নিয়ে স্ত্রীকে মরতে দেখেও এতটুকু অনুশোচনা জন্মায়নি তাদের মনে। উল্টে কোনো চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে ওই নারীকে ঘরে বন্ধ করে রাখে তার পরিবার। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়। আট বছর আগে অভিযুক্ত স্বামী কল্যাণ আহিরওয়ারের সঙ্গে বিয়ে হয় নিগৃহিতার। ২০০৯ সাল থেকে পনের জন্য মেয়ের ওপর অত্যাচার শুরু হয় বলে জানিয়েছেন মেয়েটির বাবা। ২০১০ সালে যৌতুক নিয়ে অত্যচারের একটি মামলাও দায়ের করা হয় কল্যাণ আহিরওয়ারের বিরুদ্ধে। পরে দুই পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করে মিটিয়ে নেয়া হয় বিষয়টি। কিন্তু তারপরেও টাকা আদায়ের চাপ দিত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। ক্রমশ সেই অত্যাচারের মাত্র বাড়তে থাকে নির্যাতিতার উপর। বুধবার রাতে চরম পর্যায় পৌঁছায় সেই অত্যাচারের মাত্রা। যৌতুকের টাকা না পেয়ে ক্ষিপ্ত কল্যাণ ও তার পরিবারের লোকজন মেয়েটিকে মাটিতে ফেলে ট্রাক্টরের ব্যাটারি থেকে অ্যাসিড বের করে স্ত্রীর যৌনাঙ্গে ঢেলে দেয়। কয়েক ঘন্টা অজ্ঞান অবস্থায় পরে থাকার পর অভিযুক্ত স্বামী মেয়েটিকে মৃত ভেবে তার বাবাকে খবর দেয়। মেয়ে আত্মহত্যা করেছে এই খবর পেয়ে মেয়েটির বাবা শ্বশুরবাড়িতে আসে। কিন্তু জ্ঞান ফিরে পাওয়ায় মেয়েটি সব কথা নিজের বাবাকে জানায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নির্যাতিতার স্বামী ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। Share on facebook Share on twitter Share on email Share on print More Sharing Services 14 সংশ্লিষ্ট আরও খবর

সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল’ গ্লিটজ ডেস্ক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম Published: 2014-09-04 17:00:23.0 BdST Updated: 2014-09-04 17:00:32.0 BdST ‘মাকড়ি’ সিনেমার সেই সাহসী ছোট্ট মেয়েটি যে তার বোনকে বাঁচাতে অবলীলায় ঢুকে যায় ডাইনির গুহায়, সেই শোয়েতা বাসু আজ সত্যিই বন্দি। যমজ দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করে ভারতের জাতীয় পুরস্কার জিতে নেওয়া মেয়েটিকে নামতে হয়েছে দেহ ব্যবসায়। আর সে জন্য সম্প্রতি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। Print Friendly and PDF 0
4 12.1K ২৩ বছর বয়সী শোয়েতার শুরুটা ছিল স্বপ্নের মতো। 'কাহানি ঘার ঘার কি’, 'কারিশমা কা কারিশমা’সহ অনেক হিন্দি সিরিয়ালে অভিনয় করা মেয়েটির আদুরে মুখ হয়তো আজও ছোট পর্দার দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। এরপর ভিশাল ভারাদওয়াজের পরিচালনায় ‘মাকড়ি’ সিনেমায় অভিনয় করে বড় পর্দার দর্শক ও সমালোচকদের মন জয় করে নেয় মেয়েটি। ‘ইকবাল’ সিনেমায়ও তার অভিনয় স্বীকৃত হয়। বাংলা, তামিল এবং তেলেগু সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। তাহলে কি এমন হলো যে আজ তার এই পরিণতি? জবাবটা দিলেন শোয়েতা নিজেই। “আমার কাছে কোনো টাকা ছিল না। পরিবারের দেখভালের দায়িত্ব এবং আরও বেশ কিছু কর্তব‍্য্য ছিল। সব দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তারপর কয়েক জন আমাকে বললো টাকা উপার্জনের জন্য দেহ বিক্রি করতে। আমি অসহায় ছিলাম এবং আর কোনো উপায় না থাকায় এই কাজ শুরু করলাম। “ একটি যৌন ব্যবসা চক্রের সংগঠকের সঙ্গে রোববার রাতে একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয় শোয়েতাকে। পরদিন আদালত তাকে পাঠিয়ে দেন ভারতের নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত একটি ত্রাণকেন্দ্রে। সেখানে তাকে তিন মাস বসবাস করতে হবে। অন্যদিকে ঐ যৌন ব্যবসা চক্রের সংগঠক যে কি না প্রত্যেক খদ্দেরের কাছ থেকে ১ লাখ রুপি করে নিচ্ছিল বলে জানা গেছে, তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।